সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন বিষয় নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন নিয়ে আলোচনা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।

সিএমসি হাসপাতাল খরচ

সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ: একটি বিস্তারিত আলোচনা - সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন?
সিএমসি ভেলোর হল ভারতের অন্যতম সেরা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি এবং বিশ্বব্যাপী রোগীদের কাছে জনপ্রিয়। হাসপাতালটি বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। তবে, অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে, সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ কত?
সিএমসি হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ কীভাবে নির্ধারিত হয়?
সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন:
রোগের ধরন: সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন
  • রোগের জটিলতা এবং চিকিৎসার ধরন অনুযায়ী খরচ ভিন্ন হতে পারে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা: 
  • বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য খরচ হয়।
ঔষধ: সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন
  • ব্যবহৃত ঔষধের ধরন এবং পরিমাণ অনুযায়ী খরচ হয়।
হাসপাতালে ভর্তির দৈনিক খরচ: 
  • হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়কাল এবং রুমের ধরন অনুযায়ী খরচ হয়।
শল্য চিকিৎসা (যদি প্রয়োজন হয়): 
  • শল্য চিকিৎসার ধরন এবং জটিলতা অনুযায়ী খরচ হয়।
অন্যান্য সেবা: সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন
  • ফিজিওথেরাপি, অক্সিজেন সাপ্লাই ইত্যাদি সেবার জন্য অতিরিক্ত খরচ হতে পারে।

সিএমসি হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ কত হতে পারে

সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ খুবই পরিবর্তনশীল হতে পারে। একটি সাধারণ পরীক্ষা থেকে শুরু করে জটিল শল্য চিকিৎসা পর্যন্ত, খরচের পরিমাণ অনেকগুণ ভিন্ন হতে পারে।
সাধারণ পরীক্ষা: 
  • সাধারণত কয়েক হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
শল্য চিকিৎসা: 
  • শল্য চিকিৎসার ধরন এবং জটিলতা অনুযায়ী খরচ কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ কমানোর উপায়:
আগে থেকে বাজেট তৈরি করুন: 
  • চিকিৎসার আগে একটি বাজেট তৈরি করুন এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন।
বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে তুলনা করুন: 
  • অন্যান্য হাসপাতালের সাথে সিএমসি হাসপাতালের খরচ তুলনা করে দেখুন।
বিমা কভারেজ: 
  • যদি আপনার কোনো স্বাস্থ্য বিমা থাকে, তাহলে তা ব্যবহার করুন।
হাসপাতালের সাথে আলোচনা করুন: 
  • হাসপাতালের সাথে আলোচনা করে দেখুন, হয়তো তারা আপনাকে কোন ধরনের ছাড় দিতে পারে।
সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার আগে করণীয়:
অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন: 
  • আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে না।
সব ধরনের ডকুমেন্টস সঙ্গে রাখুন: 
  • আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্টের স্লিপ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সঙ্গে রাখুন।
মুদ্রা বিনিময় করুন: সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন
  • ভারতে ভ্রমণের জন্য ভারতীয় মুদ্রা (রুপি) প্রয়োজন হবে।
হোটেল বুক করুন: 
  • আগে থেকে হোটেল বুক করে নিলে আপনাকে হোটেল খুঁজতে সমস্যা হবে না।
বিঃদ্রঃ:
  • সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ নিয়মিত পরিবর্তিত হতে পারে।
  • সঠিক তথ্যের জন্য সিএমসি হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করুন।

CMC Vellore সেরা নিউরোলজিস্ট ডাক্তার তালিকা

CMC ভেলোরের সেরা নিউরোলজিস্ট ডাক্তারদের তালিকা: একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা
দুর্ভাগ্যবশত, আমি আপনাকে CMC ভেলোরের সেরা নিউরোলজিস্ট ডাক্তারদের একটি সুনির্দিষ্ট এবং আপডেট করা তালিকা প্রদান করতে পারব না। এর কারণ হল:
চিকিৎসকদের পরিবর্তন: 
  • হাসপাতালে চিকিৎসকদের যোগদান ও বিদায় একটি চলমান প্রক্রিয়া।
বিশেষজ্ঞতা: 
  • নিউরোলজি একটি বিস্তৃত বিষয় এবং একজন নিউরোলজিস্টের বিশেষজ্ঞতা অন্য একজনের থেকে ভিন্ন হতে পারে।
রোগীর নির্দিষ্ট চাহিদা: 
  • কোন ডাক্তার আপনার জন্য সেরা হবে তা আপনার নির্দিষ্ট চাহিদা, রোগের ধরন এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করবে।
তবে, আমি আপনাকে কীভাবে সঠিক ডাক্তার খুঁজে পাবেন সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দিতে পারি:
আপনি যদি আপনার সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন ডাক্তারকে দেখাতে চান তাহলে আপনার কি সমস্যা এবং কি কারণে আপনি আপনার সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন ডাক্তারকে দেখাতে চাচ্ছেন তা ঠিক করে সিরিয়াল দেওয়া উচিত। সঠিক সময়ে সিরিয়াল দিয়ে সঠিক সময়ে ডাক্তারের চেম্বারে উপস্থিত থেকে সেবা গ্রহণ করা উচিত। পাশাপাশি ডাক্তার যদি আপনার কোন পরীক্ষার বা রিপোর্ট করার জন্য দিয়ে থাকে তাহলে তা যথা সময়ে পরীক্ষা করে ডাক্তারকে রিপোর্টটি দেখানো উচিত।
CMC ভেলোরের সেরা নিউরোলজিস্ট খুঁজে পাওয়ার উপায়:
CMC ভেলোরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট:
  • সবচেয়ে ভালো উৎস হল CMC ভেলোরের নিজস্ব ওয়েবসাইট। এখানে আপনি বিভিন্ন বিভাগ এবং সেখানে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
CMC Vellore Official Website
ডাক্তারের নাম ও বিশেষজ্ঞতা দিয়ে সার্চ: 
  • আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট বিশেষজ্ঞের নাম জানেন, তাহলে তাঁর নাম দিয়ে সার্চ করতে পারেন। অনেক ডাক্তারের নিজস্ব ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থাকে।
সিএমসি ভেলোরের পেটেন্ট পোর্টাল: 
  • যদি আপনি ইতিমধ্যে সিএমসিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাহলে পেটেন্ট পোর্টালের মাধ্যমে আপনার চিকিৎসকের বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।
হাসপাতালে যোগাযোগ: 
  • সরাসরি হাসপাতালে ফোন করে বা ইমেইল করে আপনি যে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করতে চান, তাঁর সম্পর্কে জানতে পারেন।
অনলাইন রিভিউ: 
  • অনলাইনে ডাক্তারদের সম্পর্কে বিভিন্ন রিভিউ পাওয়া যায়। তবে, সব রিভিউই সঠিক হতে হবে এমন নয়।

একটি ভালো নিউরোলজিস্টকে কীভাবে চিনবেন?

