তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম - তারাবির নামাজ কত রাকাত
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ে ফেলি।
তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম
তারাবিহ নামাজ রমজান মাসের বিশেষ একটি নামাজ, যা রাতের বাকি অংশে (ইশার পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত) পড়া হয়। এটি সুন্নত নামাজ এবং সাধারণত ২০ রাকাত হিসেবে পড়া হয়, যদিও কিছু ক্ষেত্রে ৮ রাকাতও পড়া হয়। তারাবিহ নামাজ পড়ার নিয়ম নিম্নরূপ:
১. নিয়ত করা:
- প্রথমে নিয়ত করতে হবে। মনে মনে বা জিহ্বায় বলতে হবে: "আমি তারাবিহ নামাজের নিয়ত করছি।"
২. রাকাত সংখ্যা:
- তারাবিহ নামাজ সাধারণত ২০ রাকাত পড়া হয়, প্রতি ২ রাকাতের পর সালাম ফিরানো হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ৮ রাকাতও পড়া হয়।
৩. নামাজের পদ্ধতি:
- প্রতি ২ রাকাত করে তারাবিহ নামাজ পড়া হয়। প্রতি ২ রাকাত শেষে সালাম ফিরাতে হয়।
- প্রতি ৪ রাকাত পর পর কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়া সুন্নত। এই সময়ে তাসবিহ, দোয়া বা কুরআন তিলাওয়াত করা যায়।
৪. কুরআন তিলাওয়াত:
- তারাবিহ নামাজে সাধারণত পুরো কুরআন খতম করার চেষ্টা করা হয়। প্রতিদিন কিছু অংশ তিলাওয়াত করা হয়, যাতে রমজানের শেষে পুরো কুরআন খতম করা যায়।
৫. বিশ্রামের সময়:
- প্রতি ৪ রাকাত পর পর কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়া সুন্নত। এই সময়ে তাসবিহ, দোয়া বা কুরআন তিলাওয়াত করা যায়।
৬. জামাতের সাথে পড়া:
- তারাবিহ নামাজ জামাতের সাথে পড়া উত্তম। মসজিদে ইমামের পিছনে জামাতের সাথে তারাবিহ নামাজ পড়া যায়।
৭. দোয়া:
- তারাবিহ নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া করা যায়। এই সময়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করা উচিত।
৮. বিতর নামাজ:
- তারাবিহ নামাজের পর বিতর নামাজ পড়া হয়। বিতর নামাজ হল রাতের শেষ নামাজ, যা সাধারণত ৩ রাকাত।
৯. সময়:
- তারাবিহ নামাজ ইশার নামাজের পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় পড়া যায়। তবে রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম।
১০. মুনাজাত:
- তারাবিহ নামাজ শেষে মুনাজাত করা যায়। এই সময়ে আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা যায়।
তারাবিহ নামাজ রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা রোজার পূর্ণতা দান করে এবং আত্মিক শান্তি ও প্রশান্তি আনে।
তারাবির নামাজের নিয়ত
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা তারাবির নামাজের নিয়ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির তারাবির নামাজের নিয়ত নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
তারাবিহ নামাজের নিয়ত করা খুবই সহজ। নিয়ত হলো নামাজের ইচ্ছা পোষণ করা। নিয়ত মনে মনে বা জিহ্বায় উচ্চারণ করা যায়। তারাবিহ নামাজের নিয়ত নিম্নরূপ:
বাংলায় নিয়ত:
- "আমি তারাবিহ নামাজের নিয়ত করছি, দুই রাকাত সুন্নত নামাজ, আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য, কিবলামুখী হয়ে, আল্লাহু আকবার।"
আরবিতে নিয়ত:
- "নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকআতাই সালাতিত তারাবিহি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শরীফাতি, আল্লাহু আকবার।"
সংক্ষেপে নিয়ত:
- "আমি তারাবিহ নামাজের নিয়ত করছি, আল্লাহু আকবার।"
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- নিয়ত মনে মনে করা যায়, তবে জিহ্বায় উচ্চারণ করলে আরও ভালো।
- নিয়ত করার সময় কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো উচিত।
- নিয়ত করার পর "আল্লাহু আকবার" বলে তাকবিরে তাহরিমা (নামাজ শুরু করার তাকবির) দিয়ে নামাজ শুরু করতে হয়।
- তারাবিহ নামাজের নিয়ত করার পর নামাজের নিয়ম অনুযায়ী নামাজ আদায় করতে হয়।
তারাবির নামাজ কত রাকাত
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা তারাবির নামাজ কত রাকাত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির তারাবির নামাজ কত রাকাত নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
তারাবিহ নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে কিছু মতভেদ রয়েছে। তবে সাধারণভাবে দুইটি প্রধান মত প্রচলিত আছে:
১. ২০ রাকাত তারাবিহ:
- হানাফি, শাফেয়ী ও হাম্বলি মাজহাব অনুযায়ী তারাবিহ নামাজ ২০ রাকাত।
- এই মত অনুসারে, প্রতি ২ রাকাতের পর সালাম ফিরানো হয় এবং মোট ১০ বার সালাম ফিরিয়ে ২০ রাকাত নামাজ পড়া হয়।
