ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম বিষয় নিয়ে জানতে চান।
আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম কি তা
জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব।
চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।
ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম
ট্রেনের টিকিট রিফান্ড নিয়ম (বাংলাদেশ রেলওয়ে):
কখন রিফান্ড পাবেন:
- যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগে টিকিট ফেরত দিলে।
- ট্রেন বাতিল বা বিলম্বিত হলে।
- ট্রেনে যাত্রার অযোগ্য পরিবেশ থাকলে।
- ভুল ট্রেনের টিকিট কিনলে।
- দ্বিগুণ/অতিরিক্ত টিকিট কিনলে।
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকিট সংগ্রহ না করলে।
কত টাকা রিফান্ড পাবেন:
- যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগে টিকিট ফেরত দিলে:
- এসি ক্লাসের জন্য ৪০ টাকা
- প্রথম শ্রেণির জন্য ৩০ টাকা
- অন্যান্য শ্রেণির জন্য ২৫ টাকা পরিষেবা চার্জ কাটা হবে।
- ৪৮ ঘণ্টার কম এবং ২৪ ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট ফেরত দিলে: ভাড়ার ২৫% কাটা হবে।
- ২৪ ঘণ্টার কম এবং ১২ ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট ফেরত দিলে: ভাড়ার ৫০% কাটা হবে।
- ১২ ঘণ্টার কম এবং ৬ ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট ফেরত দিলে: ভাড়ার ৭৫% কাটা হবে।
- ৬ ঘণ্টার কম সময়ের জন্য কোন রিফান্ড দেওয়া হবে না।
- অনলাইনে ক্রয়ের জন্য পরিষেবা চার্জ অ-ফেরতযোগ্য।
টিকিট রিফান্ড করার প্রক্রিয়া:
অনলাইনে:
- টিকিট নম্বর, যাত্রার তারিখ এবং ট্রেনের নাম প্রদান করুন।
- "রিফান্ড রিকোয়েস্ট" বাটনে ক্লিক করুন।
- নির্দেশাবলী অনুসরণ করে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
স্টেশনে:
- যে স্টেশন থেকে টিকিট কিনেছেন সেই স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে যান।
- টিকিট, পরিচয়পত্র (এনআইডি/জন্মনিবন্ধন) এবং রিফান্ড ফর্ম সাবমিট করুন।
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিফান্ড পাবেন।
বিঃদ্রঃ:
রিফান্ডের জন্য আবেদন করার শেষ সময় ট্রেনের যাত্রা শুরুর ৩০ মিনিট আগে।
ট্রেন বাতিল বা বিলম্বিত হলে, রিফান্ডের জন্য আবেদন করার জন্য ৭ দিনের মধ্যে
স্টেশনে যেতে হবে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম:
- ১ মার্চ ২০২৩ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইনে কেনা ট্রেনের টিকিট অনলাইনেই ফেরত দেওয়ার সুবিধা চালু করেছে।
কোথায় পাবেন:
- রেলওয়ের ওয়েবসাইট: https://eticket.railway.gov.bd/
রেল সেবা অ্যাপ
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর
- টিকিট কেনার সময় ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর
- লেনদেন আইডি (যদি থাকে)
প্রক্রিয়া:
- ওয়েবসাইট বা অ্যাপে লগইন করুন।
- "আমার টিকিট" অপশনে যান।
- আপনি যে টিকিট ফেরত দিতে চান তা নির্বাচন করুন।
- "টিকিট বাতিল" বাটনে ক্লিক করুন।
- কেন টিকিট বাতিল করছেন তার কারণ উল্লেখ করুন।
- "নিশ্চিত করুন" বাটনে ক্লিক করুন।
টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম:
- ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট ফেরত দিলে পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
- ৪৮ ঘণ্টার কম এবং ২৪ ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট ফেরত দিলে ভাড়ার ২৫% কাটা হবে।
- ২৪ ঘণ্টার কম এবং ১২ ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট ফেরত দিলে ভাড়ার ৫০% কাটা হবে।
- ১২ ঘণ্টার কম এবং ৬ ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট ফেরত দিলে ভাড়ার ৭৫% কাটা হবে।
- ৬ ঘণ্টার কম সময়ের জন্য কোন টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
- অনলাইন ক্রয়ের জন্য পরিষেবা চার্জ অ-ফেরতযোগ্য।
টাকা ফেরত পাওয়া:
- টিকিট ফেরত দেওয়ার পর ৮ কার্যদিবসের মধ্যে টাকা আপনার মোবাইল ওয়ালেট বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরত দেওয়া হবে।
