কম্পিউটার অন হয় কিন্তু ডিসপ্লেতে কিছু আসে না
ভূমিকা
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক জমজম আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আপনি অনেক
খোঁজাখুজির পর নিশ্চয়ই কম্পিউটার চালু না হলে করণীয় কি বা কম্পিউটার অন হয় কিন্তু ডিসপ্লেতে কিছু আসে না তা জানার
জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে কম্পিউটার চালু না হলে করণীয় কি তা নিয়ে কম্পিউটার অন হয় কিন্তু ডিসপ্লেতে কিছু আসে না আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে
পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
কম্পিউটার অন হয় কিন্তু ডিসপ্লেতে কিছু আসে না
কম্পিউটার চালু হলেও ডিসপ্লেতে কিছু না আসার সমস্যা বিরক্তিকর হতে পারে।
সমস্যা সমাধানের জন্য ধাপে ধাপে কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারেন:
প্রথম ধাপ:
- মনিটরের পাওয়ার কেবল ঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- কম্পিউটার মনিটরের ব্রাইটনেস ও কনট্রাস্ট সেটিংস ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- মনিটরের কেবল (VGA/HDMI/DVI) ঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার আপডেট করা আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
দ্বিতীয় ধাপ:
- অন্য মনিটর ব্যবহার করে দেখুন, সমস্যা কম্পিউটারে আছে নাকি মনিটরে।
- অন্য কম্পিউটারের সাথে মনিটর সংযুক্ত করে দেখুন, সমস্যা কম্পিউটারে আছে নাকি মনিটরে।
- মনিটরের সেটিংস রিসেট করে দেখুন।
- মনিটরের ফার্মওয়্যার আপডেট করা আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
তৃতীয় ধাপ:
উপরের সমাধানগুলো যদি কাজ না করে, তাহলে মনিটরটি মেরামতের জন্য একজন টেকনিশিয়ানের কাছে নিয়ে যান।
আপনার জন্য কিছু টিপস:
- মনিটরের স্ক্রিন পরিষ্কার করার জন্য নরম, শুষ্ক কাপড় ব্যবহার করুন।
- সরাসরি সূর্যের আলো পড়তে দেবেন না।
- মনিটরের স্ক্রিনে চাপ দেবেন না।
- মনিটরের স্ক্রিনে তরল পদার্থ ঢেলে দেবেন না।
সতর্কতা:
- মনিটরের ভেতরে কোন কাজ করার চেষ্টা করবেন না।
- মনিটর মেরামতের জন্য একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের কাছে নিয়ে যান।
এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে আপনার মনিটর ডিসপ্লে সমস্যা সমাধান করতে পারবেন বলে আশা করি।
ল্যাপটপ চালু হয় কিন্তু ডিসপ্লে আসে না
ল্যাপটপ চালু হলেও ডিসপ্লে না আসার সমস্যাটি বেশ বিরক্তিকর হতে পারে। সমাধানের জন্য কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারেন:
প্রথম ধাপ:
পাওয়ার:
- ল্যাপটপের চার্জার ঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কিনা এবং পাওয়ার সকেট কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- ব্যাটারি ঠিকভাবে লাগানো আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- পাওয়ার বোতাম টিপে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
- ল্যাপটপ চালু হওয়ার সময় কোন বিপ শব্দ শুনতে পাচ্ছেন কিনা তা লক্ষ্য করুন।
ডিসপ্লে:
- মনিটরের পাওয়ার কেবল ঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- ব্রাইটনেস ও কনট্রাস্ট সেটিংস ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- মনিটরের কেবল (VGA/HDMI/DVI) ঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- অন্য মনিটর ব্যবহার করে দেখুন, সমস্যা ল্যাপটপে আছে নাকি মনিটরে।
দ্বিতীয় ধাপ:
RAM:
- ল্যাপটপের RAM ঠিকভাবে লাগানো আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- RAM-এর সংযোগ ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে প্রয়োজনে পরিষ্কার করে পুনরায় সংযুক্ত করুন।
গ্রাফিক্স কার্ড:
- গ্রাফিক্স কার্ডের সংযোগ ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে প্রয়োজনে পরিষ্কার করে পুনরায় সংযুক্ত করুন।
- গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার আপডেট করা আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
তৃতীয় ধাপ:
উপরের সমাধানগুলো যদি কাজ না করে, তাহলে ল্যাপটপটি মেরামতের জন্য একজন টেকনিশিয়ানের কাছে নিয়ে যান।
আপনার জন্য কিছু টিপস:
- ল্যাপটপের ভেতরে কোন কাজ করার চেষ্টা করবেন না।
- ল্যাপটপ মেরামতের জন্য একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের কাছে নিয়ে যান।
এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে আপনার ল্যাপটপ ডিসপ্লে সমস্যা সমাধান করতে পারবেন বলে আশা করি।
কম্পিউটার চালু না হলে করণীয় কি?