- এই মতটি সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের আলেমদের আমলের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
২. ৮ রাকাত তারাবিহ:
- মালিকি মাজহাব এবং কিছু হাদিসের ভিত্তিতে কিছু আলেম ৮ রাকাত তারাবিহ পড়াকে যথেষ্ট মনে করেন।
- এই মত অনুসারে, প্রতি ২ রাকাতের পর সালাম ফিরানো হয় এবং মোট ৪ বার সালাম ফিরিয়ে ৮ রাকাত নামাজ পড়া হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
- তারাবিহ নামাজের শেষে বিতর নামাজ (৩ রাকাত) পড়া হয়। বিতর নামাজ তারাবিহের অংশ নয়, তবে এটি তারাবিহের পর পড়া সুন্নত।
- তারাবিহ নামাজ জামাতের সাথে পড়া উত্তম, তবে একাকীও পড়া যায়।
- রমজান মাসে তারাবিহ নামাজে পুরো কুরআন খতম করার চেষ্টা করা হয়।
শেষ কথা:
- ২০ রাকাত তারাবিহ পড়াই অধিকাংশ মুসলিমের মধ্যে প্রচলিত এবং এটি সুন্নতের অনুসরণ হিসেবে বিবেচিত। তবে ৮ রাকাত পড়াও জায়েজ আছে, বিশেষ করে যদি কেউ দুর্বল বা অসুস্থ হয়। উভয় পদ্ধতিই ইসলামিক স্কলারদের দ্বারা স্বীকৃত।
তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
তারাবিহ নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা (জরুরি সুন্নত)। এটি নফল নামাজ নয়, বরং রমজান মাসের বিশেষ একটি সুন্নত নামাজ। নিম্নে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
১. তারাবিহ নামাজের মর্যাদা:
- তারাবিহ নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অর্থাৎ, এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিয়মিত আমল ছিল এবং তিনি মুসলিম উম্মাহকে এটা পালন করতে উৎসাহিত করেছেন।
- হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
- "যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমজানে রাতের নামাজ (তারাবিহ) আদায় করে, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।"
- (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)
২. সুন্নত ও নফলের মধ্যে পার্থক্য:
- সুন্নত নামাজ: এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিয়মিত আমল। সুন্নত নামাজ আদায় করা খুবই সওয়াবের কাজ এবং এটা পরিত্যাগ করলে গুনাহ হয় না, তবে তা সুন্নতের খেলাফ (বিরোধী) কাজ।
- নফল নামাজ: এটি অতিরিক্ত ইবাদত, যা আদায় করলে সওয়াব পাওয়া যায়, কিন্তু না পড়লে কোনো গুনাহ বা পাপ হয় না।
- তারাবিহ নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা হওয়ার কারণে এটি নফল নামাজের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৩. তারাবিহ নামাজের গুরুত্ব:
- রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ পড়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত।
- সাহাবায়ে কেরামও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময় তারাবিহ নামাজ পড়তেন এবং পরবর্তীতে হজরত উমর (রা.)-এর সময়ে জামাতের সাথে তারাবিহ নামাজ পড়ার প্রথা চালু হয়।
৪. তারাবিহ নামাজ না পড়লে কী হবে?
- তারাবিহ নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা হওয়ায় এটি না পড়লে গুনাহ হবে না, তবে এটি পরিত্যাগ করলে সুন্নতের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবেন।
৫. তারাবিহ নামাজের সওয়াব:
- তারাবিহ নামাজ পড়লে রমজান মাসের বিশেষ বরকত ও সওয়াব পাওয়া যায়।
- এটি রোজার পূর্ণতা দান করে এবং আত্মিক শান্তি ও প্রশান্তি আনে।
শেষ কথা:
- তারাবিহ নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটি নফল নামাজ নয়, বরং রমজান মাসের একটি বিশেষ সুন্নত ইবাদত। তাই রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ নিয়মিত পড়া উচিত এবং এর ফজিলত ও সওয়াব লাভের চেষ্টা করা উচিত।
তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
তারাবিহ নামাজের পর মুনাজাত বা দোয়া করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এই মুনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, রহমত, দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করা হয়। তারাবিহ নামাজের পর সাধারণত যে মুনাজাত করা হয়, তার বাংলা অর্থ সহ নিম্নে দেওয়া হলো:
মুনাজাত:
আরবি:
- اللهمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَنَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَنَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ مِنْهُ عِبَادُكَ الصَّالِحُونَ، وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَكَ مِنْهُ عِبَادُكَ الصَّالِحُونَ.
