হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই  হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি বিষয় নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই  হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি

হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি নিয়ে আলোচনা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।

হজ শব্দের অর্থ কি

ইসলামিক পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ একটি। প্রত্যেক মানুষের জীবনে একবার হলেও হজ করা উচিত। আসুন আজ হজ শব্দের অর্থ কি এবং হজ্জ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। আজ হজের আভিধানিক অর্থ ফরজ ওয়াজিবসহ বিস্তারিত এ আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
হজ শব্দের অর্থ "যাত্রায় যোগদান করা"।
আভিধানিক অর্থ:
হজ্জ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল:
  • নিয়ত করা
  • দর্শন করা
  • সঙ্কল্প করা
  • গমন করা
  • ইচ্ছা করা
  • প্রতিজ্ঞা করা
পারিভাষিক অর্থ:
পারিভাষিক অর্থে, হজ বলতে নির্দিষ্ট দিনে নিয়তসহ ইহরামরত অবস্থায় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা এবং বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করা বোঝায়।
সহজ ভাষায়, হজ হল ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ, যা প্রতিটি সক্ষম মুসলিমের জীবনে একবার আদায় করা واجب।
হজের নির্দিষ্ট সময় হল ইসলামী বর্ষপঞ্জির শেষ মাস জিলহজ্জের ৮ থেকে ১২ বা ১৩ তারিখ।
হজের বিভিন্ন রীতিনীতি রয়েছে, যেমন ইহরাম বাঁধা, তাওয়াফ, সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো, আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা, মুজদালিফায় রাত কাটানো, মিনায় কুরবানি দেওয়া এবং শিরশ্ছিদন করা।

হজ কাকে বলে

হজ মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ একটি পঞ্চম স্তম্ভ এবং আপনার যদি এবিলিটি থাকে বা সামর্থ থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে হজ করতে হবে। আসুন জানি হজ কাকে বলে হজের ফরজ ওয়াজিব কি কি এবং সেই বিষয়গুলো কিভাবে পালন করব বা কিভাবে পালন করতে হবে সেই বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি। চলুন প্রথমেই আমরা জানি হজ কাকে বলে।
হজ বলতে বোঝায় ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ, যা প্রতিটি সক্ষম মুসলিমের জীবনে একবার আদায় করা واجب। হজের নির্দিষ্ট সময় হল ইসলামী বর্ষপঞ্জির শেষ মাস জিলহজ্জের ৮ থেকে ১২ বা ১৩ তারিখ।
হজের মূল উদ্দেশ্য হল:
  • আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও সমর্পণ প্রকাশ করা
  • পাপের ক্ষমা লাভ করা
  • মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি স্থাপন করা
  • আত্ম-সংশোধন ও আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ করা
হজের বিভিন্ন রীতিনীতি রয়েছে, যেমন:
  • ইহরাম বাঁধা: হজের পোশাক পরিধান করা এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয় থেকে বিরত থাকা।
  • তাওয়াফ: কাবাঘরকে সাতবার ঘোরা।
  • সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো: এই দুই পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়ানো।
  • আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা: জিলহজ্জের ৯ তারিখে সারাদিন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
  • মুজদালিফায় রাত কাটানো: আরাফাতের পর মুজদালিফায় রাত কাটানো।
  • মিনায় কুরবানি দেওয়া: জিলহজ্জের ১০ তারিখে মিনায় পশু কুরবানি করা।
  • শিরশ্ছিদন করা: কুরবানির পশুর মাথা কেটে দেওয়া।
হজের বিধান:
  • হজ আদায় করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।
  • হজের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত আছে।
  • হজের বিভিন্ন রীতিনীতি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আদায় করতে হয়।
হজের গুরুত্ব:
  • হজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
  • হজের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা যায়।
  • হজের মাধ্যমে পাপের ক্ষমা লাভ করা যায়।
  • হজের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি স্থাপন করা যায়।

হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি

শেখ মুসলিমের জন্য জীবনে একবার হলেও হজ করা যেমন প্রয়োজন তেমনি হজে যাওয়ার পূর্বেই আপনার হজের ফরজ ওয়াজিব কয়টি এবং কি কি সে বিষয়গুলো বিস্তারিত জানা উচিত। এ পর্বে আমরা চলুন হজের ফরজ ওয়াজিব কয়টি ও কি কি সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।
হজ্জের ফরজ তিনটি এবং ওয়াজিব কাজ সাতটি।
হজ্জের ফরজ:
  • ইহরাম: নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় থেকে বিরত থাকা।
  • আরাফাতে ওয়াকফা: জিলহজ্জের ৯ তারিখে সূর্যাস্তের পর থেকে ঈদের দিন সূর্যোদয় পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
  • তাওয়াফে জিয়ারত: ঈদের দিন সূর্যোদয়ের পর কাবা ঘরকে সাতবার ঘোরা।
হজ্জের ওয়াজিব:
  • মুজদালিফায় রাত কাটানো: জিলহজ্জের ৯ তারিখে রাতে মুজদালিফায় অবস্থান করা।
  • মিনায় রামি: জিলহজ্জের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে শয়তানের প্রতীকে পাথর নিক্ষেপ করা।
  • সায়ি: সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়ানো।
  • হজের দম: হজের জন্য নির্ধারিত কোরবানি করা।
  • মাথার চুল কামানো বা মুণ্ডন করা: হজের ইহরাম সমাপ্ত করার জন্য।
  • বিদায়ী তাওয়াফ: হজ থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য কাবা ঘরকে সাতবার ঘোরা।
  • মদিনা শরীফে রওজা মোবারকা জিয়ারত: হজের পর মদিনা শরীফে রাসুল (সাঃ) এর রওজা মোবারকা জিয়ারত করা।
উল্লেখ্য, হজ্জের বিভিন্ন রীতিনীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে একজন আলেম-উলামার সাথে পরামর্শ করা উচিত।

হজ কয় প্রকার ও কি কি

হজে যাওয়ার পূর্বে প্রত্যেক মুসলিমকে হজ কত প্রকার ও কি কি সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা উচিত। হজের ফরজ ওয়াজিব কয়টি ও কি কি হয কাকে বলে এবং হজ করতে কতদিন সময় লাগে এ বিষয় নিয়ে আমরা এখন তুলে ধরার চেষ্টা করব।
হজ তিন প্রকার:
১. ইফরাদ: শুধুমাত্র হজের ইহরাম বেঁধে হজ সম্পন্ন করা।
২.তামাত্তু: প্রথমে উমরাহর ইহরাম বেঁধে উমরাহ সম্পন্ন করে ইহরাম খুলে ফেলা, তারপর ৭ই জিলহজ্জে পুনরায় হজের ইহরাম বেঁধে হজ সম্পন্ন করা।
৩. কিরান: একই ইহরামে উমরাহ ও হজ একসাথে সম্পন্ন করা।
সওয়াবের দিক থেকে সবচেয়ে উত্তম হলো কিরান, এরপর তামাত্তু, এরপর ইফরাদ। তবে আদায় সহজ হওয়ার দিক থেকে প্রথমে তামাত্তু, এরপর ইফরাদ, এরপর কিরান।
কোন হজ পালন করা উচিত:
  • যারা হজ পালন করতে চান, তাদের জন্য তামাত্তু হজ পালন করা সবচেয়ে সহজ।
  • যারা বেশি সওয়াব পেতে চান, তারা কিরান হজ পালন করতে পারেন।
  • যারা ইহরাম দীর্ঘ সময় ধরে বেঁধে রাখতে চান, তারা ইফরাদ হজ পালন করতে পারেন।
উল্লেখ্য, হজ পালন করার জন্য একজন আলেম-উলামার সাথে পরামর্শ করা উচিত।

হজ কাদের উপর ফরজ

প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর জন্য হজ করা উচিত কিন্তু। আমরা জানি না কাদের উপর হজ ফরজ আসুন আজ জেনে নেই হজ্ব কাদের উপর ফরজ। হজ্ব কিভাবে করতে হয় হজের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি ও কি কি এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
হজ্জ নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের উপর ফরজ:
১. মুসলিম: হজ্জ শুধুমাত্র মুসলিমদের উপর ফরজ।
২. প্রাপ্তবয়স্ক: হজ্জ ফরজ হওয়ার জন্য ব্যক্তির প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।
৩. বুদ্ধিমান: হজ্জ ফরজ হওয়ার জন্য ব্যক্তির বুদ্ধিমান হতে হবে।
৪. স্বাধীন: হজ্জ ফরজ হওয়ার জন্য ব্যক্তির স্বাধীন হতে হবে, অর্থাৎ দাস বা গোলাম হতে পারবে না।
৫. সামর্থ্যবান: হজ্জ ফরজ হওয়ার জন্য ব্যক্তির দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হতে হবে।

