নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক বা ভোটার আইডি কার্ড চেক বিষয় নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক বা ভোটার আইডি কার্ড চেক কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক বা ভোটার আইডি কার্ড চেক নিয়ে আলোচনা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।
ভোটার আইডি কার্ড চেক - নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক
আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বা বিভিন্ন প্রয়োজনে নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড
চেক বা ভোটার আইডি দিয়ে আইডি কার্ড চেক বা এন আই ডি দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার
চেষ্টা করে থাকে। আজ আমরা ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য নাম্বার দিয়ে আইডি
কার্ড কিভাবে চেক করা যায় সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।
- বিভিন্ন জরুরী প্রয়োজনে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র চেক বা NID Card Check করার প্রয়োজন হতে পারে। দেখুন কিভাবে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করবেন।
- আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন বা ভোটার আইডি বিভিন্ন কারণে চেক করার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই কিভাবে আপনি আপনার আইডি কার্ড যাচাই করবেন সেই বিষয়ে জানতে পর্ব আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন। নতুন ভোটার হয়েছেন, এখন আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করা প্রয়োজন। অথবা, কোন বিশেষ প্রয়োজনে ভোটার আইডি কার্ড যাচাই করার প্রয়োজন হচ্ছে। কিভাবে করবেন? এই ব্লগে আমি দেখাবো কয়েকটি ট্রিক যেগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
- আমরা স্টেড় বাই স্টেপ নিচে কয়েকটি পদ্ধতির মধ্যে, ভোটার আইডি কার্ড চেকিং অ্যাপ দিয়ে শুধুমাত্র NID নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে যে কারো, নাম, পিতা-মাতার নাম ও ছবি দেখতে পারবেন। আপনার সার্ভারের লগইন করার পর নিচে দেখানো বিষয়গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন।
তাছাড়া, মোবাইল ও ফেইস ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে লগ ইন করে NID সার্ভার থেকে নিজের
সকল তথ্য দেখা, এনআইডি সংশোধন ও জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার সুযোগ রয়েছে। আসুন
নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক এর পাশাপাশি আমাদের তথ্যগুলো নিরাপদ রাখার চেষ্টা
করি।
তবে নিজের NID Card Check বাংলাদেশ থেকে করা যাবে। আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার নির্দেশনাবলী
আপনি ভোটার হয়ে থাকলে রেজিস্ট্রেশন করে এই ওয়েবসাইটের সুবিধা নিতে পারেন।
রেজিস্ট্রেশন করতে নিন্মের ধাপসমূহ অনুসরণ করতে হবেঃ
- প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী পূরণ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন
- আপনার কার্ডের তথ্য ও মোবাইলে প্রাপ্ত এক্টিভেশন কোড প্রদান করুন
- আপনার মোবাইলে এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং মুখমণ্ডল যাচাই (Face Verification) করে আপনার প্রোফাইলে লগইন করুন
আসুন প্রথমেই জানি, নতুন ভোটার নিবন্ধন করার পর আপনার এনআইডি প্রস্তুত হয়েছে কিনা
তা Form Number দিয়ে কিভাবে চেক করবেন।
ফরম নাম্বার দিয়ে NID Card Check
এখন আর শোন ফরম নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড চেক করার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করার চেষ্টা করি। অনেকেই এনআইডি নাম্বার বা ভোটার আইডি নাম্বার হারিয়ে
ফেলেন সে ক্ষেত্রে ফরম নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড চেক করতে হয়। কিভাবে ফরম
নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড চেক করতে হয় চলুন বিস্তারিত জানি।
ফরম নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড চেক করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
- NID Website ভিজিট করে Registration অপশনে যান;
- ফরম নাম্বার ও জন্ম তারিখ লিখুন। Form Number এর শুরুতে NIDFN লিখুন। উদাহরণ-NIDFN123456789;
- ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করুন;
- NID প্রস্তুত হলে আপনার কাছে ঠিকানা সিলেক্ট করার অপশন আসবে।
- ঠিকানা দিয়ে ও ফেইস ভেরিফিকেশন করে আইডি কার্ড চেক করুন।
ফরম নাম্বার হারিয়ে ফেললে দেখতে পারেন ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয়। ফরম
নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া দেখুন।
- ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড
- NID নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক
NID নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন Automated
Challan System। এখানে ভিজিট করে পাসপোর্ট ফি অপশন সিলেক্ট করুন। এরপর ব্যক্তি
বাটনে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ও জন্ম তারিখ লিখে Check NID বাটন
ক্লিক করুন। NID নাম্বার ঠিক থাকলে নাম ও ঠিকানা দেখতে পাবেন।
নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক
আসুন আজ নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার পদ্ধতি জেনে নেই। অনেকেই মোবাইল
নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করতে চান যেটি কোনভাবেই সম্ভব নয়।
- নির্বাচন কমিশনের NID Server থেকে শুধুমাত্র এনআইডি নম্বর ও ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা যায়।
- আপনি যদি উপরের পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে ফ্রম পূরণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।
এবার জানি কিভাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি বা
এনআইডি কার্ডের তথ্য চেক করবেন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪
- ভোটার আইডি নাম্বার এবং এনআইডি নাম্বার এক নয়। অনেকেই এই বিষয়টি ভুল করে থাকেন। ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে NID নম্বর, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।
- NID Wallet অ্যাপ দিয়ে Face Verification সম্পন্ন করুন।
- ভেরিফিকেশন শেষে একাউন্টের Password সেট করুন।
সবশেষে লগ ইন করে প্রোফাইল অপশন থেকে NID Card Check করতে পারবেন।
- এন আইডি কার্ড ডাউনলোড
- নতুন ও পুরাতন আইডি কার্ড চেক
আপনি যদি আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে নিজের পদ্ধতি অনুসরণ করে
ডাউনলোড করে ফেলুন।
- ভোটার আইডি কার্ড এবং এনআইডি কার্ড যেহেতু এক নয় সেহেতু নতুন অপরাধন আইডি কার্ড চেক করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভোটার আইডি নাম্বার বা এন আই ডি নাম্বার প্রয়োজন হবে।
- পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য একই ভাবে services.nidw.gov.bd সাইটে আইডি নাম্বার, জন্ম তারিখ ও ফেইস ভেরিফিকেশন করে NID account Registration করতে হবে।
- এরপর প্রোফাইলে লগইন করার পর আইডি কার্ডের তথ্য দেখতে পারবেন।
যারা নতুন ভোটার নিবন্ধন করেছেন তারাও একইভাবে নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে
পারবেন। এই পদ্ধতিতে কিভাবে Face Verification করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড যাচাই
করবেন তার বিস্তারিত প্রক্রিয়া এই লিংকে দেখানো হয়েছে, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড।
NID Card Check
আইডি কার্ড চেক করার জন্য প্রয়োজন হবে আপনার এন আই ডি নাম্বার আপনার ফেস
ভেরিফিকেশন ছবি সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন, পুলিশ,
গোয়েন্দা সংস্থা, ব্যাংক-বীমা বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য
যাচাইয়ের জন্য, নির্বাচন কমিশন থেকে সরবরাহ করা NID Verification সফটওয়ার
ব্যবহার করতে পারে। এই Software ব্যবহার করার জন্য porichoy.gov.bd সাইট থেকে
আবেদন করে ও ফি দিয়ে প্যাকেজ কিনতে হয়।
SMS এর মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি চেক
- এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার আইডি চেক করার বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি। SMS এর মাধ্যমে এনআইডি কার্ড চেক করার জন্য মোবাইলে মেসেজ অপশন থেকে NID স্পেস Form Number স্পেস DD-MM-YYYY লিখে 105 নম্বরে Send করুন। ফিরতি মেসেজে আপনার এনআইডি প্রস্তুত হলে তা জানিয়ে দেয়া হবে এবং NID নম্বর পাঠানো হবে।
- আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন বা বিভিন্ন কারণে আপনার ভোটার আইডি চেক করার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি চেক করতে পারেন।
- নতুন যারা ভোটার নিবন্ধন করেছেন কিন্তু এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর পান নি।
- আপনি এখনি এসএমএসের মাধ্যমেও মোবাইলে ভোটার আইডি চেক করতে পারবেন। আপনার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর জেনে নিতে পারেন এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
- বর্তমান সময়ে নাম্বার দিয়ে আইডি চেক বা এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার আইডি চেক এর এ বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল হয়ে গেছে। এখন আপনার আইডি নাম্বার এবং ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে বিভিন্ন তথ্য চুরি করার চেষ্টা করছে।
- সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি এবং এনআইডি নাম্বার কাউকে দিবেন না।
- এছাড়া সরাসরি অনলাইন থেকে আপনার ভোটার স্লিপ নম্বর বা ফর্ম নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর বের করতে ও জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
- অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়মটি নিচে দেখুন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক
NID Number Check SMS Format
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য এনআইডি নাম্বার চেক এসএমএস ফরমেট এই এসএমএস
ফরমেটটি ফলো করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারেন। NID<Space>FORM
NO<Space>DD-MM-YYYY এবং 105 নম্বরে পাঠিয়ে দিন। ফিরতি SMS এর মাধ্যমে
আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর পাঠানো হবে।
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক
- মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি চেক করার পূর্বেই প্রয়োজন হবে আপনার এনআইডি কার্ড এন আই ডি নাম্বার। এখন অনেকেরই এনআইডি নাম্বার পরিবর্তন হয়ে স্মার্ট আইডি তৈরি হয়েছে। তবে এনআইডি এবং স্মার্ট আইডি ২ নাম্বার দিয়েই আপনি মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
- মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য সহজ একটি উপায় হলো Online GD App ব্যবহার করে চেক করা। এজন্য প্রথেমে Play Store থেকে GD App ইন্সটল করুন। তারপর “নিবন্ধন” অপশনে গিয়ে এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে আপনার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
নাম ও ঠিকানাসহ জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই পদ্ধতি
- আপনি যদি নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করতে চান বা নাম ঠিকানাসহ জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করতে চান তাহলে নিচের ওয়েবসাইটে গিয়ে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন। শুধুমাত্র নাম ও ঠিকানাসহ জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার জন্য ভিজিট করুন ldtax.gov.bd ।
- এরপর নাগরিক নিবন্ধন অপশন থেকে মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখে পরবর্তী ধাপে যান।
- মোবাইল নম্বরে আসা OTP দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করুন। এরপর প্রোফাইলে লগইন করে জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য যাচাই করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক
- আসুন আজ ভোটার আইডি চেক করার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করি। তার পূর্বেই একটি বিষয় মনে রাখার চেষ্টা করি বর্তমান সময়ে কিছুচক্রী মহল ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে চলেছে।
- সুতরাং আপনার ভোটার আইডি বা স্মার্ট আইডি কার্ড সুরক্ষিত রাখার জন্য অবশ্যই সকল তথ্য গোপন রাখার চেষ্টা করবেন।
- শুধুমাত্র নাম, পিতা-মাতার নাম ও ঠিকানাসহ জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
ভিজিট করুন ldtax.gov.bd এবং নাগরিক কর্ণারে ক্লিক করুন।
মোবাইল দিয়ে কিভাবে আপনার সিম রেজিস্ট্রেশন বা কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন আছে সেই
বিষয়ে জানার পূর্বেই আপনার স্মার্ট আইডি কার্ড বা নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক
করার পদ্ধতির বিস্তারিত জেনে নেই।
- সচল মোবাইল নম্বর দিন, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিন ও জন্ম তারিখ সিলেক্ট করুন।
- মোবাইলে আসা OTP দিয়ে একাউন্ট Verify করুন।
- এই পদ্ধতিতে আগে ছবিসহ তথ্য দেখার সুযোগ থাকলেও এখন শুধু নাম ও ঠিকানা দেখতে পারবেন। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে এটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
- বিভিন্ন কারণে আমরা মোবাইল এর মাধ্যমে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড দিয়ে ভেরিফাই করে থাকি। ওয়ান টাইম পাস ওয়ার্ড শুধুমাত্র আপনার জন্য। এ জন্য ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড কাউকে দিবেন না।
ভোটার আইডি কার্ড চেক সংক্রান্ত আপনার কোন অসুবিধা ও প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে
কমেন্ট করে জানান। যত দ্রুত সম্ভব উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক
- নতুন ভোটার আইডি card বিভিন্ন কারণে চেক করার প্রয়োজন হয়। ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পূর্বেই আপনার প্রয়োজন হতে পারে। আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য ছবি ফেস ভেরিফিকেশন সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।
- তাই নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং মোবাইল নাম্বার সহ নিকটস্থ কম্পিউটারের দোকানে অথবা নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করতে পারেন।
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক
নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পাশাপাশি অনেক সময় পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক
করার প্রয়োজন হয়। যারা পুরাতন আইডি কার্ড চেক করতে চান তারা নিচের পদ্ধতি
অনুসরণ করে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারেন।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড চেক
- ভোটার সংক্রান্ত সকল তথ্যের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য আপনাকে ভোটার আইডি সহ বিভিন্ন তথ্য প্রয়োজন হবে।
- যে তথ্যগুলো প্রয়োজন হতে পারে যেমন আপনার এনআইডি নাম্বার বা স্মার্ট আইডি নাম্বার আপনার পিতা বা মাতা এন আই ডি নাম্বার আপনার ছবি এবং আপনার এসএসসি বা এইচএসসি পাশের ফটোকপি। উপরিউক্ত তথ্যগুলো নিয়ে আপনি যদি নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করেন তাহলে আপনার ভোটার আইডি চেক করতে পারবেন।
- ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
আরো পড়ুনঃ
কার্ডের তথ্য সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্তর
