শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আপনি অনেক খোঁজাখুজির পর নিশ্চয়ই শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার বা নিউমোনিয়া কেন হয়, লক্ষণ কি এবং প্রতিকার-প্রতিরোধ কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার বা নিউমোনিয়া কেন হয়, লক্ষণ কি এবং প্রতিকার-প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
নিউমোনিয়া কি
আলোচনা শুরুতেই জেনে নেই শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার বা নিউমোনিয়া কি। নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের একটি সংক্রমণ।
এটি ফুসফুসের ছোট বায়ুথলি (অ্যালভিওলি) ফুলে যাওয়া এবং তরল দিয়ে ভরে যাওয়ার
কারণে ঘটে। ফলে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে এবং শরীর অক্সিজেন পাওয়া থেকে বিরত
থাকে।
নিউমোনিয়া সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের কারণে হয়। ভাইরাসজনিত
নিউমোনিয়া সবচেয়ে সাধারণ ধরন, তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া আরও গুরুতর হতে
পারে।
symptoms of pneumonia
The symptoms of pneumonia can vary depending on the severity of the infection, the type of germ causing it, and your age and overall health. They can range from mild to quite serious. Here's a breakdown of some common symptoms:
Cough:
- This is a very common symptom of pneumonia, and the cough may produce greenish, yellow, or even bloody mucus.
Fever, sweating, and chills:
- You might experience a high fever, sweating, and chills as your body fights the infection.
Shortness of breath:
- This can be a sign that your lungs are inflamed and having trouble taking in enough oxygen.
Rapid, shallow breathing:
- You might breathe more quickly and shallowly than usual to try to get more oxygen into your lungs.
Sharp or stabbing chest pain:
- This pain often worsens when you breathe deeply or cough.
Fatigue and weakness:
- Pneumonia can leave you feeling very tired and weak.
Loss of appetite:
- You may lose your appetite due to feeling unwell.
Nausea, vomiting, or diarrhea:
- These are more common in children with pneumonia than in adults.
Additional symptoms in adults:
- Confusion or changes in mental awareness, especially in older adults.
- Immediate medical attention is required if you experience:
- Difficulty breathing, gasping, and unable to speak.
- Pale, blue, or blotchy skin, lips, or tongue.
- Sudden confusion.
- Inability to wake an infant who seems floppy.
Remember: This list is not exhaustive, and you may experience other symptoms not mentioned here. If you're concerned you might have pneumonia, it's important to see a doctor for proper diagnosis and treatment.
streptococcus pneumoniae pneumonia
Streptococcus pneumoniae pneumonia is a type of pneumonia caused by the bacteria Streptococcus pneumoniae, also known as pneumococcus. It's the most common cause of community-acquired pneumonia, which is pneumonia that you contract outside of a hospital setting.
Pneumococcus bacteria are normally found in the upper respiratory tract (your nose and throat) of healthy people and can spread from person to person through coughs and sneezes. In some cases, the bacteria can travel down into the lungs and cause an infection.
Symptoms of Streptococcus pneumoniae pneumonia can include:
- Fever
- Cough, which may produce green or yellow mucus
- Shortness of breath
- Chest pain that worsens when you cough or take a deep breath
- Rapid or shallow breathing
- Fatigue
- Confusion, especially in older adults
- Nausea, vomiting, or diarrhea
- Loss of appetite
- Joint and muscle pain
If you think you might have Streptococcus pneumoniae pneumonia, it's important to see a doctor right away. Early diagnosis and treatment can help prevent serious complications. Treatment typically involves antibiotics to kill the bacteria. In some cases, hospitalization may be necessary.
There are steps you can take to help prevent Streptococcus pneumoniae pneumonia:
Get vaccinated. There are two vaccines that can help protect you from Streptococcus pneumoniae pneumonia: the pneumococcal conjugate vaccine (PCV13) and the pneumococcal polysaccharide vaccine (PPSV23).
