বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা - মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আপনি অনেক খোঁজাখুজির পর নিশ্চয়ই বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা - মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা - মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব তা নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
রাজধানী ঢাকার মিরপুরে মনোরম প্রকৃতিক পরিবেশে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
(Bangladesh National Zoo) অবস্থিত। জনসাধারণের বিনোদন, প্রাণি বৈচিত্র সংরক্ষণ,
প্রজনন, গবেষণা এবং বন্যপ্রাণি সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে ১৯৫০ সালে
ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে অল্প সংখ্যক বন্যপ্রাণি নিয়ে বাংলাদেশে চিড়িয়াখানার
যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে মিরপুরে চিড়িয়াখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া
হয় এবং ১৯৭৪ সনের ২৩ জুন বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা জনসাধারণের জন্য
উন্মুক্ত করা হয়।
প্রায় ৭৫ হেক্টর আয়তনের বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষণ পৃথিবীর
বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার হলেও এখানে ১৯১ প্রজাতির দেশী-বিদেশী ২১৫০ টি প্রাণী
রয়েছে। এদের মধ্যে চিত্রা হরিণ, বানর, নীলগাই, সিংহ, জলহস্তি, গন্ডার, ভালুক,
সিংহ, কুমির, জেব্রা, ফ্লেমিংগো, কানিবক, পানকৌড়ি ও মাছরাঙা অন্যতম। আর প্রাণি
জাদুঘরে রয়েছে প্রায় ২৪০ প্রজাতির স্টাফিং করা পশুপাখি। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়
চিড়িয়াখানায় ১৩ হেক্টর জায়গা জুড়ে দুইটি লেক রয়েছে।
একনজরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
- ভ্রমণ স্থানের নাম বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
- অবস্থান মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
- স্থাপিত ২৩শে জুন, ১৯৭৪
- উদ্বোধন ২৩শে জুন, ১৯৭৪
- আয়তন ১৮৬ একর
- প্রাণীর সংখ্যা ২১৫০
- প্রজাতির সংখ্যা ১৯১
- বার্ষিক পরিদর্শক ৩,০০০,০০০
- চিড়িয়াখানা প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা
মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাগামী বাস চলাচল করে। এছাড়া নিজস্ব পরিবহণ ট্যাক্সি, সিএনজি কিংবা প্রাইভেটকার ভাড়া করেও চিড়িয়াখানায় যেতে পারবেন।
মিরপুর চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা।
ঢাকা থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।
গাড়ি বা মোটরবাইক দিয়ে
আপনি যদি গাড়ি বা মোটরবাইক নিয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যেতে চান তবে আপনাকে
ঢাকা থেকে মিরপুরের দিকে যেতে হবে। মিরপুরে পৌঁছানোর পর, আপনাকে মিরপুর-১০ নম্বর
গোলচত্বর থেকে চিড়িয়াখানা রোড ধরে যেতে হবে। চিড়িয়াখানা রোড ধরে প্রায় ১
কিলোমিটার যেতে হবে। এরপরই আপনি মিরপুর চিড়িয়াখানা দেখতে পাবেন।
বাস বা সিএনজি দিয়ে
আপনি যদি বাস বা সিএনজি দিয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যেতে চান তবে আপনাকে ঢাকার
যেকোনো স্থান থেকে মিরপুরের দিকে যাওয়ার বাস বা সিএনজি ধরতে হবে। মিরপুরে
পৌঁছানোর পর, আপনাকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে চিড়িয়াখানা রোড ধরে যেতে
হবে। চিড়িয়াখানা রোড ধরে প্রায় ১ কিলোমিটার যেতে হবে। এরপরই আপনি মিরপুর
চিড়িয়াখানা দেখতে পাবেন।
ট্রেনে