- বর্তমান সময়ে কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর কম্পিউটার এর যে কোন কাজ করতে গেলে যদি হঠাৎ করে কম্পিউটারের সমস্যা তৈরি হয় তাহলে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। সঠিক সময় সঠিক কাজটি শেষ করা যায় না এবং অফিস আদালত থেকে শুরু করে সব জায়গায় অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়।
- তাই আজ আমি কম্পিউটার চালু না হলে করণীয় কি এটিকে একটি পরিচিত সমস্যা হিসেবেই চিহ্নিত করতে চাই। নিয়মিত কম্পিউটার চালু হয় না এমনটা বললে মনে হয় ভুল বলা হবে না। নতুন ব্যবহারকারীদের কাছে এই সমস্যার একটাই সমাধান। তা হচ্ছে বিক্রেতার শরণাপন্ন হয়ে অযথা পয়সা খরচ। নিচের কথাগুলো শুনুন মনোযোগ দিয়ে। আশা করি আপনার চেষ্টা বিফলে যাবে না।
- পাওয়ার সুইচ অন করার পর সিস্টেমের ইন্টারনাল স্পিকার কয়টা আওয়াজ করলো খেয়াল করুন। যদি বীপ সংখ্যা এক হয় তার মানে কম্পিউটার ডিসপ্লে আউটপুট পাচ্ছে না। অথবা কীবোর্ড মাদারবোর্ডের সাথে ঠিকমতো সংযুক্ত না হলেও এমনটা হতে পারে।
- যদি একটি বড় বীপের পর দুটি ছোটো বীপ হয় তারমানে র্যাম পাচ্ছে না আপনার মাদারবোর্ড। র্যাম পরিবর্তন না স্লট পরিবর্তন করে দেখুন।
- যদি একটি বড় বীপের পর তিনটি ছোট বীপ হয় তাহলে বুঝবেন নিশ্চিতভাবেই ডিসপ্লে বা গ্রাফিক্স আউটপুটের সমস্যা।
- আর যদি একটা বড় বীপ তারপর চারটা ছোট বীপ হয় তারমানে আপনার মাদারবোর্ড বা গুরুত্বপূর্ণ কোন হার্ডওয়ার নষ্ট হয়ে গিয়েছে বা ঠিকমতো কাজ করছে না।
- তবে এর জন্য আপনার পিসিতে ইন্টারনাল স্পীকার কিন্তু থাকতে হবে। অনেক মাদারবোর্ডে ইন্টারনাল স্পীকার বিল্ট-ইন থাকে।অন্যগুলাতে আলাদা লাগাবে হয়।সাধারনত কম্পিউটার কেনার সময় বিক্রেতাই এটি দিয়ে দেয় তবে অনেকসময় ভুলে তা ঠিকমতো লাগানো নাও থাকতে পারে।
- সেক্ষেত্রে আপনার মাদারবোর্ডের বক্সে দেখুন স্পীকার পান কিনা।নইলে সময় করে বিক্রেতার কাছ থেকে নিয়ে আসুন।বুঝতেই পারছেন কেন আমি এটাকে এতো গুরুত্ব দিচ্ছি।
- মনিটরের দিকে তাকান। এটি কি স্লীপ মোডে আছে ? অর্থাৎ এর লেড লাইট কি জ্বলছে নিভছে কিনা খেয়াল করুন। যদি তা না হয় অর্থাৎ লেড লাইট জ্বলেই থাকে এবং মনিটরে কিছু না কিছু দেখা যায় তাহলে আপনাকে অভিনন্দন। আপনার মাদারবোর্ড ও গ্রাফিক্স কার্ড ঠিক আছে।সমস্যাটা ছোটোখাটো।নো টেনশন!
