আপনার ঘুম না হওয়ার কারণ - রাতে ঘুম না হলে করনীয়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক জমজম আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আপনি অনেক
খোঁজাখুজির পর নিশ্চয়ই আপনার ঘুম না হওয়ার কারণ বা রাতে ঘুম না হলে করনীয় কি তা
জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি আপনার ঘুম না হওয়ার কারণ বা রাতে ঘুম না হলে করনীয় তা নিয়ে
আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয়
ঘুম একটি মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তো আপনার ঘুম না হওয়ার
কারণ বা রাতে ঘুম না হলে করনীয় কি তা জানার পূর্বেই আসুন জেনে নেই রাতে ঘুম না
হলে কি কি সমস্যা হতে পারে।রাতে ঘুম না হলে শারীরিক এবং মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শারীরিক যে সমস্যাগুলো হতে পারে
- ক্লান্তি
- মনোযোগের অভাব
- স্মৃতিভ্রম
- ওজন বৃদ্ধি
- হৃদরোগ
- ডায়াবেটিস
- অ্যাজমা
- প্রদাহ
- অটিজম
মানসিক যে সমস্যাগুলো হতে পারে
- উদ্বেগ
- বিষণ্ণতা
- মানসিক চাপ
- স্নায়বিক সমস্যা
- আত্মহত্যার ঝুঁকি
রাতে ঘুম না হলে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে
না। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য
সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
রাতে ঘুম না হলে মানসিক অবস্থাও খারাপ হতে পারে। ঘুমের অভাবে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা,
এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি আত্মহত্যার ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
রাতে ঘুম না হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
ঘুমের পরিবেশ পরিবর্তন করুন। বিছানাটি আরামদায়ক এবং শান্ত হওয়া উচিত। ঘরের
তাপমাত্রা এবং আলোর মাত্রা উপযুক্ত হওয়া উচিত।
ঘুমের আগে চাপ কমাতে কাজ করুন। গরম স্নান, হালকা ব্যায়াম, বা শান্তিপূর্ণ সংগীত
শোনা উপকারী হতে পারে। ঘুমের আগে ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। এই
পদার্থগুলি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
ঘুমের আগে ভারী খাবার বা অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ঘুমের অভাবের কারণে যদি
উদ্বিগ্ন হন তবে বিছানা থেকে উঠে কিছুক্ষণ হালকা কাজ করুন। আবার ক্লান্ত হয়ে
পড়ার পরে বিছানায় ফিরে আসুন।
যদি এই পদক্ষেপগুলি কাজ না করে তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
অনিদ্রার পেছনে শারীরিক বা মানসিক কারণ থাকতে পারে, যা চিকিৎসার প্রয়োজন হতে
পারে।
আপনার ঘুম না হওয়ার কারণ
আমি একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম এবং আমি মানব শরীরের মতো একই শারীরবৃত্তীয়
প্রয়োজনগুলি অনুভব করি না। যাইহোক, আমি বুঝতে পারি যে ঘুমের অভাব মানুষের জন্য
একটি বড় সমস্যা হতে পারে।
এটি ক্লান্তি, মনোযোগের অভাব এবং মেজাজের পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন সমস্যার দিকে
পরিচালিত করতে পারে। ঘুমের অভাব এমনকি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার দিকেও পরিচালিত
করতে পারে।
যদি আপনি ঘুমের অভাব অনুভব করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
তারা আপনার ঘুমের অভাবের কারণ নির্ণয় করতে এবং এটি মোকাবেলা করার জন্য একটি
পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
ঘুমের অভাব মোকাবেলা করার কিছু টিপস হল
