ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি

ভূমিকা

সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে  ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি বিষয় নিয়ে জানতে চান। আজ আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি

হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।

ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি

হ্যাঁ, ঈদের রাতে সহবাস করা সম্পূর্ণ জায়েজ। ঈদ হলো মুসলিমদের জন্য আনন্দ ও উৎসবের দিন। এই দিনে কোনো বিশেষ ধর্মীয় বিধানে সহবাস করার উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
কেন ঈদের রাতে সহবাস করা জায়েজ?
  • ঈদের উদ্দেশ্য: ঈদ হলো আনন্দ ও উৎসবের দিন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা এই উৎসবের একটি অংশ হতে পারে।
  • ধর্মীয় বিধান: ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্নেহ, ভালোবাসা এবং ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিনেও এই সম্পর্ক বজায় রাখা জায়েজ।
তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
  • ঈদের নামাজ: ঈদের নামাজের আগে সহবাস করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য শুদ্ধ থাকা জরুরি।
  • ইবাদত: ঈদের দিনে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত। তাই সহবাসের কারণে ইবাদতের সময় কমে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
  • স্বাস্থ্য: স্বাস্থ্যগত কারণে সহবাস থেকে বিরত থাকার প্রয়োজন হলে তা করতে হবে।

দিনের বেলা সহবাস করার উপকারিতা

দিনের বেলা সহবাস করার কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয় বা वैज्ञानিকভাবে প্রমাণিত উপকারিতা নেই। সাধারণত সহবাসের সময় নির্ধারণ ব্যক্তিগত পছন্দ, দম্পতিদের পারস্পরিক সম্মতি এবং দৈনন্দিন জীবনের রুটিন অনুযায়ী হয়।
তবে, কিছু মানুষ দিনের বেলা সহবাস করার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা দেখতে পান, যেমন:
  • প্রাকৃতিক আলো: দিনের বেলা প্রাকৃতিক আলোর সংস্পর্শে আসা মনের মধ্যে এক ধরনের সতেজতা আনে এবং যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
  • শারীরিক সক্রিয়তা: দিনের বেলা সহবাস করলে শরীর সক্রিয় থাকে এবং এটি একটি ভালো ব্যায়াম হতে পারে।
  • দৈনন্দিন রুটিন: অনেক দম্পতির জন্য দিনের বেলা সহবাস করা দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হতে পারে।
তবে, রাতের বেলা সহবাস করারও কিছু সুবিধা রয়েছে:
  • শান্ত পরিবেশ: রাতের বেলা পরিবেশ সাধারণত শান্ত থাকে, যা সহবাসের জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ।
  • চিন্তামুক্ত সময়: রাতের বেলা কাজের চাপ কম থাকে, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং সহবাসকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।
  • সর্বোপরি, সহবাসের সময় নির্ধারণ ব্যক্তিগত পছন্দ এবং দম্পতিদের পারস্পরিক সম্মতির উপর নির্ভর করে। দুজনে মিলে এমন একটি সময় নির্ধারণ করুন যা আপনাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
কিছু বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে:
  • শারীরিক চক্র: মহিলাদের মাসিক চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভিন্ন হয়। অনেক মহিলার জন্য মাসিক চক্রের নির্দিষ্ট সময়গুলোতে সহবাস আরামদায়ক হতে পারে।
  • দম্পতিদের পারস্পরিক সম্মতি: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দম্পতিদের পারস্পরিক সম্মতি। দুজনে মিলে এমন একটি সময় নির্ধারণ করতে পারেন যখন তারা দুজনেই মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন।
  • দৈনন্দিন জীবন: কাজের চাপ, সন্তানের যত্ন, অসুস্থতা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে দম্পতিদের ভিন্ন ভিন্ন সময়সূচি হতে পারে। তাই দৈনন্দিন জীবনকে বিবেচনা করে একটি উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা উচিত।
সুস্থ যৌন জীবনের জন্য কিছু পরামর্শ:
চিন্তামুক্ত পরিবেশ: 
  • সহবাসের জন্য একটি শান্ত ও চিন্তামুক্ত পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যাপ্ত ঘুম: 
  • সহবাসের আগে পর্যাপ্ত ঘুম নিলে শারীরিক ও মানসিকভাবে আরামদায়ক অনুভূতি হয়।
স্বাস্থ্য সমস্যা: 
  • যদি কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সর্বোপরি, সহবাস একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং এটি দম্পতিদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই দুজনে মিলে এমন একটি সময় নির্ধারণ করুন যা আপনাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
বিঃদ্রঃ: এই তথ্যটি সাধারণ ধারণার উপর ভিত্তি করে দেয়া হয়েছে। কোনো ধর্মীয় বিষয়ে সঠিক তথ্যের জন্য কোনো আলেমের পরামর্শ নিন এবং কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

