মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম বিষয় নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম:
একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা খুব সহজ! আপনার যা প্রয়োজন তা হল:
একটি Google অ্যাকাউন্ট: 
  • আপনার যদি ইতিমধ্যেই একটি Gmail অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে  এ গিয়ে একটি তৈরি করুন।
ইন্টারনেট সংযোগ: 
  • একটি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ আপনার ভিডিও আপলোড এবং পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
ধাপ ১: একটি চ্যানেল তৈরি করুন:
  • চ্যানেল এ যান এবং আপনার Google অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।
  • আপনার প্রোফাইল ছবির উপরে ক্লিক করুন এবং "আপনার চ্যানেল তৈরি করুন" নির্বাচন করুন।
  • আপনার চ্যানেলের জন্য একটি নাম এবং প্রোফাইল ছবি বেছে নিন।
  • "তৈরি করুন" ক্লিক করুন।
ধাপ ২: আপনার চ্যানেল কাস্টমাইজ করুন:
  • প্রোফাইল ছবি এবং ব্যানার: একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল ছবি এবং ব্যানার আপনার চ্যানেলকে আরও পেশাদার রূপ দিতে সাহায্য করবে।
  • চ্যানেল বিবরণ: আপনার চ্যানেল সম্পর্কে তথ্য লিখুন যাতে লোকেরা জানে আপনি কী ধরণের ভিডিও তৈরি করেন।
  • প্লেলিস্ট তৈরি করুন: আপনার ভিডিওগুলিকে বিষয় বা ধরন অনুসারে গোষ্ঠীভুক্ত করতে প্লেলিস্ট ব্যবহার করুন।
ধাপ ৩: ভিডিও তৈরি এবং আপলোড করুন:
  • আপনার ভিডিও রেকর্ড করুন: আপনার ফোন, ক্যামেরা বা অন্য কোনও ডিভাইস ব্যবহার করে ভিডিও রেকর্ড করুন।
  • আপনার ভিডিও সম্পাদনা করুন: (ঐচ্ছিক) ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে আপনার ভিডিওগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলুন।
  • আপনার ভিডিও আপলোড করুন: YouTube এ যান, আপনার চ্যানেলে যান এবং "তৈরি করুন" > "ভিডিও আপলোড করুন" ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: আপনার দর্শকদের সাথে যোগাযোগ করুন:
  • মন্তব্যের উত্তর দিন: আপনার ভিডিওতে মন্তব্য করা লোকেদের সাথে যোগাযোগ করুন।
  • প্রশ্নের উত্তর দিন: আপনার ভিডিও সম্পর্কে দর্শকদের যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিন।
  • সামাজিক মিডিয়ায় আপনার চ্যানেল প্রচার করুন: আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছাতে Facebook, Twitter এবং Instagram-এর মতো সামাজিক মিডিয়ায় আপনার চ্যানেল ভাগ করে নিন।
কিছু টিপস:
  • উচ্চমানের ভিডিও তৈরি করতে মনোযোগ দিন: ভালো আলো, শব্দ এবং সম্পাদনা ব্যবহার করুন।
  • নিয়মিত নতুন ভিডিও আপলোড করুন: আপনার দর্শকদের আগ্রহী রাখতে নিয়মিত নতুন সামগ্রী প্রকাশ করুন।

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম:
একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা খুব সহজ এবং আপনি আপনার মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করেই এটি করতে পারেন!
