কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি নিয়ে আলোচনা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।
কোরবানির দোয়া
কোরবানির পশু জবাই করার সময় নিম্নলিখিত দোয়া পড়া উচিত: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি এর পাশাপাশি আজ কোরবানির দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করি। সকল কাজ করার যেমন সঠিক নিয়ম কানুন আছে ঠিক তেমনি কোরবানির দোয়া জনারও সঠিক নিয়ম কানুন আছে।
- আল্লাহুম্মা হাজাহি মিন্নি ওয়া মিন মিন আম্মায়ালিমুসলিমিন।
অর্থ:
- "এই কোরবানি আমার এবং আমার সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের পক্ষ থেকে।"
এছাড়াও, নিম্নলিখিত দোয়াগুলিও পড়া যেতে পারে:
আল্লাহু আকবার। (অর্থ: আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।)
- বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। (অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।)
- اللهم تقبل مني (অর্থ: আল্লাহ, আমার কোরবানি গ্রহণ করুন।)
- اللهم تقبل مني ومن أمتي المسلمة (অর্থ: আল্লাহ, আমার এবং আমার সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের কোরবানি গ্রহণ করুন।)
কোরবানির পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়ার নিয়ম:
- দোয়া পড়ার সময় মুখ কেবলা দিকে রাখতে হবে।
- দোয়া পড়ার সময় মনোযোগী থাকতে হবে এবং আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।
কোরবানির পশু জবাই করার পর নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم هذا منك ولك إليك فتقبله مني (অর্থ: আল্লাহ, এই কোরবানি আপনার পক্ষ থেকে এবং আপনার জন্য। তাই আমার কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
কোরবানির মাংস বিতরণ করার সময় নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم بارك لنا في هذا اليوم وفي كل يوم (অর্থ: আল্লাহ, এই দিন এবং প্রতিদিন আমাদের জন্য বরকত দান করুন।)
উল্লেখ্য যে, কোরবানির দোয়া পড়ার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। উপরে উল্লেখিত
দোয়াগুলি হলো সবচেয়ে সাধারণ দোয়া। আপনি যেকোন দোয়া পড়তে পারেন যা আপনার মনে
আসে।
কোরবানির দোয়া আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার এবং তাঁর নিকট থেকে বরকত ও
পুরষ্কার প্রার্থনার একটি সুন্দর উপায়। আসুন আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কোরবানির
দোয়া পড়ি এবং আল্লাহর কাছে তাঁর রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনা করি।
কোরবানি কাদের উপর ফরজ
ইসলামে, কোরবানি কেবলমাত্র নির্দিষ্ট শর্ত পূরণকারী মুসলিমদের উপর ওয়াজিব। কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি এর পাশাপাশি আজ কোরবানি কাদের উপর ফরজ সম্পর্কে আলোচনা করি। সকল কাজ করার যেমন সঠিক নিয়ম কানুন আছে ঠিক তেমনি ছাগল জবাই করার দোয়া জনারও সঠিক নিয়ম কানুন আছে।
ওয়াজিব হওয়ার শর্তাবলী:
১. মুসলিম হওয়া: একজন ব্যক্তির অবশ্যই মুসলিম হতে হবে। অমুসলিমদের উপর কোরবানি
ওয়াজিব নয়।
২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া: একজন ব্যক্তির অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। ছেলেদের
জন্য বয়স হলো ১৫ বছর এবং মেয়েদের জন্য বয়স হলো ৯ বছর।
৩. সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন হওয়া: একজন ব্যক্তির অবশ্যই সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন
হতে হবে। পাগল বা বুদ্ধিহীনের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়।
৪. নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া: একজন ব্যক্তির অবশ্যই নেসাব পরিমাণ সম্পদের
মালিক হতে হবে। নেসাব হলো সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা এর সমমূল্যের সম্পদ।
উল্লেখ্য যে, এই বিষয়ে কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে।
কোরবানি ওয়াজিব নয় এমন ব্যক্তিরা:
শিশুরা:
- প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়।
অসুস্থ ব্যক্তিরা:
- যারা এত অসুস্থ যে তারা কোরবানির পশু জবাই করতে পারে না বা কোরবানির মাংস খেতে পারে না, তাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়।