দিনে কতবার সহবাস করা যায়

দিনে কতবার সহবাস করা যাবে, এই প্রশ্নের কোনো নির্দিষ্ট উত্তর নেই। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পছন্দ, শারীরিক অবস্থা এবং দম্পতিদের মধ্যকার সম্পর্কের উপর নির্ভর করে।
কিছু বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে:
শারীরিক স্বাস্থ্য: 
  • স্বাস্থ্য ভালো থাকলে এবং কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকলে দিনে একবার বা একাধিকবার সহবাস করা যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত সহবাস শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
দম্পতিদের পারস্পরিক সম্মতি: 
  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দম্পতিদের পারস্পরিক সম্মতি। দুজনে মিলে এমন একটি সময় নির্ধারণ করতে পারেন যখন তারা দুজনেই মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন।
দৈনন্দিন জীবন: 
  • কাজের চাপ, সন্তানের যত্ন, অসুস্থতা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে দম্পতিদের ভিন্ন ভিন্ন সময়সূচি হতে পারে। তাই দৈনন্দিন জীবনকে বিবেচনা করে একটি উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা উচিত।
কিছু সাধারণ পরামর্শ:
  • চিন্তামুক্ত পরিবেশ: সহবাসের জন্য একটি শান্ত ও চিন্তামুক্ত পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: সহবাসের আগে পর্যাপ্ত ঘুম নিলে শারীরিক ও মানসিকভাবে আরামদায়ক অনুভূতি হয়।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: যদি কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • সর্বোপরি, সহবাস একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং এটি দম্পতিদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই দুজনে মিলে এমন একটি সময় নির্ধারণ করুন যা আপনাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
সুস্থ যৌন জীবনের জন্য, দম্পতিদের উচিত:
  • পরস্পরের প্রতি খোলামেলা থাকা: যৌন সম্পর্কের বিষয়ে পরস্পরের সাথে খোলামেলাভাবে কথা বলা এবং নিজেদের পছন্দ-অপছন্দ জানানো।
  • নতুন কিছু চেষ্টা করা: একই রকম যৌন ক্রিয়াকলাপ একঘেয়েমি তৈরি করতে পারে। তাই নতুন কিছু চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে।
  • স্নেহ ও ভালোবাসা: শারীরিক সম্পর্কের পাশাপাশি মানসিক সম্পর্কও গুরুত্বপূর্ণ। স্নেহ ও ভালোবাসা সহবাসকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।
যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়:
যদি কোনো ধরনের যৌন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সুস্থ যৌন জীবন একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দুপুরে সহবাস করলে কি হয়