বিঃদ্রঃ:
- একবার টিকিট বাতিল করলে তা পুনরায় কেনা যাবে না।
- টিকিট বাতিল করার পর যদি কোন সমস্যা হয় তবে রেলওয়ের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন।
অন্যান্য তথ্য:
- https://eticket.railway.gov.bd/
- https://play.google.com/store/apps/details?id=cris.org.in.prs.ima&hl=en_US
- রেলওয়ে হেল্পলাইন: 161
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম (বাংলাদেশ রেলওয়ে):
কোথায় পাবেন:
- রেলওয়ের ওয়েবসাইট: https://eticket.railway.gov.bd/
- রেল সেবা অ্যাপ (মোবাইলে ডাউনলোড করুন)
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর
- একটি মোবাইল নম্বর
- একটি সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ওয়ালেট
প্রক্রিয়া:
- ওয়েবসাইট বা অ্যাপে যান এবং "সাইন আপ" বা "রেজিস্ট্রেশন" অপশনে ক্লিক করুন।
- আপনার এনআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- লগইন করুন।
- "ট্রেন" অপশনে ক্লিক করুন এবং আপনার ভ্রমণের শুরু ও শেষ স্টেশন, ভ্রমণের তারিখ এবং ট্রেনের ধরণ নির্বাচন করুন।
- "খোঁজুন" বাটনে ক্লিক করুন।
- উপলব্ধ ট্রেনের তালিকা থেকে আপনার পছন্দের ট্রেন এবং টিকিটের ধরণ (AC, Non-AC, ইত্যাদি) নির্বাচন করুন।
- "টিকিট বুক করুন" বাটনে ক্লিক করুন।
- যাত্রীদের তথ্য প্রদান করুন।
- পেমেন্টের মাধ্যম নির্বাচন করুন (ব্যাংক কার্ড, মোবাইল ওয়ালেট, ইত্যাদি) এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।
- "পেমেন্ট" বাটনে ক্লিক করুন।
- সফল পেমেন্টের পর, আপনার টিকিটটি নিশ্চিত করা হবে।
- আপনি টিকিটটি প্রিন্ট করতে পারেন অথবা আপনার মোবাইলে সংরক্ষণ করতে পারেন।
কিছু টিপস:
- টিকিট কেনার আগে ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়ার হার চেক করে নিন।
- দ্রুত টিকিট বুক করার জন্য, অনলাইনে পেমেন্ট ব্যবহার করুন।
- যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগে টিকিট বাতিল করলে পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন।
- টিকিট বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে আরও জানতে, https://eticket.railway.gov.bd/terms-and-conditions/en দেখুন।
- রেলওয়ে ওয়েবসাইট: https://eticket.railway.gov.bd/
- রেল সেবা অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=bd.com.shahadothimel.eticketrailwaybd&hl=en
- রেলওয়ে হেল্পলাইন: 161
প্রতিটি ট্রেন ভ্রমনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো আপনার মনে রাখা প্রয়োজন তা হল। আপনার টিকিট বুক করার সময় অবশ্যই যাত্রার তারিখ এবং আসন দেখে নেওয়া। আপনি হয়তো ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম এর জন্য টিকিট সংগ্রহ করে যাত্রার জন্য অপেক্ষা করছেন। এ সময় আপনার উচিত হবে .ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম ট্রেনটি গন্তব্যে কখন পৌঁছাবে এবং ট্রেনের মধ্যে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন সেই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয়
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয়:
বাংলাদেশ রেলওয়ে এখন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেনার সুবিধা প্রদান করে। আপনি
রেলওয়ে ই-টিকিটিং ওয়েবসাইট অথবা রেল সেবা অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই টিকিট কিনতে
পারেন।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর
- একটি মোবাইল নম্বর
- একটি সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ওয়ালেট
ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া:
১. রেজিস্ট্রেশন:
প্রথমে, আপনাকে রেলওয়ে ই-টিকিটিং ওয়েবসাইট এ একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
"সাইন আপ" বা "রেজিস্ট্রেশন" অপশনে ক্লিক করুন।
আপনার এনআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে
ফর্মটি পূরণ করুন।
"সাবমিট" বাটনে ক্লিক করুন।
২. লগইন:
আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করুন।
৩. টিকিট কেনা:
- "ট্রেন" অপশনে ক্লিক করুন।
- আপনার ভ্রমণের শুরু ও শেষ স্টেশন, ভ্রমণের তারিখ এবং ট্রেনের ধরণ নির্বাচন করুন।
- "খোঁজুন" বাটনে ক্লিক করুন।
- উপলব্ধ ট্রেনের তালিকা থেকে আপনার পছন্দের ট্রেন এবং টিকিটের ধরণ (AC, Non-AC, ইত্যাদি) নির্বাচন করুন।
- "টিকিট বুক করুন" বাটনে ক্লিক করুন।
- যাত্রীদের তথ্য প্রদান করুন।
- পেমেন্টের মাধ্যম নির্বাচন করুন (ব্যাংক কার্ড, মোবাইল ওয়ালেট, ইত্যাদি) এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।
- "পেমেন্ট" বাটনে ক্লিক করুন।
- সফল পেমেন্টের পর, আপনার টিকিটটি নিশ্চিত করা হবে।
৪. টিকিট সংগ্রহ:
- আপনি টিকিটটি প্রিন্ট করতে পারেন অথবা আপনার মোবাইলে সংরক্ষণ করতে পারেন।
- ট্রেনে চড়ার সময় আপনার পরিচয়পত্র এবং টিকিট সঙ্গে রাখুন।
- টিকিট কেনার আগে ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়ার হার চেক করে নিন।
- দ্রুত টিকিট বুক করার জন্য, অনলাইনে পেমেন্ট ব্যবহার করুন।
- যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগে টিকিট বাতিল করলে পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন।
- টিকিট বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে আরও জানতে, রেলওয়ে ই-টিকিটিং ওয়েবসাইটে "শর্তাবলী" অংশটি দেখুন।
- ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করলে কত টাকা পাওয়া যায়?
- ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করলে আপনি কত টাকা পাবেন তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর:
ট্রেন ছাড়ার কতক্ষণ আগে আপনি টিকিট বাতিল করেছেন:
- যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট বাতিল করলে পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
- ৪৮ ঘণ্টার কম এবং ২৪ ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট বাতিল করলে ভাড়ার ২৫% কাটা হবে।
- ২৪ ঘণ্টার কম এবং ১২ ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট বাতিল করলে ভাড়ার ৫০% কাটা হবে।
- ১২ ঘণ্টার কম এবং ৬ ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট বাতিল করলে ভাড়ার ৭৫% কাটা হবে।
- ৬ ঘণ্টার কম সময়ের জন্য কোন টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
আপনি কোন ধরণের টিকিট কিনেছিলেন:
- অনলাইনে ক্রয়ের জন্য পরিষেবা চার্জ অ-ফেরতযোগ্য।
- আপনি কিভাবে টিকিট বাতিল করছেন:
- স্টেশনে টিকিট বাতিল করলে কিছু অতিরিক্ত ফি প্রযোজ্য হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ:
- যদি আপনি যাত্রা শুরুর ৪৭ ঘণ্টা আগে একটি AC টিকিট বাতিল করেন, তাহলে আপনি পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন।
- যদি আপনি যাত্রা শুরুর ২৫ ঘণ্টা আগে একটি Non-AC টিকিট বাতিল করেন, তাহলে আপনি ভাড়ার ৭৫% ফেরত পাবেন।
- যদি আপনি যাত্রা শুরুর ৩ ঘণ্টা আগে অনলাইনে কেনা একটি AC টিকিট বাতিল করেন, তাহলে আপনি কোন টাকা ফেরত পাবেন না।
আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ট্রেন ভ্রমণ করে থাকি আপনি হয়তো ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম জানার জন্য আমাদের এই ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম পড়তে এসেছেন।চলুন আজ ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করি। ট্রেন ভ্রমণ অত্যন্ত আরামদায়ক এবং নিরাপদ একটি মাধ্যম যা বেশিরভাগ মানুষ পছন্দ করে থাকে।
ট্রেন ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রতিটি ট্রেনের সিডিউল টিকিট মূল্য এবং যাত্রা তারিখ জানতে হয়। তাই আমরা চেষ্টা করেছি ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম ট্রেনের টিকিট কিভাবে বুক করবেন কিভাবে অনলাইনে আপনার টিকেট সংগ্রহ করবেন সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার।
রিফান্ড পেতে কতদিন সময় লাগে?
