বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে - বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আজকে নতুন বর হিসেবে যেসব মেনে চলবেন বা বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে এবং বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় তা নিয়ে জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি নতুন বর হিসেবে যেসব মেনে চলবেন বা বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে এবং বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় তা নিয়ে এ লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনার তথ্য সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।

বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর জীবন একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এই অধ্যায়ে তারা একসঙ্গে সময় কাটায়, পরস্পরকে ভালোবাসে, আর একটি সুখী পরিবার গড়ার চেষ্টা করে।
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী সাধারণত কি কি করে, তার কিছু উদাহরণ:
একে অপরকে সময় দেয়: 
  • স্বামী-স্ত্রী উভয়েই একে অপরের জন্য সময় বের করে। একসঙ্গে সময় কাটানো, গল্প করা, হাসি-ঠাট্টা করা, একে অপরের কথা শোনা, এসব তাদের সম্পর্ককে আরো মজবুত করে।
সহযোগিতা করে: বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে এবং বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় তা বিস্তারিত আলোচনা।
  • দৈনন্দিন জীবনের কাজে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে সাহায্য করে। রান্না করা, বাড়ি পরিষ্কার করা, বাচ্চাদের দেখাশোনা করা, এসব কাজে তারা একসঙ্গে কাজ করে।
সমস্যা সমাধান করে: 
  • জীবনে নানা সমস্যা আসতেই পারে। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসে সেই সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।
একে অপরকে সম্মান করে: 
  • স্বামী-স্ত্রী উভয়েই একে অপরকে সম্মান করে। একে অপরের মতামতকে গুরুত্ব দেয়।
ভালোবাসা প্রকাশ করে: 
  • স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ভালোবাসা প্রকাশ করে। আলিঙ্গন, চুম্বন, প্রশংসা, এসব ভালোবাসার ভাষা।
নতুন জ্ঞান অর্জন করে: বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে 
  • স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে নতুন জ্ঞান অর্জন করে। বই পড়ে, নতুন জায়গা ঘুরে, নতুন কিছু শিখে।
স্বপ্ন দেখে: বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে 
  • স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। একটি সুন্দর পরিবার গড়ার, সফল কর্মজীবন গড়ার, এসব তাদের স্বপ্ন হতে পারে।
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর জীবন কীভাবে সুন্দর হবে, সেটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে:
দুজনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া: 
  • দুজনের মধ্যে যদি ভালো বোঝাপড়া থাকে, তাহলে তাদের সম্পর্ক সুখী হবে।
বিশ্বাস: বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়
  • দুজনের মধ্যে বিশ্বাস থাকা খুবই জরুরি।
ক্ষমা: 
  • সব সময় ভুল হতে পারে। ক্ষমা করতে শিখলে সম্পর্ক টেকসই হয়।
সমঝদার: বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে 
  • দুজনকেই একে অপরের সাথে সমঝদার হতে হবে।
সহযোগিতা: বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে 
  • সব কাজে সহযোগিতা করলে সম্পর্ক মজবুত হয়।
ভালোবাসা: বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে 
  • ভালোবাসা সব সম্পর্কের মূল।
আপনার জন্য কিছু পরামর্শ:
সম্পর্কে কাজ করুন: 
  • কোনো সম্পর্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভালো থাকে না। আপনাদের সম্পর্ককে ভালো রাখতে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।
একে অপরের সাথে খোলাখুলি কথা বলুন: 
  • আপনার মনে যা আছে তা আপনার সঙ্গীর সাথে শেয়ার করুন।
একে অপরকে সময় দিন:বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়
  •  ব্যস্ততার মাঝেও একে অপরের জন্য সময় বের করুন।
সুন্দর মুহূর্তগুলো উপভোগ করুন: 
  • ছোট ছোট সুন্দর মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করুন।
একে অপরকে সম্মান করুন: 
  • আপনার সঙ্গীকে সম্মান করুন।
ভালোবাসা প্রকাশ করুন: 
  • আপনার সঙ্গীকে কতটা ভালোবাসেন তা প্রকাশ করুন।
বিঃদ্রঃ: এই তথ্য কেবল সাধারণ ধারণার উপর ভিত্তি করে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ব্যক্তিগত এবং প্রতিটি সম্পর্ক অনন্য।

বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়

আপনার প্রশ্নটি খুবই সহজ এবং সাধারণ একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ। আসুন বিষয়টি সহজভাবে বুঝার চেষ্টা করি।
বাসর রাতে বাচ্চা হওয়ার বিজ্ঞান:বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়
গর্ভধারণের প্রক্রিয়া: বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়
  • বাসর রাতে যখন একজন পুরুষ ও একজন মহিলা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন তখন পুরুষের শুক্রাণু মহিলার ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়। এই মিলনকেই নিষেচন বলে।
ডিম্বাণু ও গর্ভাশয়: বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়
  • নিষেচিত ডিম্বাণু গর্ভাশয়ে চলে যায় এবং গর্ভাশয়ের দেয়ালে আটকে যায়। একেই গর্ভধারণ বলে।
সময়: বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়
  • এই গর্ভধারণের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। সাধারণত একজন মহিলার মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে ডিম্বাণু মুক্ত হয়। এই সময়কেই সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বলা হয়।
বাসর রাতে বাচ্চা হওয়ার ১৫টি বাক্যে ব্যাখ্যা:
  1. বাসর রাতে বাচ্চা হওয়ার জন্য পুরুষের শুক্রাণু এবং মহিলার ডিম্বাণুর মিলন অত্যন্ত জরুরী।
  2. শুক্রাণু মহিলার যোনির মধ্য দিয়ে গর্ভাশয়ে পৌঁছায়।
  3. গর্ভাশয়ে পৌঁছানোর পর শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষেচিত করে।
  4. নিষেচিত ডিম্বাণু গর্ভাশয়ের দেয়ালে আটকে যায় এবং ভ্রূণে পরিণত হয়।
  5. ভ্রূণ ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এবং একটি শিশুতে পরিণত হয়।
  6. গর্ভধারণের জন্য মহিলার মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়টি সবচেয়ে উপযুক্ত।
  7. এই সময়কেই ovulation period বলে।
  8. সব সময় যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ফলে গর্ভধারণ হয় না।
  9. গর্ভধারণ একটি জটিল জৈবিক প্রক্রিয়া।
  10. গর্ভধারণের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা জরুরী।
  11. গর্ভধারণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  12. গর্ভধারণের সময় সুষম খাদ্য গ্রহণ করা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরী।
  13. ধূমপান, মদ্যপান এবং অন্যান্য নেশা গর্ভধারণের জন্য ক্ষতিকর।
  14. গর্ভধারণ একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা হতে পারে।
  15. তবে গর্ভধারণের আগে ভালোভাবে পরিকল্পনা করা উচিত।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এই তথ্যটি শুধুমাত্র সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য।
গর্ভধারণ সম্পর্কিত কোনো ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বাসর রাতে কি কি করতে হবে