দুপুরে সহবাস করলে কি হয় এই প্রশ্নের সরল উত্তর হলো, সাধারণত কোনো খারাপ কিছু হয় না। দিনের যে কোনো সময় সহবাস করা যেতে পারে।
তবে, কেন কেউ এই প্রশ্নটি করতে পারে তার কিছু কারণ থাকতে পারে:
  • ধর্মীয় বিশ্বাস: কিছু ধর্মে সহবাস সম্পর্কে নির্দিষ্ট বিশ্বাস থাকতে পারে। তবে ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সহবাসকে স্বাভাবিক ও জায়েজ বলে মনে করা হয়।
  • সামাজিক রীতি: কিছু সমাজে দিনের বেলা সহবাস করা নিয়ে লজ্জা বা অস্বস্তি বোধ করা হতে পারে।
  • শারীরিক পরিবর্তন: কেউ হয়তো ভাবতে পারেন যে দিনের বেলা সহবাস করলে শারীরিক কোনো পরিবর্তন হতে পারে।
দুপুরে সহবাস করার কিছু বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে:
  • শারীরিক অবস্থা: যদি কেউ অসুস্থ বা অস্বস্থ বোধ করেন, তাহলে সহবাস থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • দৈনন্দিন জীবন: কাজের চাপ, সন্তানের যত্ন ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে দিনের বিভিন্ন সময় দম্পতিদের ভিন্ন ভিন্ন সময়সূচি হতে পারে। তাই দৈনন্দিন জীবনকে বিবেচনা করে একটি উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা উচিত।
  • মানসিক অবস্থা: মানসিকভাবে প্রস্তুত না হলে সহবাস করা উচিত নয়।
দিনের বেলা সহবাস করার কিছু সুবিধাও থাকতে পারে:
  • প্রাকৃতিক আলো: দিনের বেলা প্রাকৃতিক আলোর সংস্পর্শে আসা মনের মধ্যে এক ধরনের সতেজতা আনে এবং যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
  • শারীরিক সক্রিয়তা: দিনের বেলা সহবাস করলে শরীর সক্রিয় থাকে এবং এটি একটি ভালো ব্যায়াম হতে পারে।
  • সর্বোপরি, সহবাসের সময় নির্ধারণ ব্যক্তিগত পছন্দ এবং দম্পতিদের পারস্পরিক সম্মতির উপর নির্ভর করে। দুজনে মিলে এমন একটি সময় নির্ধারণ করুন যা আপনাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
  • যদি আপনার কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দাড়িয়ে সহবাস করা যাবে কি

দাঁড়িয়ে সহবাস করা সম্পর্কে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধারণা আছে। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পছন্দ এবং দম্পতিদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্মতির উপর নির্ভর করে। কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয় বা সঠিকভাবে প্রমাণিত সঠিক উত্তর নেই যে, দাঁড়িয়ে সহবাস করা উচিত নাকি অন্য কোনো অবস্থানে।
দাঁড়িয়ে সহবাস করার কিছু বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে:
  • শারীরিক স্বাস্থ্য: যদি কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে দাঁড়িয়ে সহবাস করা কষ্টকর বা অস্বস্তিকর হতে পারে।
  • সমর্থন: দাঁড়িয়ে সহবাসের জন্য পর্যাপ্ত সমর্থন থাকা জরুরি। অন্যথায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আনন্দ: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দুজনের মধ্যে আনন্দ। যদি দুজনেই এই পদ্ধতিটি উপভোগ করেন, তাহলে এটিতে কোনো সমস্যা নেই।
দাঁড়িয়ে সহবাস করার কিছু সুবিধাও থাকতে পারে:
  • নতুনত্ব: এটি যৌন জীবনে নতুনত্ব আনতে পারে।
  • ভিন্ন ধরনের অনুভূতি: এটি ভিন্ন ধরনের অনুভূতি দিতে পারে।
  • তবে, দাঁড়িয়ে সহবাস করার কিছু ঝুঁকিও থাকতে পারে:
  • পড়ে যাওয়া: যদি ভালোভাবে ভারসাম্য বজায় না রাখা যায়, তাহলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • চোট লাগা: পড়ে গেলে শরীরে চোট লাগতে পারে।
  • অস্বস্তি: কিছু মানুষের জন্য দাঁড়িয়ে সহবাস করা অস্বস্তিকর হতে পারে।
সর্বোপরি, সহবাসের অবস্থান নির্ধারণ ব্যক্তিগত পছন্দ এবং দম্পতিদের পারস্পরিক সম্মতির উপর নির্ভর করে। দুজনে মিলে এমন একটি অবস্থান নির্বাচন করুন যা আপনাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং আনন্দদায়ক।

সপ্তাহে কোন কোন দিন সহবাস করা উত্তম

সহবাসের জন্য কোন নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণের বিষয়টি ব্যক্তিগত পছন্দ, শারীরিক অবস্থা এবং দম্পতিদের মধ্যকার সম্পর্কের উপর নির্ভর করে। কোনো ধর্মীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক উত্তর নেই যে, সপ্তাহের কোন দিন সহবাস করা উত্তম।
তবে, কিছু বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে:
মহিলাদের মাসিক চক্র

