ভিন্নজগত বিনোদন কেন্দ্র, রংপুর - ভিন্ন জগৎ রংপুর

ভূমিকা

সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে  ভিন্নজগত বিনোদন কেন্দ্র, রংপুর - ভিন্ন জগৎ রংপুর  বিষয় নিয়ে জানতে চান। আজ আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই ভিন্নজগত বিনোদন কেন্দ্র, রংপুর - ভিন্ন জগৎ রংপুর  কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
ভিন্নজগত বিনোদন কেন্দ্র, রংপুর - ভিন্ন জগৎ রংপুর
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে ভিন্নজগত বিনোদন কেন্দ্র, রংপুর - ভিন্ন জগৎ রংপুর নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।

ভিন্ন জগৎ রংপুর

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গীপুরে অবস্থিত ভিন্ন জগৎ একটি বিশাল বিনোদন পার্ক যা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। প্রায় ১০০ একর জমির উপর নির্মিত এই পার্কটি গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এবং আধুনিক প্রযুক্তির একটি সুন্দর মিশ্রণ।
কেন ভিন্ন জগৎ এত জনপ্রিয়?
বিচিত্র আকর্ষণ: 
  • পার্কটিতে রয়েছে প্লানেটোরিয়াম, রোবট স্ক্রিল জোন, জল তরঙ্গ, স্পেস জার্নি, আজব গুহা, সি প্যারাডাইস, শাপলা চত্বর, নৌকা ভ্রমণ, ওয়াক ওয়ে, বীরশ্রেষ্ঠ এবং ভাষা সৈনিকদের ভাস্কর্য, থ্রিডি মুভি, মেরি গো রাউন্ড, ফ্লাই হেলিকপ্টার, লেক ড্রাইভ, সুইমিং পুল, মাছ ধরার ব্যবস্থা এবং স্পিনিং হেড1 সহ আরো অনেক কিছু।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: 
  • হাজারো বৃক্ষ এবং নানা প্রজাতির পাখির কোলাহলে মুখর এই পার্কটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক আদর্শ জায়গা।
পরিবারের জন্য উপযোগী: 
  • পার্কটিতে পরিবারের সব সদস্যদের জন্য আনন্দদায়ক কিছু না কিছু থাকবে। বাচ্চারা রোবট জোনে খেলতে পারবে, তরুণরা নৌকা ভ্রমণ করতে পারবে আর বয়স্করা শান্ত পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।

ভিন্ন জগতে আরো কি কি আছে?

  • লোকজ সংস্কৃতির সোনার তরী কমিউনিটি সেন্টার
  • তিন তারকা মানের রেস্ট হাউস
  • উপাসনালয়
  • বিপণী বিতান

কিভাবে যাবেন ভিন্ন জগতে

  • রংপুর শহর থেকে ভিন্ন জগতে যাওয়ার জন্য সহজেই বাস বা রিক্সা পাওয়া যায়।

ভিন্নজগত বিনোদন কেন্দ্র, রংপুর

  • রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গীপুরে অবস্থিত ভিন্নজগত বিনোদন কেন্দ্র বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। 
  • প্রায় ১০০ একর জমির উপর নির্মিত এই পার্কটি গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এবং আধুনিক প্রযুক্তির একটি সুন্দর মিশ্রণ।

কেন ভিন্নজগত এত জনপ্রিয়

বিচিত্র আকর্ষণ: 
  • পার্কটিতে রয়েছে প্লানেটোরিয়াম, রোবট স্ক্রিল জোন, জল তরঙ্গ, স্পেস জার্নি, আজব গুহা, সি প্যারাডাইস, শাপলা চত্বর, নৌকা ভ্রমণ, ওয়াক ওয়ে, বীরশ্রেষ্ঠ এবং ভাষা সৈনিকদের ভাস্কর্য, থ্রিডি মুভি, মেরি গো রাউন্ড, ফ্লাই হেলিকপ্টার, লেক ড্রাইভ, সুইমিং পুল, মাছ ধরার ব্যবস্থা এবং স্পিনিং হেড1 সহ আরো অনেক কিছু।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: 
  • হাজারো বৃক্ষ এবং নানা প্রজাতির পাখির কোলাহলে মুখর এই পার্কটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক আদর্শ জায়গা।
পরিবারের জন্য উপযোগী: 
  • পার্কটিতে পরিবারের সব সদস্যদের জন্য আনন্দদায়ক কিছু না কিছু থাকবে। বাচ্চারা রোবট জোনে খেলতে পারবে, তরুণরা নৌকা ভ্রমণ করতে পারবে আর বয়স্করা শান্ত পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।

ভিন্নজগতে আরো কি কি আছে?

