অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায়
ভূমিকা
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক আপনি অনেক খোঁজাখুজির পর নিশ্চয়ই অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় বা মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে এবং টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে এবং ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার উপায় কি তা নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে, মেধাবী হওয়ার কোনো সহজ উপায় নেই। তবে, কিছু বিষয় আছে যা আপনি করতে পারেন যা আপনাকে আপনার সম্ভাবনায় পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে।
একজন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে তা জানার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:
আমি মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী বলে দাবি তুলতে পারি। তাই গোটা কতক টিপস দিচ্ছি, যেগুলো এডজাস্ট করে নিয়মে ঢোকাতে পারলে লাভ হবে।
- সব সময় নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলা।
- মাদক থেকে সর্বদায় দূরে থাকা।
- নিজেকে সকল প্রলোভন থেকে বিরত থাকা।
- নিজেকে সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকা।
Full Abbreviation of STUDENT
আসুন আজ পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় বা অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় জানার আগে Full Abbreviation of STUDENT জানি।
S= Smart
T= Thoughtful
U= Understanding
D= Disciplined
E= Energetic
N= Notable
T= Talented
কিভাবে একজন ভালো ছাত্র হওয়া যায়
আসুন আজ পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় বা অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় জানার পূর্বে কিভাবে একজন ভালো ছাত্র হওয়া যায় তা জেনে নিই। অন্ততঃ ৪ বার একটা জিনিস পড়তে হবে (বেশিও লাগতে পারে)। প্রথমবার পড়ার সময় মুখস্থ করার চেষ্টা করবেনা। comprehension এর জন্য একবার গড়গড় করে পড়তে লাগবে। ৪ নম্বর বার দেখবে বুঝতে পারছ।
অ্যাটেনশন স্প্যান অনুযায়ী পড়ার সময় ভাগ করবে। যদি ১৫ মিনিটের বেশি টানা না পড়তে পারো, তাহলে তারপর ২ মিনিটের ব্রেক নেবে। আস্তে আস্তে সময় বাড়িয়ে ১ ঘন্টা আর ৫-১০ মিনিট ব্রেক করবে। অনেকে আরো বাড়াতে পারবে, কিন্তু এই লেভেলে থাকলে অসুবিধা নেই। মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে তা কোন ম্যাজিক নয়।
পড়ার আগে পড়ার বইকে ভাগ করে নিয়ে টার্গেট নির্দিষ্ট করো। ধরো ১২টা চ্যাপ্টার, তুমি ৭দিনে পড়তে চাও। তাহলে ৩-৩-৩-৩ করে ৪ দিনে ভাগ করবে, ২ দিন রিভিজন, আর ১ দিন অতিরিক্ত। এই অতিরিক্ত দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ টার্গেট দেরি হবেই হবে। তখন ওইদিনই শেষ করতে হবে। এই অতিরিক্ত দিন রেখে পড়া প্ল্যান করে আমার পরীক্ষায় বরাবর চাপ কম থেকেছে।
সময় নিয়ে প্র্যাক্টিস মক পরীক্ষা দাও। নাহলে পরীক্ষার দিন প্যানিক করবে। হাতে লেখা হোক, অনলাইন হোক, সেভাবেই অভ্যাস করবে, অন্ততঃ ১০টা। ফোন, ট্যাব ইত্যাদি দূরে রেখে বসবে। ব্রেকে হাত দেবে, তারপর আবার রেখে দেবে।
পড়ার বিষয়টায় একটা কোনো ভালোবাসার পয়েন্ট খুঁজবে। যেমন কোনো পছন্দসই অঙ্ক, কোনো প্রিয় ঐতিহাসিক সময়, কোনো পছন্দের বাংলা বা ইংলিশ গল্প/কবিতা। সব সময় সম্ভব না, তবে পেলে পড়ায় সুবিধা হবে।
গ্রূপ করে নোট তৈরি, রিভিজন করলে খুব সুবিধা হয়, কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সবার স্পিড ও comprehension লেভেল কাছাকাছি হয়, নাহলে একজন এগিয়ে বা পিছিয়ে পড়বে। সবার সাথে পড়া শেষ হলে বাড়ি গিয়ে একা একা একবার চোখ বোলানো দরকার।