দৈহিক সামর্থ্য: হজ্জের জন্য নির্ধারিত কাজগুলি পালন করার শারীরিক সক্ষমতা থাকতে হবে।
আর্থিক সামর্থ্য: হজ্জের খরচ, পরিবারের খরচ এবং ঋণ পরিশোধের পরও হজ্জের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকতে হবে।
নারীদের ক্ষেত্রে:
নারীদের হজ্জের জন্য একজন মাহরাম (পতি, পিতা, ভাই, পুত্র) অথবা বিশ্বস্ত পুরুষ সঙ্গী থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, হজ্জ কাদের উপর ফরজ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে একজন আলেম-উলামার সাথে পরামর্শ করা উচিত।

ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি

হজ মুসলিম নর-নারীর উপর জীবনে একবার হলেও করা যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি সময় পেলে উমরা করাও তেমনি কর্তব্য। আসন হজের ফরজ ওয়াজিব কয়টি ও কি কি এর পাশাপাশি ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করি। হজ করার পূর্বে যেমন হজ কাকে বলে জানা দরকার ঠিক তেমনি ওমরা করার পূর্বে ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানা উচিত। চলুন এখন আমরা জানি ওমরার খরচ কয়টি ও কি কি।
ওমরার ফরজ দুটি:
১. ইহরাম বাঁধা: ওমরার জন্য নির্ধারিত পোশাক পরিধান করে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় থেকে বিরত থাকা।
২. তাওয়াফে জিয়ারত: কাবা ঘরকে সাতবার ঘোরা।
ওমরার ওয়াজিব:
সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে দৌড়ানো: এই দুই পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়ানো।
মুণ্ডন বা চুল কমানো: ওমরার ইহরাম সমাপ্ত করার জন্য।
উল্লেখ্য, ওমরার বিভিন্ন রীতিনীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে একজন আলেম-উলামার সাথে পরামর্শ করা উচিত।

হজ করতে কত দিন লাগে

এ পাঠক অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন হজ করতে কতদিন সময় লাগে হজের খরচ ওয়াজিব কয়টি ও কি কি হজে কি কি করতে হয়। আসুন হজ করতে কত দিন সময় লাগে এবং হজের ফরজ ওয়াজিব কয়টি ও কি কি সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। অনেকেই জানেন না হজ করতে কতদিন সময় লাগে। প্রতিটি কাজের যেমন পূর্ব প্রস্তুতি থাকে ঠিক তেমনি হজ বা ওমরা পালনের জন্য বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়ে থাকে। হজ করার পূর্বেই বিস্তারিত জানা উচিত এবং এর পাশাপাশি হজ্জ এবং ওমরা করতে কি রকম সময় লাগে বা কত দিন সময় লাগে সেই বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত।
হজ করতে কত দিন লাগবে তা নির্ভর করে আপনি কোন পদ্ধতিতে হজ করছেন এবং কোন দেশ থেকে যাচ্ছেন তার উপর।
সাধারণত, হজ করতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগে।
ইফরাদ হজ: শুধুমাত্র হজের ইহরাম বেঁধে হজ সম্পন্ন করা। এই পদ্ধতিতে হজ করতে ৫ থেকে ৬ দিন সময় লাগে।
তামাত্তু: প্রথমে উমরাহর ইহরাম বেঁধে উমরাহ সম্পন্ন করে ইহরাম খুলে ফেলা, তারপর ৭ই জিলহজ্জে পুনরায় হজের ইহরাম বেঁধে হজ সম্পন্ন করা। এই পদ্ধতিতে হজ করতে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।
কিরান: একই ইহরামে উমরাহ ও হজ একসাথে সম্পন্ন করা। এই পদ্ধতিতে হজ করতে ৭ থেকে ৯ দিন সময় লাগে।
এছাড়াও, হজ করতে কত দিন লাগবে তা নির্ভর করে:
  • আপনার ভ্রমণের পদ্ধতি: আপনি বিমানে যান, জাহাজে যান, অথবা স্থলপথে যান।
  • আপনার থাকার ব্যবস্থা: আপনি কোথায় থাকবেন, হোটেলে, তাবুতে, অথবা অন্য কোথাও।
  • আপনার স্বাস্থ্য: আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকলে হজ করতে কম সময় লাগবে।
  • উল্লেখ্য, হজ করার জন্য একজন আলেম-উলামার সাথে পরামর্শ করা উচিত।