লোকজ সংস্কৃতির সোনার তরী কমিউনিটি সেন্টার
  • তিন তারকা মানের রেস্ট হাউস
  • উপাসনালয়
  • বিপণী বিতান
কিভাবে যাবেন ভিন্ন জগতে?
রংপুর শহর থেকে ভিন্ন জগতে যাওয়ার জন্য সহজেই বাস বা রিক্সা পাওয়া যায়।

ভিন্ন জগৎ রংপুর কিভাবে যাবেন

রংপুরের এই জনপ্রিয় বিনোদন পার্কে যাওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কোনো একটি উপায় বেছে নিতে পারেন।
ঢাকা থেকে রংপুর:
  • বাস: ঢাকার বিভিন্ন বাস টার্মিনাল (মহাখালী, কল্যাণপুর, গাবতলী) থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে প্রায়ই বাস যাতায়াত করে। গ্রিনলাইন, টি আর ট্রাভেলস, আগমনী পরিবহন, এসআর, শ্যামলী, হানিফ, কেয়া ইত্যাদি পরিবহনের বাসগুলো এই রুটে চলাচল করে।
  • ট্রেন: ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রংপুর এক্সপ্রেস এবং কুরিগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন রংপুর যায়।
রংপুর থেকে ভিন্ন জগৎ:
  • প্রাইভেট গাড়ি: রংপুর শহর থেকে ভিন্ন জগতে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করা যেতে পারে।
  • মাইক্রোবাস: রংপুর শহর থেকে ভিন্ন জগতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাস চলাচল করে।
  • ইজিবাইক: রংপুর শহর থেকে ভিন্ন জগতে ইজিবাইকে করে যাওয়া যায়।
  • রংপুর থেকে ভিন্ন জগতে যাওয়ার রাস্তা
ভিন্ন জগতের অবস্থান:
  • ভিন্ন জগৎ রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গীপুরে অবস্থিত।
  • রংপুর শহর থেকে ভিন্ন জগৎ প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে।
ভ্রমণের টিপস:
  • ভিন্ন জগতে যাওয়ার আগে আবহাওয়ার খবর দেখে নেওয়া ভালো।
  • পানি, খাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখবেন।
  • সানস্ক্রিন, টুপি এবং চশমা ব্যবহার করুন।
  • পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করলে আরো মজা পাবেন।
  • ভিন্ন জগতের একটি পরিবারের পিকনিক
ভিন্ন জগতের আরো কিছু তথ্য:
  • ভিন্ন জগতে প্রবেশের টিকিটের দাম: (আপডেট করা তথ্যের জন্য পার্কের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন)
  • ভিন্ন জগতে কোন কোন খাবার পাওয়া যায়: বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান রয়েছে।
  • ভিন্ন জগতে কোন কোন হোটেল রয়েছে: পার্কের ভিতরে একটি রেস্ট হাউস রয়েছে।

রংপুর থেকে ভিন্ন জগৎ কত কিলোমিটার

রংপুর থেকে ভিন্ন জগৎ প্রায় ১৮-২৫ কিলোমিটার দূরে। আপনি যে রাস্তা দিয়ে যাবেন তার উপর নির্ভর করে দূরত্ব কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
কেন দূরত্ব ভিন্ন হতে পারে?
  • রংপুর থেকে ভিন্ন জগতে যাওয়ার জন্য একাধিক রাস্তা রয়েছে। আপনি যদি সরাসরি রাস্তা ধরে যান, তাহলে কম দূরত্ব হবে। আর যদি অন্য কোন রাস্তা দিয়ে ঘুরে যান, তাহলে দূরত্ব বেশি হবে।
কিভাবে যাবেন?
  • প্রাইভেট গাড়ি: আপনার নিজের গাড়ি থাকলে সরাসরি ভিন্ন জগতে চলে যেতে পারেন।
  • মাইক্রোবাস: রংপুর শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ভিন্ন জগতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাস চলাচল করে।
  • ইজিবাইক: রংপুর শহর থেকে ভিন্ন জগতে ইজিবাইকে করে যাওয়া যায়।
  • বাস: রংপুরের পাগলাপীর বাস স্ট্যান্ড থেকে সৈয়দপুর কিংবা দিনাজপুরগামী গাড়িতে চড়ে ভিন্নজগতে যেতে পারবেন।

ভিন্ন জগতে কি কি আছে?