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিরা:
- যাদের ঋণের পরিমাণ তাদের সম্পদের চেয়ে বেশি, তাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়।
মুসাফির:
- যারা কোরবানির দিন যাত্রা করেছেন, তাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়।
কোরবানি ওয়াজিব হলেও করতে না পারলে:
- যদি কোন ব্যক্তি ওয়াজিব কোরবানি করতে না পারে, তাহলে তাকে কফ্ফারা আদায় করতে হবে। কফ্ফারা হলো নির্দিষ্ট পরিমাণ গরিবদের খাওয়ানোর জন্য অর্থ বা খাদ্য প্রদান করা।
- কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এবং তাঁর নিকট থেকে বরকত ও পুরষ্কার প্রার্থনার মাধ্যম। তবে, এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট শর্ত পূরণকারীদের উপরই ওয়াজিব।
- আপনার যদি কোরবানি ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে একজন বিশ্বস্ত আলেমের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার চারটি প্রধান শর্ত আছে: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি এর পাশাপাশি আজ কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি সম্পর্কে আলোচনা করি। সকল কাজ করার যেমন সঠিক নিয়ম কানুন আছে ঠিক তেমনি ছাগল জবাই করার দোয়া জনারও সঠিক নিয়ম কানুন আছে।
১. মুসলিম হওয়া:
- একজন ব্যক্তির মুসলিম হতে হবে। অমুসলিমের উপর কোরবানী ওয়াজিব নয়।
২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া:
- একজন ব্যক্তির প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। ছেলেদের জন্য বয়স হলো ১৫ বছর এবং মেয়েদের জন্য বয়স হলো ৯ বছর।
৩. সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন হওয়া:
- একজন ব্যক্তির সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন হতে হবে। পাগল বা বুদ্ধিহীনের উপর কোরবানী ওয়াজিব নয়।
৪. নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া:
- একজন ব্যক্তির নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হবে। নেসাব হলো সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা এর সমমূল্যের সম্পদ।
এই চারটি শর্ত পূরণ হলে একজন মুসলিমের উপর কোরবানী ওয়াজিব হবে।
অতিরিক্ত শর্তাবলী: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
মুকিম হওয়া:
- একজন ব্যক্তির মুকিম হতে হবে। যাত্রীদের উপর কোরবানী ওয়াজিব নয়। তবে, যদি তারা যাত্রা শুরু করার আগে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হন এবং যাত্রা শুরুর পর তিন দিনের মধ্যে কোরবানীর দিন আসে, তাহলে তাদের উপর কোরবানী ওয়াজিব হবে।
স্বাধীন হওয়া:
- একজন ব্যক্তির স্বাধীন হতে হবে। দাস বা গোলামের উপর কোরবানী ওয়াজিব নয়।
ঋণমুক্ত হওয়া:
- একজন ব্যক্তির ঋণমুক্ত হতে হবে। ঋণের চেয়ে বেশি সম্পদ না থাকলে কোরবানী ওয়াজিব হবে না।
উল্লেখ্য যে, এই বিষয়ে বিভিন্ন মতপার্থক্য রয়েছে। উপরে উল্লেখিত শর্তাবলী হলো
সবচেয়ে সাধারণ মত।
আপনার যদি কোরবানী ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে একজন বিশ্বস্ত
আলেমের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
কার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
কুরবানী কার উপর ওয়াজিব নয়, সেটি নির্ধারণের জন্য কিছু শর্ত বিবেচনা করা হয়। সাধারণভাবে বলা যায়, যেসব ব্যক্তির উপর নিম্নলিখিত শর্তগুলো পূরণ হয় না, তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়:
- মুসলিম হওয়া: কুরবানি ইসলামের একটি বিধান, তাই একজন মুসলিম হওয়া জরুরি।
- বালেগ হওয়া: অর্থাৎ যৌনপক্ক হওয়া।
- স্বাধীন হওয়া: অর্থাৎ অন্যের তত্ত্বাবধানে না থাকা।
- স্বয়ং সম্পদশালী হওয়া: অর্থাৎ নিজের ও পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচ চালানোর পরও যদি অতিরিক্ত সম্পদ থাকে, তবেই কুরবানী ওয়াজিব।
- সুস্থ হওয়া: মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়া।
- অমুসলিম: কুরবানির বিধান মুসলিমদের জন্য।
- বালক-বালিকা: যৌনপক্ক না হওয়া পর্যন্ত কুরবানি ওয়াজিব নয়।
- অসুস্থ বা দুর্বল: যারা নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারেন না, তাদের উপর কুরবানি ওয়াজিব নয়।
- দাস: যারা অন্যের দাসত্বে আছে।