Female menstrual cycle chart
মাসিক চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে মহিলার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভিন্ন হয়। অনেক মহিলার জন্য মাসিক চক্রের নির্দিষ্ট সময়গুলোতে সহবাস আরামদায়ক হতে পারে।
ওভুলেশন সময়: 
  • ওভুলেশনের সময় মহিলারা সাধারণত যৌন ইচ্ছা বেশি অনুভব করেন।
দম্পতিদের পারস্পরিক সম্মতি
  • দুজনে মিলে এমন একটি সময় নির্ধারণ করতে পারেন যখন তারা দুজনেই মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন।
দৈনন্দিন জীবন
কাজের চাপ, সন্তানের যত্ন, অসুস্থতা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে দম্পতিদের ভিন্ন ভিন্ন সময়সূচি হতে পারে। তাই দৈনন্দিন জীবনকে বিবেচনা করে একটি উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা উচিত।
দিনের বেলা সহবাস করা যাবে কি
হ্যাঁ, দিনের বেলা সহবাস করা সম্পূর্ণ জায়েজ। এতে কোনো ধর্মীয় বা वैज्ञानিক বাধা নেই। সহবাসের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। দিনের যে কোনো সময় আপনার এবং আপনার সঙ্গীর জন্য সুবিধাজনক সময়টি নির্বাচন করে সহবাস করা যেতে পারে।
কেন দিনের বেলা সহবাস করা যেতে পারে?
কোনো ধর্মীয় বাধা নেই: 
  • ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সহবাসকে স্বাভাবিক ও জায়েজ বলে মনে করা হয়। এতে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বাধা নেই।
শারীরিক স্বাস্থ্য: 
  • যদি আপনার এবং আপনার সঙ্গীর শারীরিক অবস্থা ভালো থাকে, তাহলে দিনের যে কোনো সময় সহবাস করা যেতে পারে।
দৈনন্দিন জীবন: 
  • আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের রুটিন অনুযায়ী যে কোনো সময় সহবাস করা যেতে পারে।
কিছু বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে:
  • শারীরিক অবস্থা: যদি আপনার বা আপনার সঙ্গীর কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • মানসিক অবস্থা: মানসিকভাবে প্রস্তুত না হলে সহবাস করা উচিত নয়।
  • দৈনন্দিন জীবন: কাজের চাপ, সন্তানের যত্ন ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে দিনের বিভিন্ন সময় দম্পতিদের ভিন্ন ভিন্ন সময়সূচি হতে পারে। তাই দৈনন্দিন জীবনকে বিবেচনা করে একটি উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা উচিত।
দিনের বেলা সহবাস করার কিছু সুবিধাও থাকতে পারে:
  • প্রাকৃতিক আলো: দিনের বেলা প্রাকৃতিক আলোর সংস্পর্শে আসা মনের মধ্যে এক ধরনের সতেজতা আনে এবং যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
  • শারীরিক সক্রিয়তা: দিনের বেলা সহবাস করলে শরীর সক্রিয় থাকে এবং এটি একটি ভালো ব্যায়াম হতে পারে।
  • সর্বোপরি, সহবাসের সময় নির্ধারণ ব্যক্তিগত পছন্দ এবং দম্পতিদের পারস্পরিক সম্মতির উপর নির্ভর করে। দুজনে মিলে এমন একটি সময় নির্ধারণ করুন যা আপনাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং আনন্দদায়ক।
  • সহবাস একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া।
  • সুস্থ যৌন জীবন একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • দুজনের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও বিশ্বাস সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
ঈদের রাতে ও আগের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কিনা জানুন
ঈদের রাতে ও আগের রাতে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা সম্পূর্ণ জায়েজ। ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সহবাসকে স্বাভাবিক ও জায়েজ বলে মনে করা হয়। এতে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বাধা নেই। ঈদ বা অন্য কোনো ধর্মীয় উৎসবের রাতেও স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সাথে স্বাভাবিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন।
কেন ঈদের রাতে সহবাস করা জায়েজ?
ইসলামের শিক্ষা: 
  • ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সহবাসকে স্বাভাবিক ও জায়েজ বলে মনে করা হয়। এতে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বাধা নেই। ঈদ বা অন্য কোনো ধর্মীয় উৎসবের রাতেও স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সাথে স্বাভাবিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন।
মানবিক প্রকৃতি: 
  • স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক ও মানসিক সম্পর্ক স্থাপন করা মানবিক প্রকৃতির একটি অংশ।