অভিজ্ঞতা: 
  • ডাক্তারের কত বছরের অভিজ্ঞতা আছে?
বিশেষজ্ঞতা: 
  • ডাক্তারের বিশেষজ্ঞতা আপনার রোগের সাথে মিলে যায় কি?
শিক্ষাগত যোগ্যতা: 
  • ডাক্তারের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?
রোগীর সাথে আচরণ: 
  • ডাক্তার রোগীর সাথে কেমন আচরণ করেন?
অন্যান্য রোগীর রিভিউ: 
  • অন্যান্য রোগীরা ডাক্তারের সম্পর্কে কী বলে?
ভেলোরে যাওয়ার আগে করণীয়:
অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন: 
  • আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে না।
সব ধরনের ডকুমেন্টস সঙ্গে রাখুন: 
  • আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্টের স্লিপ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সঙ্গে রাখুন।
মুদ্রা বিনিময় করুন: 
  • ভারতে ভ্রমণের জন্য ভারতীয় মুদ্রা (রুপি) প্রয়োজন হবে।
হোটেল বুক করুন: 
  • আগে থেকে হোটেল বুক করে নিলে আপনাকে হোটেল খুঁজতে সমস্যা হবে না।
  • আপনার জন্য সেরা নিউরোলজিস্টকে খুঁজে পেতে এই তথ্যগুলি আপনাকে সাহায্য করবে।
Disclaimer: 
এই তথ্য কেবল তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং এটি কোনও চিকিৎসা পরামর্শ হিসাবে বিবেচিত হবে না। কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
সিএমসি ভেলোর নিউরোলজি ডাক্তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট
  • সিএমসি ভেলোর নিউরোলজি ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট: একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা
  • সিএমসি ভেলোর হল ভারতের অন্যতম সেরা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি এবং নিউরোলজি বিভাগে এর খ্যাতি বিশেষ। যদি আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ নিউরোলজিকাল সমস্যায় ভুগছেন এবং সিএমসি ভেলোরে চিকিৎসা করাতে চান, তাহলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া প্রথম পদক্ষেপ।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার উপায়:
1. অনলাইনে:
সিএমসি ভেলোরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: সবচেয়ে সহজ উপায় হল সিএমসি ভেলোরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে। এখানে আপনি নিউরোলজি বিভাগে গিয়ে বিভিন্ন ডাক্তারদের দেখতে পাবেন এবং তাদের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তৃতীয় পক্ষের হেলথ পোর্টাল: Practo, Docprime ইত্যাদি ওয়েবসাইটগুলোতেও আপনি সিএমসি ভেলোরের ডাক্তারদের খুঁজে পেতে পারেন এবং অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন।
2. টেলিফোনে:
সিএমসি ভেলোরের হেল্পলাইন নম্বরে কল করুন: হাসপাতালের হেল্পলাইন নম্বরে কল করে আপনি নিউরোলজি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অনুরোধ করতে পারেন।
3. সরাসরি হাসপাতালে যাওয়া:
আপনি সরাসরি হাসপাতালে গিয়েও নিউরোলজি বিভাগে যোগাযোগ করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন।
অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় প্রয়োজনীয় তথ্য:
  • রোগীর নাম, বয়স, এবং যোগাযোগের তথ্য: মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি ইত্যাদি।
  • রোগের বিস্তারিত তথ্য: রোগের ধরন, লক্ষণ, কতদিন ধরে এই সমস্যা হচ্ছে ইত্যাদি।
  • আগে করা কোনো পরীক্ষার রিপোর্ট: যদি আগে কোনো পরীক্ষা করা হয়ে থাকে, তাহলে সেই রিপোর্টগুলি সঙ্গে রাখুন।
অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
  • অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণ: আপনার সুবিধামতো সময় নির্ধারণ করার চেষ্টা করুন।
  • সঠিক তথ্য প্রদান করুন: ডাক্তারকে সঠিক তথ্য প্রদান করুন যাতে তিনি আপনার রোগের সঠিক চিকিৎসা করতে পারেন।
  • সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছান: অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছান।
  • সব ধরনের ডকুমেন্টস সঙ্গে রাখুন: আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্টের স্লিপ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সঙ্গে রাখুন।
বিঃদ্রঃ:
সিএমসি ভেলোরে রোগীর ভিড় থাকতে পারে, তাই আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া জরুরি।
ভারতীয় মুদ্রা (রুপি) সঙ্গে রাখুন।
হাসপাতালের নিয়মাবলী মেনে চলুন।

কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন?