বাসর রাত, একটি নতুন অধ্যায়ের শুরু। এটি একটি বিশেষ রাত, যেখানে দুইজন মানুষের মধ্যে একটি গভীর বন্ধন গড়ে ওঠে। এই রাতকে আরও স্মরণীয় করার জন্য, এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হল:
প্রস্তুতি: 
  • এই রাতের জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ভালো। আপনার পছন্দের খাবার, মিষ্টি, এবং পানীয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।
সুন্দর পরিবেশ: বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়
  • ঘরকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলুন। মৃদু আলো, মনোরম সুর, এবং একটি আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন।
স্বচ্ছতা: 
  • এই রাতের আগে একটি সুন্দর গোসল করে নিজেকে তাজা রাখুন।
স্বাচ্ছন্দ্য: 
  • নতুন পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে কিছু সময় লাগতে পারে। তাই ধৈর্য ধরুন এবং একান্তে কথা বলুন।
অভিজ্ঞতা শেয়ার: 
  • আপনাদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, স্বপ্ন, এবং আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে কথা বলুন।
স্পর্শ: 
  • স্পর্শ একটি শক্তিশালী যোগাযোগের মাধ্যম। হাত ধরা, কোলে বসা, এবং আলিঙ্গন আপনাদেরকে আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলবে।
আস্থা গড়ে তোলা: 
  • একে অপরের প্রতি আস্থা গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের অনুভূতি এবং চিন্তা প্রকাশ করতে ভয় পাবেন না।
ধৈর্য: 
  • প্রথম রাতেই সবকিছু নিখুঁত হবে এমন আশা করা ভুল। ধৈর্য ধরুন এবং একে অপরকে সময় দিন।
রোমান্টিক মুহূর্ত: 
  • মোমবাতি জ্বালিয়ে, সঙ্গীত শুনে, বা একটি রোমান্টিক চলচ্চিত্র দেখে এই রাতকে আরও রোমান্টিক করে তুলুন।
আত্মবিশ্বাস:
  •  নিজের শরীর এবং সৌন্দর্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হোন।
আনন্দ: 
  • এই রাতকে আনন্দময় করে তুলুন। হাসি, মজা এবং খেলাধুলা আপনাদের মধ্যে একটি ভালো বন্ধন গড়ে তুলবে।
স্বাভাবিকতা: 
  • কৃত্রিম কিছু করার চেষ্টা করবেন না। স্বাভাবিক থাকুন এবং একে অপরের সাথে যোগাযোগ করুন।
সীমা: 
  • নিজের এবং সঙ্গীর সীমা সম্পর্কে সচেতন থাকুন। একে অপরের অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখান।
পরিকল্পনা: 
  • ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করুন। আপনারা একসাথে কোথায় যেতে চান, কি করতে চান, সে সম্পর্কে কথা বলুন।
স্মৃতি: 
  • এই রাতের স্মৃতি সারাজীবন ধরে রাখুন। একটি ডায়েরি লিখুন বা ছবি তুলুন।
মনে রাখবেন: 
  • বাসর রাত একটি শুরু মাত্র। এই রাতের পরেও আপনাদের সম্পর্ক আরও গভীর হবে। তাই ধৈর্য ধরুন, একে অপরকে সময় দিন এবং একটি সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলুন।
Disclaimer: এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ পরামর্শ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত পরামর্শের জন্য কোনো বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।

বিয়ের পর সহবাস না করলে কি হয়

বিয়ের পর সহবাস একটি জটিল বিষয় এবং একে কেবল ১০টি বাক্যে সারাংশ করা কঠিন। তবে, এই বিষয়ে কিছু সাধারণ ধারণা দেওয়া যায়:
সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা কমে: 
  • সহবাস শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ঘনিষ্ঠতারও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি না করলে দম্পতির মধ্যে মানসিক দূরত্ব বাড়তে পারে।
অবিশ্বাস বাড়তে পারে: 
  • যদি একজন সঙ্গী সহবাসে অনীহা প্রকাশ করে, তাহলে অন্য সঙ্গী অবিশ্বাস বা প্রতারণার শঙ্কা করতে পারেন।
মানসিক চাপ বাড়তে পারে: 
  • দীর্ঘদিন ধরে সহবাস না করলে মানসিক চাপ, হতাশা এবং একাকিত্ব বোধ হতে পারে।
শারীরিক সমস্যা হতে পারে: 
  • নিয়মিত সহবাস শরীরের জন্য উপকারী। এটি না করলে কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সন্তান প্রসবের সমস্যা হতে পারে: 
  • যদি দম্পতি সন্তান চায়, তাহলে নিয়মিত সহবাস গুরুত্বপূর্ণ।
বিবাহ বিচ্ছেদের ঝুঁকি বাড়তে পারে: 
  • দীর্ঘদিন ধরে সহবাস না করলে বিবাহ বিচ্ছেদের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সামাজিক চাপ: 
  • অনেক সমাজে, বিয়ের পর সহবাসকে স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি এটি না হয়, তাহলে সামাজিক চাপও তৈরি হতে পারে।
ব্যক্তিগত কারণ: 
  • কোন ব্যক্তির শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা, ধর্মীয় বিশ্বাস বা ব্যক্তিগত পছন্দ সহবাস না করার পিছনে কারণ হতে পারে।
পরামর্শ: বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়
  • যদি এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলে, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রতিটি দম্পতির পরিস্থিতি আলাদা: 
  • উপরের তথ্যগুলি সাধারণ ধারণা দেয়। প্রতিটি দম্পতির পরিস্থিতি আলাদা এবং তাদের নিজস্ব সমস্যা এবং সমাধান থাকতে পারে।
মনে রাখবেন:
সহবাস একটি জটিল বিষয় এবং এর প্রভাব ব্যক্তি এবং দম্পতির উপর নির্ভর করে।
যদি আপনি এই বিষয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নতুন বর হিসেবে যেসব মেনে চলবেন