উপরোক্ত শর্তগুলো ছাড়াও আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করা হয়:
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি:
- যদি কারো উপর ঋণ থাকে, তাহলে সেই ঋণ পরিশোধের আগে কুরবানি করা উচিত নয়।
বিপন্ন পরিবার:
- যাদের পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ, তাদের জন্য কুরবানি করা উচিত নয়।
মনে রাখবেন:
কুরবানি একটি ইবাদত। তাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কুরবানি করা উচিত। কোনোভাবেই কুরবানিকে আর্থিক বোঝা হিসেবে দেখা উচিত নয়।
পশু জবাই করার দোয়া
পশু জবাই করার সময় নিম্নলিখিত দোয়াগুলির মধ্যে যেকোনো একটি পড়া যেতে পারে:কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি এর পাশাপাশি আজ পশু জবাই করার দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করি। সকল কাজ করার যেমন সঠিক নিয়ম কানুন আছে ঠিক তেমনি পশু জবাই করার দোয়া জনারও সঠিক নিয়ম কানুন আছে।
১. আল্লাহু আকবার। (অর্থ: আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।)
২. বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। (অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।)
৩. আল্লাহুম্মা হাজাহি মিন্নি ওয়া মিন মিন আম্মায়ালিমুসলিমিন। (অর্থ: এটি আমার
এবং আমার সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের পক্ষ থেকে।)
৪. اللهم تقبل مني (অর্থ: আল্লাহ, আমার কোরবানি গ্রহণ করুন।)
৫. اللهم تقبل مني ومن أمتي المسلمة (অর্থ: আল্লাহ, আমার এবং আমার সমস্ত মুসলিম
ভাই-বোনদের কোরবানি গ্রহণ করুন।)
দোয়া পড়ার নিয়ম:
- দোয়া পড়ার সময় মুখ কেবলা দিকে রাখতে হবে।
- দোয়া পড়ার সময় মনোযোগী থাকতে হবে এবং আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।
কোরবানির পশু জবাই করার পর নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
اللهم هذا منك ولك إليك فتقبله مني (অর্থ: আল্লাহ, এই কোরবানি আপনার পক্ষ থেকে
এবং আপনার জন্য। তাই আমার কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
কোরবানির মাংস বিতরণ করার সময় নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
اللهم بارك لنا في هذا اليوم وفي كل يوم (অর্থ: আল্লাহ, এই দিন এবং প্রতিদিন
আমাদের জন্য বরকত দান করুন।)
উল্লেখ্য যে, কোরবানির দোয়া পড়ার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। উপরে উল্লেখিত
দোয়াগুলি হলো সবচেয়ে সাধারণ দোয়া। আপনি যেকোন দোয়া পড়তে পারেন যা আপনার মনে
আসে।
পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়া আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার এবং তাঁর নিকট
থেকে বরকত ও পুরষ্কার প্রার্থনার একটি সুন্দর উপায়। আসুন আমরা সবাই আন্তরিকভাবে
পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়ি এবং আল্লাহর কাছে তাঁর রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনা
করি।
কোরবানির পশু জবাই করার দোয়া
কোরবানির পশু জবাই করার সময় নিম্নলিখিত দোয়াগুলির মধ্যে যেকোনো একটি পড়া
যেতে পারে:কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি এর পাশাপাশি আজ কোরবানির পশু জবাই করার দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করি। সকল কাজ করার যেমন সঠিক নিয়ম কানুন আছে ঠিক তেমনি কোরবানির পশু জবাই করার দোয়া জনারও সঠিক নিয়ম কানুন আছে।
১. বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। (অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।)
২. আল্লাহুম্মা হাজাহি মিন্নি ওয়া মিন মিন আম্মায়ালিমুসলিমিন। (অর্থ: এটি আমার
এবং আমার সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের পক্ষ থেকে।)
৩. اللهم تقبل مني (অর্থ: আল্লাহ, আমার কোরবানি গ্রহণ করুন।)
৪. اللهم تقبل مني ومن أمتي المسلمة (অর্থ: আল্লাহ, আমার এবং আমার সমস্ত মুসলিম
ভাই-বোনদের কোরবানি গ্রহণ করুন।)
দোয়া পড়ার নিয়ম:
- দোয়া পড়ার সময় মুখ কেবলা দিকে রাখতে হবে।
- দোয়া পড়ার সময় মনোযোগী থাকতে হবে এবং আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।
