সেন্টমার্টিন দ্বীপ আয়তন কত - সেন্টমার্টিন দ্বীপ
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে সেন্টমার্টিন দ্বীপ আয়তন কত - সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিষয় নিয়ে জানতে চান। আজ আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই সেন্টমার্টিন দ্বীপ আয়তন কত - সেন্টমার্টিন দ্বীপ কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ আয়তন কত - সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ এবং দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। এর অপূর্ব সৌন্দর্য, স্বচ্ছ পানি, সুন্দর বেলাভূমি এবং নারিকেল গাছের সারি সারি দৃশ্য সত্যিই মন মুগ্ধ করে।
সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য বর্ণনা করা কঠিন। নীল আকাশ, স্বচ্ছ পানি, সুন্দর বেলাভূমি, সারি সারি নারিকেল গাছ, সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য, সব মিলে এখানে আসা মানুষকে মুগ্ধ করে।
সেন্টমার্টিনে করণীয়
সৈকতে সময় কাটান: সেন্টমার্টিনের বেলাভূমিগুলি সূর্যস্নান, সাঁতার এবং হাঁটাচলা করার জন্য আদর্শ।
স্নোরকেলিং এবং ডাইভিং: স্বচ্ছ পানিতে স্নোরকেলিং এবং ডাইভিং করে বিভিন্ন ধরনের প্রবাল এবং সামুদ্রিক জীব দেখা যায়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ আয়তন কত
সেন্টমার্টিন দ্বীপের আয়তন নিয়ে কিছুটা বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
সাধারণত, সেন্টমার্টিন দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার বলে ধরা হয়।
তবে, জোয়ার-ভাটার সময় দ্বীপের আয়তন কিছুটা পরিবর্তিত হয়। জোয়ারের সময় দ্বীপের কিছু অংশ পানির নিচে চলে যায় এবং ভাটার সময় আবার উঠে আসে। এই কারণে দ্বীপের আয়তনকে ১০-১৫ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্তও ধরা হয়।
কেন আয়তন নিয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়?
- জোয়ার-ভাটা: উপরে বলা হয়েছে, জোয়ার-ভাটার কারণে দ্বীপের আয়তন পরিবর্তিত হয়।
- মাপন পদ্ধতি: ভূগোলবিদরা দ্বীপের আয়তন মাপার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এই পদ্ধতিগুলোতে সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে।
- সময়ের সাথে পরিবর্তন: সময়ের সাথে সাথে দ্বীপের আকার কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ কোন জেলায় অবস্থিত
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, এর অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য দেশবাসীর কাছে বেশ পরিচিত। এটি কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত।
কক্সবাজার জেলার অংশ:
- সেন্টমার্টিন দ্বীপ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত। কক্সবাজারের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি।
সর্বদক্ষিণে অবস্থান:
- বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত হওয়ায় সেন্টমার্টিন দেশের মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করে আছে।
নারিকেল জিঞ্জিরা:
- স্থানীয় ভাষায় একে 'নারিকেল জিঞ্জিরা' নামেও ডাকা হয়। প্রচুর নারিকেল গাছের জন্য এটি এই নামে পরিচিত।
কেন সেন্টমার্টিন এত জনপ্রিয়?
