পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল বিষয় নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।

পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল

পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল:
পর্যায় সারণি মনে রাখা একটু কঠিন হতে পারে, তবে কিছু কৌশল ব্যবহার করে তা অনেক সহজ করে তোলা যায়। আসুন কিছু কার্যকর কৌশল জেনে নিই:
১. ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে মনে রাখা:
  • ধাতু, অধাতু, উভয়ধর্মী: প্রথমে ধাতু, অধাতু এবং উভয়ধর্মী মৌলগুলোকে আলাদা করে মনে রাখার চেষ্টা করুন।
  • পর্যায় ও গ্রুপ: একই পর্যায় বা গ্রুপের মৌলগুলোকে একসাথে মনে রাখুন।
  • সম্পর্কিত মৌল: একই গোত্রের বা একই ধর্মবিশিষ্ট মৌলগুলোকে জোড়া করে মনে রাখা যায়।
২. মুখস্ত করার কৌশল:
  • ছন্দ বা গান: মৌলগুলোর নাম দিয়ে ছন্দ বা গান তৈরি করে মনে রাখা যায়।
  • চিত্র বা মানচিত্র: মৌলগুলোর প্রতীক দিয়ে ছবি বা মানচিত্র তৈরি করে মনে রাখা যায়।
  • মনে রাখার টেকনিক: বিভিন্ন মনে রাখার টেকনিক যেমন লোকাসি, অ্যাক্রোনিক ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
৩. পর্যায় সারণির গঠন বুঝতে শেখা:
  • পর্যায় ও গ্রুপের অর্থ: পর্যায় ও গ্রুপ কী বোঝায় তা ভালোভাবে বুঝলে মৌলগুলোর অবস্থান মনে রাখা সহজ হবে।
  • ইলেকট্রন বিন্যাস: ইলেকট্রন বিন্যাস বুঝলে মৌলগুলোর ধর্ম সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
  • পর্যায় সারণির ইতিহাস: পর্যায় সারণির ইতিহাস জানলে এর গঠন বুঝতে সাহায্য পাবে।
৪. অনুশীলন:
  • পর্যায় সারণি দেখে মৌলের নাম বলার চেষ্টা করুন।
  • মৌলের নাম শুনে পর্যায় সারণিতে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
  • বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে অনুশীলন করুন।
৫. অনলাইন সরঞ্জাম ব্যবহার:
  • অনলাইনে পর্যায় সারণি মেমোরাইজেশন গেমস খেলুন।
  • পর্যায় সারণি সম্পর্কিত অ্যাপস ব্যবহার করুন।
  • ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখুন।
  • এছাড়াও আপনি নিজের জন্য উপযুক্ত যে কোনো কৌশল ব্যবহার করতে পারেন।
উদাহরণ:
  • লিথিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম: এই তিনটি মৌলকে "LiNaK" এইভাবে মনে রাখা যায়।
  • ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রোমিন, আয়োডিন: এই চারটি মৌলকে "FClBrI" এইভাবে মনে রাখা যায়।
মনে রাখবেন, ধৈর্য ধরে এবং নিয়মিত অনুশীলন করলে আপনি সহজেই পর্যায় সারণি মনে রাখতে পারবেন।

পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল

  • এগুলো ছিলো পর্যায় সারণির সাধারণ পরিচয়। এবার আসি মৌলগুলোর ব্যাপারে। এতোগুলো মৌলের নাম সহজে মনে রাখা কিন্তু সম্ভব না। কিন্তু পরীক্ষার জন্য হোক বা অন্য যেকোনো কাজে, পর্যায় সারণি -এর মৌলগুলোর নাম ও পর্যায় সারণিতে এদের স্থান মনে রাখা জরুরি। 
  • তবে কিছু পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল আছে যার মাধ্যমে আমরা সহজেই মৌলগুলোর নাম মনে রাখতে পারি। এর মাঝে একটি উপায় হলো ছন্দের মাধ্যমে মৌলগুলোর নাম মনে রাখা। 
  • কবিতা কিংবা গানের ছন্দ মনে রাখা আমাদের জন্য খুবই সহজ কাজগুলোর একটি। হালকা চর্চা করলেই এগুলো সহজে আমাদের মনে পড়ে। 
তাই কিছু ছন্দের মাধ্যমে আমরা পর্যায় সারণির মৌলগুলোর নাম মনে রাখার চেষ্টা করবো।
গ্রুপ ১ – পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল
  • হায় – H – হাইড্রোজেন
  • লি – Li – লিথিয়াম
  • না – Na – সোডিয়াম
  • কে – K – পটাশিয়াম
  • রুবি – Rb – রুবিডিয়াম
  • ছেঁচে – Cs – সিজিয়াম
  • ফেলেছে – Fr – ফ্রানসিয়াম
গ্রুপ ২পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল
  •  বিরিয়ানি – Be – বেরিলিয়াম
  • মোগলাই – Mg – ম্যাগনেসিয়াম
  • কাবাব – Ca – ক্যালসিয়াম
  • সরিয়ে – Sr – স্ট্রোনসিয়াম
  • বাটিতে – Ba – বেরিয়াম
  • রাখো – Ra – রেডিয়াম
গ্রুপ ১৩ – পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল
  • বো – B – বোরন
  • য়াল – Al – অ্যালুমিনিয়াম
  • গেলো – Ga – গ্যালিয়াম
  • ইন্ডিয়া – In – ইনডিয়াম
  • তেও যাই – Ti – থ্যালিয়াম

মৌলের নাম মনে রাখার ছন্দ

গ্রুপ ১৪ – পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল
  • কাল – C – কার্বন
  • সিলেট – Si – সিলিকন
  • গেলে – Ge – জারমেনিয়াম
  • স্বর্ন – Sn – টিন
  • পাবো – Pb – লেড
গ্রুপ ১৫ – পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল
  • নানা – N – নাইট্রোজেন
  • পাটেকার – P – ফসফরাস
  • আসলো – As – আর্সেনিক
  • সব – Sb – অ্যান্টিমনি
  • বিলিয়ে – Bi – বিসমাথ
গ্রুপ ১৬ – পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল
  • ও – O – অক্সিজেন
  • এস – S – সালফার
  • এস সি – Se – সেলেনিয়াম
  • তে – Te – টেলুরিয়াম
  • পড়ে – Po – পোলোনিয়াম
গ্রুপ ১৭ – পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল
  • ফকিরা – F – ফ্লোরিন
  • কালু – Cl – ক্লোরিন
  • বরিসাল থেকে – Br – ব্রোমিন
  • ইস্টিমারে – I – আয়োডিন
  • আসতেসে – At – অ্যাস্টাটিন
গ্রুপ ১৮ – পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল
  • হিলি – He – হিলিয়াম
  • নিয়ন্তা – Ne – নিয়ন
  • আর – Ar – আর্গন
  • কিশোর – Kr – ক্রিপ্টন
  • যাবে – Xe – জেনন
  • রংপুর – Rn – রেডন
পর্যায় ৩ – পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল
  • না – Na – সোডিয়াম
  • মাযে – Mg – ম্যাগনেসিয়াম
  • এসে – Al – অ্যালুমিনিয়াম
  • সিজদায় – Si – সিলিকন
  • পড়ে – P – ফসফরাস
  • সবাই – S – সালফার
  • কালেমা – Cl – ক্লোরিন
  • আওড়ায় – Ar – আর্গন
এভাবেই পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল ব্যবহার করে বিভিন্ন ছন্দের সাথে পড়লে আমরা সহজেই মৌলগুলোর নাম ও কোন পর্যায়ের কোন গ্রুপে আছে তা বলে ফেলতে পারবো।