Practice good hand hygiene. Wash your hands frequently with soap and water, especially after being around people who are sick.
Avoid close contact with people who are sick.
Don't smoke. Smoking weakens your lungs and makes you more susceptible to infection.
নিউমোনিয়া কেন হয়
এবার আমরা জানবো নিউমোনিয়া কেন হয়। নিউমোনিয়া হলে কিভাবে বুঝতে পারব
নিমন্যার লক্ষণ কি নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার কি এবং কি কি কাজ করলে আমরা
নিউমোনিয়াকে প্রতিরোধ করতে পারি। নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের প্রদাহ। ফুসফুসের ছোট
ছোট বায়ু থলি, যাকে আলভিওলি বলা হয়, সেখানে জীবাণুর সংক্রমণের ফলে এই প্রদাহের
সৃষ্টি হয়। নিউমোনিয়ার প্রধান তিনটি কারণ হল:
ভাইরাস: আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাসজনিত কারণে নিউমোনিয়া
হয়ে থাকে। ভাইরাসের কারণে নিউমোনিয়ার অর্ধেকেরও বেশি ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে সাধারণ
ভাইরাল নিউমোনিয়ার কারণ হল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস
(আরএসভি), এবং অ্যাডেনোভাইরাস।
ব্যাকটেরিয়া: কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণেও
নিউমোনিয়া হয়ে থাকে।ব্যাকটেরিয়ার কারণে নিউমোনিয়ার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ঘটনা
ঘটে। সবচেয়ে সাধারণ ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার কারণ হল স্ট্রেপ্টোকক্কাস
নিউমোনিই, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিই, এবং হ্যামোফিলা ইনফ্লুয়েঞ্জা।
ছত্রাক: কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্রাম পজিটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ
ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে নিউমোনিয়া হয়ে থাকলেও ছত্রাকের মাধ্যমে নিউমোনিয়া হয়ে
থাকে। ছত্রাকের কারণে নিউমোনিয়ার ঘটনা খুবই কম। ছত্রাকজনিত
নিউমোনিয়ার সাধারণ কারণ হল হিসটোপ্লাসম কাপ্সুলাটাম, ব্লাসটোমাইসেস, এবং
ক্রিপ্টোকক্কাস নিওফরমান্স।
নিউমোনিয়ার লক্ষণ
নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলি সাধারণত হঠাৎ করে শুরু হয় এবং কয়েক দিনের মধ্যে খারাপ
হতে থাকে। নিউমোনিয়ার সাধারণ লক্ষণগুলি হল:
- জ্বর: নিউমোনিয়া হলে সাধারণত ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা তার বেশি।
- কাশি: সাধারণত শুষ্ক কাশি, যা পরে কফের সাথে হতে পারে, যা নিউমোনিয়া রোগের মূল লক্ষণ।
- শ্বাসকষ্ট: আপনার বা আপনার রোগীর যদি শ্বাস নিতে কষ্ট, বিশেষ করে গভীর শ্বাস নিতে তাহলে বুঝবেন আপনার আপনার রোগীর নিউমোনিয়া হয়েছে।
- বুকে ব্যথা: যদি বুকে ব্যথা অনুভূত হয় বিশেষ করে শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে ব্যথা, তাহলে বুঝতে হবে এটি হলো নিউমোনিয়ার লক্ষণ।
- শরীরের ব্যথা: বিভিন্ন কারণে শরীর ব্যথা হতে পারে তবে, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, বা ক্লান্তি এরকম দেখা দিলে ধরে নিতে হবে আপনার বা আপনার রোগীর নিউমোনিয়া হয়েছে।
নিউমোনিয়ার প্রতিকার-প্রতিরোধ
কথাই বলে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। নিউমোনিয়ার প্রতিকারের সবচেয়ে
কার্যকর উপায় হল নিয়মিত টিকা নেওয়া। ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোকক্কাল
নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে টিকা নিলে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে
যায়। তবে একটু সচেতন হলেই আপনি আপনার বা আপনার রোগীর বা আপনার
স্বজনেরনিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে পারবেন।