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: স্বচ্ছ পানি, সুন্দর বেলাভূমি, নারিকেল গাছের সারি সারি দৃশ্য, সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য সব মিলে এখানে আসা মানুষকে মুগ্ধ করে।
- স্নোরকেলিং ও ডাইভিং: স্বচ্ছ পানিতে স্নোরকেলিং এবং ডাইভিং করে বিভিন্ন ধরনের প্রবাল এবং সামুদ্রিক জীব দেখা যায়।
- শান্তিপূর্ণ পরিবেশ: দ্বীপে খুব কম জনসংখ্যা বসবাস করে এবং পরিবেশ খুবই শান্ত।
সেন্টমার্টিন যাওয়ার উপায়:
- কক্সবাজার থেকে: কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়।
- ঢাকা থেকে: ঢাকা থেকে বাসে, ট্রেনে অথবা আকাশপথে কক্সবাজার এসে, সেখান থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইতিহাস
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, এর অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি একটি রহস্যময় ইতিহাসও বহন করে। এই দ্বীপের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না থাকলেও, বিভিন্ন তথ্য ও গবেষণার ভিত্তিতে কিছু ধারণা করা যায়।
প্রাচীন ইতিহাস:
প্রাচীন বসতি:
- প্রায় ৩৫০০ বছর আগের প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া গেছে, যা ইঙ্গিত করে যে দ্বীপে প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের বসতি ছিল। সম্ভবত সিবনি ইন্ডিয়ান্স (আরাওয়াকসের একটি উপগোষ্ঠী) এই দ্বীপে প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল।
আরাওয়াকসদের আগমন:
- পরবর্তীতে আরাওয়াকসদের আরও একটি দল দক্ষিণ আমেরিকার অরিনোকো অববাহিকা থেকে ৮০০ খ্রিস্টাব্দে এসেছিল।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
- প্রাচীনকাল থেকেই এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে আকৃষ্ট করেছে।
ব্রিটিশ শাসনকাল:
ব্রিটিশ ভূ-জরিপ: ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ ভূ-জরিপ দল এই দ্বীপকে ব্রিটিশ-ভারতের অংশ হিসাবে গ্রহণ করে।
নামকরণ:
- জরিপে এরা স্থানীয় নামের পরিবর্তে একজন খ্রিষ্টান সেন্ট মার্টিনের নামানুসারে সেন্ট মার্টিন নাম প্রদান করে। এরপর ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের বাইরের মানুষের কাছে, দ্বীপটি সেন্ট মার্টিন নামেই পরিচিতি লাভ করে।1
স্বাধীনতার পর:
- পর্যটন শিল্পের বিকাশ: ১৯৩৯ সালে, সেন্ট মার্টিন যখন শুল্কমুক্ত বন্দর হিসাবে ঘোষণা করা হয়ে তখন এটি বড় উৎসাহ অর্জন করেছিল।
- ডাচ এবং ফরাসিদের অবদান: ডাচরা ১৯৫০ এর দশকে এবং ফরাসিরা ১৯৭০ এর দশকে পর্যটনকে কেন্দ্র করে মনোনিবেশ করা শুরু করে।
- বর্তমান অবস্থা: বর্তমানে, পর্যটনশিল্প দ্বীপের উভয় পক্ষের জন্য অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন কিভাবে যাবেন
সেন্টমার্টিন যাওয়ার সহজ পথ
বাংলাদেশের মুক্তার মতো সুন্দর দ্বীপ সেন্টমার্টিন! এর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে আপনার মন যদি টানে, তাহলে এই নির্দেশিকাটি আপনার জন্য।
কোথা থেকে যাবেন?
সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে কক্সবাজার আসতে হবে। দেশের যে কোনো জায়গা থেকে বাস, ট্রেন বা ফ্লাইটে আপনি কক্সবাজার যেতে পারেন।
কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন:
টেকনাফ: কক্সবাজার থেকে জিপে চড়ে টেকনাফ যাবেন।
জাহাজ: টেকনাফ থেকে বিভিন্ন জাহাজ বা ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়।
কীভাবে টিকিট বুক করবেন?
- অনলাইনে: অনেক ট্রাভেল এজেন্সিই সেন্টমার্টিনের টিকিট অনলাইনে বুক করার সুবিধা দেয়।
- স্থানীয় এজেন্ট: টেকনাফে গিয়ে স্থানীয় এজেন্টদের কাছ থেকেও টিকিট কিনতে পারেন।
- কী কী নিয়ে যাবেন?