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বাতিল করলে রিফান্ড পেতে সাধারণত ৮ কার্যদিবস সময় লাগে।
- কিছু বিষয় মনে রাখবেন:
- রবিবার এবং সরকারি ছুটির দিন বাদ দিয়ে কার্যদিবস হিসেবে গণ্য করা হয়।
- টিকিট বাতিল করার পর আপনার মোবাইল নম্বরে একটি SMS পাঠানো হবে যাতে রিফান্ড প্রক্রিয়ার আপডেট দেওয়া থাকবে।
- আপনি যদি ৮ কার্যদিবসের বেশি সময় অপেক্ষা করেন এবং রিফান্ড না পান, তাহলে আপনি রেলওয়ে হেল্পলাইনে (161) যোগাযোগ করতে পারেন।
রেলওয়ে ই-টিকিটিং ওয়েবসাইট
- রেল সেবা অ্যাপ
- রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার
- রেলওয়ে হেল্পলাইন: 161
ট্রেনের টিকিট ক্যানসেল করলে কত টাকা কাটে
ট্রেনের টিকিট বাতিল করলে কত টাকা কাটা হবে তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের
উপর:
১. ট্রেন ছাড়ার কতক্ষণ আগে আপনি টিকিট বাতিল করেছেন:
- যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগে টিকিট বাতিল করলে কোন টাকা কাটা হবে না এবং আপনি পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন।
- ৪৮ ঘণ্টার কম এবং ২৪ ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট বাতিল করলে ভাড়ার 25% কাটা হবে।
- 24 ঘণ্টার কম এবং 12 ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট বাতিল করলে ভাড়ার 50% কাটা হবে।
- 12 ঘণ্টার কম এবং 6 ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট বাতিল করলে ভাড়ার 75% কাটা হবে।
- 6 ঘণ্টার কম সময়ের জন্য কোন টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
২. আপনি কোন ধরণের টিকিট কিনেছিলেন:
অনলাইনে ক্রয়ের জন্য পরিষেবা চার্জ অ-ফেরতযোগ্য।
৩. আপনি কিভাবে টিকিট বাতিল করছেন:
স্টেশনে টিকিট বাতিল করলে কিছু অতিরিক্ত ফি প্রযোজ্য হতে পারে।
যদি আপনি যাত্রা শুরুর 47 ঘণ্টা আগে একটি AC টিকিট বাতিল করেন, তাহলে আপনার কোন
টাকা কাটা হবে না এবং আপনি পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন।
যদি আপনি যাত্রা শুরুর 25 ঘণ্টা আগে একটি Non-AC টিকিট বাতিল করেন, তাহলে আপনার
ভাড়ার 25% কাটা হবে।
যদি আপনি যাত্রা শুরুর 3 ঘণ্টা আগে অনলাইনে কেনা একটি AC টিকিট বাতিল করেন, তাহলে
আপনার ভাড়ার 75% কাটা হবে এবং অতিরিক্ত পরিষেবা চার্জও কাটা হবে।
বাতিল ট্রেনের টিকেট ফেরত দিতে কত দিন লাগে
বাতিল ট্রেনের টিকিট ফেরত পেতে সাধারণত ৮ কার্যদিবস সময় লাগে।
কিছু বিষয় মনে রাখবেন:
রবিবার এবং সরকারি ছুটির দিন বাদ দিয়ে কার্যদিবস হিসেবে গণ্য করা হয়।
টিকিট বাতিল করার পর আপনার মোবাইল নম্বরে একটি SMS পাঠানো হবে যাতে রিফান্ড
প্রক্রিয়ার আপডেট দেওয়া থাকবে।
আপনি যদি ৮ কার্যদিবসের বেশি সময় অপেক্ষা করেন এবং রিফান্ড না পান, তাহলে আপনি
রেলওয়ে হেল্পলাইনে (161) যোগাযোগ করতে পারেন।
মনে রাখবেন যে বাতিল ট্রেনের ক্ষেত্রে টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম একটু ভিন্ন হতে
পারে।
ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম (২০২৪)
বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন ধরণের ট্রেনের জন্য টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম নির্ধারণ
করেছে। টিকিট ফেরতের জন্য কত টাকা কাটা হবে তা নির্ভর করে ট্রেনের ধরণ, যাত্রা
শুরুর সময় থেকে টিকিট বাতিলের সময়ের উপর।
নীচে ২০২৪ সালের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম দেওয়া হল:
- যাত্রা শুরুর আগে টিকিট বাতিল:
- ৪৮ ঘণ্টা আগে: কোনো চার্জ নেই।
- ৪৮ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টা আগে: ভাড়ার 25% চার্জ।