কোরবানির পশু জবাই করার পর নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم هذا منك ولك إليك فتقبله مني (অর্থ: আল্লাহ, এই কোরবানি আপনার পক্ষ থেকে এবং আপনার জন্য। তাই আমার কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
- কোরবানির মাংস বিতরণ করার সময় নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم بارك لنا في هذا اليوم وفي كل يوم (অর্থ: আল্লাহ, এই দিন এবং প্রতিদিন আমাদের জন্য বরকত দান করুন।)
উল্লেখ্য যে, কোরবানির দোয়া পড়ার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। উপরে উল্লেখিত
দোয়াগুলি হলো সবচেয়ে সাধারণ দোয়া। আপনি যেকোন দোয়া পড়তে পারেন যা আপনার মনে
আসে।
পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়া আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার এবং তাঁর নিকট
থেকে বরকত ও পুরষ্কার প্রার্থনার একটি সুন্দর উপায়। আসুন আমরা সবাই আন্তরিকভাবে
পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়ি এবং আল্লাহর কাছে তাঁর রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনা
করি।
কোরবানির পশু জবাই করার সময় আরও কিছু দোয়া:
- لا إله إلا الله محمد رسول الله (অর্থ: আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল।)
- اللهم إن هذا منك وإليك فتقبله مني (অর্থ: আল্লাহ, এটি আপনার পক্ষ থেকে এবং আপনার জন্য। তাই আমার কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
- اللهم ارزقنا خيرها وكفنا شرها (অর্থ: আল্লাহ, আমাদের এর কল্যাণ দান করুন এবং এর মন্দ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন।)
আকিকার পশু জবাই করার দোয়া
আকিকার পশু জবাই করার সময় নিম্নলিখিত দোয়াগুলির মধ্যে যেকোনো একটি পড়া যেতে
পারে:কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি এর পাশাপাশি আজআকিকার পশু জবাই করার দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করি। সকল কাজ করার যেমন সঠিক নিয়ম কানুন আছে ঠিক তেমনি আকিকার পশু জবাই করার দোয়া জনারও সঠিক নিয়ম কানুন আছে।
১. বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। (অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।)
২. اللهم تقبل مني (অর্থ: আল্লাহ, আমার আকিকা গ্রহণ করুন।)
৩. اللهم ارزقني بركة هذا الذبيح وبارك لي فيه (অর্থ: আল্লাহ, এই জবাইকৃত পশুর
বরকত দান করুন এবং আমার জন্য এটিকে বরকতময় করে তুলুন।)
৪. اللهم اجعله عقيقة مباركة نافعة تقبلها مني ومن ولدي (অর্থ: আল্লাহ, এটিকে
একটি বরকতময় ও কল্যাণকর আকিকা করুন, এবং আমার কাছ থেকে এবং আমার সন্তানের কাছ
থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
৫. اللهم اجعله عقيقة مباركة نافعة تقبلها مني ومن أمتي المسلمة (অর্থ: আল্লাহ,
এটিকে একটি বরকতময় ও কল্যাণকর আকিকা করুন, এবং আমার কাছ থেকে এবং আমার সমস্ত
মুসলিম ভাই-বোনদের কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
দোয়া পড়ার নিয়ম:
- দোয়া পড়ার সময় মুখ কেবলা দিকে রাখতে হবে।
- দোয়া পড়ার সময় মনোযোগী থাকতে হবে এবং আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।
আকিকার পশু জবাই করার পর নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم هذا منك ولك إليك فتقبله مني (অর্থ: আল্লাহ, এই আকিকা আপনার পক্ষ থেকে এবং আপনার জন্য। তাই আমার কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
আকিকার মাংস বিতরণ করার সময় নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
اللهم بارك لنا في هذا اليوم وفي كل يوم (অর্থ: আল্লাহ, এই দিন এবং প্রতিদিন
আমাদের জন্য বরকত দান করুন।)
উল্লেখ্য যে, আকিকার পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়ার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।
উপরে উল্লেখিত দোয়াগুলি হলো সবচেয়ে সাধারণ দোয়া। আপনি যেকোন দোয়া পড়তে পারেন
যা আপনার মনে আসে।
আকিকার পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়া আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার এবং
তাঁর নিকট থেকে বরকত ও পুরষ্কার প্রার্থনার একটি সুন্দর উপায়। আসুন আমরা সবাই
আন্তরিকভাবে আকিকার পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়ি এবং আল্লাহর কাছে তাঁর রহমত ও