ওরাল ভাইভা দেওয়ার আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলা অভ্যাস করবে। নিজের ম্যানারিজম দেখবে, কিছু চোখে লাগলে বা কানে লাগলে ঠিক করে নেবে। পরিষ্কার উচ্চারণ ও কনফিডেন্ট গলায় কথা বলতে হবে। এতে কিছু ভুল বলাও পরীক্ষকরা মেনে নেন।
পরিষ্কার হাতের লেখা, নিয়ম মতো জায়গা ছাড়া ইত্যাদি খাতা লেখার নিয়ম মেনে চলবে।
গুগল করলে ১০১ টা টিপস পাবেন। সব কিছু সবার ক্ষেত্রে খাটেনা। trial এন্ড error করে নিজের উপযুক্ত উপায়গুলো বেছে নেবে।
একজন ভালো ছাত্রের বৈশিষ্ট্য
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় বা অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় জানার পূর্বে কিভাবে একজন ভালো ছাত্র হওয়া যায় তা জেনে নিই। এরপর একজন ভালো ছাত্রের বৈশিষ্ট্য কি কি চলুন জানি।- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থাকা।
- নিয়মিত পড়াশোনা করা।
- সহপাঠদের (জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণী নির্বেশেষে) সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা
- নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলা।
- মাদক থেকে দূরে থাকা।
- প্রলোভন থেকে বিরত থাকা।
- সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকা।
জেনে নিন শিক্ষা জীবনে সফল হবার পাঁচটি অভ্যাস
আজ আমরা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় বা অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় জানার পূর্বে কিভাবে একজন ভালো ছাত্র হওয়া যায় তা জেনে নিই। এরপর একজন ভালো ছাত্রের বৈশিষ্ট্য কি কি এর পাশাপাশি শিক্ষা জীবনে সফল হবার পাঁচটি অভ্যাস চলুন জানি।১) কমিটমেন্ট (Commitment)
২) নেটওয়ার্কিং (Networking)
৩) গোল নির্ধারণ (Set Your Goal)
৪) অভিজ্ঞতা (Experience)
৫) টাইম ম্যানেজমেন্ট (Time Management)
উপরের সকল বিষয়গুলো জেনে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে এবং ভালো করে থাকে।
মেধাবী হওয়ার উপায়
মেধাবী ছাত্র কি বা কারা?
মেধাবী ছাত্র হল সেই সব শিশু যাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা স্বাভাবিক শিশুদের চেয়ে বেশি । তারা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমীভাবে ভাল কাজ করে। গুরুত্বপূর্ণ দিক. শিক্ষা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শিশুর আচার-আচরণ, আগ্রহ, যোগ্যতা, সামর্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভের মাধ্যমে মেধাবী শিশুকে চিহ্নিত করা হয়।
মেধাবী হওয়ার কোনো সহজ উপায় নেই। তবে, কিছু বিষয় আছে যা আপনি করতে পারেন যা আপনাকে আপনার সম্ভাবনায় পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে।
এখানে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার কিছু টিপস দেওয়া হল:
নিয়মিত পড়ুন এবং শিখুন। যত বেশি আপনি পড়বেন এবং শিখবেন, ততই আপনার বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি নতুন তথ্য শেখার জন্য আরও ভাল হয়ে উঠবেন। আপনার মনোযোগ এবং কেন্দ্রীকরণের দক্ষতা উন্নত করুন। যখন আপনি পড়ছেন বা শিখছেন, তখন আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি তথ্যটিতে মনোনিবেশ করতে পারেন।
আপনার স্মৃতিশক্তি উন্নত করুন। আপনার স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে, আপনি বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করতে পারেন, যেমন ছবি বা অ্যাসোসিয়েশন ব্যবহার করা। এ কৌশল ব্যবহার করে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে এবং কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে যায়।
আপনার সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করুন। যখন আপনি সমস্যার মুখোমুখি হন, তখন কীভাবে সেগুলি সমাধান করতে হয় তা শিখতে হবে। আপনি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কৌশল অনুশীলন করে এটি করতে পারেন।