আপনি যদি ট্রেনে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যেতে চান তবে আপনাকে ঢাকার কমলাপুর
রেলওয়ে স্টেশন থেকে মিরপুরের দিকে যাওয়ার ট্রেন ধরতে হবে। মিরপুর রেলওয়ে
স্টেশনে নেমে, আপনাকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে চিড়িয়াখানা রোড ধরে যেতে
হবে। চিড়িয়াখানা রোড ধরে প্রায় ১ কিলোমিটার যেতে হবে। এরপরই আপনি মিরপুর
চিড়িয়াখানা দেখতে পাবেন।
ঢাকা থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার বাস
- মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে চিড়িয়াখানা রোডের বিভিন্ন দিকে যাওয়ার বাস
- মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামের দিকে যাওয়ার বাস
- মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিরপুর ১০ নম্বর বাজারের দিকে যাওয়ার বাস
ঢাকা থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার সিএনজি
- মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে চিড়িয়াখানা রোডের বিভিন্ন দিকে যাওয়ার সিএনজি
- মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামের দিকে যাওয়ার সিএনজি
- মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিরপুর ১০ নম্বর বাজারের দিকে যাওয়ার সিএনজি
ঢাকা থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার ট্রেন
- কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন
- ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন
আপনি যেভাবেই মিরপুর চিড়িয়াখানায় যান না কেন, অবশ্যই মনে রাখবেন যে
চিড়িয়াখানা খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
খোলা বন্ধের সময়সূচী
জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে। তবে রবিবার সরকারী ছুটির দিন হলে সেই
রবিবার চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল-অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল
৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং শীতকালে (নভেম্বর-মার্চ) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা
পর্যন্ত খোলা থাকে।
প্রবেশ টিকেট মূল্য
দুই বছরের বেশি যে কারও জন্যে মেইন গেইট প্রবেশ করতে টিকেট মূল্য ৫০ টাকা। জো
মিউজিয়ামে প্রবেশ করতে টিকেট মূল্য ১০ টাকা। দুই বছরের কম বাচ্চার জন্যে কোন
টিকেট লাগবেনা। এছাড়া স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট এর ক্ষেত্রে
প্রবেশ টিকেট মূল্য অর্ধেক। সেই ক্ষেত্রে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড
দেখাতে হবে।
পিকনিক স্পট ভাড়া : উৎসব এবং নিঝুম নামের পিকনিক স্পট সারাদিনের জন্যে ভাড়া করতে
লাগবে যথাক্রমে ১০,০০০ ও ৬,০০০ টাকা।
কার পার্কিং ফি : বাস, ট্রাক, মিনিবাস ধরণের যানবাহনের জন্যে ৪০ টাকা।
মাইক্রোবাস, ট্যাক্সি, জীপ, প্রাইভেট কার, পিক আপ এই ধরণের গাড়ির জন্যে পার্কিং
২০টাকা। সিএনজি, টেম্পু, মটরসাইকেল ইত্যাদির জন্যে ১০টাকা। রিক্সা, বাইসাইকেল
ইত্যাদির জন্যে ২ টাকা পার্কিং ফী। (সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়।)
কোথায় খাবেন মিরপুর চিড়িয়াখানা
চিড়িয়াখানার সামনে বেশকিছু খাবারের দোকান রয়েছে চাইলে সেখানে খেতে পারবেন। তবে
অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে খাবারের মূল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।
চিড়িয়াখানা এর ভিতরে ঘুরা শুরু করবেন যেভাবে
প্রথমে কিছু নির্দেশনাবলী:
চিড়িয়াখানার ঘুরার জন্য চিড়িয়াখানা ঢুকে প্রথমে সোজা যাবেন। একটু সামনে গেলেই
দেখতে পাবেন পুরো চিড়িয়াখানার একটি বড় ম্যাপ রয়েছে। সাথে দেখতে পাবেন সামনেই একটি
