কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন - বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, জমজম আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আপনি অনেক খোঁজাখুজির পর
নিশ্চয়ই কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়
বা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে
এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর
উপায় বা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড তা নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল
বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন - বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়
বর্তমানে বিদ্যুৎ আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে এমন একটি প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে
দাঁড়িয়েছে যেটা ছাড়া আমরা এক মুহূর্তের কথা ভাবতে পারি না। তবে মাঝে মাঝে আমরা
একটা সমস্যায় পড়ে থাকি সেটা হল অতিরিক্ত মাত্রায় বিদ্যুৎ বিল, এই সমস্যা
কমবেশি আমরা প্রায় সবাই পড়ে থাকি আজকে আমরা কিভাবে বিদ্যুৎ বিল বেশি বেশি আসে
তার কারণ বা কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় তা নিয়ে আলোচনা করব।
আপনি যদি আপনার বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমি বলব আপনি
সঠিক জায়গায় নক করেছেন। আজকে আমার লেখনি যদি আপনি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ে
থাকেন তাহলে কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমনো যায় সে সম্পর্কে আবশ্যই জানতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের প্রতিটি কাজে কর্মে কম বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি
বাড়ির আলো জ্বালানো রান্না করা, থেকে শুরু করে অফিস আদালতে কল কারখানায় বড় বড়
মেশিন পরিচালনার কাজে বা এমন কোন জায়গা নেই যেখানে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় না।
তাই বিদ্যুৎ আমাদের জীবনে একটি অতি প্রয়োজন জিনিস,যেটা ছাড়া আমরা আমাদের জীবন
ধারনের কথা ভাবতে পারি না। এই প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে বিদ্যুৎ
বিলের পরিমাণও বেশি হয়ে যায় তাই আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরও
কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমাবো বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় সম্পর্কে জানব।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্র ব্যবহার করা
আমরা যেহেতু প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি তাই আমাদের উচিত বিদ্যুৎ
সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি আছে যারা
বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি তৈরি করে থাকে।
এ সকল কোম্পানিগুলোর মধ্যে কিছু কোম্পানি আছে যাদের তৈরি ইলেকট্রনিক্স ব্যবহারের
মাধ্যমে বিদ্যুৎ কম ব্যবহার হয়ে থাকে যেমন সিএফএল এলইডি বাতি ইত্যাদি এ সকল
যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের প্রয়োজনীয় মিটবে ঠিকই এবং বিদ্যুৎও কম
ব্যবহার হবে এভাবে আমরা আমাদের বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারি।
রুম থেকে বের হয়ে বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করা
আমরা সাধারণত যতক্ষণ বাড়ি বা ঘরে অবস্থান করি ততক্ষণ কোন না কোন ভাবে বিদ্যুৎ
ব্যবহার করে থাকি। যেমন ঘরে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে, অথবা ঘরে এসি অন করে, অথবা
ঘরে টেলিভিশন চালিয়ে বিভিন্ন প্রকার বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান অথবা খেলাধুলা,
দেশ-বিদেশের খবর ইত্যাদি দেখে থাকি এতে করে কোন না কোন ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়ে
থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় আমরা এ সকল যন্ত্রপাতি বন্ধ না করে ঘর থেকে বের হয়ে আসি।
এতে করে অযথা বিদ্যুতের ব্যবহার হয়ে থাকে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আসে।
তাই প্রত্যেকের উচিত আমরা যখন ঘর থেকে বের হবো বা অফিস আদালত থেকে বের হব তখন
অবশ্যই যেন সকল প্রকার বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে থাকি আর এভাবেই আমরা আমাদের
বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারি।
সুইচ বোর্ডের সুইচ দেখে প্রয়োজনীয় সুইচ অন করা
আমরা প্রায়ই প্রত্যেকেই একটি কাজ করে থাকি সেটি হল আমরা যখন ফ্যান, এসি বা বাতি
জ্বালায় বা যে কোন একটি কাজের প্রয়োজন পড়ে তখন যে কাজের সাথে সম্পৃক্ত সুইচ না
