WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি বিষয় নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি নিয়ে আলোচনা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।

কিভাবে একটি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরি করবেন

1. একটি ভাল ডোমেন নাম চয়ন করুন
একটি ভালো ডোমেন নাম চয়ন করার জন্য কিছু টিপস
একটি ভালো ডোমেন নাম আপনার ওয়েবসাইটের সফলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ব্যবসার পরিচয় এবং মনে রাখার সহজ হওয়া উচিত।
একটি ভালো ডোমেন নামের বৈশিষ্ট্য:
  • সংক্ষিপ্ত এবং সহজ: যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত এবং সহজেই উচ্চারণযোগ্য হওয়া উচিত।
  • প্রাসঙ্গিক: আপনার ব্যবসা বা পণ্যের সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত।
  • মনে রাখার সহজ: ব্যবহারকারীরা সহজেই মনে রাখতে পারে এমন হওয়া উচিত।
  • অনন্য: অন্য কোনো ওয়েবসাইটের সাথে মিল না হওয়া উচিত।
  • ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী: আপনার ব্যবসা বা পণ্য বদলালেও এটি ব্যবহার করা যায় এমন হওয়া উচিত।
ডোমেন নাম চয়ন করার কৌশল:
  • কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন: আপনার ব্যবসার মূল কীওয়ার্ডটি ডোমেন নামে ব্যবহার করুন।
  • ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করুন: আপনার ব্যবসার নামটি ডোমেন নাম হিসাবে ব্যবহার করুন।
  • সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করুন: আপনার ব্যবসার নামের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করুন।
  • সংখ্যা বা বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন: এগুলি মনে রাখা কঠিন হতে পারে।
ডোমেইন নাম পরীক্ষা করার সাইট: WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
  • GoDaddy: https://www.godaddy.com/
  • Namecheap: https://www.namecheap.com/
  • Google Domains: https://domains.google/
উদাহরণ:
যদি আপনার একটি বেকারি আছে, তাহলে আপনার ডোমেন নাম হতে পারে: ................ ইত্যাদি।
যদি আপনি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং সংস্থা চালান, তাহলে আপনার ডোমেন নাম হতে পারে: digitalmarketerbd.com, zamzamit.com ইত্যাদি।
i) ডোমেইন নেম রিসার্চ
ডোমেইন নেম রিসার্চ: 
  • আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সঠিক নাম খুঁজে বের করুন
ডোমেইন নেম রিসার্চ হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি অনন্য এবং স্মরণীয় নাম খুঁজে বের করতে পারেন। একটি ভালো ডোমেইন নেম আপনার ওয়েবসাইটের সফলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনার ব্র্যান্ডের পরিচয় এবং আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা।

কেন ডোমেইন নেম রিসার্চ গুরুত্বপূর্ণ?

ব্র্যান্ডিং: 
  • একটি ভালো ডোমেইন নেম আপনার ব্র্যান্ডকে অনন্য করে তুলবে এবং দর্শকদের মনে সহজে ঠাঁই করে নেবে।
সহজে মনে রাখা: 
  • একটি সহজ এবং স্মরণীয় ডোমেইন নেম দর্শকদের আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা সহজে মনে রাখতে সাহায্য করবে।
SEO: 
  • একটি প্রাসঙ্গিক এবং কীওয়ার্ড সমৃদ্ধ ডোমেইন নেম আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিং উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
ভবিষ্যতের প্রসার: 
  • আপনার ব্যবসা বা ব্লগ যদি ভবিষ্যতে প্রসারিত হয়, তাহলে একটি ভালো ডোমেইন নেম আপনার জন্য নতুন পণ্য বা সেবা যোগ করার সুযোগ করে দেবে।
ডোমেইন নেম রিসার্চ করার কিছু টিপস:
  • সংক্ষিপ্ত এবং সহজ: আপনার ডোমেইন নেম যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত এবং সহজ হওয়া উচিত।
  • প্রাসঙ্গিক: আপনার ডোমেইন নেম আপনার ব্যবসা বা ব্লগের সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত।
  • স্মরণীয়: আপনার ডোমেইন নেম দর্শকদের মনে সহজে ঠাঁই করে নেবে এমন হওয়া উচিত।
  • অনন্য: আপনার ডোমেইন নেম অন্য কোনো ওয়েবসাইটের সাথে মিল থাকবে না।
  • টাইপ করতে সহজ: আপনার ডোমেইন নেম যাতে দর্শকরা সহজে টাইপ করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  • .com, .net, .org: সাধারণত .com, .net বা .org এক্সটেনশন ব্যবহার করা হয়।
ডোমেইন নেম রিসার্চের জন্য কিছু টুল:
Google Domains: 
  • গুগলের একটি টুল যার মাধ্যমে আপনি ডোমেইন নেমের উপলব্ধতা চেক করতে পারেন।
Namecheap: 
  • একটি জনপ্রিয় ডোমেইন রেজিস্ট্রার যারা ডোমেইন নেম সার্চের জন্য বিভিন্ন টুল অফার করে।
GoDaddy: 
  • আরেকটি জনপ্রিয় ডোমেইন রেজিস্ট্রার যারা ডোমেইন নেম সার্চের জন্য বিভিন্ন টুল অফার করে।
ডোমেইন নেম রিসার্চের কিছু উদাহরণ:
আপনার ব্যবসার নাম: 
  • যদি আপনার ব্যবসার নাম অনন্য হয়, তাহলে তা আপনার ডোমেইন নেম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
কীওয়ার্ড: 
  • আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত একটি কীওয়ার্ড আপনার ডোমেইন নেমে ব্যবহার করতে পারেন।
স্লোগান: 
  • আপনার ব্যবসার স্লোগান আপনার ডোমেইন নেম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
ডোমেইন নেম রিসার্চের বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিটি দেখে আসতে পারেন।