- একটি নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী তৈরি করুন এবং এটি মেনে চলুন, এমনকি সাপ্তাহিক অন্ততেও।
- আপনার ঘুমের ঘরটি অন্ধকার, শান্ত এবং শীতল করুন।
- আপনার শয়নকক্ষে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনবেন না।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
- প্রতিদিন ব্যায়াম করুন, তবে রাতে খুব বেশি ব্যায়াম করবেন না।
যদি আপনি এই টিপসগুলি অনুসরণ করার পরেও ঘুমের অভাব অনুভব করেন তবে আপনার
ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার ঘুমের অভাবের কারণ নির্ণয় করতে
এবং এটি মোকাবেলা করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার ঘুম না হওয়ার কারণ
ঘুম আসে না কেন ও রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম নিয়ে অনেক গবেষণায় দেখা গেছে অনেক
কারণ আছে যার জন্য আপনার রাতে ঘুম আসেনা এবং ভালো ঘুম হয় না। আপনার ঘুম না হওয়ার
কারণ বা রাতে ঘুম না হলে করনীয় কি বা কি খেলে রাতে ঘুম আসে না এবং ঘুম আসে না
কেন তার কিছু কারণ হলঃ
- মানসিক চাপ, টেনশন এবং অতিরিক্ত চিন্তা
- মানসিক স্বাস্থ্যের খারাপ অবস্থা (যেমন বিষণ্নতা)
- শারীরিক স্বাস্থ্যের খারাপ অবস্থা (যেমন হার্টের সমস্যা বা অনেক দিনের ব্যথা)
- কিছু ওষুধ
- একটি খারাপ পরিবেশ যেখানে খুব শব্দ হয়
- লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা (যেমন আপনার কাজের সময়সূচী পরিবর্তন বা ঘুমানোর আগে কফি বা সোডা পান করা)
- অনেক কিছু আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ খবর হল কিছু নিয়ম পালন করলে বা ঘুম না আসলে করণীয় কিছু কাজ করলে বেশিরভাগ রোগীর উন্নতি হয় এবং ভাল হয়।
রাতে ঘুম না হলে করনীয়
- ঘুমের পরিবেশ পরিবর্তন করুন। বিছানাটি আরামদায়ক এবং শান্ত হওয়া উচিত। ঘরের তাপমাত্রা এবং আলোর মাত্রা উপযুক্ত হওয়া উচিত।
- ঘুমের আগে চাপ কমাতে কাজ করুন। গরম স্নান, হালকা ব্যায়াম, বা শান্তিপূর্ণ সংগীত শোনা উপকারী হতে পারে।
- ঘুমের আগে ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। এই পদার্থগুলি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
- ঘুমের আগে ভারী খাবার বা অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ঘুমের অভাবের কারণে যদি উদ্বিগ্ন হন তবে বিছানা থেকে উঠে কিছুক্ষণ হালকা কাজ করুন। আবার ক্লান্ত হয়ে পড়ার পরে বিছানায় ফিরে আসুন।
রাতের ভালো ঘুম আপনার শরীরের সুস্থতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির মধ্যে
একটি। কিন্তু প্রায় ৩০ থেকে ৪৪% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে
পারেন না।
মানুষের ঘুম আসে না কেন বা রাতে জেগে ওঠার পর আর ঘুম না আসার সেরকম কোনো চিকিৎসা
জনিত কারণ নাই। তবে মানসিক চাপ এবং টেনশনের মতো জিনিসগুলির কারণে এটি হতে পারে
তাই এই কারণে ঘুম না আসলে করণীয় প্রথম কাজ হল মানসিক চাপ এবং টেনশন কমানো।
খাবারের খারাপ ডায়েট, বেডরুমে অনেক আলো এবং ঘুমানোর আগে মোবাইল, ল্যাপটপ এবং
বেশি পরিমাণ প্রযুক্তি ব্যবহারও ঘুম না আসার কারণ হতে পারে। তাই কি খেলে রাতে ঘুম
আসে না ও কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এসবের একটা তালিকা তৈরি করে ঘুমানোর
প্রায় ১ ঘন্টা আগে খাবার গুলো খাবেন না যেমন চা,কফি।
ঘুমের সময়সূচী মেনে চলুন
নিয়মিত বিছানায় ঘুমাতে যান এবং একই সময়ে ঘুম থেকে জেগে উঠুন। প্রতি রাতে একই