ভিন্ন জগৎ রংপুরের এক বিশাল বিনোদন পার্ক যা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। এখানে এমন কিছু না কিছু আছে যে সবার মন মাতিয়ে তোলে। চলুন জেনে নিই ভিন্ন জগতে কি কি আছে:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: 
  • হাজারো বৃক্ষ এবং নানা প্রজাতির পাখির কোলাহলে মুখর এই পার্কটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক আদর্শ জায়গা।
বিচিত্র আকর্ষণ: 
  • পার্কটিতে রয়েছে প্লানেটোরিয়াম, রোবট স্ক্রিল জোন, জল তরঙ্গ, স্পেস জার্নি, আজব গুহা, সি প্যারাডাইস, শাপলা চত্বর, নৌকা ভ্রমণ, ওয়াক ওয়ে, বীরশ্রেষ্ঠ এবং ভাষা সৈনিকদের ভাস্কর্য, থ্রিডি মুভি, মেরি গো রাউন্ড, ফ্লাই হেলিকপ্টার, লেক ড্রাইভ, সুইমিং পুল, মাছ ধরার ব্যবস্থা এবং স্পিনিং হেড1 সহ আরো অনেক কিছু।

ভিন্ন জগত রংপুরের প্লানেটোরিয়াম

পরিবারের জন্য উপযোগী: পার্কটিতে পরিবারের সব সদস্যদের জন্য আনন্দদায়ক কিছু না কিছু থাকবে। বাচ্চারা রোবট জোনে খেলতে পারবে, তরুণরা নৌকা ভ্রমণ করতে পারবে আর বয়স্করা শান্ত পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।
অন্যান্য সুবিধা:
  • লোকজ সংস্কৃতির সোনার তরী কমিউনিটি সেন্টার
  • তিন তারকা মানের রেস্ট হাউস
  • উপাসনালয়
  • বিপণী বিতান
  • পিকনিক স্পট
  • নৌকা ভ্রমণ
  • সুইমিং পুল
  • ভিন্ন জগত রংপুরের নৌকা ভ্রমণ
  • ভিন্ন জগত রংপুরের সুইমিং পুল

কেন ভিন্ন জগৎ এত জনপ্রিয়?

গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এবং আধুনিক প্রযুক্তির মিশ্রণ: ভিন্ন জগৎ গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এবং আধুনিক প্রযুক্তির একটি সুন্দর মিশ্রণ। এখানে আপনি প্রকৃতির মাঝে থেকেও আধুনিক জীবনের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
  • পরিবারের জন্য আদর্শ: ভিন্ন জগৎ পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য উপযোগী। এখানে বাচ্চারা খেলতে পারবে, তরুণরা মজা করতে পারবে আর বয়স্করা শান্ত পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।
  • সহজ যোগাযোগ: রংপুর শহর থেকে ভিন্ন জগতে যাওয়ার জন্য সহজেই বাস বা রিক্সা পাওয়া যায়।
  • আপনার পরবর্তী ছুটিতে ভিন্ন জগৎ একবার ঘুরে আসতে পারেন। নিশ্চিতভাবেই আপনি মজা করবেন।
ভিন্নজগত গাড়ি পার্কিং কত?
  • ভিন্নজগত রংপুরের একটি জনপ্রিয় বিনোদন পার্ক। এখানে গাড়ি নিয়ে গেলে পার্কিংয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হয়।
  • গাড়ি পার্কিংয়ের খরচ:
  • গাড়ি পার্কিংয়ের খরচ সাধারণত গাড়ির ধরন এবং পার্ক করার সময়কালের উপর নির্ভর করে। তবে, সাধারণত একটি গাড়ি পার্ক করতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
কেন গাড়ি পার্কিংয়ের খরচ পরিবর্তিত হতে পারে?
  • গাড়ির ধরন: কার, জিপ, ভ্যান ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের গাড়ির জন্য পার্কিংয়ের খরচ ভিন্ন হতে পারে।
  • সময়কাল: আপনি কতক্ষণের জন্য গাড়ি পার্ক করবেন তার উপর নির্ভর করে খরচ নির্ধারিত হয়।
  • বিশেষ দিন: ছুটির দিন বা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের সময় পার্কিংয়ের চাহিদা বেশি থাকে, ফলে খরচও বাড়তে পারে।
গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা:
  • সুরক্ষিত পরিবেশ: ভিন্নজগতের গাড়ি পার্কিং সাধারণত সুরক্ষিত থাকে।
  • প্রশস্ত: পার্কিংয়ের জায়গা প্রশস্ত, যাতে আপনি সহজেই গাড়ি পার্ক করতে পারবেন।
কিছু টিপস:
  • আগে থেকে জেনে নিন: ভিন্নজগতে যাওয়ার আগে গাড়ি পার্কিংয়ের সর্বশেষ খরচ জেনে নিন।
  • নগদ টাকা রাখুন: পার্কিংয়ের জন্য সাধারণত নগদ টাকা দিতে হয়।
  • সময় বাঁচান: দ্রুত পার্কিং করার জন্য পার্কিংয়ের কর্মচারীদের সাহায্য নিন।
মনে রাখবেন:
  • পার্কিংয়ের খরচ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।
  • সর্বশেষ তথ্যের জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন।
আরো পড়ুনঃ