৩০ টি মৌলের নাম

৩০টি মৌলের নামের তালিকা
পর্যায় সারণি একটি বিশাল সম্পদ, যেখানে সকল মৌলকে তাদের গুণাবলী অনুযায়ী সাজানো হয়েছে। এখানে ৩০টি মৌলের নাম দেওয়া হলো, যেগুলো প্রায়শই আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করি বা শুনি:
প্রথম ২০টি মৌল:
  1. হাইড্রোজেন (H): পানির মূল উপাদান।
  2. হিলিয়াম (He): বেলুন ফোলানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
  3. লিথিয়াম (Li): ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  4. বেরিলিয়াম (Be): ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত হয়।
  5. বোরন (B): কাচ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  6. কার্বন (C): জীবনের ভিত্তি, কয়লা, গ্রাফাইট, হীরক।
  7. নাইট্রোজেন (N): বাতাসের প্রধান উপাদান।
  8. অক্সিজেন (O): শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অত্যাবশ্যক।
  9. ফ্লোরিন (F): দাঁতের পেস্টে ব্যবহৃত হয়।
  10. নিয়ন (Ne): নিয়ন ল্যাম্পে ব্যবহৃত হয়।
  11. সোডিয়াম (Na): রান্নায় ব্যবহৃত লবণের একটি উপাদান।
  12. ম্যাগনেসিয়াম (Mg): পাতার হরিৎদ্রব্যের একটি উপাদান।
  13. অ্যালুমিনিয়াম (Al): বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  14. সিলিকন (Si): কম্পিউটার চিপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  15. ফসফরাস (P): হাড়ের মূল উপাদান।
  16. সালফার (S): গন্ধক, আগুনের কাঠিতে ব্যবহৃত হয়।
  17. ক্লোরিন (Cl): পানি পরিশোধনে ব্যবহৃত হয়।
  18. আর্গন (Ar): আলোর বাল্বে ব্যবহৃত হয়।
  19. পটাসিয়াম (K): কলায় পাওয়া যায়।
  20. ক্যালসিয়াম (Ca): হাড় এবং দাঁতের মূল উপাদান।
পরবর্তী ১০টি মৌল:
  1. স্ক্যান্ডিয়াম (Sc): বিভিন্ন ধাতুর মিশ্রণে ব্যবহৃত হয়।
  2. টাইটানিয়াম (Ti): বিমান এবং জাহাজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  3. ভ্যানাডিয়াম (V): ইস্পাত তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  4. ক্রোমিয়াম (Cr): স্টেইনলেস স্টিল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  5. ম্যাঙ্গানিজ (Mn): ইস্পাত তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  6. লোহা (Fe): ইস্পাত তৈরির মূল উপাদান।
  7. কোবাল্ট (Co): ম্যাগনেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  8. নিকেল (Ni): স্টেইনলেস স্টিল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  9. তামা (Cu): তামার তার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  10. জিন্ক (Zn): পিতল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
মনে রাখবেন: এই তালিকাটি শুধুমাত্র একটি উদাহরণ। পর্যায় সারণিতে আরো অনেক মৌল রয়েছে।

পর্যায় সারণি ছবি pdf

পর্যায় সারণি ছবি PDF: একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা
পর্যায় সারণি রসায়নের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। এটি মৌলগুলোকে তাদের ধর্ম অনুযায়ী সাজানোর একটি চার্ট। একটি ভালো মানের পর্যায় সারণির ছবি PDF ফরম্যাটে থাকলে তা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। যেমন:
  • শিক্ষা: শিক্ষকরা ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের শেখানোর জন্য এই ছবি ব্যবহার করতে পারেন।
  • অধ্যয়ন: ছাত্রছাত্রীরা নিজেরা পড়াশোনা করার সময় এই ছবি ব্যবহার করতে পারে।
  • তথ্যসূত্র: বিজ্ঞানীরা, গবেষকরা এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা তাদের কাজে এই ছবি ব্যবহার করতে পারেন।
পর্যায় সারণির ছবি PDF কোথা থেকে পাবেন?
আপনি বিভিন্ন সোর্স থেকে পর্যায় সারণির ছবি PDF ফরম্যাটে পেতে পারেন:
  • ইন্টারনেট: গুগল, বিং, ইয়াহু ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিনে "পর্যায় সারণি ছবি PDF" লিখে সার্চ করলে অনেক ফলাফল পাবেন।
  • রসায়ন বই: বিভিন্ন রসায়ন বইয়ে পর্যায় সারণির ছবি দেওয়া থাকে।
  • শিক্ষা ওয়েবসাইট: অনেক শিক্ষা ওয়েবসাইটে পর্যায় সারণির ছবি PDF ফরম্যাটে ডাউনলোড করার জন্য দেওয়া থাকে।
পর্যায় সারণির ছবি PDF বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন:
গুণমান: ছবিটি পরিষ্কার এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত।
তথ্য: ছবিতে মৌলের নাম, প্রতীক এবং পারমাণবিক সংখ্যা সঠিকভাবে উল্লেখ করা থাকতে হবে।
আকার: ছবিটি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আকারের হওয়া উচিত।
ভাষা: আপনি যে ভাষায় পর্যায় সারণি পড়তে চান, সেই ভাষায় ছবিটি থাকা উচিত।
পর্যায় সারণির ছবি PDF ব্যবহারের উপায়:
  • প্রিন্ট করে ব্যবহার: আপনি ছবিটি প্রিন্ট করে দরকার মতো ব্যবহার করতে পারেন।
  • ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যবহার: আপনি ছবিটি আপনার কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা মোবাইলে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারেন।
  • পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে ব্যবহার: আপনি ছবিটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে ব্যবহার করে আপনার উপস্থাপনা আরও আকর্ষণীয় করতে পারেন।