ii) How to buy domain ডোমেইন

ডোমেইন নাম কেনার পদ্ধতি

ডোমেইন নেম হল আপনার ওয়েবসাইটের অনলাইন ঠিকানা। এটি আপনার ওয়েবসাইটের পরিচয় এবং দর্শকদের আপনার ওয়েবসাইটে পৌঁছানোর জন্য একটি সহজ উপায়।
ডোমেইন নাম কেনার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
ডোমেইন রেজিস্ট্রার নির্বাচন করুন: একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রার হল একটি সংস্থা যা ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশন এবং ম্যানেজমেন্ট পরিষেবা প্রদান করে। কিছু জনপ্রিয় ডোমেইন রেজিস্ট্রারের মধ্যে রয়েছে:
  • GoDaddy
  • Namecheap
  • Google Domains
  • HostGator
  • Bluehost
  • Domain.com
ডোমেইন নেম সার্চ করুন: 
  • আপনার পছন্দসই ডোমেইন নেম লিখুন এবং সার্চ বাটনে ক্লিক করুন। যদি ডোমেইন নামটি উপলব্ধ হয়, তাহলে আপনি এটি কিনতে পারবেন।
ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন: 
  • যদি ডোমেইন নামটি উপলব্ধ হয়, তাহলে আপনাকে এটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত খুবই সহজ এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যায়।
পেমেন্ট করুন: 
  • আপনাকে রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান করতে হবে। সাধারণত, ডোমেইন নামের রেজিস্ট্রেশন ফি বার্ষিক হয়।
বিঃদ্রঃ:WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
ডোমেইন এক্সটেনশন: 
  • ডোমেইন নামের সাথে একটি এক্সটেনশন থাকে, যেমন .com, .net, .org, .in ইত্যাদি।
হোস্টিং: 
  • ডোমেইন নাম কেনার পর আপনাকে একটি হোস্টিং অ্যাকাউন্ট কিনতে হবে। হোস্টিং অ্যাকাউন্ট আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো সংরক্ষণ করবে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা প্রদর্শন করবে।
DNS সেটিং: 
  • আপনার ডোমেইন নামকে আপনার হোস্টিং অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত করার জন্য আপনাকে আপনার ডোমেইন রেজিস্ট্রারের DNS সেটিং পরিবর্তন করতে হবে।
2. একটি ভাল হোস্ট চয়ন করুন
i) How to buy domain hosting
ডোমেইন নাম হল আপনার ওয়েবসাইটের অনলাইন ঠিকানা, যখন হোস্টিং হল আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো সংরক্ষণ করার এবং ইন্টারনেটে প্রদর্শন করার জন্য একটি পরিষেবা।
ডোমেইন এবং হোস্টিং একসাথে কেনার পদ্ধতি:
ডোমেইন এবং হোস্টিং প্যাকেজ নির্বাচন করুন: 
  • অনেক ডোমেইন রেজিস্ট্রার এবং হোস্টিং প্রোভাইডার একসাথে ডোমেইন এবং হোস্টিং প্যাকেজ অফার করে। এই প্যাকেজগুলো সাধারণত ডিসকাউন্টেড হারে পাওয়া যায়।
প্যাকেজ নির্বাচন করুন: 
  • আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজন অনুযায়ী ডোমেইন এবং হোস্টিং প্যাকেজ নির্বাচন করুন। প্যাকেজগুলো সাধারণত বিভিন্ন স্টোরেজ স্পেস, ব্যান্ডউইথ, এবং অন্যান্য ফিচারের সাথে আসে।
পেমেন্ট করুন: 
  • প্যাকেজের জন্য পেমেন্ট করুন। সাধারণত, পেমেন্ট বার্ষিক হয়, তবে মাসিক বা ত্রৈমাসিক পেমেন্ট অপশনও পাওয়া যায়।
ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশন: 
  • আপনার ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশন করুন। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত খুবই সহজ এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যায়।
হোস্টিং অ্যাকাউন্ট সেটআপ করুন: 
  • আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার আপনাকে একটি কন্ট্রোল প্যানেল প্রদান করবে। এই কন্ট্রোল প্যানেলের মাধ্যমে আপনি আপনার হোস্টিং অ্যাকাউন্ট সেটআপ করতে পারবেন।
DNS সেটিং পরিবর্তন করুন: 
  • আপনার ডোমেইন নামকে আপনার হোস্টিং অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত করার জন্য আপনাকে আপনার ডোমেইন রেজিস্ট্রারের DNS সেটিং পরিবর্তন করতে হবে।
বিঃদ্রঃ:WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
  • ডোমেইন এক্সটেনশন: ডোমেইন নামের সাথে একটি এক্সটেনশন থাকে, যেমন .com, .net, .org, .in ইত্যাদি।
  • হোস্টিং প্ল্যান: আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজন অনুযায়ী হোস্টিং প্ল্যান নির্বাচন করুন। শেয়ার্ড হোস্টিং, VPS হোস্টিং, ডেডিকেটেড সার্ভার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের হোস্টিং প্ল্যান পাওয়া যায়।
  • সার্ভার লোকেশন: আপনার ওয়েবসাইটের দর্শকদের অবস্থান অনুযায়ী সার্ভার লোকেশন নির্বাচন করুন।
অতিরিক্ত তথ্য:WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
  • ডোমেইন নাম রিসার্চ: আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ভালো ডোমেইন নেম খুঁজে বের করার জন্য ডোমেইন নেম রিসার্চ করুন।
  • হোস্টিং প্রোভাইডার তুলনা: বিভিন্ন হোস্টিং প্রোভাইডারের ফিচার, দাম এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি তুলনা করুন।
  • ডোমেইন এবং হোস্টিং প্যাকেজ তুলনা: বিভিন্ন ডোমেইন এবং হোস্টিং প্যাকেজের ফিচার, দাম এবং মেয়াদ তুলনা করুন।
3. আপনার বিদ্যমান ওয়েবসাইট ইনভেন্টরি ( সাইটে কি কি রাখতে চান)
  • Blog/E-commerce, Portfolio website- Menu, Login/Signup, Header, Footer
4. ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করুন

ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করার সহজ পদ্ধতি

  • ওয়ার্ডপ্রেস হল একটি খুব জনপ্রিয় এবং ব্যবহারবান ওয়েবসাইট নির্মাণ প্ল্যাটফর্ম। নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস আপনার জন্য একটি দারুণ বিকল্প।
  • ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
  • ওয়ার্ডপ্রেসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যান: https://bn.wordpress.org/download/
  • "ডাউনলোড" বাটনে ক্লিক করুন: এই বাটনে ক্লিক করলে আপনার কম্পিউটারে ওয়ার্ডপ্রেসের সর্বশেষ সংস্করণটি ডাউনলোড হতে শুরু করবে।
  • ফাইলটি এক্সট্র্যাক্ট করুন: ডাউনলোড হওয়া ফাইলটি আপনার কম্পিউটারে কোথাও সংরক্ষিত হবে। এই ফাইলটি এক্সট্র্যাক্ট করুন।
  • হোস্টিং অ্যাকাউন্টে আপলোড করুন: আপনার কাছে একটি হোস্টিং অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এক্সট্র্যাক্ট করা ফাইলগুলো আপনার হোস্টিং অ্যাকাউন্টের রুট ডিরেক্টরিতে আপলোড করুন।
  • ডাটাবেইস তৈরি করুন: আপনার হোস্টিং অ্যাকাউন্টে একটি ডাটাবেইস তৈরি করুন।
  • ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করুন: আপনার ব্রাউজারে আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা টাইপ করুন। ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টলেশন পেজটি খুলে যাবে। এখানে আপনার ডাটাবেইসের তথ্য দিয়ে ইনস্টলেশনটি সম্পূর্ণ করুন।
বিঃদ্রঃ:WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
হোস্টিং: ওয়ার্ডপ্রেস আপনার কম্পিউটারে চলবে না। এটি একটি ওয়েবসাইট। তাই আপনার একটি হোস্টিং অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হবে। হোস্টিং কোম্পানিগুলো আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো সংরক্ষণ করে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা প্রদর্শন করে।
ডোমেইন: আপনার ওয়েবসাইটের একটি ঠিকানা থাকতে হবে। এই ঠিকানাটিকে ডোমেইন বলা হয়। আপনি একটি ডোমেইন নাম কিনতে পারবেন।
টেকনিক্যাল জ্ঞান: ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করা এবং ব্যবহার করার জন্য কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন হতে পারে। যদি আপনি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ না হন, তাহলে কোনো ওয়েব ডেভেলপারের সাহায্য নিতে পারেন।
5. C panel-এ একটি MySQL ডাটাবেস তৈরি করুন (C panel- Setting)

cPanel-এ একটি MySQL ডাটাবেস তৈরি করার পদ্ধতি

MySQL ডাটাবেস হল একটি ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা ওয়েবসাইটে ডাটা সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। cPanel-এ একটি MySQL ডাটাবেস তৈরি করা খুব সহজ। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই একটি MySQL ডাটাবেস তৈরি করতে পারবেন:
ধাপ ১: cPanel-এ লগ ইন করুন
  • আপনার হোস্টিং প্রোভাইডারের ওয়েবসাইটে যান এবং cPanel-এ লগ ইন করুন।
ধাপ ২: ডাটাবেস সেকশনে যান
  • cPanel ড্যাশবোর্ডে "Databases" সেকশনে যান।
ধাপ ৩: MySQL Database Wizard ব্যবহার করুন
  • "MySQL Databases Wizard" অপশনটি ক্লিক করুন। এটি একটি সহজ পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি ডাটাবেস এবং ব্যবহারকারী তৈরি করতে পারবেন।
  • New Database: একটি নতুন ডাটাবেসের নাম দিন। এটি অক্ষর, সংখ্যা এবং অন্ডারস্কোর (_)-এর সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে।
  • New User: একটি নতুন ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। এই ব্যবহারকারী ডাটাবেসে প্রবেশ করার জন্য ব্যবহার করা হবে।
  • Privileges: ডাটাবেসে ব্যবহারকারীর কী ধরনের অ্যাক্সেস থাকবে তা নির্বাচন করুন। সাধারণত, "All Privileges" নির্বাচন করা হয়।
  • Add: "Add" বাটনে ক্লিক করে ডাটাবেস এবং ব্যবহারকারী তৈরি করুন।
ধাপ ৪: phpMyAdmin ব্যবহার করে ডাটাবেস ম্যানেজ করুন
  • ডাটাবেস তৈরি হয়ে গেলে, আপনি phpMyAdmin ব্যবহার করে ডাটাবেস ম্যানেজ করতে পারবেন। phpMyAdmin একটি ওয়েব-ভিত্তিক টুল যা MySQL ডাটাবেস ম্যানেজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • cPanel ড্যাশবোর্ডে "phpMyAdmin" অপশনটি ক্লিক করুন।
  • ড্রপডাউন মেনু থেকে আপনার তৈরি করা ডাটাবেসটি নির্বাচন করুন।
বিঃদ্রঃ:WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
  • ডাটাবেসের নাম: ডাটাবেসের নাম স্বচ্ছ এবং অর্থপূর্ণ হওয়া উচিত যাতে পরে এটি খুঁজে পাওয়া সহজ হয়।
  • পাসওয়ার্ড: একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যাতে আপনার ডাটাবেস সুরক্ষিত থাকে।
  • অধিকার: ব্যবহারকারীকে কী ধরনের অধিকার দেওয়া হবে তা ভালোভাবে ভাবুন। যদি আপনি নিশ্চিত না হন, তাহলে "All Privileges" নির্বাচন করুন।
  • এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি সহজেই একটি MySQL ডাটাবেস তৈরি করতে পারবেন।
6. ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করুন

ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার পদ্ধতি: একটি ধাপে ধাপে গাইড

ওয়ার্ডপ্রেস হল একটি জনপ্রিয় ও ওপেন সোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা দিয়ে আপনি সহজেই একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। cPanel-এ ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার দুটি সহজ উপায় আছে:
১. ওয়ান ক্লিক ইনস্টলার ব্যবহার করে
এটি ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার সবচেয়ে সহজ উপায়।
  • cPanel-এ লগ ইন করুন: আপনার হোস্টিং অ্যাকাউন্টের cPanel-এ লগ ইন করুন।
  • ওয়ান ক্লিক ইনস্টলার খুঁজুন: সাধারণত এটি "Softaculous" বা "QuickInstall" নামে থাকে।
  • ওয়ার্ডপ্রেস সিলেক্ট করুন: ইনস্টল করার অপশনগুলো থেকে ওয়ার্ডপ্রেস সিলেক্ট করুন।
  • ইনস্টলেশন ফর্ম পূরণ করুন: আপনার ডোমেইন, ডিরেক্টরি, ডাটাবেসের তথ্য ইত্যাদি দিন।
  • ইনস্টল বাটনে ক্লিক করুন: ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
২. ম্যানুয়ালি ইনস্টল করার পদ্ধতি
যদি আপনি ওয়ান ক্লিক ইনস্টলার ব্যবহার করতে না চান, তাহলে আপনি ম্যানুয়ালিও ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করতে পারেন।
  • ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করুন: ওয়ার্ডপ্রেসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ সংস্করণ ডাউনলোড করুন।
  • ফাইলগুলো আপলোড করুন: ডাউনলোড করা ফাইলগুলো আপনার ওয়েবসাইটের রুট ডিরেক্টরিতে আপলোড করুন (সাধারণত public_html)।
  • ডাটাবেস তৈরি করুন: cPanel-এ একটি নতুন MySQL ডাটাবেস তৈরি করুন।
  • wp-config.php ফাইল এডিট করুন: আপলোড করা ফাইলগুলোর মধ্যে wp-config-sample.php ফাইলটি খুঁজে বের করুন এবং এটিকে wp-config.php নামে সেভ করুন। এই ফাইলে আপনার ডাটাবেসের তথ্য দিন।
  • ব্রাউজারে ইনস্টলেশন পেজে যান: আপনার ডোমেইন নাম টাইপ করে ব্রাউজারে যান। ইনস্টলেশন পেজটি খুলে যাবে।
  • ইনস্টলেশন সম্পূর্ণ করুন: অন-স্ক্রিন নির্দেশনা অনুসরণ করে ইনস্টলেশন সম্পূর্ণ করুন।
বিঃদ্রঃ: ম্যানুয়াল ইনস্টলেশন কিছুটা জটিল হতে পারে এবং কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন হতে পারে।
কোন পদ্ধতিটি ব্যবহার করবেন?
সহজতা: যদি আপনি কোনো টেকনিক্যাল জ্ঞান না রাখেন, তাহলে ওয়ান ক্লিক ইনস্টলার ব্যবহার করা ভালো।
নমনীয়তা: যদি আপনি ইনস্টলেশন প্রক্রিয়াটি কাস্টমাইজ করতে চান, তাহলে ম্যানুয়াল ইনস্টলেশন ব্যবহার করতে পারেন।
7. একটি ভাল থিম খুঁজুন
  • ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য একটি ভাল থিম খুঁজে বের করার গাইড
  • একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় থিমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভাল থিম আপনার ওয়েবসাইটকে আকর্ষণীয়, ব্যবহারকারীবান্ধব এবং সার্চ ইঞ্জিনের কাছে বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারে।
  • একটি ভাল থিম খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
  • আপনার ওয়েবসাইটের ধরন: আপনি কি একটি ব্যক্তিগত ব্লগ, একটি অনলাইন দোকান, একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট বা অন্য কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করছেন?
  • আপনার বাজেট: বিনামূল্যে এবং প্রিমিয়াম উভয় ধরনের থিমই পাওয়া যায়।
  • আপনার ডিজাইনের পছন্দ: আপনি একটি সহজ এবং পরিষ্কার ডিজাইন চান নাকি কিছুটা জটিল এবং কাস্টমাইজযোগ্য?
  • থিমের ফিচার: আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কোন ধরনের ফিচারগুলি প্রয়োজন? উদাহরণস্বরূপ, একটি ই-কমার্স সাইটের জন্য আপনাকে একটি ই-কমার্স ফিচার সমর্থিত থিমের প্রয়োজন হবে।
কোথায় থিম খুঁজবেন: WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরি: 
  • ওয়ার্ডপ্রেসের অফিশিয়াল থিম ডিরেক্টরিতে হাজার হাজার বিনামূল্যে থিম পাওয়া যায়।
থিমফরেস্ট: 
  • থিমফরেস্ট হল একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি হাজার হাজার প্রিমিয়াম থিম খুঁজে পাবেন।
এনভ্যাটো: 
  • এনভ্যাটোতেও অনেকগুলি প্রিমিয়াম ওয়ার্ডপ্রেস থিম পাওয়া যায়।
স্টুডিওপ্রেস: 
  • স্টুডিওপ্রেস হল আরেকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি প্রিমিয়াম ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুঁজে পাবেন।
একটি ভাল থিম নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু টিপস:
  • থিম ডেমো দেখুন: থিম কেনার আগে অবশ্যই ডেমো দেখুন। দেখুন থিমটি আপনার পছন্দমতো দেখতে কিনা।
  • থিমের রিভিউ পড়ুন: থিম কেনার আগে অন্য ব্যবহারকারীদের রিভিউ পড়ুন।
  • থিমটি কতটা আপডেট হয় তা দেখুন: একটি ভাল থিম নিয়মিত আপডেট করা হয়।
  • থিমটি কাস্টমাইজ করা সহজ কিনা তা দেখুন: আপনি যদি কোডিং জানেন না, তাহলে একটি সহজে কাস্টমাইজযোগ্য থিম বেছে নিন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি ব্যক্তিগত ব্লগ তৈরি করতে চান, তাহলে আপনি নিম্নলিখিত থিমগুলি বিবেচনা করতে পারেন:
  • Astra: Astra একটি খুবই জনপ্রিয় এবং নমনীয় থিম যা বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • GeneratePress: GeneratePress একটি আরেকটি জনপ্রিয় এবং হালকা ওজনের থিম যা খুব দ্রুত লোড হয়।
  • OceanWP: OceanWP একটি বিনামূল্যের এবং প্রিমিয়াম উভয় ভার্সনে পাওয়া যায়। এটি একটি খুবই বহুমুখী থিম।
8. থিম ইনস্টল করুন