রংপুরের দর্শনীয় স্থানগুলি কি কি?

রংপুর, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক শহর। এখানে রয়েছে বহু প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। রংপুর ভ্রমণে আসলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন এর সৌন্দর্যে।
রংপুরের কিছু দর্শনীয় স্থান:
  • তাজহাট জমিদার বাড়ি: রংপুরের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এই বাড়িটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ির একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
  • কারমাইকেল কলেজ: এই কলেজটি রংপুরের একটি ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর স্থাপত্য এবং ঐতিহ্যবাহী পরিবেশ দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
  • বেগম রোকেয়ার বাড়ি: বাংলাদেশের প্রথম নারী শিক্ষাবিদ বেগম রোকেয়ার জন্মস্থান। এই বাড়িটি এখন একটি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত।
  • দমদমা বধ্যভূমি: মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারের শিকার হওয়া নিরীহ মানুষদের স্মরণে এই বধ্যভূমি তৈরি করা হয়েছে।

  • ভিন্ন জগৎ: রংপুরের একটি জনপ্রিয় বিনোদন পার্ক। এখানে নানা ধরনের আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী আকর্ষণ রয়েছে।
  • রংপুর চিড়িয়াখানা: শিশুদের জন্য একটি আকর্ষণীয় জায়গা। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়।
  • পায়রাবন্দ: একটি গ্রামীণ এলাকা যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিরাজ করে।
  • তনকা মসজিদ: একটি প্রাচীন মসজিদ যা ইসলামী স্থাপত্যের একটি উদাহরণ।
  • লালদিঘি নয় গম্বুজ মসজিদ: বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
এছাড়াও রংপুরে আরো অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমন:
  • ইটাকুমারি জমিদার বাড়ি
  • রংপুর ক্যাডেট কলেজ
  • বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
  • পালিচড়া খাঁন চৌধুরী মসজিদ
  • ঘাঘট প্রয়াস পার্ক
  • চিকলির পার্ক
  • রানিপুকুর
রংপুরে ভ্রমণ করার সেরা সময়:
  • নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত রংপুর ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এই সময় আবহাওয়া খুবই সুন্দর থাকে।
রংপুরে কিভাবে যাবেন:
  • ঢাকা থেকে রংপুরে বাস, ট্রেন বা বিমানযোগে যাওয়া যায়। রংপুরে পৌঁছে আপনি সহজেই ভাড়া করা গাড়ি বা অটোরিক্সা করে দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারবেন।

রংপুরের বিখ্যাত খাবারের নাম কি?

রংপুরের রান্না খুবই সুস্বাদু এবং ঐতিহ্যবাহী। এই অঞ্চলের খাবারের মধ্যে অনেক কিছুই অনন্য এবং অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। চলুন জেনে নিই রংপুরের কিছু বিখ্যাত খাবারের নাম:
  • সিঁদল: রংপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে একটি হল সিঁদল। এটি মূলত ছোট মাছের শুকনো শুঁটকি আর কচুর ডাটা দিয়ে তৈরি হয়। সঙ্গে পর্যায়ক্রমে আদা, রসুন, হলুদ, সরিষার তেল, খাওয়ার সোডা আর এলাচও দিতে হয়। সিঁদল তেলে ভেজে নিয়ে পরে প্রয়োজন মতো শুকনা মরিচ, রসুন, পেঁয়াজ, লবণ দিয়ে ভর্তা করে খাওয়া হয়।
  • শোলকা: রংপুর ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এই খাবারটির পরিচিতি নেই বললেই চলে। মূলত রংপুর জেলাসহ আশপাশের বেশ কিছু উপজেলায় সুস্বাদু খাবার হিসেবে শোলকা অনেক জনপ্রিয়। আঞ্চলিক এই খাবারটি পাট শাক আর সোডা দিয়ে রান্না করতে হয়।
  • আলুর ডাল: রংপুরের আলুর ডাল অন্য জায়গার তুলনায় একটু ভিন্ন স্বাদের। এতে বিভিন্ন মসলা ব্যবহার করে এক অনন্য স্বাদ তৈরি করা হয়।
  • হাড়িভাঙ্গা আম: রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুস্বাদু এবং রসালো আম বিবেচিত।
  • দই: রংপুরের দই তার অনন্য স্বাদের জন্য বেশ প্রসিদ্ধ। এই দই সাধারণত ছানা দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। এর সাথে চিনি, লবণ, দুধ, ঘি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • মিষ্টি: রংপুরের মিষ্টিও অনন্য স্বাদের। বিশেষ করে রসগোল্লা, চমচম, পাটিসাপটা ইত্যাদি মিষ্টি এখানে অনেক সুস্বাদু।
এছাড়াও রংপুরে অন্যান্য কিছু জনপ্রিয় খাবার হল:
  • চিকেন কারি
  • মটরশুঁটির ডাল
  • গরুর মাংসের ভুনা
  • মুগ ডাল
  • সন্দেশ
  • মিষ্টি দই
রংপুরে ভ্রমণ করলে এই সুস্বাদু খাবারগুলো অবশ্যই চেখে দেখবেন।