পারমানবিক সংখ্যা 89-112এর মৌল

বিজ্ঞানের পর্যায় সারণি একটি জটিল ও কঠিন প্রক্রিয়া। ছাত্রীর প্রতিটি মৌল সঠিকভাবে ছন্দের মাধ্যমে মনে রাখার কৌশল নিয়ে আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকে পারমানবিক সংখ্যা 89-112এর মৌল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
“আখির ছেলে রাফি ডুবাই সাগরে ভেসে হাফেজ আর মতিকে দেশে রেগে চিনেছে”
যেই মৌলগুলো indicate করে= Ac Rf Db Sg Bh Hs Mt Ds Rg Cn
  • Ac =Actinium (অ্যাকটিনাইড সিরিজ )
  • Rf =Rutherfordium (রাদারফোর্ডিয়াম)
  • Db =Dubnium(ডুবনিয়াম)
  • Sg =Seoborgium(সিওবোগিয়াম)
  • Bh =Bohrium(বোহরিয়াম)
  • Hs = Hassium(হ্যাসিয়াম )
  • Mt =Metnerium(মিটনেরিয়াম)
  • Ds =Damstadium(ডামস্টেডিয়াম)
  • Rg =Roentgenium(রন্টজেনিয়াম)
  • Cn=Copemicium(কপারনিসিয়াম)

হ্যালোজেন মৌল মনে রাখার কৌশল কী?

বিজ্ঞানের পর্যায় সারণি একটি জটিল ও কঠিন প্রক্রিয়া। ছাত্রীর প্রতিটি মৌল সঠিকভাবে ছন্দের মাধ্যমে মনে রাখার কৌশল নিয়ে আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকে হ্যালোজেন মৌল মনে রাখার কৌশল কী? নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
আপনি মনে রাখার জন্য এই সূত্র মনে রাখতে পারেন: ফখরুলের ক্লোনটি বড়ই ইডি য়েট
  •  ফখরুলের – F – Florin (ফ্লোরিন)
  • ক্লোনটি – Cl – Chlorine (ক্লোরিন)
  • বড়ই – Br – Bromine (ব্রোমিন)
  • ইডি – I – Iodine (আয়োডিন)
  • য়েট – At – Astatine (অ্যাস্টেটাইন