আপনার সৃজনশীলতা উন্নত করুন। সৃজনশীল হতে, আপনি বিভিন্ন উপায়ে চিন্তা করার চেষ্টা করতে পারেন এবং নতুন ধারণা তৈরি করতে পারেন। আপনার আগ্রহ অনুসরণ করুন। আপনি যা পছন্দ করেন তা শিখলে, আপনি এটিতে আরও ভাল হয়ে উঠবেন।
এছাড়াও, আপনার মেধা বৃদ্ধির জন্য কিছু নির্দিষ্ট বিষয় রয়েছে যা আপনি করতে পারেন:
আপনার মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করুন। নতুন জিনিস শিখুন, নতুন ক্রিয়াকলাপ চেষ্টা করুন এবং আপনার মস্তিষ্ককে কাজে লাগান। একজন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে তা এতক্ষণ জেনে গেছেন। আরো জানতে পড়তে থাকুন।
আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, পর্যাপ্ত ঘুম পান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন। চাপ কমাতে এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এড়াতে পদক্ষেপ নিন।
মেধা বৃদ্ধি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প। এটি একদিনে বা এক সপ্তাহে অর্জন করা যায় না। তবে, ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রম করে, আপনি আপনার সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারেন।
ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার উপায়
- রুটিন তৈরি করা
- নির্দিষ্ট কাজ করা
- ছোট ছোট অংশে পড়া-লেখা করা
- নিয়মিত ঘুম যাওয়া
- নোট তৈরি করা
- নিয়মিত পড়াশোনা করা
- পড়ার জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করা
- গ্রুপ স্টাডি করা
- বেশি বেশি প্রশ্ন করা
আসুন ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার উপায় এবং মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে তা জানি। খাপ-খাওয়ানোর দক্ষতা অর্জন করা- খারাপ থেকে ভালো হওয়ার উপায়
খারাপ থেকে ভালো হওয়ার উপায় অনেক। এখানে কিছু সাধারণ টিপস দেওয়া হল:
আপনার ভুল থেকে শিক্ষা নিন। আমরা সবাই ভুল করি, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমরা তাদের থেকে শিক্ষা নিই। যখন আপনি একটি ভুল করেন, তখন চেষ্টা করুন এটি কেন হয়েছিল তা বোঝার জন্য। তারপর, আপনি ভবিষ্যতে এটি এড়াতে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
আপনার ইতিবাচক গুণাবলীতে মনোনিবেশ করুন। আমরা সবাই আমাদের মধ্যে কিছু ভালো জিনিস বহন করি। আপনার ইতিবাচক গুণাবলীতে মনোনিবেশ করা আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী এবং খুশি হতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার লক্ষ্যগুলির উপর ফোকাস করুন। আপনার জীবনে কী অর্জন করতে চান তা নিয়ে চিন্তা করুন। আপনার লক্ষ্যগুলির উপর ফোকাস করা আপনাকে চালিত এবং অনুপ্রাণিত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, পর্যাপ্ত ঘুম পান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া আপনাকে আরও ভালভাবে বোধ করতে সাহায্য করতে পারে। সৎ এবং বিশ্বস্ত হন। সৎ এবং বিশ্বস্ত হওয়া আপনাকে একটি ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
দয়ালু এবং সহানুভূতিশীল হন। অন্যদের প্রতি দয়ালু এবং সহানুভূতিশীল হওয়া আপনাকে একটি ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
অন্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করুন। অন্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করা আপনাকে আরও সন্তুষ্ট এবং পরিপূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
খারাপ থেকে ভালো হওয়ার জন্য এটি কেবলমাত্র একটি কয়েকটি টিপস। আপনার নিজের পথ খুঁজে বের করা এবং সেগুলি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ যা আপনাকে একটি ভাল মানুষ হতে সাহায্য করবে।
এখানে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় রয়েছে যা আপনি খারাপ থেকে ভালো হওয়ার জন্য করতে পারেন:
👉আপনার চিন্তাভাবনা এবং আচরণগুলি পর্যবেক্ষণ করুন। আপনি কীভাবে চিন্তা করেন এবং আচরণ করেন তা লক্ষ্য করুন। আপনি কোন খারাপ অভ্যাস বা ধারণাগুলির সাথে সংগ্রাম করছেন?