আসুন আজ আমরা কিভাবে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারি। নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কমাতে
নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলিও গ্রহণ করা যেতে পারে:
- হাত ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার রাখা।
- ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া।
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা
বর্তমান সময়ে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করা খুব একটি জটিল বিষয় নয়। নিউমোনিয়ার
চিকিৎসা জীবাণুর ধরন এবং রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে। ভাইরাল নিউমোনিয়ার জন্য
সাধারণত ঔষধের প্রয়োজন হয় না। ব্যাকটেরিয়াল বা ছত্রাকজনিত নিউমোনিয়ায়
অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিফাঙ্গাল ঔষধের প্রয়োজন হতে পারে। অনেকেই
প্রশ্ন করে থাকেন নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করার মূল লক্ষ্য কি। চলুন জেনে নেই
নিউমোনিয়ার চিকিৎসার মূল লক্ষ্য।
নিউমোনিয়ার চিকিৎসার লক্ষ্য হল:
- জীবাণুকে মেরে ফেলা বা প্রতিরোধ করা।
- প্রদাহ কমানো।
- শ্বাসকষ্ট কমানো।
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা সাধারণত হাসপাতালে বা বাড়িতে করা যেতে পারে। হাসপাতালে
ভর্তি প্রয়োজন হলে সাধারণত অক্সিজেন থেরাপি, ইনফিউশন থেরাপি, এবং
অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি দেওয়া হয়।
কখন সন্দেহ করবেন শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে
তোর শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখতে পাচ্ছেন কিন্তু কখন সন্দেহ করবেন যে আপনার শিশুর
নিউমোনিয়া হয়েছে। শিশুর নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলি সাধারণত হঠাৎ করে শুরু হয় এবং
কয়েক দিনের মধ্যে খারাপ হতে থাকে। শিশুর নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলি হল:
- জ্বর: বিশেষ করে বিভিন্ন রোগের প্রারম্ভিক লক্ষণই হচ্ছে জ্বর আসলে জ্বর কোন রোগ নয়। সাধারণত ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা তার বেশি তাহলে বুঝতে হবে আপনার শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে।
- কাশি: ফুসফুসের কোন সমস্যা হলে সাধারণত কাশি হয় সেক্ষেত্রে জ্বরের সাথে যদি শুষ্ক কাশি থাকে তবে ধরে নিতে হবে শিশুর নিম্ন নেয়া হয়েছে। সাধারণত শুষ্ক কাশি, যা পরে কফের সাথে হতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট: ঝড়ের সাথে যদি শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে মনে করে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। শ্বাস নিতে কষ্ট, বিশেষ করে গভীর শ্বাস নিতে।
- বুকে ব্যথা: বিভিন্ন কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে তবে, শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে ব্যথা তাহলে বুঝতে হবে।
- শরীরের ব্যথা: সময় শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন মাথা পেশী ব্যথা করে। যদি জ্বরের পাশাপাশি মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, বা ক্লান্তি আসে তাহলে বুঝতে হবে হয়তো নিউমোনিয়া হয়েছে।
শিশুর নিউমোনিয়ার লক্ষণ
উপযুক্ত কারণগুলো ছাড়াও যদি নিম্নের উপসর্গ বা লক্ষণগুলো যদি আপনার শিশু মধ্যে
থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে। চলুন জেনে নেই শিশুর
নিউমোনিয়ার লক্ষণ গুলি। শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার।
- শিশুর খাওয়া কমে যাওয়া বা খাওয়ার প্রতি অনীহা বা খেতে চায় না।
- খেয়াল করুন আপনার শিশুর সকল কাজেই অস্থিরতা বা বিরক্তি।
- আপনার শিশুর বুকের খাঁচার মধ্যে ফাঁক দেখা যাওয়া।