আপনার যা প্রয়োজন তা হল:
একটি Google অ্যাকাউন্ট: 
  • আপনার যদি ইতিমধ্যেই একটি Gmail অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে ক্লিক করুন এ গিয়ে একটি তৈরি করুন।
স্মার্টফোন: 
  • একটি ক্যামেরা এবং ইন্টারনেট সংযোগ সহ একটি স্মার্টফোন।
ধাপ ১: একটি চ্যানেল তৈরি করুন:
  • আপনার মোবাইলে YouTube অ্যাপ্লিকেশনটি খুলুন।
  • আপনার Google অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।
  • আপনার প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করুন এবং "আপনার চ্যানেল তৈরি করুন" নির্বাচন করুন।
  • আপনার চ্যানেলের জন্য একটি নাম এবং প্রোফাইল ছবি বেছে নিন।
  • "তৈরি করুন" ক্লিক করুন।
ধাপ ২: আপনার চ্যানেল কাস্টমাইজ করুন:
  • প্রোফাইল ছবি এবং ব্যানার: একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল ছবি এবং ব্যানার আপনার চ্যানেলকে আরও পেশাদার রূপ দিতে সাহায্য করবে।
  • চ্যানেল বিবরণ: আপনার চ্যানেল সম্পর্কে তথ্য লিখুন যাতে লোকেরা জানে আপনি কী ধরণের ভিডিও তৈরি করেন।
ধাপ ৩: ভিডিও তৈরি এবং আপলোড করুন:
  • আপনার মোবাইল ডিভাইসের ক্যামেরা ব্যবহার করে ভিডিও রেকর্ড করুন।
  • YouTube অ্যাপ্লিকেশনে যান এবং "তৈরি করুন" > "ভিডিও" ক্লিক করুন।
  • আপনার রেকর্ড করা ভিডিওটি বেছে নিন।
  • শিরোনাম, বিবরণ, ট্যাগ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য যোগ করুন।
  • "প্রকাশ করুন" ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: আপনার দর্শকদের সাথে যোগাযোগ করুন:
  • মন্তব্যের উত্তর দিন: আপনার ভিডিওতে মন্তব্য করা লোকেদের সাথে যোগাযোগ করুন।
  • প্রশ্নের উত্তর দিন: আপনার ভিডিও সম্পর্কে দর্শকদের যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিন।
  • সামাজিক মিডিয়ায় আপনার চ্যানেল প্রচার করুন: আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছাতে Facebook, Twitter এবং Instagram-এর মতো সামাজিক মিডিয়ায় আপনার চ্যানেল ভাগ করে নিন।
কিছু টিপস:
উচ্চমানের ভিডিও তৈরি করতে মনোযোগ দিন: 
  • ভালো আলো, শব্দ এবং সম্পাদনা ব্যবহার করুন।
নিয়মিত নতুন ভিডিও আপলোড করুন: 
  • আপনার দর্শকদের আগ্রহী রাখতে নিয়মিত নতুন সামগ্রী প্রকাশ করুন।

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করা মানে আপনার চ্যানেলটি অফিশিয়াল হিসেবে চিহ্নিত করা। এটি আপনার চ্যানেলের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায় এবং অনেক অতিরিক্ত সুবিধা দেয়।
কেন ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করা জরুরি?
  • বিশ্বাসযোগ্যতা: ভেরিফাইড ব্যাজ আপনার চ্যানেলকে অফিশিয়াল হিসেবে চিহ্নিত করে।
  • সুরক্ষা: ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি হওয়া থেকে রক্ষা করে।
  • অতিরিক্ত সুবিধা: লাইভ স্ট্রিমিং, কাস্টম থাম্বনেইল, দীর্ঘ ভিডিও আপলোড ইত্যাদি সুবিধা পাবেন।
  • ব্র্যান্ডিং: আপনার ব্র্যান্ডকে আরও শক্তিশালী করে।
  • ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার পদ্ধতি
  • ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার জন্য আপনাকে একটি ফোন নম্বর দিয়ে যাচাই করতে হবে।
পদক্ষেপ:
  • ইউটিউব স্টুডিওতে যান: ইউটিউব লগইন করে স্টুডিওতে যান।
  • সেটিংসে যান: স্টুডিওতে সেটিংস অপশনে ক্লিক করুন।