পর্যায় সারণি পারমাণবিক ভর মনে রাখার কৌশল

পর্যায় সারণির পারমাণবিক ভর মনে রাখার কৌশল
পর্যায় সারণির সমস্ত মৌলের পারমাণবিক ভর মুখস্থ করা কঠিন কাজ। তবে, কিছু কৌশল ব্যবহার করে আপনি এই কাজটি অনেক সহজ করে তুলতে পারেন:
১. মৌলগুলোকে গ্রুপে ভাগ করে মনে রাখা:
  • আলকালি ধাতু: লিথিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি।
  • ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু: বেরিলিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।
  • হ্যালোজেন: ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রোমিন, আয়োডিন ইত্যাদি।
  • নোবেল গ্যাস: হিলিয়াম, নিয়ন, আর্গন ইত্যাদি।
এই গ্রুপগুলোর মৌলগুলোর পারমাণবিক ভরের মধ্যে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা থাকে। এই ধারাবাহিকতা খুঁজে বের করে আপনি সহজে পারমাণবিক ভর মনে রাখতে পারবেন।
২. ছন্দ বা গান:
মৌলের নাম ও পারমাণবিক ভর দিয়ে ছন্দ বা গান তৈরি করে মনে রাখা যায়।
উদাহরণস্বরূপ: হাইড্রোজেন এক, হিলিয়াম দুই, লিথিয়াম তিন... ইত্যাদি।
৩. চার্ট বা টেবিল:
  • একটি চার্ট বা টেবিল তৈরি করে মৌলের নাম ও পারমাণবিক ভর লিখে রাখুন।
  • নিয়মিত এই চার্টটি দেখুন এবং মনে করার চেষ্টা করুন।
৪. মনে রাখার কৌশল:
  • লোকাসি: বিভিন্ন স্থানের সাথে মৌলগুলোকে যুক্ত করে মনে রাখা।
  • অ্যাক্রোনিক: মৌলের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে একটি শব্দ তৈরি করে মনে রাখা।
৫. অনলাইন সরঞ্জাম:
  • অনলাইনে পর্যায় সারণি মেমোরাইজেশন গেমস খেলুন।
  • পর্যায় সারণি সম্পর্কিত অ্যাপস ব্যবহার করুন।
৬. পর্যায় সারণির গঠন বুঝতে শেখা:
  • পর্যায় ও গ্রুপ কী বোঝায় তা ভালোভাবে বুঝলে পারমাণবিক ভরের পরিবর্তন বোঝা সহজ হবে।
৭. অনুশীলন:
  • নিয়মিত পর্যায় সারণি দেখে মৌলের নাম ও পারমাণবিক ভর বলার চেষ্টা করুন।
  • বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে অনুশীলন করুন।
  • মনে রাখবেন, ধৈর্য ধরে এবং নিয়মিত অনুশীলন করলে আপনি সহজেই পর্যায় সারণির

পর্যায় সারণি চার্ট বাংলা

পর্যায় সারণি চার্ট: বাংলায় একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা
পর্যায় সারণি হল রসায়নের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। এটি মৌলগুলোকে তাদের ধর্ম অনুযায়ী সাজানোর একটি চার্ট। বাংলা ভাষায় পর্যায় সারণি চার্টের মাধ্যমে আপনি সহজেই মৌলগুলোর বিভিন্ন তথ্য যেমন- পারমাণবিক সংখ্যা, প্রতীক, ইলেকট্রন বিন্যাস ইত্যাদি জানতে পারবেন।
পর্যায় সারণি চার্টের গঠন:
একটি পর্যায় সারণি চার্টে সাধারণত নিম্নলিখিত তথ্য থাকে:
  • মৌলের নাম: প্রতিটি ঘরে একটি মৌলের নাম থাকে।
  • মৌলের প্রতীক: প্রতিটি মৌলের একটি সংক্ষিপ্ত রাসায়নিক প্রতীক থাকে।
  • পারমাণবিক সংখ্যা: প্রতিটি মৌলের নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা।
  • পারমাণবিক ভর: প্রতিটি মৌলের একটি পরমাণুর গড় ভর।
  • ইলেকট্রন বিন্যাস: প্রতিটি মৌলের ইলেকট্রনগুলো পরমাণুর কক্ষপথে কীভাবে বিন্যস্ত থাকে, তা দেখায়।
পর্যায় সারণি চার্ট ব্যবহারের উপকারিতা:
  • মৌলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বোঝা: পর্যায় সারণি চার্টের মাধ্যমে মৌলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝা যায়।
  • রাসায়নিক বিক্রিয়া বোঝা: রাসায়নিক বিক্রিয়া কীভাবে হয়, তা বোঝার জন্য পর্যায় সারণি চার্ট খুবই উপকারী।
  • নতুন মৌল আবিষ্কার: নতুন মৌল আবিষ্কারের ক্ষেত্রে পর্যায় সারণি চার্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • শিক্ষা: শিক্ষার্থীদের জন্য রসায়ন শেখার একটি দৃশ্যমান সরঞ্জাম হিসেবে কাজ করে।
পর্যায় সারণি চার্টের বিভিন্ন ধরন:
পর্যায় সারণি চার্টের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
  • দীর্ঘ রূপ: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের পর্যায় সারণি চার্ট।
  • সংক্ষিপ্ত রূপ: এটি দীর্ঘ রূপের একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ।
  • ব্লক রূপ: এটি মৌলগুলোকে তাদের ইলেকট্রন বিন্যাসের ভিত্তিতে বিভিন্ন ব্লকে ভাগ করে দেখায়।
পর্যায় সারণি চার্ট কোথায় পাবেন?
আপনি বিভিন্ন সোর্স থেকে পর্যায় সারণি চার্ট পেতে পারেন:
রসায়ন বই: 
  • বিভিন্ন রসায়ন বইয়ে পর্যায় সারণি চার্ট দেওয়া থাকে।
ইন্টারনেট: 
  • গুগল, বিং, ইয়াহু ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিনে "পর্যায় সারণি চার্ট" লিখে সার্চ করলে অনেক ফলাফল পাবেন।
শিক্ষা ওয়েবসাইট: 
  • অনেক শিক্ষা ওয়েবসাইটে পর্যায় সারণি চার্ট ডাউনলোড করার জন্য দেওয়া থাকে।
  • পর্যায় সারণি চার্ট ব্যবহার করে আপনি রসায়ন বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল ছন্দ