- পোশাক: হালকা ও আরামদায়ক পোশাক, স্নানের পোশাক, সানগ্লাস, টুপি ইত্যাদি।
- জুতা: স্যান্ডেল বা ফ্লিপ ফ্লপ।
- সানস্ক্রিন: সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা করার জন্য।
- মশারি: মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য।
- পানি: পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নিয়ে যাবেন।
- খাবার: হালকা খাবার নিয়ে যেতে পারেন।
- ক্যামেরা: সুন্দর দৃশ্য তুলে রাখার জন্য।
সেন্টমার্টিনে করণীয়:
সৈকতে সময় কাটান: সুন্দর সৈকতে সূর্যস্নান, সাঁতার, হাঁটাচলা করতে পারেন।
স্নোরকেলিং এবং ডাইভিং: স্বচ্ছ পানিতে স্নোরকেলিং এবং ডাইভিং করে বিভিন্ন ধরনের প্রবাল এবং সামুদ্রিক জীব দেখতে পারেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ কত কিলোমিটার
সেন্টমার্টিন দ্বীপের আকার নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে একটু জটিল, কারণ জোয়ার-ভাটার কারণে এর আকার কিছুটা পরিবর্তিত হয়।
সাধারণত, সেন্টমার্টিন দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার বলে ধরা হয়। তবে, জোয়ারের সময় দ্বীপের কিছু অংশ পানির নিচে চলে যায় এবং ভাটার সময় আবার উঠে আসে। এই কারণে দ্বীপের আয়তনকে ১০-১৫ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্তও ধরা হয়।
কেন আয়তন নিয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়?
- জোয়ার-ভাটা: উপরে বলা হয়েছে, জোয়ার-ভাটার কারণে দ্বীপের আয়তন পরিবর্তিত হয়।
- মাপন পদ্ধতি: ভূগোলবিদরা দ্বীপের আয়তন মাপার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এই পদ্ধতিগুলোতে সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে।
- সময়ের সাথে পরিবর্তন: সময়ের সাথে সাথে দ্বীপের আকার কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে তথ্য
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ এবং দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। এর অপূর্ব সৌন্দর্য, স্বচ্ছ পানি, সুন্দর বেলাভূমি এবং নারিকেল গাছের সারি সারি দৃশ্য সত্যিই মন মুগ্ধ করে।
সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য
সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য বর্ণনা করা কঠিন। নীল আকাশ, স্বচ্ছ পানি, সুন্দর বেলাভূমি, সারি সারি নারিকেল গাছ, সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য, সব মিলে এখানে আসা মানুষকে মুগ্ধ করে।
সেন্টমার্টিনে করণীয়
সৈকতে সময় কাটান: সেন্টমার্টিনের বেলাভূমিগুলি সূর্যস্নান, সাঁতার এবং হাঁটাচলা করার জন্য আদর্শ।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ হোটেল ভাড়া - সেন্টমার্টিন দ্বীপ আয়তন কত - সেন্টমার্টিন দ্বীপ
- সেন্টমার্টিন দ্বীপে আপনার স্বপ্নের ছুটি কাটাতে হোটেল বুকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের হোটেল, মোটেল এবং কটেজ রয়েছে। আপনার বাজেট এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে আপনি সঠিক হোটেল বেছে নিতে পারেন।
হোটেলের ধরন এবং ভাড়া
সেন্টমার্টিনের হোটেলের ভাড়া সাধারণত রুমের ধরন, সুবিধা এবং ঋতুর উপর নির্ভর করে।
- বাজেট হোটেল: এই ধরনের হোটেলে সাধারণত ন্যূনতম সুবিধা থাকে। ভাড়া সাধারণত কম হয়।
- মিড রেঞ্জ হোটেল: এই ধরনের হোটেলে বেশ কিছু সুবিধা থাকে, যেমন এয়ার কন্ডিশনার, গরম পানি, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি। ভাড়া মধ্যম স্তরের হয়।