বানরের খাঁচা। বানরের সাথে দেখা করার পর আপনি হাতের বা দিকে যাবেন।
হাতের বা দিক দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে আপনি আস্তে আস্তে ডান দিকে যাবেন। এভাবে করেই
আপনার পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরা শেষ করবেন। চিড়িয়াখানাও এই নিয়ম টা ই দিয়েছে। যাতে
আপনি পুরো চিড়িয়াখানার সব গুলো প্রানির দেখা পান।
চিড়িয়াখানার প্রাণীদের খাবার দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
হিংস্র প্রানি যেমনঃ বাঘ, সিংহ, সাপ এসব প্রাণীদের খাঁচা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব
বজায় রাখুন।
আপনার সাথে যদি ছোট বাচ্চা থাকে তাহলে, তাদেরকে সব সময় কাছে রাখুন। প্রয়োজনে হাত
ধরে রাখুন। কারন, চিড়িয়াখনা অনেক বড় এবং সবসময় এখানে প্রচুর মানুষের সমাগম থাকে।
একবার যদি আপনার বাচ্চা কে হারিয়ে ফেলেন, তাহলে তাকে খুজে পেতে অনেক সময় লাগবে।
এর ফলে আপনার আনন্দ ভ্রমন নিরানন্দ হয়ে যাবে।
আর যদি, এরকম সমস্যায় পড়েই যান। তাহলে ঘাবড়ানর কিছু নেই। কারন, চিড়িয়াখানার ভিতরে
একদল সদস্য রয়েছে, যারা আপনার সহযোগিতা করার জন্য রেডি হয়ে থাকে সবসময়। আপনি
ভিতরে চুকলেই তাদের মাইকের শব্দ পাবেন।
চিড়িয়াখানা ঢুকার পূর্বে সাথে পানি এবং শুঁকন খাবার নিয়ে নিন। কারন, এতো বড়
চিড়িয়াখানা ঘুরতে ঘুরতে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন। তাছাড়া, উচু নিচু যায়গা
দিয়েই আপনাকে ভ্রমন করতে হবে।
যতটা সম্ভব খোলামেলা জামাকাপড় পড়ে চিড়িয়াখানা যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ক্লান্তি
কম লাগবে।
ভ্রমন উপযোগী জুতা পরার চেষ্টা করুন।
সবসময় আপনার মানিব্যাগ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আপনার হেফাজতে রাখুন।
চলুন চিড়িয়াখানা ভ্রমন শুরু করা যাক
হাতের বা দিক দিয়ে গেলে এক এক করে দেখতে পাবেন গণ্ডার, গরিয়াল, হরিন, গয়াল, হাতি,
জিরাফ ইতাদি প্রানির খাঁচা। আপনি কম সময় নিয়ে সব প্রানি দেখার জন্য দ্রুত হাটবেন
না। এতে আপনি দ্রুতই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন।
হাটতে হাটতে সবচেয়ে বেশি ভীড় দেখতে পাবেন জিরাফ এর খাচার দিকে। আমি যতবারই
চিড়িয়াখানায় গিয়েছি, ততবারই এই বিষয়টা লক্ষ্য করেছি।
আমি প্রথম চিড়িয়াখানা এসেছিলাম আমার চাচা (জাকির হোসেন) এর হাত ধরে। তখন আমার বয়স
আনুমানিক ৭ কি ৮ বছর। আমি আমার মেঝো ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন কে চাচা এখানে ঘুরতে
নিয়ে এসেছিলেন।
বাঘ এবং সিংহের খাঁচা
বাঘ এবং সিংহের খাঁচা রয়েছে চিড়িয়াখানার একেবারে শেষের দিকে। আপনি সাপ এর সাথে
দেখা করে একটু সামনে এগিয়ে দেখতে পাবেন বেশ বড় হরিন এর খাঁচা। হরিন এর খাচার
পাশদিয়ে বা দিকে গেলেই দেখতে পাবেন বিশাল এর ঝিল। তার ডান পাশেই বাঘ এবং সিংহের
খাঁচা।
এরপর আবারো হরিনের খাঁচা।
আপনি ঠিকমত সবগুলো খাঁচায় ঘুরলে আপনার প্রায় ১ দিন সময় লেগে যাবে।
হরিণ এর খাঁচার পাশেই ছোট ছোট টুল রয়েছে। ক্লান্ত বোধ করলে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে
নিতে পারেন।
প্রাণী জাদুঘর - বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
চিড়িয়াখানা এর ভিতরেই রয়েছে প্রাণী জাদুঘর। এখানে আপনি ঘোড়ার ডিম থেকে শুরু করে
হাজার বছর পুরনো কচ্ছপ দেখতে পাবেন। এছাড়াও নানা প্রজাতির সাপ ও অন্যান্য প্রানি
রয়েছে এই প্রাণী জাদুঘরে।
প্রাণী জাদুঘর এ ঢুকার জন্য আপনাকে আলাদা করে টিকিট নিতে হবে।
চিড়িয়াখানা ও কিছু প্রশ্ন-উত্তর
মিরপুর চিড়িয়াখানা কোথায় অবস্থিত ?