পর্যায় সারণি মনে রাখার ছন্দাবদ্ধ কৌশল
পর্যায় সারণি মনে রাখা অনেকের কাছেই একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ মনে হয়। তবে ছন্দবদ্ধ করে মৌলগুলোর নাম মনে রাখলে এই কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। আসুন কিছু ছন্দবদ্ধ কৌশল দেখে নেওয়া যাক:
কেন ছন্দ?
  • মনে রাখা সহজ: ছন্দ মস্তিষ্ককে তথ্য সহজে মনে রাখতে সাহায্য করে।
  • আকর্ষণীয়: ছন্দবদ্ধ পড়া শেখাটাকে আরো মজাদার করে তোলে।
  • দীর্ঘস্থায়ী: ছন্দে মুখস্ত করা তথ্য দীর্ঘদিন মনে থাকে।
কিছু উদাহরণ:
১. হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, লিথিয়াম:
হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, লিথিয়াম,
তিন বন্ধু একসাথে।
হাইড্রোজেন সবচেয়ে ছোট,
হিলিয়াম উড়ে যায় বাতাসে।
২. কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন:
কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন,
জীবনের জন্য প্রয়োজন।
কার্বন কয়লায় পাওয়া যায়,
নাইট্রোজেন বাতাসে থাকে।
৩. সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম:
সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম,
তিন ভাই একসাথে।
সোডিয়াম পানিতে ফোটে,
ম্যাগনেসিয়াম আলো জ্বালায়।
আপনিও তৈরি করুন:
  • নিজস্ব ছন্দ: আপনিও নিজের পছন্দের মৌলগুলো নিয়ে ছন্দ তৈরি করতে পারেন।
  • গানের সুর: কোনো পরিচিত গানের সুরে মৌলগুলোর নাম বসিয়ে গাইতে পারেন।
  • চিত্র: মৌলগুলোর সাথে ছবি যুক্ত করে মনে রাখা আরো সহজ হবে।
  • ছোট ছোট গ্রুপ: অনেক মৌল একসাথে মনে রাখার চেয়ে ছোট ছোট গ্রুপ করে মনে রাখা ভালো।
  • প্রতিদিন পড়া: নিয়মিত পড়লে মনে রাখা সহজ হবে।
  • বন্ধুদের সাথে শেয়ার: বন্ধুদের সাথে মিলে মিলে পড়লে আরো মজা আসবে।
  • অনলাইনে সাহায্য: ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে যেখানে পর্যায় সারণি মনে রাখার বিভিন্ন কৌশল দেখানো হয়েছে।
মনে রাখবেন: ছন্দবদ্ধ কৌশলটি শুধু মৌলের নাম মনে রাখতে সাহায্য করে। পর্যায় সারণির গঠন, মৌলগুলোর ধর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আপনাকে পাঠ্যবই এবং অন্যান্য সূত্রের সাহায্য নিতে হবে।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আজ পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url