দিয়ে অযথা উপরের দিকে না তাকিয়ে অন্যান্য সুইচ দিয়ে থাকি এবং অনেক সময় দেখা
যায় সেটি আর বন্ধ করি না। এতে দেখা যেটি প্রয়োজন সে সুইচ দেয়া থাকে এবং যেটি
প্রয়োজন নয় সে সুইচও দেয়া থাকে, এতে করে আমাদের অপ্রয়োজনীয় ভাবে বিদ্যুৎ
ব্যবহার হয় থাকে।
ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আসে। তাই আমাদের উচিত আমরা যখন আমাদের কাজের
জন্য প্রয়োজনীয় সুইচ দেবো তখন যেন অবশ্যই বোডের দিকে তাকিয়ে প্রয়োজনে সুইচটা
দেই এতে করে আমাদের অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে না এবং আমাদের বিদ্যুৎ বিল
কম আসবে এভাবেই আমরা আমাদের বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারি।
প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় এসি ব্যবহার করা
বর্তমানে মানুষ পূর্বের তুলনায় জীবনযাত্রার মান অনেক বেড়ে গেছে ফলে মানুষ যে
কোন কাজকর্ম আরাম আয়েশে করতে পছন্দ করে। এই আরামে কাজকর্ম করার জন্য মানুষ বাসা
বাড়ি থেকে শুরু করে সরকারি বেসরকারি সমস্ত আফিস আদালতে এসি ব্যবহার করে থাকি। এই
এসি ব্যবহারের নির্দিষ্ট মাত্রা আছে এই তাপমাত্রা সে কম মাত্রায় যদি এসি ব্যবহার
করে থাকি তাহলে সে এসি ব্যবহারের আরাম বুঝতে পারবে না ঠিকই কিন্তু বিদ্যুৎ ঠিকই
ব্যবহার হবে।
অপরদিকে অতিরিক্ত মাত্রায় এসি ব্যবহার করলে এটি শরীরের জন্য যেমন ক্ষতি করে
অপরদিকে অতিরিক্ত হারে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বাড়ে ফলে আমাদের বিলের পরিমাণ বেড়ে
যায়। তাই সঠিক তাপমাত্রায় এসি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের বিদ্যুৎ কম
ব্যবহারের পাশাপাশি আমাদের বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারি।
প্রয়োজন না হলে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বন্ধ রাখা
অপ্রয়োজনে আমরা আমাদের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রেখে আমাদের বিদ্যুৎ বিল
কমাতে পারি। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন অফিস আদালতে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী
নেই কিন্তু সেই ঘরের ফ্যানের সুইচ দেওয়া আছে, ফ্যান চলছে, আবার এসির সুই চ দেয়া
আছে এসি চলছে।
আরও দেখা যায় রুমে ব্যক্তি না থাকা সত্ত্বেও কম্পিউটারে কাজ নেই তবুও কম্পিউটার
চলছে টেলিভিশন দেখার কেউ নেই কিন্তু টেলিভিশন চলছে, এতে করে যেমন অযথা বিদ্যুৎ
ব্যবহার হচ্ছে তেমনি ভাবে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ বাড়ছে। তাই আমরা যেন
অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার না করে থাকি সেদিকে নজর
দিতে হবে। আর এভাবেই আমরা আমাদের বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারি।
দিনের বেলায় সূর্যের আলো ব্যবহার করা
দিনের বেলায় দিনের বেলায় সূর্যের আলো ব্যবহার করে আমরা বিদ্যুতের ব্যবহার
কমানোর পাশাপাশি আমাদের বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারি। আমরা যদি দিনের বেলায় আমাদের
ঘরের দরজা জানালা বন্ধ না রেখে খুলে রাখি তাহলে সূর্যের আলোয় আমাদের ঘর আলোকিত
হয়ে থাকবে ফলে বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না। এতে করে
বিদ্যুতের ব্যবহার যেমন কমবে অপরদিকে আমাদের বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
আবার ঘরের দরজা-জানলা খুলে রাখলে আলোর পাশাপাশি জানালা দিয়ে হাওয়া বাতাস ঘরে
প্রবেশ করতে পারে ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে আর তাই ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য ফ্যান বা এসি
চালানোর প্রয়োজন পড়ে না, পাশাপাশি বিদ্যুতের ব্যবহারও কমে আর এভাবেই দরজা
জানালা খোলা রেখে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে সূর্যের আলো প্রকৃতির বাতাস ব্যবহার
করে আমরা বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে পারি। পাশাপাশি বিদ্যুৎ কম ব্যবহারের ফলে
বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারি।
বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার উপায়
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য নিম্নলিখিত সূত্র ব্যবহার করা
হয়: কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় বা পল্লী
বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড তা জানা উচিত।
বিদ্যুৎ বিল = (বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ * বিদ্যুৎ হার) + (ফি এবং সারচার্জ)
যেখানে,
বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ = (পূর্ববর্তী মাসের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ +
বর্তমান মাসের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ) / 2
বিদ্যুৎ হার = প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম
ফি এবং সারচার্জ = বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত অন্যান্য খরচ
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনার পূর্ববর্তী মাসের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ছিল
100 ইউনিট এবং বর্তমান মাসের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ হল 120 ইউনিট। বিদ্যুৎ হার
হল প্রতি ইউনিট ৫ টাকা। তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ হবে:
বিদ্যুৎ বিল = (100 ইউনিট + 120 ইউনিট) / 2 * ৫ টাকা/ইউনিট + ফি এবং সারচার্জ
= 110 ইউনিট * ৫ টাকা/ইউনিট + ফি এবং সারচার্জ
= ৫৫০ টাকা + ফি এবং সারচার্জ
ফি এবং সারচার্জ সাধারণত মাসিক বিদ্যুৎ বিলের ৫% থেকে ১০% পর্যন্ত হয়। তাই আপনার
বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ হতে পারে ৫৫০ টাকা থেকে ৬০৫ টাকা পর্যন্ত।
বিদ্যুৎ বিল কমাতে আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে পারেন:
- বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হন।
- অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করুন।
- কম দক্ষতার বিদ্যুৎ সরঞ্জামগুলি উন্নত দক্ষতার সরঞ্জাম দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন।
- সৌর বিদ্যুৎ বা অন্যান্য বিকল্প শক্তির উৎস ব্যবহার করুন।
বিদ্যুৎ বিল মোবাইলে কিভাবে দেখব
কোডের মাধ্যমে বিল দেখার নিয়ম হলো : কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল
কমাবেন বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় বা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড করা যায় তা
জেনে নিন।
- আপনি আপনার মোবাইলে *২৪৭# নাম্বারটি ডায়াল করুন।
- এরপর পে বিল অপশন ক্লিক করুন।
- তারপর ইলেকট্রিসিটি পোষ্টপেইড অপশনে ক্লিক করুন।
- এখন Palli Bidyut নামক অপশনে ক্লিক করুন।
- তারপর চেক বিল অপশনে ক্লিক করুন।
- এরপর এসএমএস একাউন্ট নাম্বারটি দিন।
পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড
পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড করার উপায়: আজ কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় বা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড করা যায় তা জানুন।১. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে:
- পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড ওয়েবসাইটে যান।
- "গ্রাহক সেবা" ট্যাবে ক্লিক করুন।
- "বিল ডাউনলোড" অপশনে ক্লিক করুন।
- "গ্রাহক আইডি" এবং "পাসওয়ার্ড" প্রদান করুন।
- "লগইন" ক্লিক করুন।
- "বিল ডাউনলোড" অপশনে ক্লিক করুন।
২. মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে:
- "গ্রামীণ বিদ্যুৎ" মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
- অ্যাপটি খুলে "লগইন" করুন।
- "গ্রাহক আইডি" এবং "পাসওয়ার্ড" প্রদান করুন।
- "হোম" পাতায় "বিল" অপশনে ক্লিক করুন।
- "বর্তমান মাস" অথবা "পূর্ববর্তী মাস" এর বিল দেখুন এবং ডাউনলোড করুন।
- "REB <গ্রাহক আইডি>" টাইপ করে 16262 নম্বরে এসএমএস পাঠান।
- আপনার বিলের তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানো হবে।
- নিকটবর্তী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে যান।
- আপনার "গ্রাহক আইডি" প্রদান করুন।
- কর্মকর্তার সাহায্যে আপনার বিল ডাউনলোড করুন।
- গ্রাহক আইডি
- পাসওয়ার্ড
- মোবাইল নম্বর (এসএমএসের মাধ্যমে বিল ডাউনলোড করার জন্য)
- "গ্রাহক আইডি" এবং "পাসওয়ার্ড" পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে পাওয়া যায়।
- "গ্রামীণ বিদ্যুৎ" পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড মোবাইল অ্যাপ থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
- বিল ডাউনলোড করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন।
আপনার বিদ্যুৎ বিল দেখুন
কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় বা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড তা জানার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার ওয়েবসাইট , বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল ইউনিট কত? সম্পর্কে জানুন।
১. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে:- বিদ্যুৎ বিল ওয়েবসাইটে যান।
- "গ্রাহক সেবা" ট্যাবে ক্লিক করুন।
