জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম - মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম বা মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম বিষয় নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম বা মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম বা মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
জুমার নামাজ মোট কত রাকাত কি কি
জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম বা মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম জানার আগে জুমার নামাজ মোট কত রাকাত কি কি জানা উচিত। জুমার নামাজ মোট ১০ রাকাত।
চলুন জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম বা মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানি। জুমার নামাজ মোট ১০
রাকাত এখানে বিস্তারিত:
ফরজ: ২ রাকাত
সুন্নত:
- কাবলাল জুমা (জুমার আগে): ৪ রাকাত
- বাদাল জুমা (জুমার পরে): ৪ রাকাত
এখানে উপরের বিষয়গুলো ছাড়া আরো অতিরিক্ত কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি:
- তাহিয়্যাতুল মসজিদ: ২ রাকাত (মসজিদে প্রবেশের পর)
- নফল: যত ইচ্ছা (জোহরের ওয়াক্তের নফল)
মনে রাখবেন: উপরের বিষয়গুলো ছাড়াও নিচের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মেনে চললে অনেক নেকি বা সওয়াব পাবেন।
জুমার ফরজ নামাজ ২ রাকাত হলেও, অধিকাংশ মুসল্লি ১০ রাকাত নামাজ আদায় করে থাকে।
- আপনার জুমার নামাজের আগে ও পরে সুন্নত নামাজ পড়া মুস্তাহাব।
- জোহরের নামাজের মতো জুমার নামাজের সময়ও অতিরিক্ত নফল নামাজ পড়া যায়।
মহিলাদের জুমার নামাজ কত রাকাত
মহিলাদের জুমার নামাজের রাকাত সংখ্যা পুরুষদের মতোই, মোট ১০ রাকাত।
বিস্তারিত:
ফরজ: ২ রাকাত
সুন্নত:
- কাবলাল জুমা (জুমার আগে): ৪ রাকাত
- বাদাল জুমা (জুমার পরে): ৪ রাকাত
এখানে উপরের বিষয়গুলো ছাড়া আরো অতিরিক্ত কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি:
- তাহিয়্যাতুল মসজিদ: ২ রাকাত (মসজিদে প্রবেশের পর)
- নফল: যত ইচ্ছা (জোহরের ওয়াক্তের নফল)
মনে রাখবেন: উপরের বিষয়গুলো ছাড়াও নিচের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মেনে চললে অনেক নেকি বা সওয়াব পাবেন।
- মহিলাদের জন্য জুমার নামাজ ফরজ নয়, তবে সুন্নত।
- মহিলারা যদি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যান, তাহলে পুরুষদের সাথে মিশে না, বরং আলাদা স্থানে নামাজ পড়বেন।
- মহিলাদের জুমার নামাজের জন্য খুতবা শোনা ওয়াজিব নয়, তবে সুন্নত।
জুমার নামাজের নিয়ত - আরবিতে জুমার নামাজের নিয়ত
জুমার নামাজের নিয়ত
জুমার নামাজের নিয়ত নিম্নরূপ:
কাবলাল জুমার নিয়ত: আরবিতে জুমার নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া রাকাআতি ছালাতি কাব্লাল
জুমুয়াতি, সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্
ক্বাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
অর্থ:
আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কেবলামুখী হয়ে চার রাকায়াত কাবলাল জুমার সুন্নতে
মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।
ফরজ জুমার নিয়ত: আরবিতে জুমার নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন্ উসকিতা আন্ জিম্মাতী ফারদুজ্জহ্রি, বি-আদায়ি রাকয়াতাই
ছালাতিল্ জুমুয়াতি, ফারজুল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্
ক্বাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
অর্থ:
আমার উপর জুহরের ফরজ নামাজ আদায়ের যে দায়িত্ব রয়েছে, আমি কেবলামুখী হয়ে,
জুম্মার দুই রাকায়াত ফরজ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তা পালনের নিয়ত করলাম। আল্লাহু
আকবর।
বাদাল জুমার নিয়ত: আরবিতে জুমার নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া রাকাআতি ছালাতি বাদাল
জুমুয়াতি, সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্
ক্বাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
অর্থ:
আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কেবলামুখী হয়ে চার রাকায়াত বাদাল জুম্মা সুন্নাতে
মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।
মনে রাখবেন: উপরের বিষয়গুলো ছাড়াও নিচের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মেনে চললে অনেক নেকি বা সওয়াব পাবেন।
- আপনার নিয়ত করার সময় মনোযোগী থাকা উচিত।
- নামাযের নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা সুন্নত, তবে মনে মনে করলেও যথেষ্ট।
- নিয়ত আরবি ভাষায় জানা না থাকলে বাংলা অনুবাদে করতে পারেন।
ইমামের পিছনে জুমার নামাজের নিয়ত
ইমামের পিছনে জুমার নামাজের নিয়ত নিম্নরূপ:
নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল জুমুয়াতি
মু’তামিমান বি-ইমামি, ফারজুল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্
ক্বাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
অর্থ:
আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কেবলামুখী হয়ে ইমামের সাথে মিলিতভাবে জুমার দুই
রাকায়াত ফরজ নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।
মনে রাখবেন: উপরের বিষয়গুলো ছাড়াও নিচের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মেনে চললে অনেক নেকি বা সওয়াব পাবেন।
- ইমামের সাথে তাকবির বান্ধার সাথে সাথে নিয়ত করতে হবে।
- নিয়ত মনে মনে করলেই যথেষ্ট।
- নিয়ত আরবি ভাষায় জানা না থাকলে বাংলা অনুবাদে করতে পারেন।
জুমার নামাজের নিয়তের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- নিয়ত আন্তরিক হওয়া উচিত।
- আপনার নিয়ত সঠিক হওয়া উচিত।
- নিয়তের সময় মনোযোগী থাকা উচিত।
জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম
জুমার নামাজের পূর্বে:
- গোসল করা: জুমার নামাজের জন্য গোসল করা সুন্নত।
- পরিষ্কার পোশাক পরা: জুমার নামাজের জন্য পরিষ্কার ও সুন্দর পোশাক পরা উচিত।
- সুগন্ধি ব্যবহার করা: সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত।
- আজানের সাথে সাথে মসজিদে যাওয়া: আজানের সাথে সাথে মসজিদে যাওয়া উচিত।
- মসজিদে প্রবেশের পূর্বে দু'রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ পড়া: মসজিদে প্রবেশের পূর্বে দু'রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ পড়া সুন্নত।
জুমার নামাজের সময়:
- খুতবা শোনা: ইমামের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত।
- জামায়াতে নামাজে অংশগ্রহণ করা: জামায়াতে নামাজে অংশগ্রহণ করা উচিত।
- নামাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখা: নামাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখা উচিত।
জুমার নামাজের পর:
- দু'রাকাত বাদাল জুমার নামাজ পড়া: দু'রাকাত বাদাল জুমার নামাজ পড়া সুন্নত।
- জিকির ও দোয়া করা: জুমার নামাজের পর জিকির ও দোয়া করা উচিত।
- মসজিদ থেকে বিদায় নেওয়া: মসজিদ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় দু'রাকাত নামাজ পড়া সুন্নত।
জুমার নামাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- জুমার নামাজ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম পুরুষদের জন্য ফরজ।
- জুমার নামাজের সময় বেচাকেনা করা নিষেধ।
- নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার পথে হাঁটা সওয়াবের কাজ।
- জুমার নামাজের দিন সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা এবং বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।
জুমার নামাজের ফজিলত:
- জুমার নামাজের মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়।
- নামাজের মাধ্যমে জান্নাতের দরজা খোলা হয়।
- জুমার নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করা যায়।
আশা করি এই তথ্যগুলো জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে ধারণা দিতে সাহায্য
করবে।
মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম
মহিলাদের জন্য জুমার নামাজ ফরজ নয়, তবে সুন্নত। যদি মহিলারা জুমার নামাজ পড়তে
চান, তাহলে নিম্নলিখিত নিয়মগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
জুমার নামাজের পূর্বে:
- গোসল করা: জুমার নামাজের জন্য গোসল করা সুন্নত।