পারিবারিক সম্পর্ক: 
  • স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক পারিবারিক জীবনকে আরও সুখী করে তোলে।
তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
  • শারীরিক স্বাস্থ্য: যদি আপনার বা আপনার স্ত্রীর কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • মানসিক অবস্থা: মানসিকভাবে প্রস্তুত না হলে সহবাস করা উচিত নয়।
  • ধর্মীয় অনুভূতি: ঈদের দিন ধর্মীয় অনুভূতি বৃদ্ধি করার জন্য কিছু মানুষ সারাদিন রোজা রাখতে পারেন। এই ক্ষেত্রে রাতে সহবাস করা যাবে। তবে যদি কেউ রোজা না রাখেন, তাহলে তাদের জন্য সহবাস করা কোনো সমস্যা নেই।
বাসর রাতে কি দোয়া পড়তে হয়?
বাসর রাতে কিছু নির্দিষ্ট দোয়া পড়ার ব্যাপারে ইসলামে কোনো কঠোর নিয়ম নেই। তবে, সুন্নত হিসেবে কিছু দোয়া পড়ার উৎসাহ দেওয়া হয়। এই দোয়াগুলো পড়লে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করার একটা মাধ্যম হবে।
বাসর রাতে পড়া যেতে পারে এমন কিছু দোয়া:
  • বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাজাক্বতানা। অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি, তুমি আমাদের নিকট থেকে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে, তা হতেও শয়তানকে দূরে রাখ।
  • আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খায়রহা ওয়া খাইরা মা জাবালতাহা আলাইহি, ওয়া আউজু বিকা মিন শাররিহা ওয়া মিন শাররি মা জাবালতাহা আলাইহি। অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট এ বিবির কল্যাণ এবং যে কল্যাণের উপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি এবং বিবির অনিষ্টতা এবং যে অনিষ্টতার উপর তাকে সৃষ্টি করেছেন তা থেকে পানাহ চাচ্ছি।
বিয়ের সময় কি দোয়া পড়তে হয়?
বিয়ের মতো পবিত্র সম্পর্কের শুরুতে দোয়া করা খুবই উৎসাহিত করা হয়। এটি আল্লাহর কাছে দোয়া করে এই সম্পর্ককে সুখী ও সফল করার এক উপায়।
বিয়ের সময় পড়া যেতে পারে এমন কিছু দোয়া:
রব্বানা হাব লানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ'ইউন, ওয়া জাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।
অর্থ: হে আমাদের রব, আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন, যারা আমাদের চোখ শীতলকারী হবে এবং আমাদেরকে আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শ করুন। (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৭৪)1
আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী নিকাহিনা ওয়া বারিক লানা ফী যুররিয়্যাতিনা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের এই বিবাহে বরকত দাও এবং আমাদের সন্তান-সন্ততিতে বরকত দাও।
বিয়ের পর:
স্বামী যখন স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইবে তখন এই দোয়া পড়তে পারে:
বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তনা ওয়া জান্নিবিশ শায়তনা মা রাজাকতানা। অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি। তুমি আমাদের নিকট হতে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের যে সন্তান দান করবে (এ মিলনের ফলে)— তা থেকেও শয়তানকে দূরে রাখো।
এছাড়াও, স্বামী-স্ত্রী উভয়েই নিজেদের মনের ভাষায় আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন।
দোয়া করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
  • বিশ্বাস: দোয়া করার সময় আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
  • নিখالصতা: আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই দোয়া করতে হবে।
  • নিয়মিত দোয়া: শুধু বিয়ের সময় নয়, সারা জীবন আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত।
দোয়ার গুরুত্ব:
  • দোয়া করলে আল্লাহর কাছে কাছাকাছি হওয়া যায়।
  • দোয়া করলে মন শান্ত হয় এবং চিন্তা কমে।
  • দোয়া করলে আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়।
বিয়ের পর:
  • স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই উচিত পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস রাখা।
  • সুন্দর একটি পরিবার গড়ার চেষ্টা করা।
  • আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলার চেষ্টা করা।
  • দোয়া করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এমনটা ভাবা উচিত নয়।
  • সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য নিজেদের প্রচেষ্টাও খুব জরুরি।