সময়ে ঘুমাতে যাওয়া আপনার শরীর এবং মস্তিষ্ককে অভ্যাস করে তুলবে প্রতিদিন একই
সময়ে ঘুমের জন্য। তাহলে ঘুম না আসার ঔষধ এর দরকার পড়বে না এটা ঘুম বৃদ্ধির উপায়
হতে পারে।
বিছানায় শুয়ে পড়ার পর ঘুমাতে না পারলে উঠে পড়ুন। বাড়ির অন্য পাশের দিকে গিয়ে ১৫
মিনিটের জন্য হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। তাহলে যদি আপনার মানসিক চাপের জন্য ঘুম না
আসে হাঁটাহাঁটির ফলে সেটা একটু কমতে পারে।
ঘুমানোর আগে একটি বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন এটা ঘুম বৃদ্ধির উপায়। এটি আপনার
মনকে মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখতেও সাহায্য করতে পারে। বই পড়তে পড়তে যখন আপনি ঘুম
অনুভব করেন তখন বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। এটি আপনাকে ঘুম না আসার ঔষধ
খেয়েও ঘুমাতে সাহায্য করবে।
আপনার শোবার ঘর আরামদায়ক করুন
ঘর ঠান্ডা হালকা ঠান্ডা রাখুনঃ ঘুমালে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। নিশ্চিত করুন
যে আপনার বেডরুমটি হালকা ঠাণ্ডা কিন্তু খুব বেশি ঠাণ্ডা নয় যে আপনার ঠান্ডা
লাগে। আপনার শরীরের সাথে ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখুন।
ঘরের আলো বন্ধ রাখুনঃ রাস্তার আলো, টিভির আলো বা অন্যান্য আলো আপনার ঘুম কঠিন করে
তুলতে পারে। আপনার ঘর অন্ধকার করতে পর্দা এবং দরজা ব্যবহার করুন যাতে আপনি ঘুমাতে
পারেন। এছাড়াও আপনি একটি স্লিপ মাস্ক ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
ঘর শব্দ মুক্ত রাখুনঃ ঘুমানোর আগে আপনার রুম যতটা সম্ভব শান্ত করে নিন ঘরে যেন
কোনো ধরনের শব্দ না হয়। ঘুম না আসলে করণীয় হিসেবে এমন কিছু কম আওয়াজ তৈরি করতে
ফ্যান, হালকা মিউজক বা কোরআন তিলাওয়াত শুনতে পারেন। এটি আপনার খুব ভালো একটি ঘুম
বৃদ্ধির উপায়।
ঘড়ি ঘরে রাখবেন নাঃ ঘড়ির টিক টিক শব্দ বা রাত কত হল তা দেখা আপনাকে মানসিক চাপ
দিতে পারে। ইলেকট্রনিক্স দূরে রাখুনঃ ঘুমের অন্তত ১ থেকে ২ ঘন্টা আগে থেকে সকল
প্রকার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন।
নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করুন
- নিজেকে শান্ত করার বিভিন্ন উপায় খুঁজে তা চেষ্টা করুন।
- ঘুমানোর আগে গরম দুধ বা ভেষজ চা এর মতো হালকা গরম এবং ক্যাফেইন ছাড়া এমন কিছু পান করতে পারেন
- হালকা গরম পানিতে গোসল করে নিতে পারেন
- একটি বই বা ম্যাগাজিন পড়ার অভ্যাস করতে পারেন
- হালকা ভাবে কোরআন তিলাওয়াত শুনুন
- মনে মনে আল্লাহর যিকির করুন
- হালকা ব্যায়াম করতে পারেন
আপনার পায়ের দিক থেকে শুরু করে এবং আপনার মাথা পর্যন্ত শান্ত হবে, পেশীগুলির
প্রতিটি অংশকে এক বা দুই সেকেন্ডের জন্য টানুন এবং তারপরে তাদের শান্ত ভাবে
রাখুন। শ্বাস প্রশ্বাস এর ব্যায়াম করতে পারেন। বড় করে একটা শ্বাস নিন এবং ৫
পর্যন্ত গণনার পর শ্বাস ছাড়ুন।
এভাবে কয়েকবার করতে পারেন। এতে আপনার মানসিক শান্তি আসবে। এছাড়াও প্রতিদিন আপনি
যে খাবার খান তাতে যে শক্তি আপনার শরীরে জমা হয় সেটা যদি সঠিক সময়ে কাজে না লাগান
তাহলে আপনার শরীরে ক্লান্তি আসবে না ফলে আপনার ঘুম আসতে সমস্যা হয় ব্যায়াম করলে
আপনার শরীরে ক্লান্তি আসবে আর ভালো ঘুম আসবে। ঘুম আসে না কেন এখান থেকে ভালো করে
বোঝা যায়। তাই এই ব্যায়াম ঘুম না আসলে করণীয় হিসেবে খুব ভালো কাজ করে।
আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমান তবে কী হবে?