ওয়ার্ডপ্রেসে থিম ইনস্টল করার পদ্ধতি

ওয়ার্ডপ্রেসে থিম ইনস্টল করা আপনার ওয়েবসাইটের চেহারা এবং অনুভূতি পরিবর্তন করার সবচেয়ে সহজ উপায়। আসুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে একটি নতুন থিম ইনস্টল করতে পারেন।
ধাপ ১: ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ডে লগ ইন করুন
  • সর্বপ্রথম আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের লগইন পেজে যান এবং আপনার ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করুন।
ধাপ ২: থিম সেকশনে যান
  • ড্যাশবোর্ডে বাম পাশের মেনু থেকে দেখা (Appearance) অপশনটি ক্লিক করুন। এরপর থিম (Themes) অপশনটি ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: নতুন থিম যোগ করুন
  • নতুন থিম যোগ করুন (Add New) বাটনে ক্লিক করুন।
  • এখন আপনার দুটি অপশন থাকবে:
  • আপলোড থিম: আপনার কম্পিউটার থেকে থিমের .zip ফাইল আপলোড করতে এই অপশনটি ব্যবহার করুন।
  • ফিচারড থিম ব্রাউজ করুন: ওয়ার্ডপ্রেসের অফিশিয়াল থিম ডিরেক্টরি থেকে থিম ব্রাউজ করতে এই অপশনটি ব্যবহার করুন।
ধাপ ৪: থিম ইনস্টল করুন
  • আপনার পছন্দের থিমটি সিলেক্ট করুন এবং ইনস্টল করুন বাটনে ক্লিক করুন।
  • ইনস্টলেশন সম্পূর্ণ হলে, সক্রিয় করুন বাটনে ক্লিক করে থিমটি সক্রিয় করুন।
  • এবার আপনার ওয়েবসাইটের চেহারা পরিবর্তিত হয়ে যাবে।
কিছু অতিরিক্ত টিপস:WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
থিম কাস্টমাইজেশন: 
  • অনেক থিমে কাস্টমাইজেশনের অপশন থাকে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী রং, ফন্ট, লেআউট ইত্যাদি পরিবর্তন করতে আপনি এই অপশনগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
থিম আপডেট: 
  • নিয়মিত আপনার থিম আপডেট করুন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইট সুরক্ষিত থাকবে এবং নতুন ফিচারগুলি পাবেন।
থিম সাপোর্ট: যদি আপনার কোনো সমস্যা হয়, তাহলে থিমের ডেভেলপারের সাথে যোগাযোগ করুন।
কোথায় থিম খুঁজবেন:
  • ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরি: এখানে হাজার হাজার বিনামূল্যে থিম পাওয়া যায়।
  • থিমফরেস্ট: এখানে প্রিমিয়াম থিমের একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে।
  • এনভ্যাটো: এখানেও প্রিমিয়াম থিম পাওয়া যায়।
  • মনে রাখবেন: একটি ভাল থিম আপনার ওয়েবসাইটের সফলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই থিম নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
9. আপনার থিম কাস্টমাইজ করুন
i) থিম কিভাবে buy করবেন
ওয়ার্ডপ্রেস থিম কেনার কয়েকটি উপায় আছে। আপনি আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী যেকোনো একটি পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন।
বিনামূল্যে থিম:
  1. ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরি: এখানে হাজার হাজার বিনামূল্যে থিম পাওয়া যায়। এই থিমগুলো সাধারণত সরল এবং মৌলিক ফিচারযুক্ত হয়।
  2. GitHub: অনেক ডেভেলপার তাদের থিম GitHub-এ বিনামূল্যে প্রকাশ করে।
প্রিমিয়াম থিম:
  • থিমফরেস্ট: এখানে প্রিমিয়াম থিমের একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। এই থিমগুলো সাধারণত বেশি কাস্টমাইজযোগ্য এবং অতিরিক্ত ফিচারযুক্ত হয়।
  • এনভ্যাটো: এখানেও প্রিমিয়াম থিম পাওয়া যায়।
  • স্টুডিওপ্রেস: স্টুডিওপ্রেস হল আরেকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি প্রিমিয়াম ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুঁজে পাবেন।
থিম কেনার পদ্ধতি:
  • থিম নির্বাচন করুন: আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি থিম নির্বাচন করুন।
  • খরিদ করুন: থিম কেনার জন্য আপনাকে ওই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং পেমেন্ট করতে হবে।
  • থিম ডাউনলোড করুন: পেমেন্ট সম্পূর্ণ হলে আপনি থিমটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
  • থিম ইনস্টল করুন: উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি থিমটি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে ইনস্টল করতে পারবেন।
থিম কেনার সময় কিছু বিষয় বিবেচনা করুন:
  • থিমের ফিচার: আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কোন ধরনের ফিচারগুলি প্রয়োজন?
  • থিমের ডিজাইন: আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কোন ধরনের ডিজাইন উপযুক্ত?
  • থিমের আপডেট: থিমটি নিয়মিত আপডেট করা হয় কিনা তা দেখুন।
  • থিমের সাপোর্ট: যদি আপনার কোনো সমস্যা হয়, তাহলে থিমের ডেভেলপারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন কিনা তা দেখুন।
  • থিমের দাম: আপনার বাজেট অনুযায়ী থিম নির্বাচন করুন।
একটি ভাল থিম খুঁজে বের করার জন্য আপনি নিম্নলিখিত টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
  • থিম ডেমো দেখুন: থিম কেনার আগে অবশ্যই ডেমো দেখুন। দেখুন থিমটি আপনার পছন্দমতো দেখতে কিনা।
  • থিমের রিভিউ পড়ুন: থিম কেনার আগে অন্য ব্যবহারকারীদের রিভিউ পড়ুন।
10. ভাল প্লাগ-ইনগুলি খুঁজুন এবং ইনস্টল করুন
ওয়ার্ডপ্রেসে ভাল প্লাগ-ইন খুঁজে বের করে ইনস্টল করার পদ্ধতি
ওয়ার্ডপ্রেসের শক্তিই হল এর প্লাগ-ইনগুলো। এই প্লাগ-ইনগুলো আপনার ওয়েবসাইটকে আরও কার্যকরী করে তুলতে পারে। তবে এতগুলো প্লাগ-ইনের মধ্য থেকে কোনগুলো ভালো, তা বুঝতে একটু সময় লাগতে পারে।
ভালো প্লাগ-ইন খুঁজে বের করার উপায়
  • কার্যকারিতা: প্লাগ-ইনটি কি কাজ করে, তা ভালভাবে বুঝুন।
  • আপডেট: নিয়মিত আপডেট হচ্ছে কিনা দেখুন।
  • সমর্থন: কোনো সমস্যা হলে সহজে সাপোর্ট পাওয়া যায় কিনা।
  • রেটিং: অন্য ব্যবহারকারীরা এই প্লাগ-ইন সম্পর্কে কী বলেছেন, তা দেখুন।
  • লাইসেন্স: প্লাগ-ইনটি বিনামূল্যে নাকি প্রিমিয়াম, তা দেখুন।

জনপ্রিয় ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগ-ইন

  • Yoast SEO: এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় SEO প্লাগ-ইন। আপনার কন্টেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করতে সাহায্য করে।
  • WooCommerce: অনলাইন স্টোর তৈরি করতে এই প্লাগ-ইনটি ব্যবহার করা হয়।
  • Elementor: পেজ বিল্ডার প্লাগ-ইন। কোডিং ছাড়াই সুন্দর ডিজাইন করা পেজ তৈরি করতে সাহায্য করে।
  • Contact Form 7: কাস্টমাইজযোগ্য কন্টাক্ট ফর্ম তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
  • WPForms: আরো একটি জনপ্রিয় কন্টাক্ট ফর্ম প্লাগ-ইন।
  • W3 Total Cache: ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বাড়াতে সাহায্য করে।
  • Akismet: স্প্যাম কমেন্ট আটকাতে ব্যবহৃত হয়।

প্লাগ-ইন ইনস্টল করার পদ্ধতি

  • ড্যাশবোর্ডে যান: আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ডে লগ ইন করুন।
  • প্লাগ-ইন মেনুতে যান: বাম পাশের মেনু থেকে প্লাগ-ইন (Plugins) অপশনটি ক্লিক করুন।
  • নতুন যোগ করুন: নতুন যোগ করুন (Add New) বাটনে ক্লিক করুন।
  • সার্চ করুন: সার্চ বারে প্লাগ-ইনের নাম টাইপ করে সার্চ করুন।
  • ইনস্টল করুন: আপনার পছন্দের প্লাগ-ইনটি খুঁজে পেলে, ইনস্টল করুন বাটনে ক্লিক করুন।
  • সক্রিয় করুন: ইনস্টলেশন শেষ হলে, সক্রিয় করুন বাটনে ক্লিক করুন।
কিছু বিষয় মনে রাখবেন:
  • অতিরিক্ত প্লাগ-ইন: অতিরিক্ত প্লাগ-ইন আপনার ওয়েবসাইটকে ধীর করে দিতে পারে। তাই শুধু প্রয়োজনীয় প্লাগ-ইনগুলোই ইনস্টল করুন।
  • কনফ্লিক্ট: দুটি প্লাগ-ইন একে অপরের সাথে কনফ্লিক্ট করতে পারে। তাই প্লাগ-ইন ইনস্টল করার পরে আপনার ওয়েবসাইট ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখুন।
  • আপডেট: নিয়মিত আপনার প্লাগ-ইনগুলো আপডেট করুন।
i) কিভাবে import post and page করবেন