- লক্সারি রিসোর্ট: এই ধরনের রিসোর্টে সব ধরনের আধুনিক সুবিধা থাকে। ভাড়া বেশি হয়।
হোটেল বুকিংয়ের টিপস
- সময়মত বুক করুন: বিশেষ করে ছুটির দিনে, হোটেলগুলি দ্রুত বুক হয়ে যায়। তাই আগেই বুক করা ভালো।
- অনলাইন বুকিং: অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলির মাধ্যমে আপনি সহজেই হোটেল বুক করতে পারেন।
- সুবিধাগুলো যাচাই করুন: হোটেল বুক করার আগে রুমের ছবি দেখুন এবং সুবিধাগুলো যাচাই করুন।
- রিভিউ পড়ুন: অন্যান্য গ্রাহকদের রিভিউ পড়ে হোটেল সম্পর্কে ধারণা নিন।
জনপ্রিয় হোটেল এবং রিসোর্ট
- দ্বীপান্তর বিচ রিসোর্ট: এই রিসোর্টটি সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিম সৈকতে অবস্থিত একটি প্রিমিয়াম ইকো রিসোর্ট।
- ব্লু মেরিন রিসোর্ট: সেন্টমার্টিন দ্বীপের ফেরি ঘাটের খুব কাছেই ব্লু মেরিন রিসোর্টের অবস্থান।
- নীল দিগন্তে রিসোর্ট: বিভিন্নরকম ছোট কটেজের মত রুম আছে।
ভাড়ার বিষয়
সেন্টমার্টিনের হোটেলের ভাড়া ঋতু অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। শীতকালে ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে। সাধারণত, একটি ডাবল বেড রুমের ভাড়া ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
সেন্টমার্টিনে থাকার কিছু টিপস
- জোয়ার-ভাটা: সেন্টমার্টিনে জোয়ার-ভাটার সময়সূচি মেনে চলা জরুরি।
- পরিবেশ: দ্বীপের পরিবেশ সংরক্ষণে সাহায্য করুন।
- সুরক্ষা: সবসময় নিজের সুরক্ষার প্রতি সচেতন থাকুন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ খরচ
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ খরচ: একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের খরচ আপনার ভ্রমণের সময়কাল, হোটেলের মান, খাবারের অভ্যাস এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচের উপর নির্ভর করে। তবে, আপনাকে একটি সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য আমরা একটি আনুমানিক খরচের তালিকা তৈরি করেছি।
ভ্রমণ খরচের বিভিন্ন উপাদান
যাতায়াত:
- ঢাকা থেকে কক্সবাজার: বাস, ট্রেন বা ফ্লাইটের ভাড়া।
- কক্সবাজার থেকে টেকনাফ: জিপ বা মাইক্রোবাস ভাড়া।
- টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন: জাহাজ ভাড়া।
হোটেল:
- বাজেট হোটেল থেকে লক্সারি রিসোর্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের হোটেল রয়েছে।
- ভাড়া প্রতি রাতে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
খাবার:
- স্থানীয় খাবার খুবই সুস্বাদু এবং সাশ্রয়ী।
- একদিনের খাবারের খরচ প্রায় ৫০০-১০০০ টাকা হতে পারে।
অন্যান্য খরচ:
- স্নোরকেলিং, ডাইভিং, নৌকা ভ্রমণ ইত্যাদির জন্য অতিরিক্ত খরচ হতে পারে।
- স্থানীয় বাজার থেকে স্মৃতিচিহ্ন কেনা।
- ব্যক্তিগত খরচ।
- আনুমানিক ভ্রমণ খরচ (প্রতি ব্যক্তি)
- ৩ দিনের ভ্রমণ: ১০,০০০-১৫,০০০ টাকা
- ৫ দিনের ভ্রমণ: ১৫,০০০-২৫,০০০ টাকা
মনে রাখবেন: এই খরচগুলি কেবল একটি আনুমানিক ধারণা। আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা এবং খরচের অভ্যাস অনুযায়ী খরচ বেশি বা কম হতে পারে।
ভ্রমণ খরচ কমানোর উপায়
বাজেট হোটেল বেছে নিন: আপনি যদি খরচ কমাতে চান, তাহলে বাজেট হোটেল বেছে নিতে পারেন।
স্থানীয় খাবার খান: স্থানীয় খাবার খুবই সুস্বাদু এবং সাশ্রয়ী।
