ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান বিষয় নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।

ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থান:
লালবাগ কেল্লা: ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান
মোগল আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন, যা সম্রাট মোমতাজ মহলের পিতা শাহজাহান নির্মাণ করেছিলেন।
ঐতিহাসিক নিদর্শন: লালবাগ কেল্লা মুঘল আমলের একটি অসমাপ্ত দুর্গ, যা মোমতাজ মহলের পিতা শাহজাহান নির্মাণ করেছিলেন।
  • অবস্থান: এটি ঢাকার পুরান ঢাকায় অবস্থিত, যমুনা নদীর তীরে।
  • নির্মাণকাল: দুর্গের নির্মাণকাজ ১৬৭৮ সালে শুরু হয়েছিল এবং ১৬৮৪ সালে শায়েস্তা খানের মেয়ের মৃত্যুর পর বন্ধ হয়ে যায়।
  • স্থাপত্যশৈলী: মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন, লাল ইট দিয়ে তৈরি।
  • দর্শনীয় স্থান: দুর্গের মধ্যে রয়েছে দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রত্নমণি মসজিদ, হাতিহানা, ওয়াকিং ট্রেল এবং আরও অনেক কিছু।
  • জাদুঘর: দুর্গের ভেতরে একটি জাদুঘর রয়েছে যেখানে মুঘল আমলের অস্ত্র, পোশাক, ও অন্যান্য জিনিসপত্র প্রদর্শিত হয়।
  • সংস্কৃতি: লালবাগ কেল্লা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক।
  • পরিবেশ: দুর্গের চারপাশে মনোরম পরিবেশ, যেখানে হাঁটাহাঁটি, পিকনিক ও ঐতিহাসিক স্থাপত্য উপভোগ করা যায়।
  • উৎসব: লালবাগ কেল্লায় নিয়মিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসবের আয়োজন করা হয়।
  • টিকিট: দুর্গে প্রবেশের জন্য টিকিট প্রয়োজন।
  • লালবাগ কেল্লা ঢাকা ভ্রমণের একটি অপরিহার্য অংশ।
আহসান মঞ্জিল: ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান
নবাব আহসানউল্লাহ কর্তৃক নির্মিত ঐতিহাসিক প্রাসাদ, যা বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নবাবী স্থাপত্য: আহসান মঞ্জিল নবাব আহসানউল্লাহ কর্তৃক নির্মিত একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ, যা নবাবী স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন।
  • অবস্থান: এটি ঢাকার নবাবপুর এলাকায় অবস্থিত, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে।
  • নির্মাণকাল: প্রাসাদটি ১৮৭২ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল।
  • স্থাপত্যশৈলী: মিশ্র স্থাপত্যশৈলী, যার মধ্যে ইউরোপীয়, মুঘল ও পারস্য স্থাপত্যের unsur রয়েছে।
  • দর্শনীয় স্থান: প্রাসাদের মধ্যে রয়েছে দরবার হল, রানীর boudoir, গেস্ট রুম, থিয়েটার হল, ও আরও অনেক কিছু।
  • জাদুঘর: বর্তমানে প্রাসাদটি একটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেখানে নবাবী আমলের আসবাবপত্র, পোশাক, ও অন্যান্য জিনিসপত্র প্রদর্শিত হয়।
  • সংস্কৃতি: আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক।
  • পরিবেশ: প্রাসাদের চারপাশে মনোরম পরিবেশ, যেখানে হাঁটাহাঁটি, পিকনিক ও ঐতিহাসিক স্থাপত্য উপভোগ করা যায়।
  • উৎসব: আহসান মঞ্জিলে নিয়মিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসবের আয়োজন করা হয়।
  • টিকিট: প্রাসাদে প্রবেশের জন্য টিকিট প্রয়োজন।
  • আহসান মঞ্জিল ঢাকা ভ্রমণের একটি জনপ্রিয় স্থান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান
ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠাকাল: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়, যা ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • অবস্থান: এটি ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, রমনা পার্কের পাশে।
  • খ্যাতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চমানের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য দেশ-বিদেশে সমাদৃত।
  • বিভাগ ও অনুষদ: বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ এবং ৫৭টি ইনস্টিটিউট রয়েছে।
  • ছাত্র সংখ্যা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪০,০০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে।
  • শিক্ষক: বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১,৯০০ জন শিক্ষক রয়েছেন।
  • গ্রন্থাগার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে নয় লক্ষাধিক বই রয়েছে।
  • ছাত্র সংগঠন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) দেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন।
  • ঐতিহ্য: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
  • পরিবেশ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত ও মনোরম পরিবেশ শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয়।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার গর্ব।
জাতীয় জাদুঘর: ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার জন্য একটি বিশাল সংগ্রহশালা।
ইতিহাস ও সংস্কৃতির ভাণ্ডার:
প্রতিষ্ঠাকাল: জাতীয় জাদুঘর ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • অবস্থান: ঢাকার শাহবাগ এলাকায় অবস্থিত।
  • সংগ্রহ: জাদুঘরে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, মুদ্রা, শিল্পকর্ম, পোশাক, অস্ত্র, ও আরও অনেক কিছু সহ বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে।
  • গ্যালারি: জাদুঘরে প্রাচীন ভাস্কর্য, পোড়ামাটির জিনিসপত্র, মুঘল আমলের অস্ত্র, ব্রিটিশ আমলের জিনিসপত্র, ও আরও অনেক কিছুর জন্য বিভিন্ন গ্যালারি রয়েছে।
  • প্রদর্শনী: জাদুঘরে নিয়মিত বিভিন্ন বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
  • গবেষণা: জাদুঘর বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে গবেষণা পরিচালনা করে।
  • শিক্ষা: জাদুঘর শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে।
  • পরিবেশ: জাদুঘরের পরিবেশ শান্ত ও মনোরম।
  • প্রবেশাধিকার: জাদুঘরে প্রবেশের জন্য টিকিট প্রয়োজন।
  • গুরুত্ব: জাতীয় জাদুঘর বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
  • জাতীয় জাদুঘর ঢাকা ভ্রমণের একটি অপরিহার্য অংশ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার: ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ।
ভাষা আন্দোলনের প্রতীক:
  • অবস্থান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।
  • স্থাপত্য: ৩১ মিটার উঁচু স্তম্ভ, যা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল।
  • পরিচয়: বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দানকারীদের স্মরণে নির্মিত একটি জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ।
  • গুরুত্ব: বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের প্রতীক।
  • ঐতিহাসিক ঘটনা: ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে। পাকিস্তানি পুলিশ গুলি চালিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করে। এই ঘটনার স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মিত হয়।
  • স্মরণ দিবস: প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।
  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: শহীদ মিনারে নিয়মিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
  • জাতীয় সম্পদ: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাংলাদেশের একটি জাতীয় সম্পদ।
  • রক্ষণাবেক্ষণ: প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শহীদ মিনারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।
  • দর্শনীয় স্থান: ঢাকা ভ্রমণকারীদের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান।
  • কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য আমাদের আত্মত্যাগের প্রতীক।
ধর্মীয় স্থান: ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