ওয়ার্ডপ্রেসে পোস্ট এবং পেজ ইম্পোর্ট করার পদ্ধতি

পোস্ট এবং পেজ ইম্পোর্ট করার অর্থ হল আপনার ওয়েবসাইট থেকে অন্য একটি ওয়েবসাইটে বা একই ওয়েবসাইটের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে পোস্ট এবং পেজগুলো স্থানান্তর করা। এই প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন কারণে প্রয়োজন হতে পারে, যেমন ওয়েবসাইট মাইগ্রেশন, ব্যাকআপ রেস্টোরেশন বা অন্য কোন কারণে।
ওয়ার্ডপ্রেসে পোস্ট এবং পেজ ইম্পোর্ট করার দুটি প্রধান পদ্ধতি আছে:
১. ওয়ার্ডপ্রেস ইম্পোর্টার প্লাগিন ব্যবহার করে
  • ওয়ার্ডপ্রেস ইম্পোর্টার প্লাগিন ইনস্টল করুন: আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ডে যান এবং প্লাগিন (Plugins) -> নতুন যোগ করুন (Add New) ক্লিক করুন। সার্চ বারে "WordPress Importer" টাইপ করুন এবং প্লাগিনটি খুঁজে বের করুন। ইনস্টল এবং সক্রিয় করুন।
  • ইম্পোর্ট পেজে যান: ড্যাশবোর্ডে টুলিজ (Tools) -> ইম্পোর্ট (Import) -> WordPress ক্লিক করুন।
  • XML ফাইল আপলোড করুন: আপনার পোস্ট এবং পেজগুলো একটি XML ফাইলে রয়েছে। এই ফাইলটি আপলোড করুন।
  • লেখক নির্বাচন করুন: আপনার ওয়েবসাইটের কোন ব্যবহারকারী এই পোস্ট এবং পেজগুলোর লেখক হবে তা নির্বাচন করুন।
  • ইম্পোর্ট করুন: "Import" বাটনে ক্লিক করে ইম্পোর্ট প্রক্রিয়া শুরু করুন।
২. ব্যাকআপ ফাইল থেকে ইম্পোর্ট করার পদ্ধতি
  • ব্যাকআপ ফাইল ডাউনলোড করুন: আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকআপ ফাইল ডাউনলোড করুন। এই ফাইলটি সাধারণত .zip ফর্ম্যাটে থাকে।
  • ফাইলটি এক্সট্র্যাক্ট করুন: আপনার কম্পিউটারে ফাইলটি এক্সট্র্যাক্ট করুন।
  • wp-content ফোল্ডার আপলোড করুন: এক্সট্র্যাক্ট করা ফাইলগুলোর মধ্যে wp-content ফোল্ডারটি খুঁজে বের করুন এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটের রুট ডিরেক্টরিতে আপলোড করুন।
  • ডাটাবেস রেস্টোর করুন: আপনার ওয়েবসাইটের ডাটাবেসে ব্যাকআপ ফাইল থেকে ডাটা রেস্টোর করুন। এই প্রক্রিয়াটি আপনার হোস্টিং প্রোভাইডারের cPanel-এ বা phpMyAdmin-এ করা যেতে পারে।
বিঃদ্রঃ:WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
  • XML ফাইল: আপনার পোস্ট এবং পেজগুলো একটি XML ফাইলে রয়েছে। এই ফাইলটি আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকআপ থেকে পাওয়া যেতে পারে বা আপনি একটি প্লাগিন ব্যবহার করে এই ফাইলটি তৈরি করতে পারেন।
  • ডাটাবেস: পোস্ট এবং পেজগুলো আপনার ওয়েবসাইটের ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে। তাই ডাটাবেস রেস্টোর করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
11. SEO বেসিক কনফিগার করা করুন

ওয়ার্ডপ্রেসে SEO বেসিক কনফিগারেশন: একটি ধাপে ধাপে গাইড

SEO অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এটি আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে (SERP) উপরের দিকে আনতে সাহায্য করে। ওয়ার্ডপ্রেসে SEO কনফিগারেশন করা খুব সহজ। আসুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে SEO বেসিক কনফিগারেশন করতে পারেন।
ধাপ ১: একটি ভালো SEO প্লাগিন ইনস্টল করুন
  • Yoast SEO: এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী SEO প্লাগ-ইন। এটি আপনাকে আপনার পোস্ট এবং পেজগুলোকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করতে সাহায্য করে।
  • Rank Math: Yoast SEO-এর একটি ভালো বিকল্প। এটিও অনেক ফিচার সমৃদ্ধ।
ধাপ ২: সাধারণ সেটিংস কনফিগার করুন
  • ওয়েবসাইটের নাম এবং বিবরণ: আপনার ওয়েবসাইটের নাম এবং বিবরণ সঠিকভাবে সেট করুন।
  • হোম পেজ এবং পোস্ট পেজ: কোন পেজকে হোম পেজ এবং কোন পেজকে পোস্ট পেজ হিসেবে ব্যবহার করবেন, তা নির্ধারণ করুন।
  • ক্যানোনিকাল URL: একই কন্টেন্টের দুটি URL থাকলে ক্যানোনিকাল URL নির্ধারণ করে দিন।
ধাপ ৩: পোস্ট এবং পেজ অপটিমাইজ করুন
  • কীওয়ার্ড নির্বাচন: প্রতিটি পোস্ট এবং পেজের জন্য একটি কীওয়ার্ড নির্বাচন করুন এবং সেই কীওয়ার্ডটি টাইটেল, মেটা ডিস্ক্রিপশন, এবং কন্টেন্টে ব্যবহার করুন।
  • টাইটেল এবং মেটা ডিস্ক্রিপশন: প্রতিটি পোস্ট এবং পেজের জন্য একটি আকর্ষণীয় এবং বিবরণমূলক টাইটেল এবং মেটা ডিস্ক্রিপশন লিখুন।
  • কন্টেন্ট: আপনার কন্টেন্টকে স্বাভাবিকভাবে কীওয়ার্ড ব্যবহার করে লিখুন। কন্টেন্ট যত বেশি মানসম্পন্ন হবে, সার্চ ইঞ্জিন তত বেশি আপনার পোস্টকে পছন্দ করবে।
  • ইমেজ অপটিমাইজেশন: ইমেজের আকার কমিয়ে দিন এবং আল্ট টেক্সট দিন।
ধাপ ৪: অন্যান্য সেটিংস
  • পার্মালিঙ্ক: একটি SEO-বান্ধব পার্মালিঙ্ক স্ট্রাকচার নির্বাচন করুন।
  • XML সাইটম্যাপ: একটি XML সাইটম্যাপ তৈরি করুন এবং সার্চ ইঞ্জিনকে সাবমিট করুন।
  • রোবটস.txt ফাইল: রোবটস.txt ফাইলটি কনফিগার করুন।
ধাপ ৫: টেকনিক্যাল SEO
  • ওয়েবসাইটের স্পিড: ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বাড়ানোর জন্য কাজ করুন।
  • মোবাইল ফ্রেন্ডলি: আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি হওয়া জরুরি।
  • সিকিউরিটি: আপনার ওয়েবসাইটকে সুরক্ষিত রাখুন।
বিঃদ্রঃ:
  • নিয়মিত আপডেট: আপনার ওয়েবসাইট এবং প্লাগ-ইনগুলো নিয়মিত আপডেট করুন।
  • গবেষণা: আপনার ক্ষেত্রের প্রতিযোগীদের ওয়েবসাইট দেখুন এবং তাদের কী করছে তা লক্ষ্য করুন।
  • পরীক্ষা: বিভিন্ন সেটিংস পরীক্ষা করে দেখুন এবং কোন সেটিংস আপনার জন্য সেরা ফলাফল দিচ্ছে তা খুঁজে বের করুন।
  • এই গাইডটি শুধুমাত্র একটি বেসিক গাইড। SEO একটি বিস্তৃত বিষয় এবং এতে আরো অনেক কিছু জড়িত।
12. পার্মালিঙ্ক গঠন করুন