বাংলা উচ্চারণ:
- "আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া মা ক্বাররবা ইলাইহা মিন ক্বাওলিন আও আমালিন, ওয়া নাউজু বিকা মিনান নারি ওয়া মা ক্বাররবা ইলাইহা মিন ক্বাওলিন আও আমালিন, ওয়া নাসআলুকা মিন খাইরি মা সআলাকা মিনহু ইবাদুকাস সলিহুন, ওয়া নাউজু বিকা মিন শাররি মাসতাআজাকা মিনহু ইবাদুকাস সলিহুন।"
বাংলা অর্থ:
- "হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং এমন সব কথা ও কাজ চাই, যা জান্নাতের নিকটবর্তী করে। আমরা আপনার কাছে জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই এবং এমন সব কথা ও কাজ থেকে আশ্রয় চাই, যা জাহান্নামের নিকটবর্তী করে। আমরা আপনার কাছে সেই সব ভালো জিনিস চাই, যা আপনার নেক বান্দারা আপনার কাছে চেয়েছেন। আর আমরা আপনার কাছে সেই সব মন্দ জিনিস থেকে আশ্রয় চাই, যা থেকে আপনার নেক বান্দারা আশ্রয় চেয়েছেন।"
মুনাজাতের গুরুত্ব:
- তারাবিহ নামাজের পর মুনাজাত করা একটি সুন্নত। এই সময়ে আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
- মুনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করা হয়।
- এটি রমজান মাসের বিশেষ ইবাদতের অংশ এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা হয়।
মুনাজাতের আদব:
- মুনাজাত করার সময় বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ করা উচিত।
- দুই হাত উঠিয়ে দোয়া করা সুন্নত।
- দোয়ার শেষে "আমিন" বলা উচিত।
তারাবিহ নামাজের পর এই মুনাজাত পড়লে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের আশা করা যায়। এটি রমজান মাসের বিশেষ একটি ইবাদত, যা আত্মিক প্রশান্তি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম।
এশার নামাজের নিয়ম
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা এশার নামাজের নিয়ম বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির এশার নামাজের নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
এশার নামাজ হল ইসলামের পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে চতুর্থ নামাজ। এটি রাতের প্রথম প্রহরে পড়া হয় এবং এর নির্দিষ্ট সময় হলো সূর্যাস্তের পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত। এশার নামাজের নিয়ম নিম্নরূপ:
১. নিয়ত করা:
- প্রথমে নিয়ত করতে হবে। মনে মনে বা জিহ্বায় বলতে হবে:
- "আমি এশার ফরজ নামাজ চার রাকাত আদায় করব, কিবলামুখী হয়ে, আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য।"
২. তাকবিরে তাহরিমা:
- "আল্লাহু আকবার" বলে তাকবিরে তাহরিমা দিয়ে নামাজ শুরু করতে হবে।
৩. সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পাঠ:
- প্রথমে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
- এরপর অন্য একটি ছোট সূরা বা কুরআনের কিছু আয়াত পড়তে হবে।
৪. রুকু ও সিজদা:
- সূরা পাঠ শেষে রুকু করতে হবে এবং রুকুতে "সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম" (৩ বার বা তার বেশি) বলতে হবে।
- রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে "সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলতে হবে।
- এরপর সিজদায় যেতে হবে এবং সিজদায় "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা" (৩ বার বা তার বেশি) বলতে হবে।
- সিজদা থেকে উঠে বসে আবার সিজদা করতে হবে।
৫. দ্বিতীয় রাকাত:
- প্রথম রাকাতের মতোই দ্বিতীয় রাকাত আদায় করতে হবে।
- দ্বিতীয় রাকাতের শেষে "আত্তাহিয়াতু" পড়ে সালাম ফিরানো হবে (যদি এটি শেষ রাকাত হয়)।
৬. তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাত:
- তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতেও একইভাবে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পাঠ করতে হবে।
- শেষ রাকাতের শেষে "আত্তাহিয়াতু", "দরুদ শরিফ" ও "দোয়া মাসুরা" পড়ে সালাম ফিরাতে হবে।
৭. সালাম ফিরানো:
- নামাজ শেষে ডান দিকে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ" বলে সালাম ফিরাতে হবে।
- এরপর বাম দিকে একইভাবে সালাম ফিরাতে হবে।
৮. এশার নামাজের রাকাত সংখ্যা:
- এশার নামাজ ৪ রাকাত ফরজ, ৪ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা এবং ২ রাকাত সুন্নতে গাইরে মুয়াক্কাদা নিয়ে মোট ১০ রাকাত।
- এছাড়া এশার নামাজের পর বিতর নামাজ (৩ রাকাত) পড়া হয়, যা সুন্নত।
৯. এশার নামাজের সময়:
- এশার নামাজের সময় শুরু হয় ইশার ওয়াক্ত প্রবেশের পর (সূর্যাস্তের পর) এবং শেষ হয় ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত।
- তবে এশার নামাজ রাতের প্রথম তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম।
১০. জামাতের সাথে পড়া:
- এশার নামাজ জামাতের সাথে পড়া উত্তম। মসজিদে ইমামের পিছনে জামাতের সাথে নামাজ পড়া যায়।
এশার নামাজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। এটি সময়মতো আদায় করা প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য। নামাজের সময়, নিয়ম ও আদব কায়দা মেনে নামাজ আদায় করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রহমত লাভ করা যায়।
উপসংহার
আজ তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে ভালো কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url