  • চ্যানেল বাছাই করুন: সেটিংস থেকে চ্যানেল অপশনটি বাছাই করুন।
  • ভেরিফাই করুন: এখানে আপনাকে একটি ফোন নম্বর দিতে বলা হবে। নম্বরটি দিয়ে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে, সেটি দিলেই আপনার চ্যানেলটি ভেরিফাই হয়ে যাবে।
পুরো বিষয় বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিও দেখে নিন।
 

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়:
আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য বিভিন্ন উপায় আছে।
প্রথমত, আপনার কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে:
1000 জন সাবস্ক্রাইবার: সঠিক নিয়মে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন যেভাবে 
  • আপনার চ্যানেলে 1000 জন সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম: 
  • গত 12 মাসে আপনার ভিডিওগুলোর মোট 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম (YPP): 
  • আপনাকে YPP-এর জন্য আবেদন করতে হবে এবং অনুমোদন পেতে হবে।
শর্ত পূরণ করলে, আপনি নীচের উপায়গুলোতে আয় করতে পারবেন:
1. বিজ্ঞাপন:
  • আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অনুমতি দিন।
  • বিজ্ঞাপনের ধরণ এবং কতবার দেখানো হবে তা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
  • আপনি প্রতি হাজার ভিউ (CPM) বা প্রতি ক্লিক (CPC) অনুসারে আয় করবেন।
2. চ্যানেল সদস্যপদ:
  • দর্শকদের প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে আপনার চ্যানেলের সদস্য হতে দিন।
  • সদস্যদের এক্সক্লুসিভ সুবিধা, যেমন বোনাস ভিডিও, লাইভ স্ট্রিম এবং লাইভ চ্যাট অ্যাক্সেস প্রদান করুন।
3. সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকার:
  • দর্শকদের লাইভ স্ট্রিম চলাকালীন চ্যাটে সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকার পাঠানোর অনুমতি দিন।
  • এই চ্যাট এবং স্টিকারগুলো হাইলাইট করা হয় এবং দর্শকরা আরও বেশি টাকা দিয়ে আরও বেশি হাইলাইট করতে পারে।
4. YouTube প্রিমিয়াম:
  • YouTube প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবাররা আপনার ভিডিও বিজ্ঞাপন ছাড়া দেখতে পারবে।
  • আপনি প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবারদের জন্য এক্সক্লুসিভ সামগ্রী তৈরি করতে পারেন।
  • আপনি প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের একটি অংশ পাবেন।
5. মার্চেন্ডাইজ:
  • আপনার ব্র্যান্ডের সাথে সম্পর্কিত পোশাক, মগ, এবং অন্যান্য আইটেম বিক্রি করুন।
  • আপনি আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন।
6. ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ:
  • সম্পর্কিত পণ্য বা পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলির সাথে কাজ করুন।
  • আপনার ভিডিওতে তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করুন।
  • আপনি প্রতি স্পনসরশিপের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি বা কমিশন পাবেন।
7. অনুদান:
  • আপনার দর্শকদের আপনাকে সরাসরি অনুদান করতে দিন।
  • ইউটিউব চ্যানেল ডাউনলোড
  • ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করার কিছু আইনি এবং অনুমোদিত উপায় সম্পর্কে আমি আপনাকে কিছু তথ্য দিতে পারি।
ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করার উপায়:
১. YouTube Premium ব্যবহার করুন:
  • YouTube Premium সাবস্ক্রিপশন থাকলে আপনি অফলাইনে দেখার জন্য ভিডিও ডাউনলোড করতে পারেন।
  • ডাউনলোড করা ভিডিওগুলি কেবল আপনার ডিভাইসে উপলব্ধ থাকবে এবং আপনি সেগুলি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন না।
  • YouTube Premium হল YouTube-এর একটি প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা যা বিজ্ঞাপনমুক্ত ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এটি ব্যবহারকারীদের আরও অনেক অতিরিক্ত সুবিধাও দেয়।
এখানে YouTube Premium সম্পর্কে ১০টি বাক্য:
  • YouTube Premium-এ সাবস্ক্রাইব করে আপনি বিজ্ঞাপনমুক্ত ভিডিও দেখতে পারবেন।
  • এই পরিষেবাটি ব্যবহার করে আপনি ভিডিও ডাউনলোড করে অফলাইনে দেখতে পারবেন।
  • YouTube Music-এ বিজ্ঞাপনমুক্ত সঙ্গীত শোনার সুবিধাও পাবেন YouTube Premium-এ।
  • ব্যাকগ্রাউন্ডে ভিডিও চালানো এবং পিকচার-ইন-পিকচার মোডে ভিডিও দেখার সুবিধা রয়েছে।
  • YouTube Originals নামে একচেটিয়া কনটেন্টও দেখতে পারবেন।
  • YouTube Premium-এর ফ্যামিলি প্ল্যানের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি একই সাবস্ক্রিপশন শেয়ার করতে পারেন।
  • স্টুডেন্টদের জন্য বিশেষ ছাড়ে এই পরিষেবাটি পাওয়া যায়।
  • YouTube Premium-এর মাধ্যমে ভিডিওর গুণমান উন্নত করে দেখা যায়।
  • এই পরিষেবাটি ব্যবহার করে আপনি ভিডিও দেখার সময় আরও নিয়ন্ত্রণ পাবেন।
YouTube Premium-এর মাধ্যমে আপনি YouTube-এর সম্পূর্ণ বিশ্বকে আরও সুবিধাজনকভাবে অন্বেষণ করতে পারবেন।
২. থার্ড-পার্টি ডাউনলোডার ব্যবহার করুন:
  • অনেক ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা আপনাকে YouTube ভিডিও ডাউনলোড করতে দেয়।
  • এই ডাউনলোডারগুলি ব্যবহার করা বিনামূল্যে হতে পারে, তবে কিছু বিজ্ঞাপন বা সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে।
সতর্কতা: কিছু থার্ড-পার্টি ডাউনলোডার ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস ধারণ করতে পারে।
৩. স্ক্রিন রেকর্ডিং ব্যবহার করুন:
  • আপনি আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের স্ক্রিন রেকর্ডিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে YouTube ভিডিও রেকর্ড করতে পারেন।
  • এই পদ্ধতিটি আপনাকে ভিডিওটির একটি অনুলিপি দেবে, তবে এটি ভিডিওর মান হ্রাস করতে পারে।
  • স্ক্রিন রেকর্ডিং হল আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের স্ক্রিনে যা কিছু দেখানো হয়, তা একটি ভিডিও ফাইলে রেকর্ড করে রাখার প্রক্রিয়া। এই ভিডিওটি পরে দেখা, শেয়ার করা বা এডিট করা যায়।
স্ক্রিন রেকর্ডিং সম্পর্কে ১০টি বাক্য:
  • টিউটোরিয়াল তৈরি: সফটওয়্যার ব্যবহার, গেম খেলা বা অন্য কোন প্রক্রিয়া শেখানোর জন্য স্ক্রিন রেকর্ডিং খুবই উপযোগী।
  • প্রেজেন্টেশন রেকর্ড: ব্যক্তিগত বা পেশাগত কাজে প্রেজেন্টেশন রেকর্ড করে পরে অন্যদের সাথে শেয়ার করা যায়।
  • সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইটের বাগ রিপোর্ট: কোন সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইটে বাগ থাকলে, তা স্ক্রিন রেকর্ড করে ডেভেলপারদের কাছে পাঠানো যায়।
  • গেমপ্লে রেকর্ড: গেম খেলার মজার মুহূর্তগুলি রেকর্ড করে অন্যদের সাথে শেয়ার করা যায়।
  • ভিডিও এডিটিং: রেকর্ড করা ভিডিওগুলিকে বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে সম্পাদনা করা যায়।