হজ এজেন্সির তালিকা

হজ করার সময় আমরা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে হজ করে থাকি। অনেক সময় সঠিক এজেন্সি নির্বাচ নের নির্বাচন না করার কারণে আমরা বিভিন্নভাবে ভোগান্তিতে পড়ে থাকি। তাই হজ করার পূর্বে। হজ এজেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সেই এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে হজ্বে যাওয়া উচিত এখন আমরা আলোচনা করব নির্বাচন করা এবং হজের এজেন্সির তালিকা নিয়ে। আসন হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি পাশাপাশি অজ এজেন্সির সঠিক তালিকা জানার চেষ্টা করি। নিম্নে হজ এজেন্সি তালিকা তুলে ধরে হলো।
বাংলাদেশ থেকে হজের জন্য অনুমোদিত এজেন্সির তালিকা
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হিজরি ১৪৪৫ সালের হজের জন্য ৭৮৬টি এজেন্সিকে অনুমোদন দিয়েছে। এই এজেন্সিগুলো তিন পর্যায়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
  • প্রথম পর্যায়ে অনুমোদিত এজেন্সির তালিকা
  • প্রথম পর্যায়ে অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা
  • দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুমোদিত এজেন্সির তালিকা
  • তৃতীয় পর্যায়ে অনুমোদিত এজেন্সির তালিকা
  • তৃতীয় পর্যায়ে অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা
  • এছাড়াও, হজ এজেন্সি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত:
  • এজেন্সির অভিজ্ঞতা ও খ্যাতি
  • এজেন্সির আর্থিক স্থিতিশীলতা
  • এজেন্সির কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান
  • এজেন্সির প্রদত্ত প্যাকেজ ও সুযোগ-সুবিধা
  • এজেন্সির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আছে কিনা
হজ এজেন্সি সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য:
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট: http://mora.gov.bd/
হজ অফিসের ওয়েবসাইট: https://hajoffice.gov.bd/
সতর্কতা:
অনুমোদিত এজেন্সির তালিকা দেখে হজ এজেন্সি নির্বাচন করুন।
এজেন্সির সাথে চুক্তি করার আগে চুক্তির শর্তাবলী ভালোভাবে পড়ে নিন।
এজেন্সিকে অগ্রিম অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।

বিদায় হজ রচনা

ভূমিকা:
বিদায় হজ ছিল মহানবী (সাঃ) এর জীবদ্দশায় পালিত শেষ হজ। এটি 10 হিজরিতে (632 খ্রিস্টাব্দে) সংঘটিত হয়েছিল। এই হজ্জে প্রায় এক লাখ সাহাবি অংশগ্রহণ করেছিলেন।