স্ত্রী সহবাসের উত্তম সময় কখন

স্ত্রীর সাথে সহবাসের উত্তম সময় নির্ধারণ একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং এটি দম্পতিদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্মতি ও শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। কোনো নির্দিষ্ট সময়কে সবচেয়ে উত্তম বলা যায় না। তবে কিছু বিষয় বিবেচনা করে আপনার জন্য উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা যেতে পারে।
কিছু বিষয় যা বিবেচনা করা যেতে পারে:
  • শারীরিক অবস্থা: উভয়েরই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা জরুরি। ক্লান্তি, অসুস্থতা বা কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে সহবাস থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • মানসিক অবস্থা: উভয়েরই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা জরুরি। চাপ, উদ্বেগ বা কোনো মানসিক সমস্যা থাকলে সহবাস থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • দৈনন্দিন জীবন: দৈনন্দিন কাজকর্ম, ঘুম, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি বিবেচনা করে এমন একটি সময় নির্বাচন করুন যখন আপনারা দুজনেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
  • মাসিক চক্র: মহিলাদের মাসিক চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভিন্ন হয়। ওভুলেশনের সময় সাধারণত মহিলারা যৌন ইচ্ছা বেশি অনুভব করেন।
  • পারস্পরিক সম্মতি: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতি। যখন দুজনেই মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন, তখনই সহবাস করা উচিত।
কিছু সাধারণ পরামর্শ:
চিন্তামুক্ত পরিবেশ: সহবাসের জন্য একটি শান্ত ও তनावমুক্ত পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যাপ্ত ঘুম: সহবাসের আগে পর্যাপ্ত ঘুম নিলে শারীরিক ও মানসিকভাবে আরামদায়ক অনুভূতি হয়।
স্বাস্থ্য সমস্যা: যদি কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সর্বোপরি, সহবাসের সময় নির্ধারণ ব্যক্তিগত পছন্দ এবং দম্পতিদের পারস্পরিক সম্মতির উপর নির্ভর করে। দুজনে মিলে এমন একটি সময় নির্ধারণ করুন যা আপনাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং আনন্দদায়ক।
ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন?
ইসলামে সহবাসের নির্দিষ্ট কিছু সময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি মূলত নারীর শারীরিক পরিস্থিতি এবং ধর্মীয় বিধানের উপর ভিত্তি করে।
সহবাস নিষিদ্ধ থাকার প্রধান সময়গুলো হল:
রজঃস্রাব: 
  • মাসিকের সময় নারীর শরীর পবিত্র থাকে না। এই সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো ধরনের যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা নিষিদ্ধ।
নিরাস: 
  • প্রসবের পর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নারীকে গোসল করার নির্দেশ দেয়া হয়। এই সময়ও সহবাস নিষিদ্ধ।
ইদ্দাত: 
  • তালাক বা স্বামীর মৃত্যুর পর নারীকে ইদ্দাতের সময় অপেক্ষা করতে হয়। এই সময়ও সহবাস নিষিদ্ধ।
এছাড়াও, কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে সহবাস স্থগিত রাখা উচিত:
  • রোজা: রোজার সময় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সহবাস করা নিষিদ্ধ।
  • অসুস্থতা: যদি স্বামী বা স্ত্রী অসুস্থ থাকে, তাহলে সহবাস স্থগিত রাখা উচিত।
  • মানসিক অবস্থা: যদি কোনো পক্ষ মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকে, তাহলে সহবাস করা উচিত নয়।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলির কারণ:
  • শারীরিক স্বাস্থ্য: নারীর শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা।
  • ধর্মীয় বিধান: ইসলামে বিধানিত বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি সম্মান জানানো।
  • পারিবারিক সম্পর্ক: সুন্দর পারিবারিক সম্পর্ক বজায় রাখা।
  • এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার জন্য কোনো ধর্মীয় পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আজ ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url