  • অনলাইন কোর্স: অনলাইন কোর্স তৈরির ক্ষেত্রে স্ক্রিন রেকর্ডিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টুল।
  • সোশ্যাল মিডিয়া: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করার জন্য স্ক্রিন রেকর্ডিং ব্যবহার করা হয়।
  • মোবাইল অ্যাপ রিভিউ: মোবাইল অ্যাপ রিভিউ করার জন্য স্ক্রিন রেকর্ডিং ব্যবহার করা হয়।
  • সফটওয়্যার ডেমো: কোন সফটওয়্যারের ডেমো তৈরি করার জন্য স্ক্রিন রেকর্ডিং ব্যবহার করা হয়।
  • অনলাইন ট্রেনিং: কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের জন্য অনলাইন ট্রেনিং ভিডিও তৈরি করতে স্ক্রিন রেকর্ডিং ব্যবহার করা হয়।
মনে রাখবেন:
  • কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করা এড়িয়ে চলুন: কেবলমাত্র সেই ভিডিওগুলি ডাউনলোড করুন যা আপনার ডাউনলোড করার জন্য আইনি।
  • নতুনদের জন্য কীভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন
  • ইউটিউব চ্যানেল সেটিং
  • ইউটিউব ডাউনলোড
  • সঠিক নিয়মে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন যেভাবে 
  • ভিডিও মালিকের অনুমতি ছাড়া ডাউনলোড করা ভিডিওগুলি শেয়ার করবেন না।ম্যালওয়্যার বা ভাইরাসযুক্ত ডাউনলোডার এড়িয়ে চলুন

ইউটিউব চ্যানেল সেটিং

ইউটিউব চ্যানেল সেটিং আপনার চ্যানেলটিকে আপনার পছন্দমতো কাস্টমাইজ করার এবং এর পারফরম্যান্স পরিমাপ করার একটি দুর্দান্ত উপায়। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন:
মূল সেটিংস (Basic Settings)
চ্যানেলের নাম ও বর্ণনা: 
  • আপনার চ্যানেলের একটি সুস্পষ্ট এবং মনে রাখার মতো নাম এবং একটি সংক্ষিপ্ত, আকর্ষণীয় বর্ণনা দিন।
প্রোফাইল ছবি ও ব্যানার: 
  • একটি উচ্চমানের প্রোফাইল ছবি এবং ব্যানার ব্যবহার করে আপনার চ্যানেলকে আরও পেশাদারি দিন।
ক্যাটাগরি: 
  • আপনার ভিডিওর সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন যাতে দর্শকরা আপনার ভিডিও সহজে খুঁজে পায়।
অবস্থান: 
  • আপনার চ্যানেলের অবস্থান নির্ধারণ করুন।
ভাষা: 
  • আপনার ভিডিওর ভাষা নির্বাচন করুন।
চ্যানেল কাস্টমাইজেশন
  • লেআউট: আপনার চ্যানেলের লেআউট পরিবর্তন করে এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলুন।
  • ট্যাব: বিভিন্ন ট্যাব যোগ করে আপনার ভিডিওগুলোকে বিভাগ করে উপস্থাপন করুন।
  • অ্যাবাউট ট্যাব: আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিন।
  • লিঙ্ক: আপনার ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ইত্যাদি লিঙ্ক করুন।
মনিটাইজেশন সেটিংস
  • আয়ের উৎস: বিজ্ঞাপন, চ্যানেল সদস্যতা, মার্চেন্ডাইজ ইত্যাদির মাধ্যমে আয় করার জন্য সেটিংস করুন।
  • পেমেন্ট সেটিংস: আপনার আয়ের বিবরণী দেখুন এবং পেমেন্টের জন্য সেটিংস করুন।
  • কমিউনিটি সেটিংস
  • কমেন্ট: কমেন্টের সেটিংস পরিবর্তন করে কমেন্ট সেকশন পরিচালনা করুন।
  • কমিউনিটি পোস্ট: আপনার দর্শকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য কমিউনিটি পোস্ট করুন।
অ্যানালিটিকস
  • ভিউয়ারশিপ: আপনার ভিডিও কতজন দেখছে তা দেখুন।
  • ডেমোগ্রাফিক্স: আপনার দর্শকদের সম্পর্কে জানুন।
  • ভিডিও পারফরম্যান্স: আপনার প্রতিটি ভিডিওর পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করুন।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল সেটিং করবেন?