রংপুর কিসের জন্য বিখ্যাত

রংপুর, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক শহর, বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হল:
  • ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি: তাজহাট জমিদার বাড়ি রংপুরের অন্যতম আকর্ষণ। এই বাড়িটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ির একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
  • শতরঞ্জি: রংপুরের শতরঞ্জি সারা দেশে বিখ্যাত। এই হাতে বোনা শতরঞ্জি এর সুন্দর নকশা এবং উচ্চমানের জন্য পরিচিত।
  • হাড়িভাঙ্গা আম: রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুস্বাদু এবং রসালো আম বিবেচিত।
  • তামাক: রংপুর অঞ্চলকে তামাকের জন্য বিখ্যাত বলা হয়। এখানে উৎপাদিত তামাক দিয়ে সারা দেশের চাহিদা মেটানো হয়।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কারমাইকেল কলেজ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রংপুরকে শিক্ষার কেন্দ্র করে তুলেছে।
  • ঐতিহাসিক স্থাপনা: রংপুরে অনেক ঐতিহাসিক মসজিদ, মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা রয়েছে।
  • সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য: রংপুরের চারপাশে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী রয়েছে।
  • খাবার: রংপুরের খাবারের স্বাদ অনন্য। বিশেষ করে সিঁদল, শোলকা, আলুর ডাল ইত্যাদি খাবার এখানে খুবই জনপ্রিয়।
এছাড়াও রংপুর বিখ্যাত:
  • বেগম রোকেয়া: বাংলাদেশের প্রথম নারী শিক্ষাবিদ বেগম রোকেয়ার জন্মস্থান রংপুর।
  • মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস: মুক্তিযুদ্ধে রংপুরের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।

রংপুরের বিখ্যাত ব্যক্তি কে কে

রংপুর, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক শহর এবং এখান থেকে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি বের হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম এবং তাদের অবদান নিম্নে তুলে ধরা হলো:
শিক্ষা ও সমাজসেবা
  • বেগম রোকেয়া: বাংলাদেশের প্রথম নারী শিক্ষাবিদ। তিনি নারীদের শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন।
  • শাহ আবদুর রউফ: একজন বিখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত ও সমাজসেবক ছিলেন। তিনি রংপুরের সামাজিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
  • দেবী চৌধুরানী: একজন সাহিত্যিক ও সমাজসেবিকা ছিলেন। তিনি বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
রাজনীতি
  • হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ: বাংলাদেশের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং সেনাপতি ছিলেন।
  • এম এ ওয়াজেদ মিয়া: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ছিলেন।
  • সজিব ওয়াজেদ জয়: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ এবং শেখ হাসিনার পুত্র।
অন্যান্য ক্ষেত্র
  • জগদীশচন্দ্র বসু: একজন বিখ্যাত জ্যোতিষী ছিলেন।
  • শহীদ আব্দুল হামিদ: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
  • নজরুল ইসলাম: একজন বিখ্যাত কবি ছিলেন।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আজ ভিন্নজগত বিনোদন কেন্দ্র, রংপুর - ভিন্ন জগৎ রংপুর  নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের ভিন্নজগত বিনোদন কেন্দ্র, রংপুর - ভিন্ন জগৎ রংপুর  বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url