ওয়ার্ডপ্রেসে পার্মালিঙ্ক গঠন: একটি বিস্তারিত গাইড

পার্মালিঙ্ক হল আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট বা পেজের একটি স্থায়ী লিঙ্ক। এটি সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য বোধগম্য হওয়া উচিত। একটি ভালো পার্মালিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইটের SEO-কে উন্নত করতে সাহায্য করে।
কেন পার্মালিঙ্ক গঠন গুরুত্বপূর্ণ?
SEO: 
  • সার্চ ইঞ্জিনগুলো কীওয়ার্ড সমৃদ্ধ পার্মালিঙ্ককে পছন্দ করে।
ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা: 
  • একটি পরিষ্কার এবং বোধগম্য পার্মালিঙ্ক ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ করে তোলে।
ব্র্যান্ডিং: 
  • একটি সুসংগত পার্মালিঙ্ক স্ট্রাকচার আপনার ব্র্যান্ডের সঙ্গে মিল রাখতে সাহায্য করে।

ওয়ার্ডপ্রেসে পার্মালিঙ্ক কাস্টমাইজ করার পদ্ধতি

  • ড্যাশবোর্ডে যান: আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ডে লগ ইন করুন।
  • সেটিংসে যান: বাম পাশের মেনু থেকে সেটিংস (Settings) অপশনটি ক্লিক করুন।
  • পার্মালিঙ্ক: পার্মালিঙ্ক (Permalinks) ট্যাবে ক্লিক করুন।
  • স্ট্রাকচার নির্বাচন করুন: এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের পার্মালিঙ্ক স্ট্রাকচার দেখতে পাবেন।
  • সাধারণ: এটি ডিফল্ট স্ট্রাকচার। এটি সর্বাধিক SEO-বান্ধব নয়।
  • পোস্ট নাম: এটি একটি জনপ্রিয় এবং SEO-বান্ধব স্ট্রাকচার। এখানে পোস্টের শিরোনামই পার্মালিঙ্ক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
  • কাস্টম স্ট্রাকচার: এখানে আপনি নিজের পছন্দমতো পার্মালিঙ্ক স্ট্রাকচার তৈরি করতে পারেন।
  • পরিবর্তন সংরক্ষণ করুন: আপনার পছন্দের স্ট্রাকচার নির্বাচন করার পরে পরিবর্তন সংরক্ষণ করুন (Save Changes) বাটনে ক্লিক করুন।
একটি ভালো পার্মালিঙ্ক স্ট্রাকচারের উদাহরণ
/post-name/: এটি একটি সাধারণ এবং SEO-বান্ধব স্ট্রাকচার।
/%category%/%postname%/: এই স্ট্রাকচারে ক্যাটাগরি এবং পোস্টের নাম উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকে।
/%year%/%month%/%postname%/: এই স্ট্রাকচারে বছর, মাস এবং পোস্টের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
  • পুনঃনির্দেশ: যদি আপনি পার্মালিঙ্ক স্ট্রাকচার পরিবর্তন করেন, তাহলে পুরানো পার্মালিঙ্কগুলোকে নতুন পার্মালিঙ্কগুলোতে রিডাইরেক্ট করার ব্যবস্থা করুন।
  • কীওয়ার্ড: পার্মালিঙ্কে আপনার টার্গেট কীওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  • সংক্ষিপ্ত এবং সহজ: পার্মালিঙ্ক যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত এবং সহজ হওয়া উচিত।
  • বিশেষ অক্ষর: বিশেষ অক্ষর ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
একটি ভালো পার্মালিঙ্ক স্ট্রাকচার আপনার ওয়েবসাইটের SEO-কে উন্নত করতে সাহায্য করবে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে আরো সহজে নেভিগেট করতে সাহায্য করবে।
13. মেটা শিরোনাম, মেটা বর্ণনা, এবং আরও অনেক কিছু
মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা: 
  • আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এগুলো সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল পৃষ্ঠায় (SERP) আপনার ওয়েবসাইটের একটি সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ হিসাবে কাজ করে। এই সারসংক্ষেপটি ব্যবহারকারীদের আপনার ওয়েবসাইটে ক্লিক করার জন্য আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে।

মেটা শিরোনাম কি?

মেটা শিরোনাম (Meta title) হল আপনার ওয়েব পেজের শিরোনাম যা সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল পৃষ্ঠায় প্রদর্শিত হয়। এটি সাধারণত সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে নীল রঙে হাইলাইট করা থাকে।

মেটা বর্ণনা কি?

মেটা বর্ণনা হল আপনার ওয়েব পেজের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা যা সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল পৃষ্ঠায় প্রদর্শিত হয়। এটি মেটা শিরোনামের (Meta description) নিচে থাকে এবং আপনার পেজে কী আছে তার একটি সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ দেয়।
কেন মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা গুরুত্বপূর্ণ?
  • সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিং: সার্চ ইঞ্জিনগুলি মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা ব্যবহার করে আপনার পেজের বিষয়বস্তু বুঝতে।
  • ক্লিক-থ্রু রেট: আকর্ষণীয় মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা ব্যবহারকারীদের আপনার ওয়েবসাইটে ক্লিক করতে উৎসাহিত করে।
  • ব্র্যান্ডিং: মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা আপনার ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।

মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা লেখার কিছু টিপস

  • সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট: মেটা শিরোনাম সাধারণত 60 অক্ষরের মধ্যে এবং মেটা বর্ণনা 160 অক্ষরের মধ্যে রাখা উচিত।
  • প্রাসঙ্গিক: মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা পেজের বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত।
  • কীওয়ার্ড: আপনার টার্গেট কীওয়ার্ড মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনায় একবার ব্যবহার করুন।
  • আকর্ষণীয়: মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা যেন ব্যবহারকারীদের ক্লিক করতে উৎসাহিত করে।
  • অনন্য: প্রতিটি পেজের জন্য অনন্য মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা ব্যবহার করুন।
ওয়ার্ডপ্রেসে মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা কীভাবে সেট করবেন?
আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন, তাহলে Yoast SEO বা Rank Math এর মতো একটি SEO প্লাগিন ব্যবহার করে আপনি সহজেই মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা সেট করতে পারবেন। এই প্লাগিনগুলো আপনাকে প্রতিটি পোস্ট এবং পেজের জন্য কাস্টম মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা সেট করার অনুমতি দেয়।
মনে রাখবেন: মেটা শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা আপনার ওয়েবসাইটের সামগ্রিক SEO-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এগুলোকে সাবধানে এবং কৌশলগতভাবে তৈরি করুন।
14. XML সাইটম্যাপ তৈরি
XML সাইটম্যাপ তৈরির ধাপগুলো: একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা
XML সাইটম্যাপ হলো একটি ফাইল যা আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত পৃষ্ঠার একটি তালিকা ধারণ করে। এটি সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে আপনার সাইটের সকল পৃষ্ঠা সহজে খুঁজে বের করতে এবং ক্রল করতে সাহায্য করে।
কেন XML সাইটম্যাপ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ:
  • সার্চ ইঞ্জিন ইনডেক্সিং: সাইটম্যাপ সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার সাইটের নতুন বা আপডেট করা পৃষ্ঠাগুলি দ্রুত খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।
  • বেটার ক্রলিং: সাইটম্যাপ সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার সাইটের গঠন বুঝতে সহায়তা করে এবং এটি কীভাবে ক্রল করতে হবে তা নির্দেশ করে।
  • নতুন পৃষ্ঠাগুলির দ্রুত ইনডেক্সিং: যদি আপনি নতুন পৃষ্ঠা যোগ করেন, তাহলে সাইটম্যাপ সার্চ ইঞ্জিনকে দ্রুত সেই পৃষ্ঠাগুলি খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।
XML সাইটম্যাপ তৈরির ধাপ:
  • সাইটম্যাপের কাঠামো বোঝা:
  • একটি XML সাইটম্যাপে প্রতিটি URL একটি আলাদা লাইনে থাকে।
  • প্রতিটি URL-এর জন্য আপনি অতিরিক্ত তথ্য যোগ করতে পারেন, যেমন:
  • lastmod: পৃষ্ঠাটি শেষ কখন আপডেট করা হয়েছিল।
  • changefreq: পৃষ্ঠাটি কত ঘন ঘন আপডেট হয়।
  • priority: সার্চ ইঞ্জিনের কাছে পৃষ্ঠার গুরুত্ব।
XML সাইটম্যাপ তৈরি:
হাতে তৈরি করা: 
  • আপনি একটি টেক্সট এডিটর ব্যবহার করে নিজেই একটি XML সাইটম্যাপ তৈরি করতে পারেন।
সাইটম্যাপ জেনারেটর ব্যবহার করা: 
  • অনেক ওয়েবসাইট এবং প্লাগিন আছে যা আপনার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে XML সাইটম্যাপ তৈরি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন, তাহলে অনেক প্লাগিন আছে যা আপনার জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করে দিতে পারে।
অনলাইন সাইটম্যাপ জেনারেটর ব্যবহার করা: 
  • অনেক অনলাইন টুল আছে যা আপনার ওয়েবসাইটের URL প্রদান করে একটি XML সাইটম্যাপ তৈরি করতে পারে।
সাইটম্যাপ সাবমিট করা:
Google Search Console: আপনার সাইটম্যাপকে Google Search Console-এ সাবমিট করুন।
Bing Webmaster Tools: আপনার সাইটম্যাপকে Bing Webmaster Tools-এ সাবমিট করুন।
অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন: অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের ওয়েবমাস্টার টুলগুলিতেও আপনার সাইটম্যাপ সাবমিট করুন।
XML সাইটম্যাপের উদাহরণ:
XML
  • <?xml version="1.0" encoding="UTF-8"?>
  • <urlset xmlns="http://www.sitemaps.org/schemas/sitemap/0.9">
  • <url>
  • <loc>https://www.example.com/</loc>
  • <lastmod>2023-11-13</lastmod>
  • <changefreq>monthly</changefreq>
  • <priority>0.8</priority>
  • </url>
  • </urlset>
Use code with caution.
XML সাইটম্যাপ তৈরি করা আপনার ওয়েবসাইটের SEO-কে উন্নত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এটি সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে আপনার সাইটের সকল পৃষ্ঠা খুঁজে বের করতে এবং ক্রল করতে সাহায্য করে।
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে দ্বিধা করবেন না।
15. অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং

অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং পদ্ধতি: আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি শক্তিশালী কৌশল

অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং হল আপনার ওয়েবসাইটের এক পৃষ্ঠা থেকে অন্য পৃষ্ঠায় লিঙ্ক দেওয়ার প্রক্রিয়া। এটি কেবল আপনার ওয়েবসাইটের নেভিগেশনকে সহজ করে দেয় না, বরং এটি সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করে এবং আপনার ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্কিং উন্নত করতে পারে।
কেন অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং গুরুত্বপূর্ণ?
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে: 
  • এটি ব্যবহারকারীদের আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পৃষ্ঠায় সহজে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়।
সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিং বৃদ্ধি করে: 
  • সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করে এবং আপনার ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্কিং উন্নত করে।
পেইজ অথরিটি বাড়ায়: 
  • অভ্যন্তরীণ লিঙ্কগুলি পৃষ্ঠার অথরিটি বাড়াতে সাহায্য করে, যা সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর।
বোট ক্রল করার ক্ষমতা বাড়ায়: 
  • সার্চ ইঞ্জিন বোটগুলিকে আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত পৃষ্ঠা খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং করার উপায়

প্রাসঙ্গিক পৃষ্ঠায় লিঙ্ক দিন: 
  • যে পৃষ্ঠায় আপনি লিঙ্ক দিচ্ছেন, সেই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তুর সাথে লিঙ্কটির বিষয়বস্তু প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত।
অ্যাঙ্কর টেক্সট ব্যবহার করুন: 
  • অ্যাঙ্কর টেক্সট হল সেই শব্দ বা বাক্য যা লিঙ্কের উপর ক্লিক করলে ব্যবহারকারীকে যেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সেই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু বর্ণনা করে।
প্রধান কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন: 
  • আপনার প্রধান কীওয়ার্ডগুলি অ্যাঙ্কর টেক্সট হিসাবে ব্যবহার করুন।
অভ্যন্তরীণ লিঙ্কের গঠন: 
  • অভ্যন্তরীণ লিঙ্কের গঠন সহজ এবং স্বাভাবিক হওয়া উচিত।
নতুন পৃষ্ঠায় লিঙ্ক দিন: 
  • নতুন পৃষ্ঠাগুলিতে লিঙ্ক দিয়ে তাদেরকে আরও দৃশ্যমান করুন।
পুরানো পৃষ্ঠাগুলিকে ভুলে যাবেন না: 
  • পুরানো পৃষ্ঠাগুলিতেও লিঙ্ক দিয়ে তাদেরকে সক্রিয় রাখুন।
অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিংয়ের উদাহরণ
আপনি যদি একটি ব্লগ পোস্ট লিখে থাকেন যেখানে আপনি "ডিজিটাল মার্কেটিং" সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, তাহলে আপনি আপনার অন্য একটি ব্লগ পোস্টে লিঙ্ক দিতে পারেন যেখানে আপনি "সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন" সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। আপনি অ্যাঙ্কর টেক্সট হিসাবে "সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন" বা "SEO" ব্যবহার করতে পারেন।
উদাহরণ:
ডিজিটাল মার্কেটিং হল একটি বিস্তৃত শাখা, এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং টুলস

Google Search Console: আপনার ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ লিঙ্কগুলি পরীক্ষা করতে এবং উন্নত করতে Google Search Console ব্যবহার করতে পারেন।
Ahrefs: Ahrefs একটি SEO টুল যা আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ লিঙ্কগুলি বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।
SEMrush: SEMrush একটি অন্য একটি SEO টুল যা আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ লিঙ্কগুলি বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।
মনে রাখবেন: অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। আপনাকে নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ লিঙ্কগুলি পরীক্ষা করে দেখতে হবে এবং উন্নত করতে হবে।
16. বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ, ছবি Alt ট্যাগ, হেডার ট্যাগ, rel=”কনোনিকাল” ট্যাগ
বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ: ওয়েব পৃষ্ঠার ভিত্তি
ওয়েব পৃষ্ঠা তৈরি করতে এইচটিএমএল (HTML) ব্যবহার করা হয়। এই এইচটিএমএলের বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ রয়েছে, যা ওয়েব পৃষ্ঠার বিভিন্ন উপাদানকে নির্ধারণ করে। আসুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্যাগ সম্পর্কে জেনে নিই:
ছবি Alt ট্যাগ (Alt Tag)
কাজ: ছবিটির একটি বর্ণনা দেয় যা যদি ছবিটি লোড না হয় বা দৃষ্টিহীন ব্যবহারকারীরা যখন ছবিটি দেখেন তখন তাদের কাছে ছবিটি সম্পর্কে ধারণা দেয়।
উদাহরণ: <img src="image.jpg" alt="একটি সুন্দর ফুলের ছবি">
কেন গুরুত্বপূর্ণ:
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): 
  • সার্চ ইঞ্জিনগুলি ছবির Alt ট্যাগের উপর নির্ভর করে ছবির বিষয়বস্তু বুঝতে।
দৃষ্টিহীন ব্যবহারকারী: 
  • স্ক্রিন রিডার এই ট্যাগ ব্যবহার করে ছবির বিষয়বস্তু পড়ে।
এক্সেসিবিলিটি: 
  • সকল ব্যবহারকারীর জন্য ওয়েবসাইটকে আরও অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে।
হেডার ট্যাগ (Header Tag)
  • কাজ: পৃষ্ঠার বিভিন্ন শিরোনাম বা উপশিরোনাম নির্ধারণ করে।
  • উদাহরণ: <h1>, <h2>, <h3>, ইত্যাদি।
  • কেন গুরুত্বপূর্ণ:
  • পৃষ্ঠার গঠন: পৃষ্ঠার গঠনকে আরও সুন্দর এবং বোধগম্য করে তোলে।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): সার্চ ইঞ্জিনগুলি হেডার ট্যাগ ব্যবহার করে পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু বুঝতে পারে।
  • পঠনযোগ্যতা: পৃষ্ঠার বিভিন্ন অংশকে আলাদা করে দেখাতে সাহায্য করে।
  • rel="canonical" ট্যাগ
  • কাজ: সার্চ ইঞ্জিনকে কোন পৃষ্ঠাটিই মূল বা ক্যানোনিকাল পৃষ্ঠা তা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
  • উদাহরণ: <link rel="canonical" href="https://example.com/original-page">
কেন গুরুত্বপূর্ণ:
ডুপ্লিকেট কন্টেন্টের সমস্যা: যখন একই কন্টেন্ট বিভিন্ন URL-এ থাকে, তখন সার্চ ইঞ্জিন কনফিউজ হয়ে যেতে পারে। এই ট্যাগটি সেই সমস্যা সমাধান করে।
সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিং: সার্চ ইঞ্জিন ক্যানোনিকাল পৃষ্ঠাকেই মূল পৃষ্ঠা হিসেবে বিবেচনা করে এবং সেটিকেই র‌্যাঙ্ক করে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ট্যাগ
  • <p>: প্যারাগ্রাফ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
  • <a>: লিঙ্ক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
  • <div>: একটি বিভাগ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
  • <span>: একটি ছোট বিভাগ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
  • <table>: টেবিল তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
  • <ul>: আনঅর্ডারড তালিকা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
  • <ol>: অর্ডারড তালিকা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
এই ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ট্যাগ রয়েছে যা বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
  • HTML
  • <!DOCTYPE html>
  • <html>
  • <head>
  • <title>একটি উদাহরণ</title>
  • </head>
  • <body>
  • <h1>এই হল একটি শিরোনাম</h1>
  • <p>এটি একটি প্যারাগ্রাফ।</p>
  • <img src="image.jpg" alt="একটি সুন্দর ফুলের ছবি">
  • <a href="https://example.com">একটি লিঙ্ক</a>
  • </body>
  • </html>
Use code with caution.
উপরের কোডটি একটি সহজ এইচটিএমএল পৃষ্ঠা তৈরি করে।
17. Robots.txt