বাংলাদেশের ঢাকা জেলার মিরপুর থানায় অবস্থিত।
মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব ?
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে চিড়িয়াখানাগামী বাস চলাচল করে। আপনি বাসে
যেতে পারেন। এছাড়া নিজস্ব পরিবহণ ট্যাক্সি, সিএনজি কিংবা প্রাইভেটকার ভাড়া করেও
চিড়িয়াখানায় যাওয়া যায়।
মিরপুর চিড়িয়াখানা কত নাম্বারে ?
মিরপুর চিড়িয়াখানা: মিরপুর – ২ নাম্বারে অবস্থিত। মিরপুর ১ নাম্বার হয়ে সনি
সিনেমা হল দিয়ে কিছুটা গেলেই মিরপুর ২ নাম্বার। এখানেই বাংলাদেশর জাতীয়
চিড়িয়াখানা অবস্থিত।
চিড়িয়াখানা প্রবেশ মূল্য কত ?
বর্তমানে জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রবেশ মূল্য বাড়ানো হয়েছে। পূর্বে টিকিটের দাম
ছিল ৩০ টাকা। এখন দুই বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য প্রবেশ মূল্য টিকিট ৫০ টাকা। তবে
ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের প্রবেশ মূল্যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়ে
থাকে।
বন্ধ কবে মিরপুর চিড়িয়াখানা
সাপ্তাহিক বন্ধ: রবিবার
মিরপুর চিড়িয়াখানা গাড়ি পার্কিং ফি কত
বাস, ট্রাক, মিনিবাস ধরণের যানবাহনের জন্যে ৪০ টাকা (কম বেশি হতে পারে)।
মাইক্রোবাস, ট্যাক্সি, জীপ, প্রাইভেট কার, পিক আপ এই ধরণের গাড়ির জন্যে পার্কিং
২০ টাকা (কম বেশি হতে পারে)। সিএনজি, টেম্পু, মটরসাইকেল ইত্যাদির জন্যে ১০ টাকা
(কম বেশি হতে পারে)। রিক্সা, বাইসাইকেল ইত্যাদির জন্যে ২ টাকা পার্কিং ফী (কম
বেশি হতে পারে)।
কোথায় খাবেন ?
চিড়িয়াখানার সামনে অনেক খাবারের দোকান রয়েছে। আপনি চাইলে এখানে খেতে পারেন।
এখানে খাবারের দাম বেশি। অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে খাবারের মূল্য সম্পর্কে নিশ্চিত
হয়ে নিবেন। এছাড়া মিরপুর ১ নাম্বারে খুব ভালো মানের খাবারের হোটেল রয়েছে।
যোগাযোগ - মিরপুর চিড়িয়াখানা
Bangladesh National Zoo
চিড়িয়াখানা রোড, মিরপুর, ঢাকা – ১২১৬
ফোন: +88 02 58053030
ওয়েবসাইট: http://www.bnzoo.org
দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব
স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত
থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার
দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতাঃ হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়
তাই আমাদের প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ
করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা
করবেন।
এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন
ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক
লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা
হলে তার জন্যে আমাদের সাইট দায়ী থাকবে না।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আজ বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা - মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url