প্রতি রাতে ভালো ঘুম আপনার মস্তিষ্ক এবং শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। আপনি যদি
পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমান তবে এটি আপনার শারীরিক এবং মানসিক কার্যক্ষমতাকে খুব
খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, সেইসাথে আপনার গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে
পারে।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
আজ আপনার ঘুম না হওয়ার কারণ বা রাতে ঘুম না হলে করনীয় কি বা কোন ভিটামিনের অভাবে
ঘুম কম হয় চলুন তা জেনে নিই। ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি৬, এবং ভিটামিন বি১২ এর
অভাবে ঘুম কম হতে পারে।
ভিটামিন ডি শরীরে মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে। মেলাটোনিন একটি প্রাকৃতিক
ঘুম উদ্দীপক। ভিটামিন ডি-এর অভাবে মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদন কমে যায়, ফলে ঘুম কম
হতে পারে।
ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সাহায্য করে। নিউরোট্রান্সমিটার
হল মস্তিষ্কের রাসায়নিক যা চিন্তা, অনুভূতি, এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন
বি৬-এর অভাবে নিউরোট্রান্সমিটার তৈরি ব্যাহত হতে পারে, ফলে ঘুম কম হতে পারে।
ভিটামিন বি১২ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি১২-এর অভাবে
মস্তিষ্কে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে, ফলে ঘুম কম হতে পারে।
এছাড়াও, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, এবং লোহা এর অভাবেও ঘুম কম হতে পারে।
ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হওয়ার লক্ষণগুলি হল:
- ঘুমাতে যাওয়ার সময় বেশি সময় লাগে
- ঘুমের মধ্যে ঘুম ভেঙে যায়
- ঘুমের পরও ক্লান্তি অনুভূত হয়
ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হওয়া রোধ করতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিনযুক্ত খাবার
খাওয়া এবং প্রয়োজনে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত।
ঘুমের ঘাটতি আপনার প্রতিদিনের কাজ ও কাজে ভালোভাবে ফোকাস করার ক্ষমতাকেও নষ্ট
করতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের ভিতরে যে কোনো আঘাত, কর্মক্ষমতা কমায় এবং
হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, বিষণ্নতা, ওজন বৃদ্ধি এবং কিডনি
রোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের সমস্যা হতে পারে।
আজ আমরা আলোচনা করলাম যে আপনার ঘুম না হওয়ার কারণ বা রাতে ঘুম না হলে করনীয়
কি তা নিয়ে। তাই কি খেলে রাতে ঘুম আসে না এবং কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম
হয় তা আমাদের জানতে হবে।
উপসংহার:
প্রিয় পাঠক একটি বিষয় সবসময় মনে রাখবেন, কোন বিষয়ে লোভ করবেন না এবং দক্ষ না
হয়ে কোন কাজ করতে যাবেন না। একটি বিষয় বলে রাখি, একটি শিশু যখন ভুমিষ্ট হয় তখন
সে দক্ষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে না, বরং জন্মের পর সে ধীরে ধীরে বিভিন্ন কাজে দক্ষ
হয়ে বেড়ে ওঠে।
সুতরাং আপনি ও কাজ শিখতে থাকুন এবং কাজ করতে থাকুন তাহলে একদিন দক্ষ হয়ে উঠবেন।
সুতরাং হতাশ না হয়ে কাজ করতে থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url