- ২৪ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টা আগে: ভাড়ার 50% চার্জ।
- ১২ ঘণ্টা থেকে 6 ঘণ্টা আগে: ভাড়ার 75% চার্জ।
- 6 ঘণ্টা এর কম সময় আগে: টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না।
- অনলাইনে ক্রয় করা টিকিটের জন্য পরিষেবা চার্জ অ-ফেরতযোগ্য।
যাত্রা শুরুর পর টিকিট বাতিল:
ট্রেন ছাড়ার পর টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না।
যদি ট্রেন বিলম্বিত হয়, তাহলে যাত্রীরা বিকল্প ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন অথবা
টিকিট ফেরত নিতে পারবেন।
বাতিল ট্রেনের টিকিট:
- বাতিল ট্রেনের সকল যাত্রীর টিকিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত দেওয়া হবে।
- যাত্রীরা রেলওয়ে ওয়েবসাইট বা রেল সেবা অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইনে টিকিট ফেরত নিতে পারবেন।
- স্টেশনে গিয়েও টিকিট ফেরত নেওয়া যাবে।
টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- মূল টিকিট
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে, লেনদেনের প্রমাণ
- আরও তথ্যের জন্য:
- বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট: https://eticket.railway.gov.bd/
- রেল সেবা অ্যাপ
- রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার
- রেলওয়ে হেল্পলাইন: 161
মনে রাখবেন যে এই নিয়মগুলো পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য, বাংলাদেশ
রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বাতিল করার নিয়ম (২০২৪)
বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বাতিল করার সুবিধা প্রদান করে।** রেলওয়ে
ই-টিকিটিং ওয়েবসাইট অথবা রেল সেবা অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি সহজেই টিকিট বাতিল
করতে পারেন।
টিকিট বাতিল করার ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া:
১. রেলওয়ে ই-টিকিটিং ওয়েবসাইটে লগইন করুন:
আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে রেলওয়ে ই-টিকিটিং ওয়েবসাইটে লগইন করুন।
আপনি যদি রেজিস্টার করা না থাকেন, তাহলে "সাইন আপ" অপশনে ক্লিক করে একটি
অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
২. "আমার টিকিট" অপশনে ক্লিক করুন:
লগইন করার পর, "আমার টিকিট" অপশনে ক্লিক করুন।
এটি আপনার সমস্ত বুক করা টিকিটের একটি তালিকা দেখাবে।
৩. বাতিল করতে চাওয়া টিকিটটি নির্বাচন করুন:
আপনি যে টিকিটটি বাতিল করতে চান তা তালিকা থেকে নির্বাচন করুন।
৪. "টিকিট বাতিল করুন" বাটনে ক্লিক করুন:
নির্বাচিত টিকিটের বিবরণ পৃষ্ঠায়, "টিকিট বাতিল করুন" বাটনে ক্লিক করুন।
৫. নিশ্চিতকরণ:
একটি পপ-আপ উইন্ডো আপনাকে টিকিট বাতিল করার নিশ্চয়তা জিজ্ঞাসা করবে।
নিশ্চিত হলে, "হ্যাঁ" বাটনে ক্লিক করুন।
৬. রিফান্ড:
আপনার টিকিট সফলভাবে বাতিল হয়ে গেলে, আপনি একটি নিশ্চিতকরণ বার্তা পাবেন।
টিকিট ফেরতের নিয়ম অনুসারে, আপনি আপনার ভাড়ার একটি অংশ ফেরত পাবেন।
রিফান্ড সাধারণত ৮ কার্যদিবসের মধ্যে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বা মোবাইল
ওয়ালেটে জমা হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন:
- অনলাইনে ক্রয় করা টিকিটের জন্য পরিষেবা চার্জ অ-ফেরতযোগ্য।
- ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট বাতিল করলে পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
- ৪৮ ঘণ্টার কম এবং ২৪ ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট বাতিল করলে ভাড়ার 25% কাটা হবে।
- 24 ঘণ্টার কম এবং 12 ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট বাতিল করলে ভাড়ার 50% কাটা হবে।