  • ভেলোর রয়েছে ভারতের বিখ্যাত সিএমসি হাসপাতাল। হাসপাতালের মান ও সেবা একেবারেই বিশ্বমানের কিন্তু চিকিৎসা খরচ তুলনামূলক অনেক কম। এটি খ্রিস্টান মিশনারী পরিচালিত একটি অলাভজনক হাসপাতাল। আমার হিসেবে জটিল অপারেশনে বাংলাদেশের একটি ভাল মানের প্রাইভেট হাসপাতালে যে খরচ হয় প্রায় একই খরচে আপনার ভ্যলরে ট্রান্সপোর্ট, থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা সব খরচই হয়ে যাবে। 
  • কিন্তু চিকিৎসা পাবেন বিশ্ব মানের। হাসপাতালের প্রায় ৩৫ ভাগ বাংলাদেশী রোগী। অনেক রোগীকে দেখেছি সিএমসিতে গিয়ে প্রমান হয়েছে দেশে তারা ভুল চিকিৎসা বা ভুল ডায়াগনসিসের শিকার হয়েছিলেন। 
  • তাই আপনার রোগ ও চিকিৎসার যথার্থতাও নিশ্চিত হতেও সিএমসিতে একবার দেখিয়ে আসতে পারেন।ভৌগলিক অবস্থানঃদক্ষিন ভারতের রাজ্য তামিলনাডু। বাংলাদেশ হতে পশ্চিমবঙ্গ, ওডিসা, অন্ধপ্রদেশ, তেলুগু রাজ্য পার হয়ে তারপর তামিলনাডু রাজ্য।
রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই যা পূর্বে মাদ্রাজ নামে পরিচিত ছিল। চেন্নাইতে রয়েছে দুইটি বিখ্যাত হাসপাতাল। চেন্নাই এ্যাপোলো এবং রামচন্দ্র হাসপাতাল। চেন্নাই হতে ১৩৩ কিঃমিঃ দূরে একটি জেলা শহর ভ্যালর। ভ্যালরেও রয়েছে বিখ্যাত দুইটি হাসপাতাল। 
  • সিএমসি হাসপাতাল এবং নারায়নী হাসপাতাল।তামিলনাডুর কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন?সিএমসি, নারায়নী,চেন্নাই এ্যাপোলো এবং রামচন্দ্র চারটি বিখ্যাত হাসপাতাল রয়েছে তামিলনাডু রাজ্যে। আমার মতে যাদের সময় ও ধৈয্য আছে তারা চিকিৎসা করাবেন সিএমসিতে। 
  • সিএমসিতে চিকিৎসা বিশ্বমানের কিন্তু রোগীর আধিক্যের কারনে ডাক্তারের এ্যাপয়েন্টমেন্ট থেকে শুরু করে সবকিছুতেই সময় বেশি নিবে, লাইনে দাড়াতে হবে, ওয়েটিং রুমে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হবে।
  • যাদের সময় কিংবা ধৈয্য কম কিন্তু টাকা আছে তাদের সাজেস্ট করব চেন্নাই এ্যাপোলোতে চিকিৎসা করতে। আর যাদের সময়, ধৈয্য এবং টাকা সবই কম তাদের বলব শ্রি রামচন্দ্র বা নারায়নী হাসপাতালে চিকিৎসা করতে। 
  • দুইটির মধ্যে শ্রি রামচন্দ্র হাসপাতালকে আমি এগিয়ে রাখব। মনে রাখবেন, শ্রি রামচন্দ্র বা নারায়নী হাসপাতালে দুটিই মান ও সেবায় বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোর তুলনায় অনেক অগ্রগামী কিন্তু খরচে বাংলাদেশের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর তুলনায় কম।
কিভাবে যাবেন?
  • ১।ঢাকা-চেন্নাইঃ ঢাকা হতে সরাসরি বিমানে চেন্নাই যেতে পারেন। ভাড়া জন প্রতি ১৫০০০-১৮০০০ টাকা। 
  • ২। ঢাকা-কলকাতাঃ বাস (এসি)- ২০০০-২৫০০ টাকা বাস (নন-এসি) – ১০০০-১৪০০ টাকা ট্রেনঃ ৩৫০০ বিমানঃ বাংলাদেশ বিমান-৭,০০০+- টাকা জেট এয়ার ৭১০০+- এয়ার ইন্ডিয়া ৭১০০+- (কিছু কম বেশি হতে পারে) 
  • ৩। কলকাতা – চেন্নাই ট্রেনঃ জেনারেল টিকেট ভাড়া থ্রি টায়ার এসি – ৩২০০+- টাকা, ননএসি- ১৮০০+- টাকা। ২৭-৩০ ঘন্টা জার্নি। বিমানঃ ৬০০০-৮০০০ টাকা (কিছু কম বেশি হতে পারে)। প্রায় ২:৩০ ঘন্টার জার্নি।
  • ৪। চেন্নাই – ভ্যালরঃ টেক্সি ক্যাব রিজার্ভ – নন এসিঃ ১৮০০-২০০০ রুপি, এসিঃ ২২০০-২৫০০ রুপি রেলঃ ভাড়া ২০০ রুপি বাসঃ ভাড়া ১৫০-২০০ রুপি ।
  •  চেন্নাই হতে ভ্যালর যাত্রায় রেলে অনেক ভীড় হয় এমনকি বসার সিটও পাওয়া যায় না। তাই টেক্সি ক্যাব বা বাসে যাওয়াই ভাল। কলকাতা-চেন্নাই ট্রেনের টিকেট বাংলাদেশের বিশ্বস্ত ট্রাভল এজেন্টদের কাছ থেকে নেওয়াই ভাল। কলকাতায় যাওয়ারপর টিকেট নাও পেতে পারেন। তাছাড়া কলকাতায় গিয়ে টিকেটের জন্য ২/১ দিন স্টে করে মূল্যবান সময় নস্ট ও অতিরিক্ত খরচ কেন করবেন? 
  • আমি ট্রাভল এজেন্টদের মাধ্যমেই ট্রেনের টিকেট করেছিলেম। কলকাতায় গিয়ে এক রাতও হোটেলে থাকতে হয়নি। কলকাতা-কাটপাডি ও সরাসরি ট্রেনে যাওয়া যায়। ভাড়া প্রায় একই। সময় ২৮-৩২ ঘন্টা। কিন্তু টিকেট পেতে হলে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বুক করে রাখা ভাল।কাটপাডি মানে ভেলরের রেল ষ্টেশন। 
  • রেল ষ্টেষন থেকে সিএমসি পর্যন্ত অটো ভাড়া ১০০-১৫০ রুপি। কাটপাডি স্টেশন হতে বাসেও সিএমসি যেতে পারেন। ভাড়া মাত্র ৫ রুপি।
কোথায় থাকবেন? 
  • সিএমসি এর আশে পাশেই অসংখ্য হোটেল, লজ পাবেন। লজগুলোতে পাবেন রান্নার সুবিধা এবং রুম ভাড়াও তুলনামূলক কম। নন-এসি ২৫০ হতে ৪০০ রুপি। 
  • বেশিরভাগ লজগুলোই ভ্যাপসা গন্ধ, পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের অভাব রয়েছে।আর আপনার সঙ্গী হিসেবে রুমগুলোতে পাবেন ছাড়পোকা। তবে পরিস্কার-পরচ্ছন্ন, আলো-বাতাসযুক্ত এবং ছারপোকামুক্ত রুম নিতে চাইলে ডাবল রুমের জন্য বাজেট সামান্য বাড়াতে হবে। 
  • মিনিমাম তিন দিনের জন্য রুম ভাড়া নিতে হয়। আমার অপিনিয়ন হলো প্রথমে বেশি টাকা দিয়ে একটি ভাল হোটেলে উঠে পড়ুন। ১ম দিন হাসপাতাল রেজিস্ট্রেশন, পুলিশ স্টেশনে রিপোর্ট ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ততা যাবে।
২য় দিন হতে কম খরচে ভাল মানের লজ খুজে বের করবেন।ভাল করে ২/৩ দিন সার্চ করলেই কম বাজেটে মনের মতো লজ পেয়ে যাবেন। হাসপাতালের কাছের লজগুলোতে ভাড়া তুলনামূলক বেশি। আমি ছিলাম হাসপাতালের একেবারেই কাছে । 
  • রুম ভাড়া ডাবল সিট 450 রুপি, ত্রিপল বেড 650 রুপি, চার বেড রুম 750 রুপি। আর প্রথম দিকে আমি ছিলাম একটু দূরে আরকে রেসিডেন্সিতে।ভাড়া ডাবল বেড 350 রুপি, ত্রিপল বেড 450 রুপি। এ দুটি লজই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস রয়েছে এবং ছাড়পোকা মুক্ত। 