- শিশুর শ্বাসের সাথে ঘড়ঘড় আওয়াজ হওয়া এবং শিশু কোন কিছুই খেতে না চাওয়া।
- আপনার শিশুর নীল হয়ে যাওয়া এটাও একটি বড় ধরনের লক্ষণ।
শিশুর নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবশ্যই একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
নেওয়া উচিত।
কোন কোন ক্ষেত্রে শিশুর নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে
এখন চলুন জেনে নেই কোন কোন ক্ষেত্রে শিশুর নেভোনিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে এবং খুব তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। অনেক সময় কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় না বা আমরা বুঝতে পারি না এক্ষেত্রে শিশুকে বিপদে ফেলে দিই এবং শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়ে যায়। সুতরাং নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে শিশুর নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে:- নবজাতক বা ৬ মাসের কম বয়সী শিশু হলে এ অবস্থায় দেরী না করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে নিন এবং চিকিৎসা শুরু করুন।
- অসুস্থ বা দুর্বল শিশু হলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- যেসব শিশু অন্য কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত।
- যেসব শিশু ধূমপানযুক্ত পরিবেশে বাস করে বিশেষ করে শিশুর কোন অভিভাবক যদি ধুমপান করে তাহলে খুব দ্রুত ধূমপাইয়ের কাছ থেকে শিশুকে দূরে সরিয়ে ফেলুন।
- নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কমাতে শিশুদের নিয়মিত টিকা নেওয়া উচিত। পরিশেষে সঠিক সময়ে শিশুর যে টিকা আছে সেটি গুলো নিয়ে নিন এবং শিশুকে ঝুঁকি মুক্ত রাখুন।
বড়দের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ
বড়দের নিউমোনিয়ার লক্ষণ:
সাধারণ লক্ষণ:শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- জ্বর, ঠান্ডা লাগা বা ঘাম
- শুষ্ক কাশি, যা কখনও কখনও সবুজ বা হলুদ বর্ণের শ্লেষ্মা নিঃসরণ করে
- শ্বাসকষ্ট, বিশেষ করে শ্বাস নেওয়ার সময়
- বুকে ব্যথা বা ব্যথা, যা কাশি বা গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার সময় আরও খারাপ হতে পারে
- দ্রুত বা অগভীর শ্বাস
- ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
- মনে বিভ্রান্তি, বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে
- বমি বমি ভাব, বমি বা ডায়রিয়া
- ক্ষুধামান্দ্য
- জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথা
- জ্বর
অন্যান্য লক্ষণ:শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- মুখের চারপাশে নীল রঙ (সায়ানোসিস)
- ঘাড়ে বর্ধিত লিম্ফ নোড
- ঠোঁট এবং জিহ্বায় নীল রঙ (সায়ানোসিস)
যদি আপনার এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নিউমোনিয়া একটি গুরুতর অসুস্থতা যা দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে জটিলতা এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এখানে কিছু লক্ষণ রয়েছে যা ইঙ্গিত দেয় যে আপনার অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া উচিত:
- শ্বাস নিতে অসুবিধা
- বুকে তীব্র ব্যথা
- জ্বর 103°F (39.4°C) এর বেশি
- মনে বিভ্রান্তি
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়। নিউমোনিয়ার অন্যান্য অনেক লক্ষণও হতে পারে। যদি আপনি নিউমোনিয়া সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
বড়দের নিউমোনিয়া হলে করণীয়
বড়দের নিউমোনিয়া হলে করণীয়:
চিকিৎসা: শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