- যদি পাওয়ার অন করাই সম্ভব না হয় তাহলে কেসিং খুলে দেখুন নিঃসন্দেহে আপনার পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা। খোঁজার চেষ্টা করুন সমস্যাটা কোথায়।
- এবারে ধরুন মাদারবোর্ডের পাওয়ার লেড জ্বলছে কিন্তু কেসিংয়ের পাওয়ার বাটন চাপলেও পিসি রেসপন্স করছে না তখন বুঝতে হবে কেসিংয়ের পাওয়ার সাপ্লাইয়ে কোনো সমস্যা হবার কারণে এটি পর্যাপ্ত ভোল্টেজ আউটপুট দিতে পারছে না। এক্ষেত্রে সম্ভব হলে অন্য পাওয়ার সাপ্লাই লাগিয়ে চেষ্টা করে দেখুন।
- এবারেও কাজ হয়নি ? হতে পারে আপনার পাওয়ার সুইচেই সমস্যা। অভিজ্ঞ কাজ জানা ব্যবহারকারীরা সম্ভব হলে মাদারবোর্ডের ম্যানুয়াল দেখে মাদারবোর্ডের পাওয়ার বাটন পিন দুইটি বের করে তা কোনোভাবে কন্টাক্ট করে দেখতে পারেন কাজ হয় কিনা। তবে অনভিজ্ঞরা এই কাজটি না করতেযাওয়াটাই ভালো।
- পাওয়ার সংক্রান্ত সমস্যার আশাকরি সমাধান হলো। এবারও কম্পিউটার চালু হচ্ছে না ? তাহলে বুঝতে হবে র্যামের সমস্যা। র্যামের স্লট পরিবর্তন করে নতুবা অন্য র্যাম লাগিয়ে দেখুন।
- কম্পিউটার বুট হলো ঠিকঠাক কিন্তু উইন্ডোজ লোডিং-এর আগেই আটকে গেছে ? তখন বুঝতে হবে আপনার হার্ডডিস্কের সমস্যা। হার্ডডিস্কের পাওয়ার ও ডাটা ক্যাবলের কানেকশন চেক করুন। সম্ভব হবে মাদারবোর্ডের যে কানেক্টরে ক্যাবলটি লাগানো তা পরিবর্তন করে দেখুন।
- এছাড়া এমনটি কি হচ্ছে কম্পিউটার ঠিকমতো চালু হচ্ছে হয়তো অপারেটিং সিস্টেমও লোড হচ্ছে তারপর ধুড়ুম করে পিসি বন্ধ হয়ে রিস্টার্ট করছে।
- এটি সম্ভবত প্রসেসরের কুলিং ফ্যান বা হিটসিংক ও প্রসেসরের কানেকশনের দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। চেক করে দেখুন ফ্যান ঠিকমতো ঘুরছে কি-না বা ফ্যানসহ সবকিছু ঠিকমতো টাইট আছে কিনা। পারলে কুলিং ফ্যানসহ হিটসিংক খুলে আবারও লাগান। কুলিং ফ্যান দুইপাশে একসাথে চাপ দিয়ে খুলতে হয়।
- আর হঠাৎ করে বন্ধ না হলে মানে একটু সময় নিয়ে সংকেত দিয়ে বন্ধ হওয়া মানে ভাইরাসের আক্রমণের শিকার আপনি। কম্পিউটার চালু না হলে করণীয় কি তা জানি।
হঠাৎ বলতে আমি এটা বুঝাচ্ছি যে কম্পিউটার চলার সময় পাওয়ার চলে গেলে যেভাবে বন্ধ
হয় সেরকম ঘটনা। এছাড়াও কোনো না কোনো ক্যাবল লুজ/ নষ্ট হয়ে যাবার কারণেও কম্পিউটার
চালু হওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই ব্যাপারটিও খেয়াল রাখবেন।
মনিটর ডিসপ্লে সমস্যা
মনিটর ডিসপ্লে সমস্যা সমাধান:
মনিটর ডিসপ্লে সমস্যা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। কিছু সাধারণ সমস্যা হল:
- ব্ল্যাঙ্ক স্ক্রিন: মনিটর চালু হচ্ছে না, কোন ছবি দেখা যাচ্ছে না।
- ঝিমিঝিমি/ঝিরঝিরে স্ক্রিন: স্ক্রিন ঝিমিঝিমি করছে, স্থিরভাবে ছবি দেখা যাচ্ছে না।
- রঙের সমস্যা: স্ক্রিনের রঙ ঠিকঠাক দেখা যাচ্ছে না, রঙ ব্ল্যান্ড হয়ে গেছে, অথবা অতিরিক্ত উজ্জ্বল।
- লাইন/ডট/স্পট: স্ক্রিনে লাইন, ডট, অথবা স্পট দেখা যাচ্ছে।
- স্ক্রিন ভাঙা: স্ক্রিনে ফাটল, দাগ, অথবা অন্য কোন ক্ষতি দেখা যাচ্ছে।
সমাধান: মনিটর ডিসপ্লে সমস্যা
প্রথম ধাপ:
- মনিটরের পাওয়ার কেবল ঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- মনিটরের ব্রাইটনেস ও কনট্রাস্ট সেটিংস ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- মনিটরের কেবল (VGA/HDMI/DVI) ঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
- গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার আপডেট করা আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
দ্বিতীয় ধাপ:
- অন্য মনিটর ব্যবহার করে দেখুন, সমস্যা কম্পিউটারে আছে নাকি মনিটরে।
- অন্য কম্পিউটারের সাথে মনিটর সংযুক্ত করে দেখুন, সমস্যা কম্পিউটারে আছে নাকি মনিটরে।
- মনিটরের সেটিংস রিসেট করে দেখুন।
- মনিটরের ফার্মওয়্যার আপডেট করা আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
তৃতীয় ধাপ:
উপরের সমাধানগুলো যদি কাজ না করে, তাহলে মনিটরটি মেরামতের জন্য একজন টেকনিশিয়ানের কাছে নিয়ে যান।
কিছু টিপস:
- স্ক্রিন পরিষ্কার করার জন্য নরম, শুষ্ক কাপড় ব্যবহার করুন।
- মনিটরের স্ক্রিনে সরাসরি সূর্যের আলো পড়তে দেবেন না।
- স্ক্রিনে চাপ দেবেন না।
- মনিটরের স্ক্রিনে তরল পদার্থ ঢেলে দেবেন না।
সতর্কতা:
- মনিটরের ভেতরে কোন কাজ করার চেষ্টা করবেন না।
- মনিটর মেরামতের জন্য একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের কাছে নিয়ে যান।
কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হওয়ার কারণ
বিভিন্ন কারণে আপনার চালুকৃত কম্পিউটারটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চলুন আজ আমি চালুকৃত কম্পিউটার হঠাৎ করে কেন বন্ধ হয় সেই কারণগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। কম্পিউটার চালু না হলে করণীয় কি তা কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে।
এগুলোকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ
করা যায়:
হার্ডওয়্যার সমস্যা: আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়ার সমস্যা জনিত কারণে যে বন্ধ হতে পারে তা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের কোনো সমস্যার কারণে
কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
অতিরিক্ত তাপমাত্রা: কম্পিউটারের তাপমাত্রা বেশি হয়ে গেলে সেটি নিজেকে
রক্ষা করার জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর কারণ হতে পারে কম্পিউটারের ভিতরে ধুলা
জমা, ভুলভাবে কম্পিউটার বসানো, বা কম্পিউটারের কোনো অংশে সমস্যা।
ক্ষতিগ্রস্ত বা ত্রুটিপূর্ণ হার্ডওয়্যার: কম্পিউটারের কোনো হার্ডওয়্যার
ক্ষতিগ্রস্ত বা ত্রুটিপূর্ণ হলে সেটি কম্পিউটারকে হঠাৎ বন্ধ করে দিতে পারে। এর
মধ্যে রয়েছে প্রসেসর, মাদারবোর্ড, র্যাম, হার্ড ড্রাইভ, বা পাওয়ার সাপ্লাই।
পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যা: পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
যদি পাওয়ার সাপ্লাইয়ে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে সেটি কম্পিউটারকে হঠাৎ বন্ধ করে
দিতে পারে।
সফটওয়্যার সমস্যা: কম্পিউটারের সফটওয়্যারের কোনো সমস্যার কারণেও
কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
ত্রুটিপূর্ণ বা সংক্রামিত সফটওয়্যার: ত্রুটিপূর্ণ বা সংক্রামিত
সফটওয়্যার কম্পিউটারের জন্য বিপদজনক হতে পারে। এ ধরনের সফটওয়্যার কম্পিউটারের
হার্ডওয়্যারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হতে পারে।
অপারেটিং সিস্টেমের সমস্যা: অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের সবকিছু
নিয়ন্ত্রণ করে। অপারেটিং সিস্টেমে কোনো সমস্যা হলে সেটি কম্পিউটারের স্বাভাবিক
কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে, এমনকি কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ করে দিতে পারে। কম্পিউটার
হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে প্রথমে এর কারণ নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য
নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
- কম্পিউটারের তাপমাত্রা পরীক্ষা করুন। যদি তাপমাত্রা বেশি হয়, তাহলে কম্পিউটারকে ঠান্ডা করুন।
- কম্পিউটারের ভিতরে ধুলা জমে থাকলে তা পরিষ্কার করুন।
- কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারগুলো পরীক্ষা করুন। ক্ষতিগ্রস্ত বা ত্রুটিপূর্ণ হার্ডওয়্যার থাকলে সেগুলো পরিবর্তন করুন।
- কম্পিউটারের সফটওয়্যারগুলো আপডেট করুন।
- অপারেটিং সিস্টেম পুনরায় ইনস্টল করুন।
- যদি উপরের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করেও সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে একজন দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্য নিতে হবে।
কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর উপায়
কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এগুলোকে সাধারণত দুই ভাগে
ভাগ করা যায়:
হার্ডওয়্যার সমস্যা:
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের কোনো সমস্যার কারণে
কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
অতিরিক্ত তাপমাত্রা:
- কম্পিউটারের তাপমাত্রা বেশি হয়ে গেলে সেটি নিজেকে রক্ষা করার জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর কারণ হতে পারে কম্পিউটারের ভিতরে ধুলা জমা, ভুলভাবে কম্পিউটার বসানো, বা কম্পিউটারের কোনো অংশে সমস্যা।
ক্ষতিগ্রস্ত বা ত্রুটিপূর্ণ হার্ডওয়্যার:
- কম্পিউটারের কোনো হার্ডওয়্যার ক্ষতিগ্রস্ত বা ত্রুটিপূর্ণ হলে সেটি কম্পিউটারকে হঠাৎ বন্ধ করে দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে প্রসেসর, মাদারবোর্ড, র্যাম, হার্ড ড্রাইভ, বা পাওয়ার সাপ্লাই।
পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যা:
- পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। যদি পাওয়ার সাপ্লাইয়ে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে সেটি কম্পিউটারকে হঠাৎ বন্ধ করে দিতে পারে।
সফটওয়্যার সমস্যা:
কম্পিউটারের সফটওয়্যারের কোনো সমস্যার কারণেও
কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
ত্রুটিপূর্ণ বা সংক্রামিত সফটওয়্যার:
- ত্রুটিপূর্ণ বা সংক্রামিত সফটওয়্যার কম্পিউটারের জন্য বিপদজনক হতে পারে। এ ধরনের সফটওয়্যার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হতে পারে।
অপারেটিং সিস্টেমের সমস্যা:
- অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। অপারেটিং সিস্টেমে কোনো সমস্যা হলে সেটি কম্পিউটারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে, এমনকি কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ করে দিতে পারে।
কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে প্রথমে এর কারণ নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। এর
জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
- কম্পিউটারের তাপমাত্রা পরীক্ষা করুন। যদি তাপমাত্রা বেশি হয়, তাহলে কম্পিউটারকে ঠান্ডা করুন। কম্পিউটার চালু না হলে করণীয় কি?