  • লজ গুলতে রয়েছে স্বপাকের ব্যবস্থা। ১ সেট হাড়ি-পাতিল-প্লেট ও গ্যাসের সিলিন্ডারর চুলার দৈনিক ভাড়া ১০ হতে ১৫ রুপি। সিলিন্ডারে গ্যাস খরচ প্রতি কেজি ১০০ রুপি। ৩ জনের রান্না হলে ১ কেজিতে ৬/৭ দিন চলে যাবে। খাওয়ার পানি ১ জার ৩৫-৪০ রুপি।
রেজিস্ট্রেশন ও এ্যাপয়েন্টমেন্টঃ
  • সিএমসিতে চিকিৎসার শুরুতেই সকল বিদেশী রোগী ও তার এটেনডেন্টকে আইআর অফিস (রুম নং ৯০০) এ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে তার আগে নতুন রোগীদেরকে প্রি রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। বাংলাদেশ হতেই অনলাইনে প্রি রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন বা আইআর অফিসের আশে পাশেই সাইবার ক্যাফ/কম্পিউটার দোকান হতে ৫০ রুপির বিনিময়ে প্রিরেজিস্ট্রেশন করাতে পারেন।
  • প্রি রেজিস্ট্রেশন শুধু রোগীকে করতে হয়, রোগীর সাথে আগত এটেন্ড্যান্টদেরকে প্রি রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন নেই। এসময় একটি প্রিন্টেড কপি পাবেন। এই প্রিন্টেড কপি, রোগী ও এটেনডেন্টের পাসপর্টের মুল ও ফটোকপি আই আর অফিসে (মূলত একটি রুম) জমা দিবেন। তারপর অপেক্ষা করুন। সিরিয়াল ধরে আপনাকে ডাকা হবে।
  • রেজিস্ট্রেশন, ডাক্তারের এ্যাপয়েন্টমেন্ট সবকিছুই এখানে হবে।আপনাকে একটি হাসপাতাল নম্বর দিবে যা হবে আপনার আইডি নম্বর। বাংলাদেশে চিকিৎসা করালে তারা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন, ডায়াগনোস্টিক রিপোর্ট দেখতে চাইতে পারে তাই সব কিছু সাথে রাখবেন। এসময় তারা আপনাকে একটি ক্রিশ কার্ড করে দিবে। তারপর এপয়েন্টম্যান্ট অনুসারে ডাক্তার দেখাবেন। ডাক্তার এপোয়েন্টমেন্ট নেক দেরীতে পেলে দ্রুত এপোয়েন্টমেন্ট এর জন্য আইএসএস বিল্ডিং এর ৪৩২ নাম্বার কাউন্টা্রে যোগাযোগ করুন।
ক্রিশ কার্ডঃ
  • ক্রিশ কার্ড মূলত সিএমসি এর একটি ডেবিট কার্ড। টাকা নিয়ে ঘুরতে না চাইলে বা হোটেলে টাকা রাখতে না চাইলে আপনার সকল টাকা হাসপাতালের নির্ধারিত কাউন্টারে জমা দিয়ে ক্রিশ কার্ডে টাকা ভরে নিন। 
  • টাকা ভরার সময় আপনাকে রিসিট দিয়ে দিবে। ০.০৫% সার্ভিস চার্জ কেটে নিবে। ডাক্তার ভিজিট, ঔষধ ক্রয়, হাসপাতাল ভর্তি হতে শুরু করে সিএমসিতে আপনার যে কোন বিল ক্রিশ কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারেন। এটি চুরি হলেও অন্য কেউ আপনার বিল ছাড়া অন্য কোন পেমেন্ট করতে পারবে না। কার্ডের পাসওয়ার্ড গোপন রাখুন। 
  • ফেরার সময় সামান্য ব্যালেন্স রেখে বাকি টাকা তুলে নিন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বসে এই কার্ড দিয়েই অনলাইনে আপনি আপনার পছন্দমতো ডাক্তার এ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে আসতে পারবেন। এজন্য প্রইয়োজনীয় কিছু ব্যালেন্স রেখে আসুন।
পুলিশ রিপোর্টঃ
  • ভ্যালরে পৌছে রোগী ও রোগীর এটেনডেন্টকে পুলিশ স্টেশনে রিপোর্ট করতে হয়। এজন্য প্রথমে অনলাইনে ‘সি’ ফরম পূরন করতে হবে। 
  • আপনার হোটেলের ম্যানেজারই ‘সি’ ফরম পূরনে ব্যবস্থা করে দিবে। এজন্য আপনাকে পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট সাইজের ফটো দিতে হবে। প্রতি ফরম পূরনে তাদেরকে ৫০ রুপি দিতে হবে। তারপর ‘সি’ ফরমের প্রিন্টেড ২ কপি, হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন ফরম (যদি থাকে), হোটেল/লজের ভিজিটিং কার্ড, পাসপর্টের মুল ও ফটোকপিসহ ভ্যালর পুলিশ স্টেশনে চলে যাবেন। 
  • সারাদিন বিভিন্ন কাজ সেরে সন্ধায় পুলিশ স্টেশনে যাবেন রিপোর্ট করতে। আর মনে রাখবেন প্রতি পাসপোর্টের জন্য পুলিশকে ২০ রুপি উপরি দিতে হবে।
টাকা দরকার হলে কি করবেন:
  • বাংলাদেশ হতে যাবার সময় যা পারেন টাকা/ডলার নিয়ে যাবেন। কলকাতা হতে টাকা ভাঙ্গিয়ে নিবেন কেননা এখানেই সবচাইতে ভাল রেট পাবেন। 
  • কালকাতায় প্রতি একশ টাকায় বর্ডার হতে ৩০-৫০ পয়সা বেশি এবং ভ্যালর হতে প্রায় ২ টাকা রেট বেশি পাবেন। ভ্যালরে গিয়ে টাকা ফুরিয়ে গেলে বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য যে কোন দেশ হতে ওয়েস্টান ইউনিয়ন, মানিগ্রাম এর মাধ্যমে টাকা আনতে পারবেন। 
  • কিন্তু বাংলাদেশ হতে বৈধভাবে টাকা আনার কোন উপায় আমার জানা নেই। আপনার হোটেল/লজের আশে পাশেই কিছু হুন্ডি বিজনেস পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশে তাদের একাউন্টে কেউ টাকা জমা দিবে, ৩০ মিনিট হতে ১ ঘন্টার মধ্যে আপনি তাদের কাছ থেকে টাকা তুলে নিবেন।
ভিসা সংক্রান্তঃ
  • মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে ভ্যালরে চিকিৎসা করতে আসুন। চিকিৎসা সম্পূর্ণ হবার পূর্বে আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হোলে আপনার ডাক্তারের রিকমেন্ড লেটার নিয়ে সিএমসি এর আইআর অফিসে যাবেন।
  • সেখান হতে রিকমেন্ড লেটার নিয়ে ভ্যালর এসপি অফিসে অতিরিক্ত সময় স্টে করার অনুমতি নিন। মেডিক্যাল ভিসা ছাড়া অন্য ভিসায় আপনি এই সুযোগ পাবেন না। 
  • অনুমতি ছাড়া ওভার স্টে করলে আপনাকে কিন্তু ভাল ঝামেলাই পড়তে হবে।
কিছু টিপসঃ 
  • রোগী হিন্দি/ইংরেজীতে কথা বলতে না জানলে এটেন্ডেন্ট হিসেবে হিন্দি বা ইংরেজীতে কথা বলতে পারে এমন কাউকে সাথে নিয়ে যাবেন।
  • অপারেশনের দরকার হলে মহিলা এটেন্ডেন্ট নিয়ে যাবেন। হাসপাতালে রাতে রোগীর সাথে শুধু মহিলা থাকতে পারবে। মহিলা নিয়ে না গেলে নার্সদেরকে বলে আপনাকে একজন আয়া নিতে হবে। আয়ার চার্জ প্রতিদিন ২০০ রুপি। 
  • হাসপাতালে ডাক্তারের অফিস, ল্যাব, ফার্মেসি, কোন বিল্ডিং বা যে কোন স্থান খুজে পেতে সিকিউরিটি গার্ডের সাহায্য নিন। 
  • চারিদিকি সিকিউরিটি গার্ডের লোকেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং কোন স্থান খুঁজে পেতে তারা দারুন সাহায্য করে।