ক্ষমা প্রার্থনা করি।
কোরবানির দোয়া ও নিয়ত
কোরবানির নিয়ত:
আমি আল্লাহর রীতি মেনে, আল্লাহর নামে আমার কোরবানির পশু জবাই করছি। কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি এর পাশাপাশি আজ কোরবানির দোয়া ও নিয়ত সম্পর্কে আলোচনা করি। সকল কাজ করার যেমন সঠিক নিয়ম কানুন আছে ঠিক তেমনি কোরবানির দোয়া ও নিয়ত জনারও সঠিক নিয়ম কানুন আছে।
নিয়ত করার সময়:
- কোরবানির পশু জবাই করার পূর্বে নিয়ত করতে হবে।
- পশু জবাই নিয়ত করার সময় মনে মনে নিয়তের কথা বলতে হবে।
- নিয়ত করার সময় কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো উচিত।
কোরবানির দোয়া:
কোরবানির পশু জবাই করার সময় নিম্নলিখিত দোয়াগুলির মধ্যে যেকোনো একটি পড়া
যেতে পারে:
- بسم الله الله أكبر (অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।)
- اللهم هذا منك ولك إليك فتقبله مني (অর্থ: আল্লাহ, এই কোরবানি আপনার পক্ষ থেকে এবং আপনার জন্য। তাই আমার কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
- اللهم تقبل مني ومن أمتي المسلمة (অর্থ: আল্লাহ, আমার কাছ থেকে এবং আমার সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
কোরবানির পশু জবাই করার পর নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم بارك لنا في هذا اليوم وفي كل يوم (অর্থ: আল্লাহ, এই দিন এবং প্রতিদিন আমাদের জন্য বরকত দান করুন।)
উল্লেখ্য যে, কোরবানির পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়ার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।
উপরে উল্লেখিত দোয়াগুলি হলো সবচেয়ে সাধারণ দোয়া। আপনি যেকোন দোয়া পড়তে পারেন
যা আপনার মনে আসে।
কোরবানির পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়া আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার এবং
তাঁর নিকট থেকে বরকত ও পুরষ্কার প্রার্থনার একটি সুন্দর উপায়। আসুন আমরা সবাই
আন্তরিকভাবে কোরবানির পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়ি এবং আল্লাহর কাছে তাঁর রহমত
ও ক্ষমা প্রার্থনা করি।
কোরবানির পশু জবাই করার সময় আরও কিছু দোয়া:
- لا إله إلا الله محمد رسول الله (অর্থ: আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল।)
- اللهم ارزقنا خيرها وكفنا شرها (অর্থ: আল্লাহ, আমাদের এর কল্যাণ দান করুন এবং এর মন্দ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন।)
- اللهم اجعله عقيقة مباركة نافعة تقبلها مني ومن ولدي (অর্থ: আল্লাহ, এটিকে একটি বরকতময় ও কল্যাণকর আকিকা করুন, এবং আমার কাছ থেকে এবং আমার সন্তানের কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
পশু কোরবানির দোয়া
কোরবানির পশু জবাই করার সময় নিম্নলিখিত দোয়াগুলির মধ্যে যেকোনো একটি পড়া
যেতে পারে: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি এর পাশাপাশি আজ পশু কোরবানির দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করি। সকল কাজ করার যেমন সঠিক নিয়ম কানুন আছে ঠিক তেমনি পশু কোরবানির দোয়া জনারও সঠিক নিয়ম কানুন আছে।
১. বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। (অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।)
২. আল্লাহুম্মা হাজাহি মিন্নি ওয়া মিন মিন আম্মায়ালিমুসলিমিন। (অর্থ: এটি আমার
এবং আমার সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের পক্ষ থেকে।)
৩. اللهم تقبل مني (অর্থ: আল্লাহ, আমার কোরবানি গ্রহণ করুন।)
৪. اللهم تقبل مني ومن أمتي المسلمة (অর্থ: আল্লাহ, আমার এবং আমার সমস্ত মুসলিম
ভাই-বোনদের কোরবানি গ্রহণ করুন।)
দোয়া পড়ার নিয়ম:
- দোয়া পড়ার সময় মুখ কেবলা দিকে রাখতে হবে।
- দোয়া পড়ার সময় মনোযোগী থাকতে হবে এবং আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।
কোরবানির পশু জবাই করার পর নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم هذا منك ولك إليك فتقبله مني (অর্থ: আল্লাহ, এই কোরবানি আপনার পক্ষ থেকে এবং আপনার জন্য। তাই আমার কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
কোরবানির মাংস বিতরণ করার সময় নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم بارك لنا في هذا اليوم وفي كل يوم (অর্থ: আল্লাহ, এই দিন এবং প্রতিদিন আমাদের জন্য বরকত দান করুন।)