কার্ডের তথ্য সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্তরঃ কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য
অনেকে অনেক ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন। নিজের কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করার পূর্বেই
আপনার কার্ড রিলেটেড তথ্যগুলো সবার সাথে শেয়ার করবেন না। কার্ড সংশোধন করার জন্য
কিছু প্রশ্ন উত্তর আপনার প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে তুলে ধরা হলো।
১। প্রশ্নঃ কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?
- উত্তরঃ অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
২। প্রশ্নঃ কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?
- উত্তরঃ সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।
৩। প্রশ্নঃ ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য
কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?
- উত্তরঃ জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
৪। প্রশ্নঃ আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা
সংশোধন করা যাবে?
- উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।
৫। প্রশ্নঃ বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি?
- উত্তরঃ নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।
৬। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন আইডি কার্ড থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ
দিতে হবে?
- উত্তরঃ বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৭। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে
বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?
- উত্তরঃ প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
৮। প্রশ্নঃ আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি?
- উত্তরঃ অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।
৯। প্রশ্নঃ আমার আইডি কার্ড এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?
- উত্তরঃ এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।
১০। প্রশ্নঃ নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি
দলিল জমা দিতে হবে?
- উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।
১১। প্রশ্নঃ নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে
কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
- উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।
১২। প্রশ্নঃ পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?
- উত্তরঃ পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে।
১৩। প্রশ্নঃ ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়?
- উত্তরঃ শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফর্মে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।
১৪। প্রশ্নঃ আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব
প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না। লোকে
বলে আইডি কার্ড –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে?
- উত্তরঃ আইডি কার্ড এ প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
১৫। প্রশ্নঃ একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে
লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?
- উত্তরঃ সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।
১৬। প্রশ্নঃ আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশতঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ
লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?
- উত্তরঃ আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।
১৭। প্রশ্নঃ আইডি কার্ড এ অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কিভাবে সংশোধন করা
যাবে?
- উত্তরঃ ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে।
১৮। প্রশ্নঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভূক্ত বা সংশোধনের জন্য কি করতে হয়?
- উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট দাখিল করতে হয়।
১৯। প্রশ্নঃ বয়স/ জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি?
- উত্তরঃ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।
২০। প্রশ্নঃ স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কিভাবে করতে পারি?
- উত্তরঃ নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে।
২১। প্রশ্নঃ আমার জন্ম তারিখ যথাযথভাবে লেখা হয়নি, আমার কাছে প্রামাণিক কোন দলিল
নেই, কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
- উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২২। প্রশ্নঃ একটি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?
- উত্তরঃ এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আজ নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক বা ভোটার আইডি কার্ড চেক নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক বা ভোটার আইডি কার্ড চেক আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url