নিউমোনিয়া একটি গুরুতর অসুস্থতা এবং দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। আপনার ডাক্তার সম্ভবত অ্যান্টিবায়োটিক, কাশির ওষুধ, এবং ব্যথার ওষুধ লিখবেন। তারা আপনাকে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে এবং বিশ্রাম নিতে বলতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে, আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হতে পারে যাতে আপনি অক্সিজেন বা অন্যান্য চিকিৎসা পেতে পারেন।
ঘরে যত্ন:শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
আপনি যখন বাড়িতে থাকেন তখন নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনি কিছু জিনিস করতে পারেন যা আপনাকে আরও ভাল বোধ করতে সাহায্য করবে:
- আপনার ডাক্তারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন। এতে সমস্ত ওষুধ গ্রহণ করা এবং নির্ধারিত সময়ের জন্য সেগুলি গ্রহণ করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এমনকি যদি আপনি ভাল বোধ করেন।
- প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড থাকতে এবং শ্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করবে।
- বিশ্রাম নিন। আপনার শরীরকে নিউমোনিয়া থেকে সেরে উঠতে সময় দিন।
- ধূমপান এড়িয়ে চলুন। ধূমপান আপনার শ্বাসযন্ত্রকে আরও জ্বালাতন করতে পারে এবং আপনার সেরে ওঠা কঠিন করে তুলতে পারে।
- অন্যদের থেকে দূরে থাকুন। নিউমোনিয়া সংক্রামক হতে পারে, তাই অন্যদের অসুস্থ করে তোলার ঝুঁকি এড়াতে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আপনার শরীরকে সেরে উঠতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করবে।
কখন ডাক্তারকে ডাকবেন
- আপনার যদি জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের অবস্থা খারাপ হয়।
- যদি মনে বিভ্রান্তি বোধ করেন বা অজ্ঞান হয়ে যান।
- আপনার যদি বুকে তীব্র ব্যথা হয়।
- যদি প্রচুর পরিমাণে শ্লেষ্মা নিঃসরণ হয়, বিশেষ করে যদি এটি সবুজ বা হলুদ হয়।
- আপনার যদি ঠান্ডা লাগা বা ঘাম হয়।
নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার
নিউমোনিয়া একটি গুরুতর অসুস্থতা যা দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। একজন চিকিৎসা পেশাদারই সঠিকভাবে নির্ণয় করতে এবং চিকিৎসা করতে পারবেন। নিজে নিজে চিকিৎসা করা বিপজ্জনক হতে পারে, তাই যখন আপনি নিউমোনিয়া বা অন্য কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হন তখন একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করাই সর্বদা সর্বোত্তম পদক্ষেপ।
এখানে কিছু অতিরিক্ত তথ্য রয়েছে যা সহায়ক হতে পারে:
নিউমোনিয়ার কারণ:
- ব্যাকটেরিয়া
- ভাইরাস
- ছত্রাক
- পরজীবী
নিউমোনিয়ার লক্ষণ:
- জ্বর
- কাশি
- শ্বাসকষ্ট
- বুকে ব্যথা
- ক্লান্তি
- মনে বিভ্রান্তি
- বমি বমি ভাব, বমি বা ডায়রিয়া।
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা:
- অ্যান্টিবায়োটিক (যদি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ হয়)
- অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ (যদি ভাইরাল সংক্রমণ হয়)
- ছত্রাকনাশক ওষুধ (যদি ছত্রাক সংক্রমণ হয়)
- কাশির ওষুধ
- ব্যথার ওষুধ
- অক্সিজেন থেরাপি (প্রয়োজনে)।
নিউমোনিয়া প্রতিরোধ:
- নিউমোকক্কাল এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা গ্রহণ করুন।
- আপনার হাত নিয়মিত ধোয়ার মাধ্যমে সংক্রমণ এড়িয়ে চলুন।
- ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
- অন্যদের থেকে দূরে থাকুন যারা অসুস্থ।
উপসংহার:
প্রিয় পাঠক আজ শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার বা নিউমোনিয়া কেন হয়, লক্ষণ কি এবং প্রতিকার-প্রতিরোধ নিয়ে
আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো। এরকম আরো
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url