উল্লেখ্য যে, কোরবানির পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়ার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।
উপরে উল্লেখিত দোয়াগুলি হলো সবচেয়ে সাধারণ দোয়া। আপনি যেকোন দোয়া পড়তে পারেন
যা আপনার মনে আসে।
গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া
গরু জবাই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই ইবাদতটি সঠিকভাবে পালন করার জন্য কিছু
নিয়ম-কানুন মেনে চলা জরুরি। কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি এর পাশাপাশি আজ গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করি। সকল কাজ করার যেমন সঠিক নিয়ম কানুন আছে ঠিক তেমনি গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া জনারও সঠিক নিয়ম কানুন আছে।
গরু জবাই করার পূর্বে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে:
পশুর বয়স ও স্বাস্থ্য:
- কোরবানির পশু অবশ্যই নির্দিষ্ট বয়সের হতে হবে। গরু ও মহিষ ২ বছর বয়সের হতে হবে। পশু অবশ্যই সুস্থ ও রোগমুক্ত হতে হবে।
পশুর লিঙ্গ:
- কোরবানির পশু পুরুষ হলেই উত্তম। তবে, মেয়ে পশুও কোরবানি করা যাবে। তবে, গর্ভবতী পশু কোরবানি করা যাবে না।
ছুরি:
- কোরবানির পশু জবাই করার জন্য অবশ্যই তীক্ষ্ণ ও ধারালো ছুরি ব্যবহার করতে হবে।
জবাই করার স্থান:
- কোরবানির পশু জবাই করার জন্য বিশুদ্ধ ও পরিষ্কার স্থান নির্বাচন করতে হবে।
গরু জবাই করার সময় নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে:
বিসমিল্লাহ বলা:
- কোরবানির পশু জবাই করার পূর্বে অবশ্যই "বিসমিল্লাহ" বলতে হবে।
কিবলার দিকে মুখ করা:
- কোরবানির পশু জবাই করার সময় পশুর মুখ অবশ্যই কিবলার দিকে রাখতে হবে।
জবাই করার পদ্ধতি:
- কোরবানির পশুর খাদ্যনালী, শ্বাসনালী ও দুইটি রগ একসাথে কেটে ফেলতে হবে। ছুরি দিয়ে দ্রুত ও সাবলীলভাবে জবাই করতে হবে।
পশুর যন্ত্রণা না দেওয়া:
- কোরবানির পশু জবাই করার সময় পশুকে অতিরিক্ত যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না।
দোয়া পড়া: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- কোরবানির পশু জবাই করার পর দোয়া পড়া উচিত।
গরু জবাই করার পর নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে:
মাংস বিতরণ:
- কোরবানির পশুর মাংস তিন ভাগে ভাগ করে বিতরণ করা উচিত। এক ভাগ নিজেদের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের জন্য এবং এক ভাগ গরিব-মিসকিনদের জন্য।
চামড়া: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
১.কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করে অর্থ দান করা উচিত।
. বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। (অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।)
২. আল্লাহুম্মা হাজাহি মিন্নি ওয়া মিন মিন আম্মায়ালিমুসলিমিন। (অর্থ: এটি আমার
এবং আমার সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের পক্ষ থেকে।)
৩. اللهم تقبل مني (অর্থ: আল্লাহ, আমার কোরবানি গ্রহণ করুন।)
৪. اللهم تقبل مني ومن أمتي المسلمة (অর্থ: আল্লাহ, আমার এবং আমার সমস্ত মুসলিম
ভাই-বোনদের কোরবানি গ্রহণ করুন।)
দোয়া পড়ার নিয়ম:
- দোয়া পড়ার সময় মুখ কেবলা দিকে রাখতে হবে।
- দোয়া পড়ার সময় মনোযোগী থাকতে হবে এবং আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।
ছাগল জবাই করার পর নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم هذا منك ولك إليك فتقبله مني (অর্থ: আল্লাহ, এই কোরবানি আপনার পক্ষ থেকে এবং আপনার জন্য। তাই আমার কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
কোরবানির মাংস বিতরণ করার সময় নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم بارك لنا في هذا اليوم وفي كل يوم (অর্থ: আল্লাহ, এই দিন এবং প্রতিদিন আমাদের জন্য বরকত দান করুন।)
- গরু জবাই করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
ছাগল জবাই করার দোয়া
ছাগল জবাই করার সময় নিম্নলিখিত দোয়াগুলির মধ্যে যেকোনো একটি পড়া যেতে
পারে:
কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি এর পাশাপাশি আজ ছাগল জবাই করার দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করি। সকল কাজ করার যেমন সঠিক নিয়ম কানুন আছে ঠিক তেমনি ছাগল জবাই করার দোয়া জনারও সঠিক নিয়ম কানুন আছে।
১. বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। (অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।)
২. আল্লাহুম্মা হাজাহি মিন্নি ওয়া মিন মিন আম্মায়ালিমুসলিমিন। (অর্থ: এটি আমার
এবং আমার সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের পক্ষ থেকে।)
৩. اللهم تقبل مني (অর্থ: আল্লাহ, আমার কোরবানি গ্রহণ করুন।)
৪. اللهم تقبل مني ومن أمتي المسلمة (অর্থ: আল্লাহ, আমার এবং আমার সমস্ত মুসলিম
ভাই-বোনদের কোরবানি গ্রহণ করুন।)
দোয়া পড়ার নিয়ম:
- দোয়া পড়ার সময় মুখ কেবলা দিকে রাখতে হবে।
- দোয়া পড়ার সময় মনোযোগী থাকতে হবে এবং আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।
ছাগল জবাই করার পর নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم هذا منك ولك إليك فتقبله مني (অর্থ: আল্লাহ, এই কোরবানি আপনার পক্ষ থেকে এবং আপনার জন্য। তাই আমার কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
কোরবানির মাংস বিতরণ করার সময় নিম্নলিখিত দোয়া পড়া যেতে পারে:
- اللهم بارك لنا في هذا اليوم وفي كل يوم (অর্থ: আল্লাহ, এই দিন এবং প্রতিদিন আমাদের জন্য বরকত দান করুন।)
- উল্লেখ্য যে, কোরবানির পশু জবাই করার সময় দোয়া পড়ার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। উপরে উল্লেখিত দোয়াগুলি হলো সবচেয়ে সাধারণ দোয়া। আপনি যেকোন দোয়া পড়তে পারেন যা আপনার মনে আসে।
- ছাগল জবাই করার সময় দোয়া পড়া আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার এবং তাঁর নিকট থেকে বরকত ও পুরষ্কার প্রার্থনার একটি সুন্দর উপায়। আসুন আমরা সবাই আন্তরিকভাবে ছাগল জবাই করার সময় দোয়া পড়ি এবং আল্লাহর কাছে তাঁর রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনা করি।
আরও কিছু দোয়া:
- لا إله إلا الله محمد رسول الله (অর্থ: আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল।)
- اللهم ارزقنا خيرها وكفنا شرها (অর্থ: আল্লাহ, আমাদের এর কল্যাণ দান করুন এবং এর মন্দ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন।)
- اللهم اجعله عقيقة مباركة نافعة تقبلها مني ومن ولدي (অর্থ: আল্লাহ, এটিকে একটি বরকতময় ও কল্যাণকর আকিকা করুন, এবং আমার কাছ থেকে এবং আমার সন্তানের কাছ থেকে এটি গ্রহণ করুন।)
কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম
কোরবানির পশু জবাই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই ইবাদতটি সঠিকভাবে পালন করার জন্য
কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা জরুরি।
কোরবানির পশু জবাই করার পূর্বে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে:
পশুর বয়স ও স্বাস্থ্য:
- কোরবানির পশু অবশ্যই নির্দিষ্ট বয়সের হতে হবে। ছাগল ও ভেড়া ১ বছর, গরু ও মহিষ ২ বছর এবং উট ৫ বছর বয়সের হতে হবে। পশু অবশ্যই সুস্থ ও রোগমুক্ত হতে হবে।
পশুর লিঙ্গ: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- কোরবানির পশু পুরুষ হলেই উত্তম। তবে, মেয়ে পশুও কোরবানি করা যাবে। তবে, গর্ভবতী পশু কোরবানি করা যাবে না।
ছুরি:
- কোরবানির পশু জবাই করার জন্য অবশ্যই তীক্ষ্ণ ও ধারালো ছুরি ব্যবহার করতে হবে।
জবাই করার স্থান:
- কোরবানির পশু জবাই করার জন্য বিশুদ্ধ ও পরিষ্কার স্থান নির্বাচন করতে হবে।
পশু জবাই করার সময় নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে:
বিসমিল্লাহ বলা:
- কোরবানির পশু জবাই করার পূর্বে অবশ্যই "বিসমিল্লাহ" বলতে হবে।
- কিবলার দিকে মুখ করা: কোরবানির পশু জবাই করার সময় পশুর মুখ অবশ্যই কিবলার দিকে রাখতে হবে।
জবাই করার পদ্ধতি: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- কোরবানির পশুর খাদ্যনালী, শ্বাসনালী ও দুইটি রগ একসাথে কেটে ফেলতে হবে। ছুরি দিয়ে দ্রুত ও সাবলীলভাবে জবাই করতে হবে।
পশুর যন্ত্রণা না দেওয়া:
- কোরবানির পশু জবাই করার সময় পশুকে অতিরিক্ত যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না।