বায়তুল মোকাররম: ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশের বৃহত্তম মসজিদ।
ঢাকার গর্ব:ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান
  • অবস্থান: ঢাকার পুরান ঢাকায় অবস্থিত, স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশে।
  • দেশের বৃহত্তম মসজিদ: ১৯৬৮ সালে নির্মিত, এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ, যেখানে একসাথে ৫০,০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
  • স্থাপত্যশৈলী: মুঘল ও আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ, যার চারটি মিনার ও একটি কেন্দ্রীয় গম্বুজ রয়েছে।
  • ধর্মীয় স্থান: মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান, যেখানে নিয়মিত নামাজ, জুমার নামাজ ও ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মসজিদের সাথে সংযুক্ত একটি ধর্মীয় বিদ্যালয় ও একটি লাইব্রেরি রয়েছে।
  • সামাজিক কেন্দ্র: বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
  • পর্যটন কেন্দ্র: দেশি ও বিদেশী পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় আকর্ষণ।
  • ঐতিহাসিক গুরুত্ব: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বায়তুল মোকাররম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • নির্মাণ ব্যয়: ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত।
  • রক্ষণাবেক্ষণ: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।
  • বায়তুল মোকাররম ঢাকার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ঈমানের প্রতীক।

ঢাকেশ্বরী মন্দির: ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

হিন্দুদের একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় মন্দির।
ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান:ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান
  • অবস্থান: ঢাকার পুরান ঢাকায় অবস্থিত, সোনারগাঁওয়ের নবাবদের প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষের পাশে।
  • প্রতিষ্ঠাকাল: ধারণা করা হয় ১২শ শতাব্দীতে নির্মিত, তবে স্থাপত্যশৈলীর সাথে মিল না থাকায় বিতর্ক রয়েছে।
  • মন্দিরের দেবী: ঢাকার অধিষ্ঠাত্রী দেবী ঢাকেশ্বরী মায়ের মন্দির।
  • স্থাপত্যশৈলী: মুঘল ও হিন্দু স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ, যার তিনটি গম্বুজ, খিলানযুক্ত প্রবেশপথ এবং প্লাস্টার করা দেয়াল রয়েছে।
  • ধর্মীয় গুরুত্ব: হিন্দুদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান, যেখানে নিয়মিত পূজা-অর্চনা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি অনুষ্ঠিত হয়।
  • ঐতিহাসিক তাৎপর্য: ঢাকার ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
  • পরিবেশ: মন্দিরের চারপাশে মনোরম পরিবেশ, যেখানে হাঁটাহাঁটি, পিকনিক ও ঐতিহাসিক স্থাপত্য উপভোগ করা যায়।
  • উৎসব: নবরাত্রি, দুর্গা পূজা ও অন্যান্য হিন্দু উৎসব এখানে জাঁকজমক করে পালিত হয়।
  • টিকিট: মন্দিরে প্রবেশের জন্য টিকিট প্রয়োজন।
  • রক্ষণাবেক্ষণ: বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।
  • ঢাকেশ্বরী মন্দির ঢাকার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতীক।