Robots.txt: ওয়েব ক্রলারদের নির্দেশনা

Robots.txt হল একটি টেক্সট ফাইল যা আপনার ওয়েবসাইটের ডিরেক্টরি এবং পৃষ্ঠাগুলিতে সার্চ ইঞ্জিন বোট বা ক্রলারদের অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করে। এটি একটি নির্দেশিকা হিসাবে কাজ করে, ক্রলারদেরকে কোন পৃষ্ঠা বা ডিরেক্টরি ইনডেক্স করতে পারে এবং কোনটি করতে পারবে না তা বোঝায়।
কেন Robots.txt ব্যবহার করবেন?
  • গোপনীয়তা রক্ষা: আপনার ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট পৃষ্ঠা বা ডিরেক্টরিগুলিকে গোপন রাখতে পারেন।
  • ক্রলিং সময় হ্রাস: অপ্রয়োজনীয় পৃষ্ঠাগুলিতে ক্রলারদের সময় নষ্ট করতে বাধা দেয়।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিং উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • সার্ভার লোড কমায়: অপ্রয়োজনীয় ক্রলিং কমিয়ে সার্ভার লোড কমায়।
  • Robots.txt ফাইলের বিন্যাস
Robots.txt ফাইলটি একটি সহজ টেক্সট ফাইল, যা সাধারণত আপনার ওয়েবসাইটের রুট ডিরেক্টরিতে অবস্থিত হয়। এতে নির্দেশনার জন্য নির্দিষ্ট সিনট্যাক্স ব্যবহার করা হয়।
  • User-agent: ক্রলারের নাম বা ইউজার এজেন্ট স্ট্রিং নির্দিষ্ট করে।
  • Disallow: ক্রলারকে নির্দিষ্ট URL বা ডিরেক্টরি থেকে বারণ করে।
  • Allow: ক্রলারকে নির্দিষ্ট URL বা ডিরেক্টরি অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেয়।
Robots.txt এর উদাহরণ
  • User-agent: *
  • Disallow: /admin/
  • Disallow: /private/
উপরের উদাহরণে, সব ক্রলারদেরকে /admin/ এবং /private/ ডিরেক্টরিগুলিতে অ্যাক্সেস করতে নিষেধ করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি
ক্রলারদের নাম: বিভিন্ন ক্রলারের নাম বা ইউজার এজেন্ট স্ট্রিং ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ক্রলারদেরকে অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
অনুমতি এবং নিষেধাজ্ঞা: 
  • অনুমতি এবং নিষেধাজ্ঞা নির্দেশনাগুলি সাবধানে ব্যবহার করুন, কারণ অপ্রয়োজনীয় নিষেধাজ্ঞা আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিংকে প্রভাবিত করতে পারে।
sitemap.xml: 
  • আপনার ওয়েবসাইটের সাইটম্যাপ ফাইলটি Robots.txt ফাইলে উল্লেখ করতে পারেন, যাতে ক্রলাররা আপনার ওয়েবসাইটের সব পৃষ্ঠা সহজে খুঁজে পায়।
Robots.txt একটি শক্তিশালী টুল যা আপনার ওয়েবসাইটের ক্রলিং এবং ইনডেক্সিং নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করতে পারেন। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এটি আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিং এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

18. প্রয়োজনীয় ওয়েবপেজগুলো সেটআপ ও সাইট প্রমোট করুন

প্রয়োজনীয় ওয়েবপেজ সেটআপ ও সাইট প্রমোট করার গাইড

একটি ওয়েবসাইট সেটআপ ও প্রমোট করা একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা অনেকগুলি উপাদানের উপর নির্ভর করে। আপনার ওয়েবসাইটের ধরন, লক্ষ্য এবং বাজেটের উপর নির্ভর করে এই প্রক্রিয়াটির বিস্তারিত পদক্ষেপ পরিবর্তিত হতে পারে।
ওয়েবসাইট সেটআপ
1. ডোমেইন নাম ও হোস্টিং কিনুন:
  • ডোমেইন নাম: আপনার ওয়েবসাইটের অনন্য ঠিকানা।
  • হোস্টিং: আপনার ওয়েবসাইট ফাইলগুলো সংরক্ষণ করার জায়গা।
2. ওয়েবসাইট ডিজাইন ও বিকাশ:
  • প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন: ওয়ার্ডপ্রেস, Wix, Squarespace ইত্যাদি।
  • থিম বা টেমপ্লেট: আপনার ওয়েবসাইটের লুক এবং ফিল নির্ধারণ করে।
  • পেজ তৈরি: হোম পেজ, সম্পর্কে, পরিষেবা, ব্লগ ইত্যাদি।
  • কন্টেন্ট লেখা: মানসম্পন্ন এবং অনন্য কন্টেন্ট তৈরি করুন।
3. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO):
  • কীওয়ার্ড গবেষণা: আপনার লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে মানুষ কী সার্চ করে তা খুঁজে বের করুন।
  • ওন-পেজ SEO: টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডিস্ক্রিপশন, হেডিং ট্যাগ ইত্যাদি অপটিমাইজ করুন।
  • অফ-পেজ SEO: ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

ওয়েবসাইট প্রমোশন

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: 
  • ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদিতে আপনার ওয়েবসাইট শেয়ার করুন।
ইমেইল মার্কেটিং: WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
  • ইমেইল নিউজলেটারের মাধ্যমে আপনার পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করুন।
পেইড এডভার্টাইজিং: WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
  • গুগল এডস, ফেসবুক এডস ইত্যাদির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট প্রচার করুন।
কন্টেন্ট মার্কেটিং: 
  • ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স ইত্যাদি তৈরি করে আপনার লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে আরো মানুষকে জানান।
সহযোগিতা: WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
  • অন্য ওয়েবসাইট বা ব্লগারদের সাথে সহযোগিতা করুন।
সফল ওয়েবসাইটের জন্য আরো কিছু টিপস
  • মোবাইল ফ্রেন্ডলি: আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল ডিভাইসে ভালো দেখা উচিত।
  • লোডের গতি: আপনার ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হওয়া উচিত।
  • ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা: আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করা সহজ হওয়া উচিত।
  • বিশ্লেষণ: গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স ট্র্যাক করুন।
এই তথ্যগুলি কেবল একটি সাধারণ গাইড। আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটের প্রয়োজন অনুযায়ী এই পদ্ধতিগুলিকে কাস্টমাইজ করতে হবে।
আপনি যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে নিচের বিষয়গুলি সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন:
  • কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা ভালো?
  • কিভাবে কীওয়ার্ড গবেষণা করব?
  • কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করব?
  • কিভাবে পেইড এডভার্টাইজিং করব?
  • কিভাবে কন্টেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করব?

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আজ WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের WordPress website - ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url