সবার সাথে ভালো ব্যবহার করুন: 
  • সব কুল বজায় রেখে যদি আপনি চলতে পারেন তাহলে জীবনে ভালো করবেন। শ্বশুরবাড়ির সবাইকে সম্মান করুন। তাদের কথা মন দিয়ে শুনুন এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করুন তাদের কথা মেনে চলতে।
কোনো কিছুতেই বিরক্ত বা রাগ দেখাবেন না: 
  • কিছু কিছু মানুষের স্বভাব সবকিছুতেই বিরক্তি বোধ করা বা রাগ দেখানো। আপনার মধ্যে যদি এই স্বভাবটি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই স্বভাবটি মুছে ফেলুন। শ্বশুরবাড়িতে নতুন পরিবেশে কিছু কিছু জিনিস আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। 
  • কিন্তু কোনো কিছুতেই বিরক্ত বা রাগ দেখাবেন না। ধৈর্য ধরুন এবং পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিন।
অতিরিক্ত কথা বলবেন না: 
  • কথাই বলে যে বেশি কথা বলে তার বুদ্ধি কম। শ্বশুরবাড়িতে নতুন বর হিসেবে আপনার কথা বলার পরিমাণ একটু কমিয়ে রাখুন। বেশি কথা বললে আপনার কথায় ভুল বা অসম্মানজনক কিছু বলে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং কথা বলার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনও কথা ছাড়া অন্য কোন কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

রান্নাঘরে সাহায্য করুন: 
  • অনেকেই এই কাজটি পছন্দ করেন না। শ্বশুরবাড়িতে রান্নাঘরের কাজকর্মে সাহায্য করুন। এতে আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি আপনার প্রতি খুশি হবেন। যদি সম্ভব হয় তাহলে রান্নাঘরে সাহায্য করুন। তাহলে আপনার মূল্যায়ন বেড়ে যাবে।
শ্বশুরবাড়ির নিয়ম মেনে চলুন: 
  • শ্বশুরবাড়িতে কোনো নিয়ম বা রীতিনীতি থাকলে তা মেনে চলুন। এতে আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি এবং অন্যান্য সদস্যরা আপনার প্রতি সম্মান দেখাবেন।

শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার যে বিষয়গুলো জানা উচিত

শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ কেমন: বা বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে এবং বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় তা বিস্তারিত আলোচনা।
  • আপনার শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ কেমন, সবাই কেমন, তাদের রীতিনীতি কেমন, এসব বিষয় জেনে নিন। এতে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে সুবিধা হবে।
শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সাথে পরিচিত হন: 
  • আপনি নতুন মানুষ হিসেবে শ্বশুরবাড়ির সকল সদস্যদের সাথে পরিচিত হয়ে নিন এবং সুন্দর ব্যবহার করুন। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সাথে পরিচিত হন। তাদের সাথে কথা বলুন, তাদের ভালো লাগা-মন্দ লাগা বিষয়গুলো জেনে নিন। এতে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সুবিধা হবে।
শ্বশুরবাড়ির কাজে সাহায্য করুন: 
  • আপনার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর তাদের কাজে সাহায্য করুন। এতে আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি এবং অন্যান্য সদস্যরা আপনার প্রতি খুশি হবেন।

নতুন বর হিসেবে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার যে বিষয়গুলো এড়িয়ে যাবেন

শ্বশুর-শাশুড়ি বা অন্য কোনো সদস্যের সাথে তর্ক-বিতর্ক করবেন না: 
  • শ্বশুর-শাশুড়ি বা অন্য কোনো সদস্যের সাথে তর্ক-বিতর্ক করবেন না। এতে আপনার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতে পারে।
শ্বশুরবাড়ির কাজে সাহায্য করতে অস্বীকার করবেন না: 
  • শ্বশুরবাড়ির কাজে সাহায্য করতে অস্বীকার করবেন না। এতে আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি এবং অন্যান্য সদস্যরা আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন।
আপনার পরিবারের সাথে তুলনা করবেন না: 
  • পরিবারের ভালো-মন্দ কোন বিষয়ের সাথে আপনার শ্বশুর বাড়ির পরিবারের ভালো-মন্দ কোন বিষয় তুলনা করতে যাবেন না এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। শ্বশুরবাড়ির সাথে আপনার পরিবারের তুলনা করবেন না। এতে আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি এবং অন্যান্য সদস্যরা আপনার প্রতি রাগ করতে পারেন।
নতুন বর হিসেবে শ্বশুরবাড়িতে এসব বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখলে আপনি দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবেন এবং আপনার শ্বশুরবাড়ির সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।

বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ

বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ নিয়ে একটি প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে। আসলে এই কথাটির কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। এটি সম্ভবত একটি রূপক বা উপমা হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যার মাধ্যমে বোঝানো হতো একজন পুরুষের যৌন ক্ষমতা।
এই ভুল ধারণার উৎস:
সামাজিক রীতি: 
  • আগেকার সমাজে বাসর রাতকে ঘিরে অনেক রহস্য এবং কৌতূহল ছিল। এই রহস্যকে আরো বাড়িয়ে তুলতেই এই ধরনের কথা প্রচলিত হয়ে উঠেছিল।
পুরুষত্বের প্রমাণ: 
  • পুরুষত্বের প্রমাণ হিসেবে এই ধারণাটি ব্যবহৃত হতো। একজন পুরুষ যদি এই কাজটি করতে পারতো, তাহলে তাকে শক্তিশালী এবং পুরুষত্বের পরিচয় বলে মনে করা হতো।
ভয় এবং অজ্ঞতা: 
  • বাসর রাত নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক ভয় এবং অজ্ঞতা ছিল। এই ভয় এবং অজ্ঞতাকে কাটিয়ে উঠতে এই ধরনের কথা প্রচলিত হয়ে উঠেছিল।
বাস্তবতা:
  • কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই: এই ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
  • হিংসা ও ক্রুরতা: এই ধারণাটি হিংসা ও ক্রুরতাকে উৎসাহিত করে।
  • মানসিক চাপ: এই ধারণার কারণে নবদম্পতিরা মানসিক চাপ অনুভব করতে পারে।
আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি:
  • আধুনিক সমাজে বাসর রাতকে একটি বিশেষ এবং ব্যক্তিগত মুহূর্ত হিসেবে দেখা হয়। এটি দুজন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা এবং ভালোবাসা বাড়ানোর একটি সুযোগ। এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর ধারণা থেকে মুক্ত হয়ে নবদম্পতিদের উচিত তাদের এই বিশেষ মুহূর্তটিকে উপভোগ করা।
সুতরাং, বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ নিয়ে যে ধারণা প্রচলিত আছে, তা সম্পূর্ণ ভুল এবং অবাস্তব।

অতিরিক্ত যে বিষয় নতুন বর হিসেবে মেনে চলা ভালো

আপনার স্ত্রীর প্রতি যত্নশীল হোন: 
  • আপনার স্ত্রী নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে তার জন্য তাকে যত্নশীল হোন। তার সাথে কথা বলুন, তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। আপনার বাবা মা ভাই বোনের প্রতি যেমন আপনি যত্নশীল ঠিক তেমনি আপনার স্ত্রীর প্রতিও আপনাকে যথেষ্ট হতে হবে।
আপনার শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন: 
  • আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি আপনার স্ত্রীর বাবা-মা। আপনি যদি বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন এবং ছোটদের স্নেহ করেন তাহলে আপনার প্রতি সবার অন্যরকম মনভাব সৃষ্টি হবে। তাই তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। তাদের কথা মন দিয়ে শুনুন এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করুন তাদের কথা মেনে চলতে।
আপনার শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন: 
  • কথায় বলে ব্যবহারে বংশের পরিচয়। সুতরাং বাড়ির সবার সাথে ভালো ব্যবহার করুন এবং আপনার বংশের পরিচয় দিন। আপনার শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সাথেও ভালো সম্পর্ক রাখুন।

উপসংহার: 

আজ নতুন বর হিসেবে যেসব মেনে চলবেন বা বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী কি করে এবং বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় তা নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে নতুন কোন টপিক নিয়ে আলোচনা করব। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url