কার্জন হল: ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঐতিহাসিক ভবন, যা বর্তমানে একটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ঐতিহাসিক ভবন:
  • অবস্থান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কেন্দ্রে অবস্থিত।
  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯০৪ সালে নির্মিত, ভবনটি ভারতের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জনের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
  • স্থাপত্যশৈলী: ইউরোপীয় নবজাগরণ স্থাপত্যশৈলী, যার মধ্যে স্তম্ভ, খিলান, গম্বুজ এবং মূর্তি রয়েছে।
  • ব্যবহার: বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • ঐতিহাসিক গুরুত্ব: ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সময় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী।
  • পরিবেশ: ভবনের চারপাশে মনোরম পরিবেশ, যেখানে হাঁটাহাঁটি, পিকনিক ও ঐতিহাসিক স্থাপত্য উপভোগ করা যায়।
  • আকর্ষণ: ভবনের সামনের দিকের লন, মূর্তিশিল্প এবং অভ্যন্তরীণ স্থাপত্য দর্শকদের আকর্ষণ করে।
  • রক্ষণাবেক্ষণ: প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ভবনটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।
  • নিরাপত্তা: ভবনটি সর্বদা নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা পাহারা দেওয়া হয়।
  • পর্যটকদের জন্য: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমণকারীদের জন্য কার্জন হল একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান।
  • কার্জন হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও গর্বের প্রতীক।
বিনোদন কেন্দ্র:ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

রমনা পার্ক: ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান

ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি বিশাল পার্ক, যেখানে হাঁটাহাঁটি, পিকনিক ও বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডের সুযোগ রয়েছে।
ঢাকার বুকে সবুজের সমারোহ:
  • অবস্থান: ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, কার্জন হলের পাশে।
  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৫২ সালে নির্মিত, এটি ঢাকার প্রাচীনতম ও বৃহত্তম পার্ক।
  • আয়তন: ১৭০ একর জমির উপর বিস্তৃত।
  • পরিবেশ: মনোরম পরিবেশ, যেখানে হাঁটাহাঁটি, পিকনিক, ওয়াটার রাইড, বোটিং এবং শিশুদের জন্য খেলার মাঠ রয়েছে।
  • আকর্ষণ: জাতীয় জাদুঘর, শহীদ মিনার, ও বাংলাদেশ ব্যাংক মিউজিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান পার্কের ভেতরে অবস্থিত।
  • উৎসব: পহেলা বৈশাখ, জাতীয় শোক দিবস, ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এখানে জাঁকজমক করে পালিত হয়।
  • নিরাপত্তা: পার্কটি সর্বদা নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা পাহারা দেওয়া হয়।
  • প্রবেশাধিকার: পার্কে প্রবেশের জন্য টিকিট প্রয়োজন।
  • রক্ষণাবেক্ষণ: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।
  • পর্যটকদের জন্য: ঢাকা ভ্রমণকারীদের জন্য রমনা পার্ক একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান।
  • রমনা পার্ক ঢাকাবাসীর কাছে আনন্দের উৎস ও শহরের সবুজ ফুসফুস।

গুলিস্তান: ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান
ঢাকার ব্যস্ততম ও জনপ্রিয় বাজার এলাকা, যেখানে কেনাকাটার পাশাপাশি স্ট্রিট ফুড উপভোগ করা যায়।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র:
অবস্থান: ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: মোগল আমল থেকে ব্রিটিশ শাসনকাল পর্যন্ত, ঢাকার রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল।
  • বাজার: ঢাকার সবচেয়ে বড় ও প্রাচীনতম বাজার, যেখানে সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
  • জনপ্রিয়তা: ঢাকাবাসীর কাছে একটি জনপ্রিয় স্থান, বিশেষ করে কেনাকাটার জন্য।
  • ঐতিহ্য: ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক, ও জিনিসপত্রের জন্য বিখ্যাত।
  • পরিবহন: ঢাকার বিভিন্ন স্থানের সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত।
  • সংস্কৃতি: ঢাকার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন।
  • জনজীবন: ঢাকাবাসীর জীবনযাত্রার ধরণ ও রীতিনীতি প্রত্যক্ষ করা যায়।
  • ঝুঁকি: যানজট, ভিড়, ও অপরাধের ঝুঁকি থাকে।
  • পর্যটন: ঢাকা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।
  • গুলিস্তান ঢাকার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ও ব্যস্ততার প্রতীক।