অফ-সিজনের সময় ভ্রমণ করুন: শীতকালে ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে। তাই আপনি যদি অফ-সিজনের সময় ভ্রমণ করেন, তাহলে ভাড়া কম পাবেন।
গ্রুপে ভ্রমণ করুন: গ্রুপে ভ্রমণ করলে হোটেল এবং পরিবহন খরচ কম হতে পারে।
স্থানীয় বাজার থেকে কেনাকাটা করুন: স্থানীয় বাজার থেকে স্মৃতিচিহ্ন কিনলে আপনি অনেক টাকা বাঁচাতে পারবেন।
ভ্রমণের আগে করণীয়
- হোটেল বুক করুন: বিশেষ করে ছুটির দিনে, হোটেলগুলি দ্রুত বুক হয়ে যায়। তাই আগেই বুক করা ভালো।
- পরিবহনের টিকিট বুক করুন: আপনি যদি ট্রেন বা ফ্লাইটে যাত্রা করেন, তাহলে আগেই টিকিট বুক করে নিন।
জামাকাপড় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্যাক করুন:
- স্নানের পোশাক
- সানস্ক্রিন
- টুপি
- সানগ্লাস
- মশারি
- ক্যামেরা
পাসপোর্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন:
পর্যাপ্ত পরিমাণ নগদ টাকা নিয়ে যান: সেন্টমার্টিনে সব জায়গায় কার্ড ব্যবহার করা যায় না।
স্থানীয়দের সাথে মিশে যান: স্থানীয়দের সাথে মিশে আপনি অনেক নতুন জিনিস শিখতে পারবেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ কেন বিখ্যাত
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ হিসেবে এর অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এই দ্বীপটি তার স্বচ্ছ পানি, সুন্দর বেলাভূমি, সারি সারি নারিকেল গাছ এবং সমৃদ্ধ সমুদ্রজীবনের জন্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ কেন বিখ্যাত, এর কারণগুলি নিম্নরূপ:
১. অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
- স্বচ্ছ পানি: দ্বীপের চারপাশে স্বচ্ছ পানি স্নান, সাঁতার এবং স্নোরকেলিংয়ের জন্য আদর্শ।
- সুন্দর বেলাভূমি: সুন্দর বেলাভূমি সূর্যস্নান এবং হাঁটাচলার জন্য আদর্শ।
- নারিকেল গাছ: সারি সারি নারিকেল গাছ দ্বীপটিকে একটি স্বর্গীয় দৃশ্য উপহার দেয়।
২. সমৃদ্ধ সমুদ্রজীবন:
- প্রবাল প্রাচীর: দ্বীপের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের প্রবাল প্রাচীর রয়েছে যা স্নোরকেলিং এবং ডাইভিংয়ের জন্য আদর্শ।
- সামুদ্রিক জীব: দ্বীপের সমুদ্রে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জীব যেমন মাছ, শামুক, এবং তারকা মাছ পাওয়া যায়।
৩. পর্যটন সুবিধা:
- হোটেল ও রিসোর্ট: দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে যা পর্যটকদের জন্য সব ধরনের সুবিধা প্রদান করে।
- নৌকা ভ্রমণ: নৌকা ভাড়া করে দ্বীপের চারপাশে ঘুরে বেড়াতে পারেন।
- স্থানীয় খাবার: স্থানীয় খাবার খুবই সুস্বাদু এবং সাশ্রয়ী।
৪. শান্তিপূর্ণ পরিবেশ:
দ্বীপে কোলাহল নেই, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে।
৫. সহজ যোগাযোগ:
- কক্সবাজার থেকে জাহাজে করে সহজেই সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়।
- সেন্টমার্টিন দ্বীপ শুধু একটি পর্যটন স্থান নয়, এটি একটি স্বর্গীয় দ্বীপ। যদি আপনি একবার এখানে এসে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই আবার আসতে চাইবেন।
সেন্টমার্টিন কি জন্য বিখ্যাত?
- সেন্টমার্টিন: বাংলাদেশের মুক্তার মতো
- সেন্টমার্টিন, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, তার অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এই দ্বীপটি তার স্বচ্ছ পানি, সুন্দর বেলাভূমি, সারি সারি নারিকেল গাছ এবং সমৃদ্ধ সমুদ্রজীবনের জন্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
সেন্টমার্টিন কেন বিখ্যাত?
- অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
- স্বচ্ছ পানি: দ্বীপের চারপাশে স্বচ্ছ পানি স্নান, সাঁতার এবং স্নোরকেলিংয়ের জন্য আদর্শ।
- সুন্দর বেলাভূমি: সুন্দর বেলাভূমি সূর্যস্নান এবং হাঁটাচলার জন্য আদর্শ।
- নারিকেল গাছ: সারি সারি নারিকেল গাছ দ্বীপটিকে একটি স্বর্গীয় দৃশ্য উপহার দেয়।
সমৃদ্ধ সমুদ্রজীবন:
- প্রবাল প্রাচীর: দ্বীপের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের প্রবাল প্রাচীর রয়েছে যা স্নোরকেলিং এবং ডাইভিংয়ের জন্য আদর্শ।
- সামুদ্রিক জীব: দ্বীপের সমুদ্রে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জীব যেমন মাছ, শামুক, এবং তারকা মাছ পাওয়া যায়।
পর্যটন সুবিধা:
- হোটেল ও রিসোর্ট: দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে যা পর্যটকদের জন্য সব ধরনের সুবিধা প্রদান করে।
- নৌকা ভ্রমণ: নৌকা ভাড়া করে দ্বীপের চারপাশে ঘুরে বেড়াতে পারেন।
- স্থানীয় খাবার: স্থানীয় খাবার খুবই সুস্বাদু এবং সাশ্রয়ী।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ:
দ্বীপে কোলাহল নেই, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে।
সহজ যোগাযোগ: সেন্টমার্টিন দ্বীপ আয়তন কত - সেন্টমার্টিন দ্বীপ
- কক্সবাজার থেকে জাহাজে করে সহজেই সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়।
- বাংলাদেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ কোনটি?
- বাংলাদেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ হল সেন্ট মার্টিন।
- কেন সেন্ট মার্টিন বিশেষ?
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: স্বচ্ছ নীল পানি, সুন্দর বেলাভূমি, সারি সারি নারিকেল গাছ এবং সমৃদ্ধ সমুদ্রজীবন সেন্ট মার্টিনকে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান করে তুলেছে।
প্রবাল প্রাচীর: দ্বীপের চারপাশে বিস্তৃত প্রবাল প্রাচীর স্নোরকেলিং এবং ডাইভিংয়ের জন্য আদর্শ।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিকটস্থ দেশ কোনটি?
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত। এই দ্বীপটি মিয়ানমারের উপকূলের খুব কাছে অবস্থিত। তাই, সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিকটস্থ দেশ হল মিয়ানমার।
কেন মিয়ানমার নিকটতম?
ভৌগোলিক অবস্থান: সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং মিয়ানমারের উপকূলের মধ্যে দূরত্ব খুবই কম।
নাফ নদীর মোহনা: সেন্টমার্টিন দ্বীপ নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত, যা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমানা।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের পুরাতন নাম কি?
সেন্টমার্টিন দ্বীপের অনেক পুরাতন নাম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু নাম হল:
- নারিকেল জিঞ্জিরা: দ্বীপে প্রচুর নারিকেল গাছ থাকার কারণে স্থানীয়রা একে নারিকেল জিঞ্জিরা বলে।
- নারকেল জিঞ্জিরা: নারিকেল জিঞ্জিরার আরেকটি রূপ।
- জিঞ্জিরা: সংক্ষিপ্ত রূপে দ্বীপকে জিঞ্জিরাও বলা হয়।
- জাজিরা: আরবী শব্দ "জাজিরা" মানে দ্বীপ।
- দারুচিনি দ্বীপ: একসময় দ্বীপে দারুচিনি গাছ ছিল বলে এ নামেও পরিচিত।
- দেরদিউসা দ্বীপ: এটি একটি প্রাচীন নাম।
কেন এতগুলো নাম?
- দ্বীপের নামকরণের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে:
- প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য: দ্বীপে প্রচুর নারিকেল গাছ থাকার কারণে নারিকেল জিঞ্জিরা নামটি এসেছে। একইভাবে, দারুচিনি গাছ থাকার কারণে দারুচিনি দ্বীপ নামটি এসেছে।
- ভৌগোলিক অবস্থান: দ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও এর নামকরণ হয়েছে।
- ঐতিহাসিক কারণ: বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর আগমনের ফলে দ্বীপের নামকরণে পরিবর্তন এসেছে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আজ সেন্টমার্টিন দ্বীপ আয়তন কত - সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের সেন্টমার্টিন দ্বীপ আয়তন কত - সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url