- পরিষ্কার পোশাক পরা: জুমার নামাজের জন্য পরিষ্কার ও সুন্দর পোশাক পরা উচিত।
- সুগন্ধি ব্যবহার করা: সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত।
- আজানের সাথে সাথে মসজিদে যাওয়া: আজানের সাথে সাথে মসজিদে যাওয়া উচিত।
- মসজিদে প্রবেশের পূর্বে দু'রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ পড়া: মসজিদে প্রবেশের পূর্বে দু'রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ পড়া সুন্নত।
জুমার নামাজের সময়:
- খুতবা শোনা: ইমামের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত।
- জামায়াতে নামাজে অংশগ্রহণ করা: মহিলারা মসজিদের বাইরের কোন স্থানে যেমন, বারান্দা, বা মসজিদের পাশে কোন ঘরে জামায়াতে নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
- নামাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখা: নামাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখা উচিত।
জুমার নামাজের পর:
- দু'রাকাত বাদাল জুমার নামাজ পড়া: দু'রাকাত বাদাল জুমার নামাজ পড়া সুন্নত।
- জিকির ও দোয়া করা: জুমার নামাজের পর জিকির ও দোয়া করা উচিত।
- মসজিদ থেকে বিদায় নেওয়া: মসজিদ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় দু'রাকাত নামাজ পড়া সুন্নত।
মহিলাদের জুমার নামাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- মহিলাদের জন্য জুমার নামাজ মসজিদে যাওয়া ওয়াজিব নয়, বরং ঘরেও পড়া যায়।
- মহিলারা যদি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যান, তাহলে পুরুষদের সাথে মিশে না, বরং আলাদা স্থানে নামাজ পড়বেন।
- মহিলাদের জুমার নামাজের জন্য খুতবা শোনা ওয়াজিব নয়, তবে সুন্নত।
জুমার নামাজের ফজিলত:
- জুমার নামাজের মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়।
- জুমার নামাজের মাধ্যমে জান্নাতের দরজা খোলা হয়।
- জুমার নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করা যায়।
আশা করি এই তথ্যগুলো মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে ধারণা
দিতে সাহায্য করবে।
জুমার নামাজ ফরজ না ওয়াজিব
জুমার নামাজ ফরজ নাকি ওয়াজিব, এ বিষয়ে ইসলামী ফিকহে মতপার্থক্য রয়েছে।
যারা জুমার নামাজকে ফরজ মনে করেন:
হানাফি, মালিকি ও শাফেয়ী মাযহাব: এই তিনটি মাযহাবের মতে, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, পুরুষ মুসলমানদের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ।
কুরআন: সূরা আল-জুমু'আহ-তে আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, "হে মুমিনগণ! যখন জুমার দিনের আযান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের জন্য (বাজার-ব্যবসা বন্ধ করে) জুমার নামাজের দিকে ছুটে চলো এবং বেচা-কেনা বন্ধ করে দাও। তোমাদের জন্য এটাই অনেক উত্তম, যদি তোমরা জানো।" (সূরা আল-জুমু'আহ: 9)।
হাদিস: রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি অবহেলা অলসতা করে পর পর তিন জুমা নামাজ ছেড়ে দিল, মহান আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দিবেন।" (আবু দাউদ)।
যারা জুমার নামাজকে ওয়াজিব মনে করেন:
হাম্বলী মাযহাব: এই মাযহাবের মতে, জুমার নামাজ ফরজ নয়, বরং ওয়াজিব।
কিছু আলেম: কিছু আলেম মনে করেন, জুমার নামাজ ফরজ হলেও, এর উপর জোর দেওয়া হয়নি।
মতপার্থক্য থাকলেও, অধিকাংশ আলেম জুমার নামাজকে ফরজ বলে মনে করেন। প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, পুরুষ মুসলমানদের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা উচিত।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- মহিলারা: মহিলাদের জন্য জুমার নামাজ ফরজ নয়, তবে ওয়াজিব।
- অসুস্থ ব্যক্তি: অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য জুমার নামাজ ওয়াজিব নয়।
- ভ্রমণকারী: ভ্রমণকারীদের জন্য জুমার নামাজ ওয়াজিব নয়।
মসজিদ ছাড়া কি জুমার নামাজ হবে
মসজিদ ছাড়া জুমার নামাজ আদায় করা সাধারণত উচিত নয়। জুমার নামাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ করার জন্য মসজিদে জামাতে অংশগ্রহণ করা শ্রেয়।