ভেলোরে সি এম সি সম্পর্কে কয়েকটি কথা…….

  1. ১/ ভেলোর:-ভেলোর এর ট্রিটমেন্ট কতটা উপযোগী & উন্নতমানের সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমরা সাধারনত কোন উপায় না পেলে অবশেষে ভেলোর যায়। ওখানে কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, খরচ, মেডিসিন, যোগাযোগ, এপোয়েন্টমেন্ট এর বিস্তারিত নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি যাতে সকলের সাহায্য হয়। প্রসেস খুব নিয়মানুযায়ী হয় যাস্ট একটু জটিল।
  2. ২/ভাষা :-হিন্দি/ইংরাজী ঠিকঠাক জানলে প্রব্লেম হওয়ার কথা নয়, তবে এখন পেসেন্ট এর ৭০% ই বাঙালী (bangladesh & westbengal er)… তাই বাংলা হলেও কাজ চলে যাবে। 
  3. ৩/এপোয়েন্টমেন্ট:-এপোয়েন্ট মুলত দুই প্রকার এর হয়
  • {১.} জেনারেল এপোয়েন্টমেন্ট ( জুনিয়ার ডাক্তার দেখেন)
  • {২. }প্রাইভেট এপোয়েন্টমেন্ট(সিনিয়ার ডাক্তার রা দেখেন)এখান থেকে কেউ গেলে অবশ্যই প্রাইভেট এপোয়েন্টমেন্ট নেবেন।
৪/এপোয়েন্টমেন্ট পদ্ধতি:-
  • সাধারনত অফলাইন & অনলাইন দুই রকমের এপোয়েন্টমেন্ট নেওয়া যায়। যেহেতু আমরা বাংলা থেকে যাচ্ছি তাই আমাদের ওখানে কোন লোক নেই ধরে নিয়ে অনলাইন এপোয়েন্টমেন্ট করাতে হবে।
অনলাইন এপোয়েন্টমেন্ট :-
  • মোটামুটি যেহারে ভীড় হয়, তাতে কোন ডিপার্টমেন্ট এর প্রাইভেট এপোয়েন্টমেন্ট পেতে আপনাকে ১৫ দিন থেকে ৩ মাস অব্দি সময় লাগতে পারে। এপোয়েন্টমেন্ট এর জন্য Treat Expert এর সাথে যোগাযোগ করুন।
৫/অফলাইন এপোয়েন্টমেন্ট:-
  • ভেলোর এর মেন গেট এ ঢুকলেই দেখতে পাবেন SILVER GATE FOR NEW APPOINTMENT..আপনি আপনার প্রব্লেম টা ওখানে জানালেই ওরা নিদিষ্ট ডিপার্টমেন্ট এ এপোয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেবে। এক্ষেত্রে আপনি ৩-৩০ দিনের মধ্যে প্রাইভেট এপোয়েন্টমেন্ট পেয়ে যাবেন একপ্রকার নিশ্চিত।
৬/জরুরীকালীন ট্রিটমেন্ট:-
  • এর জন্য আলাদা EMERGENCY বিভাগ রয়েছে, সেখানে যাবেন। ওরাই সব প্রসেস বলে দেবে।জেনারেল এপোয়েন্টমেন্ট:- অনলাইন অথবা অফলাইন এ করা যায়। ১-৩ দিন এর মধ্যে এপোয়েন্টমেন্ট পেয়ে যাবেন।
৭/কোন ডিপার্টমেন্ট এ যাবেন???
  • আপনি অনলাইন এ আপোয়েন্টমেন্ট নিতে গেলে কোন ডিপার্টমেন্ট এ নেবেন সেটা জানা জরুরী, নাহলে টাইম & পয়সা নষ্ট। ধরুন- কানের প্রব্লেম- ENT, হরমোন প্রব্লেম- endocrinology, ক্যন্সার পেশেন্ট:- onchology etc..যদি না বুঝতে পারেন তাহলে ওদের সাইট এ দেওয়া হেল্পলাইন এ ফোন করে জেনে নিতে পারেন। প্রব্লেম বললেই ওরা ডিপার্টমেন্ট বলে দেবে। আপনার রোগ এর লক্ষন অনুযায়ী ডিপার্টমেন্ট এর আন্ডারে CLINIC বাছতে হয়।
৮/থাকা :-cmc vellore appointment doctor list
  • এখানে রুম এর চাহিদা যেমন বেশি তেমন লজ ও আছে প্রচুর। ডবল বা ট্রিপল বেড এর রুম 250-400 থেকে শুরু করে ১৫০০-২০০০ টাকা অব্দি। আপনি CMC থেকে যত দুরত্ব বাড়াবেন তত লজের রেট কমতে থাকবে। মোটামুটি ৭-৮ মিনিট হাঁটাপথের দুরত্বে আপনি ২০০-২৫০ টাকার রুম পেয়ে যাবেন। আপনি ২৪ ঘন্টা মানে একদিনের জন্য রুম বুক করে একটু খোজাখুজি করে কম দামে ভাল রুম ও দেখতে পারেন।
৯/খাওয়া-দাওয়া:-cmc vellore appointment doctor list
  • অজস্র বাঙ্গালী হোটেল আছে, আপনি ৪০-৬০ টাকা/মিল হিসাবে ভাত পেয়ে যাবেন। এছাড়া সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার ও উপভোগ করতে পারেন তবে ৩-৪ দিন এর বেশি টানতে পারবেন না।
১০/CMC DETAILS:-
সিএমসি এর মেন ৩-৪ টা বিল্ডিং।১. OPD BUILDING (outdoor patients) – আপনাকে ডাক্তার দেখবেন মুলত এই বিল্ডিং এ। এর ৫ টা ফ্লোর এ কাজ হয় সাধারনত।
গ্রাউন্ড ফ্লোর:- cmc vellore appointment doctor list
  • এই ফ্লোর টা সমস্ত টেষ্ট এর জন্য বরাদ্দ। blood, x-ray,urine test সহ প্রায় সব টেষ্ট এখানে হয়। ডাক্তার যে টেষ্ট গুলো লিখে দিয়েছে, সেই স্লিপ টা নিয়ে পেমেন্ট ক্যাস কাউন্টার এ যেতে হয়। পেমেন্ট করার জন্য CASH / DEBIT -CREDIT-ATM CARD/ CRISS CARD ব্যাবহার করা হয়।(বিস্তারিত পরে দেওয়া আছে).।