মিরপুরে ঘোরার জায়গা

মিরপুর ঢাকার একটি জনপ্রিয় এলাকা যা তার বিভিন্ন আকর্ষণের জন্য পরিচিত। ঐতিহাসিক স্থান থেকে শুরু করে বিনোদন পার্ক, মিরপুরে প্রত্যেকের জন্য কিছু না কিছু আছে।
মিরপুরে ঘোরার  জন্য কিছু জনপ্রিয় স্থান :
  • জাতীয় চিড়িয়াখানা: বাংলাদেশের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় 3,000 টিরও বেশি প্রাণী রয়েছে।
বোটানিক্যাল গার্ডেন: 
  • ঢাকার ফুলের সবচেয়ে বড় সংগ্রহশালা, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও ফুল রয়েছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ: 
  • ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত একটি স্মৃতিসৌধ।
মিরপুর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর: 
  • বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রদর্শনী রয়েছে।
আব্দুল গণি পার্ক: 
  • মিরপুরের একটি জনপ্রিয় পার্ক যেখানে হাঁটাহাঁটি, পিকনিক ও খেলাধুলার জন্য সুন্দর পরিবেশ রয়েছে।
মিরপুর বাজার: 
  • ঢাকার অন্যতম বৃহত্তম বাজার যেখানে সব ধরণের জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
লাভ রোড: 
  • মিরপুরের একটি জনপ্রিয় রাস্তা যেখানে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, দোকান ও বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে।
এছাড়াও, মিরপুরে আরও অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে, যেমন:
  • মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম
  • মিরপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
  • মিরপুর স্টেডিয়াম
  • রমনা পার্ক
  • বনানী
আপনার রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী মিরপুরে ঘোরার জন্য অনেক আকর্ষণীয় স্থান  আছে।

কম খরচে ঘোরার জায়গা

বাংলাদেশে কম খরচে ঘোরার জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে। আপনার রুচি অনুযায়ী, আপনি পাহাড়, সমুদ্র, ঐতিহাসিক স্থান, বা প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন।
কক্সবাজার: 
  • বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, যেখানে আপনি সূর্যস্নান, সাঁতার কাটা, ও বিভিন্ন জলক্রীড়া উপভোগ করতে পারেন।
সেন্টমার্টিন: 
  • সুন্দর দ্বীপ, যেখানে আপনি নীল জল, সাদা বালি, ও ম্যানগ্রোভ বন উপভোগ করতে পারেন।
বান্দরবান: 
  • পাহাড়ি জেলা, যেখানে আপনি ঝর্ণা, ঐতিহ্যবাহী গ্রাম, ও রোমাঞ্চকর ট্রেকিং উপভোগ করতে পারেন।
সিলেট: 
  • চা-বাগান, ঝর্ণা, ও মনোরম পরিবেশের জন্য বিখ্যাত।
রাজশাহী: 
  • ঐতিহাসিক স্থান, যেমন বড়দিঘি, পুঠিয়া রাজবাড়ি, ও বড়কান্দি মাজার দেখার জন্য ভালো।
ময়মনসিংহ:
  •  ঐতিহাসিক স্থান, যেমন বাহাদুর শাহ পার্ক, ত্রিশাল বাজার, ও ধোবাখোলা মসজিদ দেখার জন্য ভালো।
কুষ্টিয়া: 
  • ঐতিহাসিক স্থান, যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান কুষ্টিয়া, উল্লাশবাড়ি মন্দির, ও জামিয়া মসজিদ দেখার জন্য ভালো।
কিছু টিপস কম খরচে ভ্রমণ করার জন্য :
  • অফ-সিজনে ভ্রমণ করুন: পিক সিজনের তুলনায় অফ-সিজনে হোটেল ও পরিবহনের খরচ অনেক কম থাকে।
  • পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন: ট্যাক্সি বা রিক্সার পরিবর্তে বাস, ট্রেন, বা লঞ্চ ব্যবহার করুন।
  • হোস্টেল বা গেস্ট হাউসে থাকুন: হোটেলের তুলনায় হোস্টেল বা গেস্ট হাউসে থাকার খরচ অনেক কম।
  • নিজের খাবার রান্না করুন: রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পরিবর্তে নিজের খাবার রান্না করুন।
  • ফ্রি আকর্ষণগুলি দেখুন: অনেক শহরেই বিনামূল্যে প্রবেশযোগ্য জাদুঘর, আর্ট গ্যালারী, ও ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে।
কম খরচে ভ্রমণ করেও আপনি বাংলাদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আজ ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url