কিছু ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি:
মসজিদ না থাকা: যদি কোনো এলাকায় মসজিদ না থাকে, তাহলে নিকটতম খোলা জায়গায় জামাতে জুমার নামাজ আদায় করা যেতে পারে।
মসজিদে জায়গা না থাকা: যদি মসজিদে জামাতের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে, তাহলে বাইরে আরেকটি জামাত গঠন করে জুমার নামাজ আদায় করা যেতে পারে।
অসুস্থতা: যদি কেউ অসুস্থ হয়ে মসজিদে যেতে না পারে, তাহলে সে বাড়িতে জুমার নামাজ আদায় করতে পারবে।
বৃষ্টি: যদি বৃষ্টির কারণে মসজিদে যেতে অসুবিধা হয়, তাহলে বাড়িতে জুমার নামাজ আদায় করা যেতে পারে।
মসজিদ ছাড়া জুমার নামাজ আদায়ের শর্তাবলী:
- ইমাম: জুমার নামাজের জন্য একজন ইমাম থাকতে হবে।
- খুতবা: জুমার নামাজের আগে খুতবা পড়তে হবে।
- জামাত: জুমার নামাজ জামাতে আদায় করতে হবে।
- পুরুষ: জুমার নামাজে সাধারণত পুরুষদের অংশগ্রহণ করা উচিত। মহিলাদের জন্য জুমার নামাজ ফরজ নয়, তবে ওয়াজিব।
মনে রাখবেন: উপরের বিষয়গুলো ছাড়াও নিচের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মেনে চললে অনেক নেকি বা সওয়াব পাবেন।
- মসজিদ ছাড়া জুমার নামাজ আদায় করা নিয়মিত করা উচিত নয়।
- যদি মসজিদে যাওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে মসজিদে জামাতে অংশগ্রহণ করা উচিত।
- জুমার নামাজের শর্তাবলী সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
- উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য।
- জুমার নামাজের নিয়মাবলী সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে একজন আলেমের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
জুমার দিন যোহরের নামাজ পড়ার নিয়ম
জুমার দিন যোহরের নামাজ পড়ার নিয়ম:
জুমার দিন যোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজ আদায় করা হয়। জুমার নামাজ ফরজ হলেও, যারা কোন কারণে জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, তাদের জন্য যোহরের নামাজ আদায় করার বিধান রয়েছে।
যোহরের নামাজ পড়ার নিয়ম:
- ওয়াক্ত: জুমার দিন যোহরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় জুমার আযানের পর থেকে এবং শেষ হয় আসরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে।
- রাকাত: যোহরের নামাজ ৪ রাকাত ফরজ।
- নিয়ত: নিয়ত করতে হবে, "আমি আল্লাহর রিযার জন্য ৪ রাকাত যোহরের নামাজ আদায় করছি।"
- তাকবীর: تكبيرة التحريم দিয়ে নামাজ শুরু করতে হবে।
- সূরা ফাতিহা: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত করতে হবে।
- কুরআন: সূরা ফাতিহার সাথে অন্য কোন সূরা বা আয়াত তেলাওয়াত করা مستحب।
- রুকু ও সিজদা: রুকু ও সিজদা সঠিকভাবে আদায় করতে হবে।
- তাহিয়া: তাহিয়া পড়তে হবে।
- দরুদ: দরুদ শরীফ পড়তে হবে।
- সালাম: সালাম দিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- জুমার নামাজের জন্য আযান দেওয়ার পর যোহরের নামাজ আদায় করা মাকরুহ।
- যদি কেউ জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করতে না পারে, তাহলে তার জন্য যোহরের নামাজ জামাতে আদায় করা উচিত।
- যদি জামাতে অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হয়, তাহলে একা একা যোহরের নামাজ আদায় করা যেতে পারে।
- যোহরের নামাজের সময় দোয়া-দরুদ, তাসবিহ, তাহলিল পড়া مستحب।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
- উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য।
- জুমার নামাজের নিয়মাবলী এবং বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে একজন আলেমের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কোন প্রকার তথ্য ভূলপরিলক্ষিত হলে তা জানালে সাদরে গ্রহন করা হবে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আজ জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম বা মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম বা মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম আলোচনা আপনার কাজে লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url