#আপনার লক্ষ্যগুলি নির্ধারণ করুন। আপনি কী অর্জন করতে চান তা ভেবে দেখুন। আপনার লক্ষ্যগুলি বাস্তববাদী এবং অর্জনযোগ্য হতে হবে।
👉একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। আপনার লক্ষ্যগুলি অর্জন করার জন্য কী করতে হবে তা ভেবে দেখুন। একটি পরিকল্পনা তৈরি করা আপনাকে আপনার লক্ষ্যগুলির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।
#আপনার লক্ষ্যগুলির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকুন। আপনার লক্ষ্যগুলি অর্জন করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা আপনাকে আপনার লক্ষ্যগুলি অর্জনে সাহায্য করতে পারে।
👉সাহায্য চাইতে ভয় পাবেন না। আপনি যদি সমস্যায় পড়েন তবে সাহায্য চাইতে ভয় পাবেন না। আপনার বন্ধু, পরিবার বা একজন পেশাদারের কাছ থেকে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না। খারাপ থেকে ভালো হওয়া একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প। এটি একদিনে বা এক সপ্তাহে অর্জন করা যায় না। তবে, ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রম করে, আপনি একজন ভালো মানুষ হতে পারেন।
অল্প পড়ে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়
অল্প পড়ে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব, তবে এর জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি ও কৌশল। নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি অল্প পড়েও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন:
ক্লাসে মনোযোগ দিন। ক্লাসে যা পড়ানো হয়, তা পরীক্ষায় আসে। তাই ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত থাকুন এবং মনোযোগ দিয়ে লেকচার শুনুন। ক্লাসে পড়ানো বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে নিলে পরে প্রস্তুতির জন্য আপনাকে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না।
পড়ার একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করুন। পরীক্ষার আগে থেকেই পড়ার একটি তালিকা তৈরি করুন। প্রতিদিনের জন্য কতটুকু পড়বেন, তা ঠিক করে নিন। এতে আপনি পড়ার জন্য সময় বরাদ্দ করতে পারবেন এবং পড়ার কোন অংশটা এখন পড়তে হবে, তা বুঝতে পারবেন।
পড়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন করুন। যেখানে আপনি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারবেন, এমন একটি স্থান নির্বাচন করুন। এতে আপনি পড়ার ক্ষেত্রে আরও মনোযোগী হতে পারবেন।
পর্যায়ক্রমে পড়ার অভ্যাস করুন। একবারে অনেকক্ষণ পড়লে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন এবং পড়ার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই প্রতিদিন কিছু সময় অন্তর অন্তর পড়ুন।
পড়ার সাথে সাথে রিভিশন দিন। প্রতিদিন পড়ার পর তা আবার রিভিশন দিন। এতে আপনি পড়ার বিষয়বস্তু ভালোভাবে মনে রাখতে পারবেন।
প্রশ্ন সমাধান করুন। পরীক্ষার আগে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন সমাধান করুন। এতে আপনি প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তর দিতে পারবেন।
পরীক্ষার আগে ভালোভাবে ঘুমান। পরীক্ষার আগে ভালোভাবে ঘুমানোর মাধ্যমে আপনি মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকবেন এবং পরীক্ষায় ভালোভাবে পারফর্ম করতে পারবেন।
এছাড়াও, পরীক্ষার আগে নিজেকে উৎসাহিত করতে পারেন। নিজেকে বলুন যে আপনি পারবেন এবং ভালো রেজাল্ট করবেন। ইতিবাচক মনোভাব থাকলে আপনি পরীক্ষায় ভালোভাবে পারফর্ম করতে পারবেন।
নিচে কিছু অতিরিক্ত টিপস দেওয়া হল যা আপনাকে অল্প পড়ে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে সাহায্য করতে পারে:
👉আপনার শক্তি ও দুর্বলতাগুলি চিহ্নিত করুন। আপনি কোন বিষয়গুলিতে ভালো এবং কোন বিষয়গুলিতে দুর্বল, তা চিহ্নিত করুন। এতে আপনি আপনার প্রস্তুতির ফোকাস ঠিক করতে পারবেন।