- কম্পিউটারের ভিতরে ধুলা জমে থাকলে তা পরিষ্কার করুন।
- কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারগুলো পরীক্ষা করুন। ক্ষতিগ্রস্ত বা ত্রুটিপূর্ণ হার্ডওয়্যার থাকলে সেগুলো পরিবর্তন করুন।
- কম্পিউটারের সফটওয়্যারগুলো আপডেট করুন।
- অপারেটিং সিস্টেম পুনরায় ইনস্টল করুন। কম্পিউটার চালু না হলে করণীয় কি চলুন চেক করি।
- যদি উপরের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করেও সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে একজন দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্য নিতে হবে।
ল্যাপটপের গতি বাড়ানোর উপায়
ল্যাপটপের গতি বাড়াতে অনেক উপায় রয়েছে। এর মধ্যে কিছু সহজ উপায়
হলো:
- কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম এবং সফ্টওয়্যার আপডেট রাখুন। আপডেটগুলি প্রায়শই পারফরম্যান্স উন্নত করতে বা ত্রুটিগুলি ঠিক করতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম এবং সফ্টওয়্যার আপডেট করুন
- অপ্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার আনইনস্টল করুন। আপনার কম্পিউটারে যে সমস্ত সফ্টওয়্যার আপনি ব্যবহার করেন না সেগুলি আনইনস্টল করলে তা মেমরি এবং সিপিইউ রিসোর্স মুক্ত করবে, যা পারফরম্যান্স উন্নত করতে পারে।
- অপ্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার আনইনস্টল করুন। স্টার্ট-আপ প্রোগ্রামগুলি অক্ষম করুন। যখন আপনি আপনার কম্পিউটার চালু করেন, তখন নির্দিষ্ট প্রোগ্রামগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়। যদি আপনি এই প্রোগ্রামগুলির মধ্যে কিছু ব্যবহার না করেন, তাহলে সেগুলি অক্ষম করে দিন। এতে আপনার কম্পিউটার চালু হতে কম সময় লাগবে।
- স্টার্টআপ প্রোগ্রামগুলি অক্ষম করুন। কম্পিউটারটি ডিফ্র্যাগমেন্ট করুন। ডিফ্র্যাগমেন্টেশন হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে হার্ড ড্রাইভের ফাইলগুলি পুনরায় সাজানো হয় যাতে সেগুলি আরও দক্ষতার সাথে অ্যাক্সেস করা যায়।
- কম্পিউটারটি ডিফ্র্যাগমেন্ট করুন। অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমিয়ে আনুন। কম্পিউটারের তাপমাত্রা বেশি হলে এটি ধীর হতে পারে। যদি আপনার কম্পিউটারের তাপমাত্রা বেশি থাকে, তাহলে এটিকে ঠান্ডা করার জন্য পদক্ষেপ নিন।
- হার্ডওয়্যার আপগ্রেড করুন। কম্পিউটার চালু না হলে করণীয় কি? যদি আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার পুরানো বা কম ক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তাহলে এটি আপগ্রেড করা আপনার কম্পিউটারের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।
আপনার কম্পিউটারের
নির্দিষ্ট মডেল এবং হার্ডওয়্যারের উপর নির্ভর করে, আপনি এই টিপসগুলির কিছু বা
সবগুলি অনুসরণ করতে পারেন। আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের গতি উন্নত করতে আরও বেশি
সাহায্য চান তবে আপনি একজন কম্পিউটার টেকনিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করতে
পারেন।
উপসংহার:
প্রিয় পাঠক আজ আমরা একটি কম্পিউটার চালু না হলে করণীয় কি বা কম্পিউটার অন হয় কিন্তু ডিসপ্লেতে কিছু আসে না তা নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url