  • YouTube Studio-এ লগ ইন করুন।
  • বাম পাশের মেনু থেকে সেটিংস অপশনটি নির্বাচন করুন।
  • বিভিন্ন ট্যাব ব্রাউজ করে আপনার পছন্দমতো সেটিংস পরিবর্তন করুন।

ইউটিউব চ্যানেল ডাউনলোড

ভিডিও ডাউনলোড: 
  • অনেক থার্ড-পার্টি অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট রয়েছে যা আপনাকে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করে আপনার ডিভাইসে সংরক্ষণ করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই ধরনের টুল ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন, কারণ এগুলি কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করতে পারে।
অফলাইনে দেখার জন্য ভিডিও সংরক্ষণ: 
  • ইউটিউবের নিজস্ব ফিচার ব্যবহার করে আপনি কিছু ভিডিও অফলাইনে দেখার জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। তবে, এই ফিচারটি সব ভিডিওর জন্য উপলব্ধ নয় এবং সাধারণত প্রিমিয়াম সদস্যদের জন্যই বেশি সুবিধা দেওয়া হয়।
প্লেলিস্ট তৈরি: 
  • আপনার পছন্দের ভিডিওগুলো একটি প্লেলিস্টে যোগ করে রাখুন। পরে যখন চাইবেন তখন এই প্লেলিস্ট থেকে ভিডিওগুলো খুঁজে বের করে দেখতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল নাম

একটি ইউটিউব চ্যানেলের নাম তার পরিচয়ের প্রথম ধাপ। একটি ভালো নাম আপনার চ্যানেলকে দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে এবং মনে রাখা সহজ করে।
একটি ভালো ইউটিউব চ্যানেলের নামের গুণাবলী:
  • সংক্ষিপ্ত এবং সহজ: দর্শকরা যাতে সহজে মনে রাখতে পারে, তাই নামটি খুব লম্বা হওয়া উচিত নয়।
  • মনে রাখার মতো: নামটি এমন হওয়া উচিত যাতে দর্শকরা সহজে মনে রাখতে পারে।
  • আপনার বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত: নামটি আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তুর সাথে মিল থাকা উচিত।
  • অনন্য: অন্য কোন চ্যানেলের সাথে মিল থাকা উচিত নয়।
  • ব্র্যান্ডিং: আপনার চ্যানেলের একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করতে সাহায্য করে।
ইউটিউব চ্যানেলের নাম কিভাবে বেছে নেবেন:
  • আপনার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করুন: আপনি কি ধরনের ভিডিও তৈরি করবেন? গেমিং, রান্না, ভ্রমণ, বা অন্য কিছু?
  • তারকা শব্দ বা বাক্যাংশ খুঁজুন: আপনার বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত কিছু মজার বা আকর্ষণীয় শব্দ বা বাক্যাংশ খুঁজুন।
  • নামের বিভিন্ন সংস্করণ তৈরি করুন: একাধিক নামের ধারণা লিখে নিন এবং তাদের মধ্যে তুলনা করুন।
  • অন্যদের সাথে শেয়ার করুন: আপনার বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সাথে আপনার নামের ধারণাগুলো শেয়ার করে তাদের মতামত জানতে পারেন।
  • নামটি উপলব্ধ কিনা তা পরীক্ষা করুন: নিশ্চিত করুন যে আপনার পছন্দ করা নামটি ইউটিউবে অন্য কেউ ব্যবহার করছে না।
উদাহরণ:
বিষয়বস্তু: রান্না
নামের ধারণা: রান্নার রাজ, স্বাদে মজা, বাঙালির রান্নাঘর, ইত্যাদি
  • কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো?
  • বাংলাদেশে ইউটিউব কত সালে চালু হয়?
  • বিশ্বের প্রথম ইউটিউবার কে ছিলেন?
  • ইউটিউব থেকে কত টাকা পাওয়া যায়?
  • বাংলাদেশে ইউটিউব কত সালে চালু হয়?
  • পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইউটিউবার নাম কি?
  • ইউটিউব এর মালিকের নাম কি?
  • ইউটিউব এর প্রথম ভিডিও কোনটি?

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আজ মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url