👉আপনার বন্ধুদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করুন। গ্রুপ স্টাডি করলে আপনি একে অপরকে সাহায্য করতে পারবেন এবং পড়ার প্রতি আগ্রহী থাকতে পারবেন।পরীক্ষার বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি করুন।
#পরীক্ষার বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি করতে হলে আপনি আগের বছরের প্রশ্নপত্রগুলি পর্যালোচনা করতে পারেন। পরীক্ষার নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনে নিন। পরীক্ষার নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনে নিলে আপনি পরীক্ষার দিন কোন ধরনের ভুল করবেন না।
👉অল্প পড়ে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা কঠিন নয়, তবে এর জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি ও কৌশল। উপরের টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি অল্প পড়েও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। আজ আমরা মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে তা নিয়ে আলোচনা করলাম।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য, আল্লাহর কাছে দোয়া করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তিনিই জ্ঞানের মালিক এবং তিনিই আমাদের জ্ঞান দান করতে পারেন।
পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কিছু দোয়া: পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া নিচে দেয়া হলো।
১. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য: পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া
আরবি উচ্চারণ: رَبِّىْ زِدْنِىْ عِلْماً
বাংলা উচ্চারণ: রব্বি জিদনি ইলমা (৩ বার)
অর্থ: হে আমার রব! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
২. পরীক্ষার হলে ভুলে গেলে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া:
আরবি উচ্চারণ: اللَّهُمَّ اكْفِنِي الْهَمَّ وَالْغَمَّ
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আকফিনী আল-হাম্মা ওয়া আল-গাম্মা
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে দুশ্চিন্তা ও غم থেকে মুক্তি দান করুন।
৩. পরীক্ষার শুরুতে: পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া
আরবি উচ্চারণ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
বাংলা উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
অর্থ: আল্লাহর নামে, যিনি পরম দয়ালু, পরম করুণাময়।
৪. পরীক্ষা শেষে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া:
আরবি উচ্চারণ: الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
বাংলা উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আ'লামিন
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, জগতের রব।
পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কিছু আমল:
- নিয়মিত পড়াশোনা করা।
- পরীক্ষার আগে ভালোভাবে ঘুমিয়ে নেওয়া।
- হলে যাওয়ার সময় সকালের নাস্তা ভালোভাবে করা।
- পরীক্ষার হলে শান্ত ও মনোযোগী থাকা।
- প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়ে উত্তর লেখা।
- আল্লাহর উপর ভরসা রাখা।
উল্লেখ্য:
উপরোক্ত পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়াগুলো ছাড়াও আপনি আপনার নিজস্ব ভাষায়ও আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন। দোয়া করার পাশাপাশি পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়াও অত্যন্ত জরুরি। আশা করি এই দোয়াগুলো আপনার পরীক্ষায় ভালো করতে সাহায্য করবে।
উপসংহার
আজকের এই অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় বা মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়াশোনা করে এবং টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে লেখায় যদি আপনার কোন উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানান, আর যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে প্রশ্ন করতে ভুলবেন না।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url