  • পেমেন্ট করার স্লিপ এ লেখা থাকবে আপনাকে কোথায় কোন রুম এ যেতে হবে। ধরুন ব্লাড টেষ্ট এর জন্য – G20, XRAY- G11 এই রকম।
  • আপনি সকাল সকাল এসে লাইন এ দাঁড়িয়ে টেষ্ট গুলো করিয়ে নিন। 
  • সকাল ৬ টা থেকে কাজ শুরু হয়ে যায়। আপনাকে ৫-৫:৩০ টা থেকে লাইন এ দাড়াতে হবে তাড়াতাড়ি এর জন্য।
  • > ফাস্ট ফ্লোর, সেকেন্ড ফ্লোর, থার্ড় ফ্লোর এ বিভিন্ন রুম এ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর প্রাইভেট & জেনারেল ডাক্তার রা দেখেন। আপনার এপোয়েন্টমেন্ট লেটার এ লেখা থাকবে আপনাকে কোথায় কোন ফ্লোর এ যেতে হবে।
  • উদাহরন স্বরুপ:->OPD Building SECOND FLOOR 210, report to MRO at 10:30am… র মানে হল আপনাকে সেকেন্ড ফ্লোর এ ২১০ নং রুম এর সামনে গিয়ে MRO COUNTER E এপোয়েন্টমেন্ট কপি টা জমা দিতে হবে সকাল ১০:৩০এর সময়। 
  • ১ ঘন্টা আগে পিছু হলেও প্রব্লেম হয়না সাধারনত।> ISSCC BUILDING:- এটাও OPD BUILDING এর মত গুরুত্ব পুর্ন। এখানে যেসব কাজ গুলো হয়, নিউ এপোয়েন্টমেন্ট, রিপিট এপোয়েন্টমেন্ট, ফার্মেসী, ক্রিস কার্ড, CASH PAYMENT, & অবশ্যই ডাক্তার রাও দেখেন উপরের ফ্লোর গুলিতে।
১১/ NEW APPOINTMENT:-cmc vellore appointment doctor list
  • সাধারনত ৪-১০ অব্দি কাউন্টার এ নিউ আপোয়েন্টমেন্ট, টেষ্ট, অনান্য কিছুর জন্য পেমেন্ট করা হয় নগদ টাকার মাধ্যমে।
১২/REPEAT APPOINTMENT :-cmc vellore appointment doctor list
  • 11-13 নং কাউন্টার এ কোন ডাক্তার এর পুনরায় এপোয়েন্টমেন্ট করানো হয়। এক্ষেত্রে কাউন্টার এ বল্ললেই হবে ডাক্টার কবে দেখতে চেয়েছে, ওরা এপোয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেবে।ফার্মেসী :- সাধারনত ৩ মাসের জন্য ওষুধ দেয় রোগীদের। ফার্মেসী তএ পেমেন্ট করে ওষুধ নেবার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়।
১৩/ CRISS CARD:- cmc vellore appointment doctor list
  • এই কার্ড টা বানিয়ে নিলে আপনার হয়রানি অনেকখানি কম হয়ে যাবে। আপানার HOSPITAL NO.( PATIENT ID) দেখিয়ে বললেই ৪০২ নং কাউন্টার থেকে ক্রিস কার্ড বিষয়ক যাবতীয় সাহায্য করে দেবে। এই ক্রিস কার্ডে আপনাকে টাকা ভরতে হবে অগ্রিম ভাবে ( trhough cash transffer /atm transffer). তবে আমি ATM card ইউজ করেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। ক্রিস কার্ডের মজা হল বেশি বড় লআইনে দাঁড়াতে হবে না পেমেন্ট এর জন্য কারন criss card payment counter আছে প্রায় সব জাইগায়।
১৪/APPOINTMENT DATE CHANGE:-cmc vellore appointment doctor list
  • এগিয়ে বা পিছিয়ে আনা….ISSCC building e HELPDESK এ লম্বা লাইন দেবেন পেমেন্ট স্লিপ টা নিয়ে। অনেক ভীড় হয়। ওখানে আপনার প্রব্লেম বঅললেই ওরাই ডেট চেঞ্জ এর ব্যাবস্থা করে দেবে।(আগে যদি ডেট ফাকা থাকে তবেই)
১৫/ PMR BUILDING:-
  • সাধারনত ফিজিওথেরাপি ডিপার্টমেন্ট বলা যেতে পারে। বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি এর যন্ত্রপাতি, জুতা, ডুপ্লিকেট ব্রেস্ট( সিলিকন ব্রেস্ট), ইত্যাদি সকল জিনিস এর জন্য এই ডিপার্টমেন্ট এ যেতে হয়। পেমেন্ট স্লিপ অথবা এপোয়েন্টমেন্ট লেটার এ PMR BUILDING উল্লেখ থাকবে।
১৬/WARD BUILDING:-
  • পেশেন্ট দের সার্জারি & ট্রিটমেন্ট এর প্রয়োজন এ এখানে পেশেন্ট দের ভর্তি করা হয়। এত পরিস্কার পরিছন্ন & জীবাণুমুক্ত জাইগা হয়ত আপনার বাড়ির রুমগুলিও নয়। 
  • DIAGONASIS এর উপর বেশি জোর দেয়। অনেক টেষ্ট দেয়। তারপর যখন রোগ ধরা পড়ে তখনই চিকিৎসা করে। (কোলকাতার চেয়ে এখানেই এগিয়ে)।টেষ্ট গুলি মুলত ৩ জায়গায় করানো হয়। 
১৭/OPD BUILDING:-
  • সাধারণত ম্যাক্সিমাম জনের টেষ্ট এখানেই করানো হয়। তবে বিশেষ কিছু টেষ্ট এর জন্য যেমন USG এর জন্য ৩-৪ দিন ও লাগতে পারে। তাই যখন ডাক্টার এর সাথে কথা বলবেন ওনাকে রিকুয়েস্ট করবেন যেন আপনার টেষ্ট গুলি ALPHA CLINIC এ পাঠিয়ে দেয়। ওনাদের একটা কলমের খোচা দিলেই আপনার ৩-৪ দিনের কাজ টি ১ দিনেই হয়ে যাবে। 
১৮/ EMERGENCY PATIENT:-
  • এর জন্য এমার্জেন্সী টেষ্ট এর ব্যাবস্থা আছে।