- "বিল ডাউনলোড" অপশনে ক্লিক করুন।
- "গ্রাহক আইডি" এবং "পাসওয়ার্ড" প্রদান করুন।
- "লগইন" ক্লিক করুন।
- "বিল ডাউনলোড" অপশনে ক্লিক করুন।
২. মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে:
"WASA" মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
অ্যাপটি খুলে "লগইন" করুন।
"গ্রাহক আইডি" এবং "পাসওয়ার্ড" প্রদান করুন।
"হোম" পাতায় "বিল" অপশনে ক্লিক করুন।
"বর্তমান মাস" অথবা "পূর্ববর্তী মাস" এর বিল দেখুন এবং ডাউনলোড করুন।
৩. এসএমএসের মাধ্যমে:
"WASA <গ্রাহক আইডি>" টাইপ করে 16262 নম্বরে এসএমএস পাঠান।
আপনার বিলের তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানো হবে।
৪. গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে:
নিকটবর্তী WASA অফিসের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে যান।
আপনার "গ্রাহক আইডি" প্রদান করুন।
কর্মকর্তার সাহায্যে আপনার বিল ডাউনলোড করুন।
প্রয়োজনীয় তথ্য:
- গ্রাহক আইডি
- পাসওয়ার্ড
বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল ইউনিট কত?
কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় বা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড তা জানার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার ওয়েবসাইট , বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল ইউনিট কত? সম্পর্কে জানুন।বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিলের ইউনিট নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন:
- গ্রাহকের শ্রেণী:
- এমটি-২: বাণিজ্যিক ও অফিস (ফ্ল্যাট)
- এমটি-৩: শিল্প (কিছু শর্ত পূরণ করলে)
- এমটি-৪: শিল্প (কিছু শর্ত পূরণ না করলে)
- এমটি-৫: বিশেষ শ্রেণী (যেমন: হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্লাব, মসজিদ, মন্দির)
- এমটি-৬: কৃষি (বিদ্যুৎ সেচ)
ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণ:
- বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন হারে বিদ্যুৎ বিল ধার্য করা হয়।
পীক ও অফ-পীক সময়:
- দিনের বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুতের দাম ভিন্ন হতে পারে।
বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা:
বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার বিভিন্ন হার থাকতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ:
এমটি-২:
- প্রথম ৫০ ইউনিট - ৮.৮৭ টাকা/ইউনিট
- ৫১-১০০ ইউনিট - ৯.৪০ টাকা/ইউনিট
- ১০১-২০০ ইউনিট - ৯.৯৩ টাকা/ইউনিট
- ২০০ ইউনিটের বেশি - ১০.৪৬ টাকা/ইউনিট
এমটি-৩:
- প্রথম ৫০ ইউনিট - ৭.৮৭ টাকা/ইউনিট
- ৫১-১০০ ইউনিট - ৮.৪০ টাকা/ইউনিট
- ১০১-২০০ ইউনিট - ৮.৯৩ টাকা/ইউনিট
- ২০০ ইউনিটের বেশি - ৯.৪৬ টাকা/ইউনিট
আপনার বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিলের ইউনিট জানতে:
- আপনার বিদ্যুৎ বিলের কপি দেখুন।
- বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার ওয়েবসাইটে যান।
- বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।
বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার ওয়েবসাইট: কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় বা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড তা জানার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানুন।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (DPDC):
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (DESCO):
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (WZPDCL):
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (NESCO):
বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের ফোন নম্বর: কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় বা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড তা জানার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের ফোন নম্বর জানুন।
- DPDC: 16188
- DESCO: 16262
- WZPDCL: 16162
- NESCO: 16292
মনে রাখবেন: বিদ্যুতের দাম পরিবর্তনশীল।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আজ কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় বা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের কিভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাবেন বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় বা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ডাউনলোড আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url