বিদায় হজ কি

বিদায় হজ ছিল মহানবী (সাঃ) এর জীবদ্দশায় পালিত শেষ হজ। এটি 10 হিজরিতে (632 খ্রিস্টাব্দে) সংঘটিত হয়েছিল। এই হজ্জে প্রায় এক লাখ সাহাবি অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বিদায় হজের গুরুত্ব:
  • বিদায় হজ্জে মহানবী (সাঃ) ইসলামের সমস্ত বিধি-বিধান চূড়ান্তভাবে বর্ণনা করেছিলেন।
  • এই হজ্জে মহানবী (সাঃ) বিখ্যাত বিদায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
  • বিদায় হজ্জ মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
বিদায় হজের ঘটনাবলী:
  • মহানবী (সাঃ) মদিনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
  • যাত্রা পথে 'আরাফাত' ময়দানে তিনি 'ওয়াকফা' করেন।
  • 'মুজদালিফা'য় রাত কাটানোর পর 'মিনা'য় যান এবং 'জামারাত' নিক্ষেপ করেন।
  • 'তাওয়াফে জিয়ারত', 'সা'ঈ' এবং 'হজের দম' সম্পন্ন করেন।
  • 'বিদায় ভাষণ' প্রদান করেন।
  • মদিনায় ফিরে যান।
বিদায় হজের গুরুত্ব:
  • বিদায় হজ্জে মহানবী (সাঃ) ইসলামের সমস্ত বিধি-বিধান চূড়ান্তভাবে বর্ণনা করেছিলেন।
  • এই হজ্জে মহানবী (সাঃ) বিখ্যাত বিদায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
  • বিদায় হজ্জ মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
বিদায় হজের ঘটনাবলী:
  • মহানবী (সাঃ) মদিনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
  • যাত্রা পথে 'আরাফাত' ময়দানে তিনি 'ওয়াকফা' করেন।
  • 'মুজদালিফা'য় রাত কাটানোর পর 'মিনা'য় যান এবং 'জামারাত' নিক্ষেপ করেন।
  • 'তাওয়াফে জিয়ারত', 'সা'ঈ' এবং 'হজের দম' সম্পন্ন করেন।
  • 'বিদায় ভাষণ' প্রদান করেন।
  • মদিনায় ফিরে যান।
বিদায় ভাষণ:
বিদায় ভাষণে মহানবী (সাঃ) ইসলামের মৌলিক নীতিগুলো বর্ণনা করেছিলেন। তিনি সকল মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ থাকার, নারীদের অধিকার রক্ষা করার, সুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
বিদায় হজ্জের শিক্ষা:
  • ইসলামের সমস্ত বিধি-বিধান মেনে চলা।
  • ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং পরস্পর সহযোগিতা করা।
  • নারীদের অধিকার রক্ষা করা।
  • সুদের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
  • রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ অনুসরণ করা।
উপসংহার:
বিদায় হজ্জ মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই হজ্জে মহানবী (সাঃ) ইসলামের সমস্ত বিধি-বিধান চূড়ান্তভাবে বর্ণনা করেছিলেন এবং মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছিলেন। আমাদের সকলের উচিত বিদায় হজ্জের শিক্ষা অনুসরণ করা এবং ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলা।
বিদায় হজ ছিল মহানবী (সাঃ) এর জীবদ্দশায় পালিত শেষ হজ। এটি 10 হিজরিতে (632 খ্রিস্টাব্দে) সংঘটিত হয়েছিল। এই হজ্জে প্রায় এক লাখ সাহাবি অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বিদায় হজের গুরুত্ব:
  • বিদায় হজ্জে মহানবী (সাঃ) ইসলামের সমস্ত বিধি-বিধান চূড়ান্তভাবে বর্ণনা করেছিলেন।
  • এই হজ্জে মহানবী (সাঃ) বিখ্যাত বিদায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
  • বিদায় হজ্জ মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
বিদায় হজের ঘটনাবলী:
  • মহানবী (সাঃ) মদিনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
  • যাত্রা পথে 'আরাফাত' ময়দানে তিনি 'ওয়াকফা' করেন।
  • 'মুজদালিফা'য় রাত কাটানোর পর 'মিনা'য় যান এবং 'জামারাত' নিক্ষেপ করেন।
  • 'তাওয়াফে জিয়ারত', 'সা'ঈ' এবং 'হজের দম' সম্পন্ন করেন।
  • 'বিদায় ভাষণ' প্রদান করেন।
  • মদিনায় ফিরে যান।
বিদায় ভাষণ:
বিদায় ভাষণে মহানবী (সাঃ) ইসলামের মৌলিক নীতিগুলো বর্ণনা করেছিলেন। তিনি সকল মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ থাকার, নারীদের অধিকার রক্ষা করার, সুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
বিদায় হজ্জের শিক্ষা:
  • ইসলামের সমস্ত বিধি-বিধান মেনে চলা।
  • ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং পরস্পর সহযোগিতা করা।
  • নারীদের অধিকার রক্ষা করা।
  • সুদের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
  • রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ অনুসরণ করা।
বিদায় হজ্জ মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই হজ্জে মহানবী (সাঃ) ইসলামের সমস্ত বিধি-বিধান চূড়ান্তভাবে বর্ণনা করেছিলেন এবং মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছিলেন।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আজ  হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের  হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url