সিএমসি ভেলোর ডাক্তারের তালিকা

সিএমসি ভেলোর ডাক্তারের তালিকা: একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা
সিএমসি ভেলোর হচ্ছে ভারতের অন্যতম সেরা ও প্রাচীনতম চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। এই হাসপাতালে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন। তবে, সকল ডাক্তারের একটি সম্পূর্ণ তালিকা অনলাইনে সরাসরি পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ডাক্তারদের পদায়ন, বিদায়, নতুন যোগদান ইত্যাদি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
কীভাবে ডাক্তার খুঁজবেন?
সিএমসি ভেলোরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস হল সিএমসি ভেলোরের নিজস্ব ওয়েবসাইট। এখানে আপনি বিভিন্ন বিভাগ এবং সেখানে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
ডাক্তারের নাম ও বিশেষজ্ঞতা দিয়ে সার্চ: আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট বিশেষজ্ঞের নাম জানেন, তাহলে তাঁর নাম দিয়ে সার্চ করতে পারেন। অনেক ডাক্তারের নিজস্ব ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থাকে।
সিএমসি ভেলোরের পেটেন্ট পোর্টাল: cmc vellore appointment doctor list
  • যদি আপনি ইতিমধ্যে সিএমসিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাহলে পেটেন্ট পোর্টালের মাধ্যমে আপনার চিকিৎসকের বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।
হাসপাতালে যোগাযোগ: 
  • সরাসরি হাসপাতালে ফোন করে বা ইমেইল করে আপনি যে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করতে চান, তাঁর সম্পর্কে জানতে পারেন।
কী ধরনের তথ্য জানতে চান?
  • বিশেষজ্ঞতা: আপনি কোন ধরনের সমস্যার জন্য ডাক্তার খুঁজছেন? (উদাহরণ: হৃদরোগ, ক্যান্সার, নেফ্রোলজি)
  • অভিজ্ঞতা: আপনি কতদিন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তার খুঁজছেন?
  • ভাষা: আপনি কোন ভাষায় ডাক্তারের সাথে কথা বলতে চান?
  • পরামর্শ: আপনি কোন বিশেষ ধরনের পরামর্শের জন্য ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন?
আপনি যদি আরও বিস্তারিত তথ্য দেন, তাহলে আমি আপনাকে আরও ভালভাবে সহায়তা করতে পারব।
উদাহরণ: "আমি সিএমসি ভেলোরে একজন নেফ্রোলজিস্ট খুঁজছি। তিনি যদি বাংলা বলতে পারেন তাহলে ভালো হয়।"
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
  • ডাক্তারের যোগ্যতা যাচাই করুন: কোন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়ার আগে তাঁর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন।
  • দ্বিতীয় মতামত নিন: কোন গুরুতর রোগের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় মতামত নেওয়া উচিত।
  • অনলাইন রিভিউ পড়ুন: অনলাইনে ডাক্তারদের সম্পর্কে বিভিন্ন রিভিউ পাওয়া যায়। তবে, সব রিভিউই সঠিক হতে হবে এমন নয়।

ভেলোর হাসপাতাল কোথায়

ভেলোর হাসপাতাল ভেল্লোর, তামিল নাড়ু 632004, ভারত অবস্থিত। এটি একটি বড় হাসপাতাল যা বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।