- 12 ঘণ্টার কম এবং 6 ঘণ্টার বেশি আগে টিকিট বাতিল করলে ভাড়ার 75% কাটা হবে।
ট্রেনের টিকিট বাতিলের চার্জ বাংলাদেশ
ট্রেনের টিকিট বাতিলের চার্জ (বাংলাদেশ, ২০২৪)
বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন ধরণের ট্রেনের জন্য টিকিট বাতিলের নিয়ম নির্ধারণ
করেছে। টিকিট ফেরতের জন্য কত টাকা কাটা হবে তা নির্ভর করে ট্রেনের ধরণ, যাত্রা
শুরুর সময় থেকে টিকিট বাতিলের সময়ের উপর।
নীচে ২০২৪ সালের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম দেওয়া হল:
যাত্রা শুরুর আগে টিকিট বাতিল:
- ৪৮ ঘণ্টা আগে: কোনো চার্জ নেই।
- ৪৮ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টা আগে: ভাড়ার 25% চার্জ।
- ২৪ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টা আগে: ভাড়ার 50% চার্জ।
- ১২ ঘণ্টা থেকে 6 ঘণ্টা আগে: ভাড়ার 75% চার্জ।
- 6 ঘণ্টা এর কম সময় আগে: টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না।
- অনলাইনে ক্রয় করা টিকিটের জন্য পরিষেবা চার্জ অ-ফেরতযোগ্য।
উদাহরণস্বরূপ:
- যদি আপনি যাত্রা শুরুর 47 ঘণ্টা আগে একটি AC টিকিট বাতিল করেন, তাহলে আপনার কোন টাকা কাটা হবে না এবং আপনি পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন।
- যদি আপনি যাত্রা শুরুর 25 ঘণ্টা আগে একটি Non-AC টিকিট বাতিল করেন, তাহলে আপনার ভাড়ার 25% কাটা হবে।
- যদি আপনি যাত্রা শুরুর 3 ঘণ্টা আগে অনলাইনে কেনা একটি AC টিকিট বাতিল করেন, তাহলে আপনার ভাড়ার 75% কাটা হবে এবং অতিরিক্ত পরিষেবা চার্জও কাটা হবে।
- মনে রাখবেন যে এই নিয়মগুলো পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য, বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ট্রেনের টিকিট বাতিল সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, আপনি নিম্নলিখিতগুলিতে যেতে
পারেন:
বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট: https://eticket.railway.gov.bd/
রেল সেবা অ্যাপ
রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার
রেলওয়ে হেল্পলাইন: 161
মোবাইল ট্রেন টিকেট বুকিং করুন খুব সহজে
Welcome to best “বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং বা মোবাইল ট্রেন টিকেট বুকিং করুন
খুব সহজে বা ট্রেনের টিকিট ক্রয় " Bangle Tutorials by Zamzam IT
Institute এই ভিডিওতে আমি দেখিয়েছি যে “ বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং বা
মোবাইল ট্রেন টিকেট বুকিং করুন খুব সহজে বা ট্রেনের টিকিট ক্রয় “ যা শিখে এ
সর্ম্পকিত অনেকগুলো কাজ করে ফেলতে পারবেন যেগুলো বাস্তব জীবনে অনেক বেশি
দরকার। ” বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং বা মোবাইল ট্রেন টিকেট বুকিং করুন
খুব সহজে বা ট্রেনের টিকিট ক্রয় " বাংলা এই ভিডিওতে ”রেল সেবা রেজিস্ট্রেশন "
দেখুন, শিখুন ও এক্সপার্ট হয়ে আয় করুন। ভিডিওটা ভালো লাগলে লাইক দিন,
কমেন্ট করুন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন । এছাড়াও চ্যানেলটা ঘুরে
দেখুন আশা করি আরও ভালো কিছু শিখতে পারবেন । বিস্তারিত জানতে এ ভিডিটি দেখে আসুন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আজ ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করলাম।
আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের ট্রেনের টিকিট
রিফান্ড করার নিয়ম আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে
অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে
ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url