দোয়া পড়া: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- কোরবানির পশু জবাই করার পর দোয়া পড়া উচিত।
কোরবানির পশু জবাই করার পর নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে:
মাংস বিতরণ:
- কোরবানির পশুর মাংস তিন ভাগে ভাগ করে বিতরণ করা উচিত। এক ভাগ নিজেদের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের জন্য এবং এক ভাগ গরিব-মিসকিনদের জন্য।
চামড়া:
- কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করে অর্থ দান করা উচিত।
- পশু জবাই করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব
কুরবানী ফরজ না ওয়াজিব, এই প্রশ্নটি ইসলামিক বিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়ে ইসলামি পণ্ডিতদের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে।
মূলত দুটি মত রয়েছে:
কুরবানি ওয়াজিব: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- ইমাম আওযায়ী, ইমাম লাইস, ইমাম আবু হানীফা (রহমাতুল্লাহি আলাইহিম)সহ অনেকে মনে করেন, কুরবানি ওয়াজিব। তাদের দলিল হলো, আল্লাহ তা'আলা কুরআনে কারিমে নামাজ ও কুরবানির উল্লেখ একসাথে করেছেন। নামাজ ফরজ হওয়ার কারণে কুরবানিও ওয়াজিব হওয়া উচিত।
কুরবানি সুন্নত: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেঈ (রহমাতুল্লাহি আলাইহিম)সহ অনেকে মনে করেন, কুরবানি সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অর্থাৎ, সামর্থ্য থাকলে কুরবানি করা উচিত, তবে এটি ফরজ নয়। তবে, কুরবানি না করা মাকরুহ।
কোন মতটি অনুসরণ করা উচিত?
- এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া একজন সাধারণ মুসলমানের পক্ষে কঠিন। কারণ, উভয় মতেরই শক্তিশালী দলিল রয়েছে। তাই, কোন মতটি অনুসরণ করা উচিত, সেটি জানতে কোনো বিশ্বস্ত ইসলামি পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
কুরবানি কেন করা হয়?
- কুরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি অর্জনের একটি উপায়। কুরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহ তা'আলার কাছে নিজেদের আত্মসমর্পণ করে এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
কুরবানির ফজিলত:
- আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি অর্জন
- গুনাহ মাফ হওয়া
- আখিরাতে সওয়াব পাওয়া
- দুঃখ-কষ্ট দূর হওয়া
- আল্লাহর নৈকট্য লাভ
সুতরাং, কুরবানি ফরজ না ওয়াজিব এই বিষয়ে মতভেদ থাকলেও, সামর্থ্য থাকলে কুরবানি করা উচিত। কারণ, কুরবানির ফজিলত অপরিসীম।
কোরবানি কার নামে দিতে হয়
কোরবানি কার নামে দিতে হয়, সেটি নির্ধারণের জন্য কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হয়:
নিজের নামে: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- প্রথমত, আপনি নিজের নামেই কোরবানি দিতে পারেন। এটি সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি।
পরিবারের সদস্যদের নামে: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- আপনার পরিবারের অন্য কোনো সদস্য যদি কোরবানির শর্ত পূরণ করেন (যেমন: মুসলিম, বালেগ, স্বাধীন, স্বয়ং সম্পদশালী), তাহলে তাদের নামেও কোরবানি দিতে পারেন।
মৃত ব্যক্তির নামে: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- কিছু পণ্ডিতের মতে, মৃত ব্যক্তির নামেও কোরবানি দিতে পারেন। তবে এ বিষয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
অন্য কোনো মুসলমানের নামে: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- আপনি চাইলে অন্য কোনো মুসলমানের নামেও কোরবানি দিতে পারেন। তবে সে ব্যক্তি কোরবানির শর্ত পূরণ করবে।
কোরবানি কার নামে দেওয়া উচিত, সেটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করা জরুরি:
কোরবানির শর্ত:
- কোরবানি কার নামে দেওয়া হচ্ছে, সে ব্যক্তি কোরবানির শর্ত পূরণ করছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
ব্যক্তির ইচ্ছা: কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
- যদি অন্য কারো নামে কোরবানি দেওয়া হয়, তাহলে সে ব্যক্তির ইচ্ছা জানা জরুরি।
পরিবারের সম্মতি:
- যৌথ পরিবারের ক্ষেত্রে পরিবারের সবার সম্মতি নিয়ে কোরবানির বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আজ কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url