চেন্নাই থেকে ভেলোর দূরত্ব

চেন্নাই থেকে ভেলোরের দূরত্ব 85.6 মাইল এবং এটিতে 3 ঘন্টা 6 মিনিট সময় লাগবে।

কলকাতা থেকে ভেলোর ট্রেন ভাড়া

কলকাতা থেকে ভেলোর ট্রেন ভাড়া: একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা
কলকাতা থেকে ভেলোর যাতায়াতের জন্য ট্রেন একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ভারতীয় রেলের বিভিন্ন ট্রেন এই রুটে চলাচল করে। তবে, ট্রেনের ভাড়া বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে যেমন:
  • ট্রেনের ধরন: এক্সপ্রেস, মেইল, প্যাসেঞ্জার ইত্যাদি
  • কোচের ধরন: এসি, নন-এসি, স্লিপার ইত্যাদি
  • ঋতু: উৎসবের সময় বা ছুটির দিনে ভাড়া বেশি হতে পারে
  • বুকিংয়ের সময়: আগে বুকিং করলে কম ভাড়া পেতে পারেন
ট্রেন ভাড়া জানার উপায়:cmc vellore appointment doctor list
ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (IRCTC) ওয়েবসাইট:
IRCTC হল ভারতীয় রেলের অনলাইন টিকিট বুকিং পোর্টাল।
আপনি এখানে আপনার যাত্রার তারিখ, স্টেশন এবং কোচের ধরন নির্বাচন করে ভাড়া জানতে পারবেন।
রেলওয়ে স্টেশন:cmc vellore appointment doctor list
  • আপনি সবচেয়ে কাছের রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ইনকোয়ারি কাউন্টারে যোগাযোগ করে ভাড়া জানতে পারবেন।
  • স্টেশনে সাধারণত একটি বোর্ড থাকে যেখানে বিভিন্ন ট্রেনের সময়সূচি এবং ভাড়া দেওয়া থাকে।
রেলওয়ে রিজার্ভেশন কেন্দ্র:cmc vellore appointment doctor list
  • আপনি আপনার এলাকার রেলওয়ে রিজার্ভেশন কেন্দ্রে গিয়েও ভাড়া জানতে পারবেন।
ট্রাভেল এজেন্সি:
  • অনেক ট্রাভেল এজেন্সি রেল টিকিট বুকিং করে থাকে। আপনি তাদের কাছ থেকেও ভাড়া এবং অন্যান্য তথ্য জানতে পারবেন।
কলকাতা থেকে ভেলোর যাত্রার কিছু টিপস:
  • আগে থেকে বুকিং করুন: বিশেষ করে ছুটির দিনে ট্রেনের টিকিট খুব তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়ে যায়।
  • ট্রেনের সময়সূচি চেক করুন: ট্রেনের সময়সূচি মাঝে মাঝে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই যাত্রার আগে আবারও চেক করে নিন।
  • যাত্রার সময় সকল দলিলপত্র সঙ্গে রাখুন: আপনার টিকিট, পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দলিলপত্র সঙ্গে রাখুন।
  • ট্রেনের ভিতরে নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকুন: আপনার ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের যত্ন নিন।
Disclaimer: এই তথ্য কেবল তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং এটি কোনও চিকিৎসা পরামর্শ হিসাবে বিবেচিত হবে না। কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

চিকিৎসার জন্য ভেলোরে কিভাবে যাবেন

চিকিৎসার জন্য ভেলোরে যাওয়ার জন্য আপনি NH16 রাস্তা ধরে গাড়ি চালিয়ে যেতে পারেন। এই রাস্তাটি 1,264 মাইল দীর্ঘ এবং এতে 1 দিন 14 ঘন্টা 23 মিনিট সময় লাগবে।
আপনি গুগল ম্যাপসে দিকনির্দেশনা দেখতে পারেন এখানে।
আপনি ভেলোর হাসপাতালের ওয়েবসাইটে আরও তথ্য পেতে পারেন: 
আপনি ভেলোর হাসপাতালের অবস্থান দেখতে চান? এখানে ক্লিক করুন
ভেলোর হাসপাতাল-এ গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার পথ

ভেলোরে চিকিৎসা: কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন

ভেলোরে চিকিৎসা: একটি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা - cmc vellore appointment doctor list
ভেলোর, তামিলনাড়ু, ভারত - চিকিৎসার জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। বিশেষ করে, ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ (CMC) ভেলোর হচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। তাই, ভেলোরে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার বিষয়টি যদি আপনার মনে থাকে, তাহলে এই নির্দেশিকাটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে।
ভেলোরে যাওয়ার উপায়:
বিমান: সবচেয়ে দ্রুততম উপায় হল বিমানযোগে চেন্নাই আসা। চেন্নাই থেকে ভেলোরের দূরত্ব প্রায় 150 কিলোমিটার। চেন্নাই এয়ারপোর্ট থেকে আপনি ট্যাক্সি, বাস বা ট্রেনে ভেলোরে যেতে পারেন।
  • ট্রেন: কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি সহ ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে ভেলোরের জন্য সরাসরি বা পরোক্ষ ট্রেন রয়েছে।
  • বাস: বাসে ভেলোর যাওয়াও একটি সাশ্রয়ী উপায়। কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি সহ বিভিন্ন শহর থেকে ভেলোরের জন্য বাস চলাচল করে।
ভেলোরে কোথায় থাকবেন: 
  • ভেলোরেতে অনেকগুলি হোটেল, গেস্ট হাউস এবং লজ রয়েছে। আপনার বাজেট এবং চাহিদার উপর নির্ভর করে আপনি যে কোনো একটি বেছে নিতে পারেন। CMC হাসপাতালের কাছেই অনেকগুলি হোটেল রয়েছে।
  • হোটেল: CMC হাসপাতালের কাছেই অনেকগুলি হোটেল রয়েছে। এখানে আপনি সব ধরনের সুবিধা পাবেন।
  • গেস্ট হাউস: গেস্ট হাউসগুলি হোটেলের তুলনায় সাশ্রয়ী।
  • লজ: লজগুলি সাধারণত ছাত্রদের জন্য উপযুক্ত।
ভেলোরে চিকিৎসার জন্য কিছু টিপস:
  • আগে থেকে বুকিং করুন: বিশেষ করে ছুটির দিনে হোটেল এবং ট্রেনের টিকিট আগে থেকে বুকিং করা উচিত।
  • সব ধরনের ডকুমেন্টস সঙ্গে রাখুন: আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্টের স্লিপ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সঙ্গে রাখুন।
  • মুদ্রা বিনিময় করুন: ভারতে ভ্রমণের জন্য ভারতীয় মুদ্রা (রুপি) প্রয়োজন হবে।
  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: ভ্রমণের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা খুবই জরুরি।
  • স্থানীয় ভাষা শিখুন: কিছু মৌলিক হিন্দি বা তামিল শব্দ শিখলে আপনার কাজ অনেক সহজ হবে।

ভেলোরে চিকিৎসা: কিছু প্রায়শ জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন

ভেলোরে চিকিৎসার খরচ কত? 
  • চিকিৎসার খরচ আপনার রোগের ধরন এবং চিকিৎসার ধরনের উপর নির্ভর করে।
ভেলোরে কোন কোন রোগের চিকিৎসা হয়? 
  • ভেলোরে বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা হয়।
ভেলোরে বাংলা বলতে পারে এমন ডাক্তার আছে কি? 
  • হ্যাঁ, ভেলোরে বাংলা বলতে পারে এমন অনেক ডাক্তার আছেন।
বিঃদ্রঃ: এই তথ্য কেবল তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং এটি কোনও চিকিৎসা পরামর্শ হিসাবে বিবেচিত হবে না। কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
(Collected )

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আজ সিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরেরসিএমসি হাসপাতাল খরচ - কেন ভেলোরে চিকিৎসা করবেন আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url