বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়া কয়টি দেশে যেতে পারে

ভূমিকা

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক জমজম আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আপনি অনেক খোঁজাখুজির পর নিশ্চয়ই বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় না বা বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়া কয়টি দেশে যেতে পারে তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়া কয়টি দেশে যেতে পারে
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় না বা বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়া কয়টি দেশে যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।

ভিসা কি

ভিসা হলো একটি অনুমতি যা একজন বিদেশী নাগরিককে অন্য দেশে প্রবেশ করতে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেখানে থাকার অনুমতি দেয়। ভিসা বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যার প্রতিটির নিজস্ব উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

ভিসার ধরণ 

ভিসার কিছু সাধারণ ধরণ হল:
দর্শন ভিসা: 
  • পর্যটন, ব্যবসা, পরিবার বা বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য ভ্রমণের জন্য।
শিক্ষা ভিসা: 
  • বিদেশে অধ্যয়নের জন্য।
কাজের ভিসা: 
  • বিদেশে কাজ করার জন্য।
অভিবাসী ভিসা: 
  • স্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাস করার জন্য।
ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া দেশ এবং ভিসার ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত, আবেদনকারীদের একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে, প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে এবং একটি ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে, আবেদনকারীদের একটি সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হতে হতে পারে।
ভিসা অনুমোদন হওয়ার পরে, ভিসাধারীরা তাদের পাসপোর্টে একটি স্ট্যাম্প বা লেবেল পাবেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভিসাধারীদের অবশ্যই তাদের গন্তব্য দেশ ত্যাগ করতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় না

২০২৪ সালের ১২ই জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ১৬০টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যায়।
কিছু দেশ যেখানে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ভ্রমণ করা যায় না:
আফ্রিকা: 
  • আলজেরিয়া, আঙ্গোলা, বেনিন, বোতসোয়ানা, বুরকিনা ফাসো, বুরুন্ডি, ক্যামেরুন, কেপ ভার্দি, কেন্দ্রীয় আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, চাদ, কমোরোস, কঙ্গো, কঙ্গো, ডেমোক্রেটিক প্রজাতন্ত্র, কোট ডি'আইভয়ার, জিবুতি, মিশর, গ্যাবন, ঘানা, গিনি, গিনি-বিসাউ, ইকুইটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, এসোয়াতিনি, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, ঘানা, গিনি, গিনি-বিসাউ, ইকুইটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, এসোয়াতিনি, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া।
এশিয়া: 
  • আফগানিস্তান, আজারবাইজান, বাহরাইন, ভুটান, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, চীন, জর্জিয়া, ইরান, ইরাক, জাপান, জর্ডান, কাজাখস্তান, উত্তর কোরিয়া, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লাওস, লেবানন, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নেপাল, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কাতার, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুর্কমেনিস্তান, তুর্কি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন।
ইউরোপ: 
  • আলবেনিয়া, আন্দোরা, অস্ট্রিয়া, বেলারুশ, বেলজিয়াম, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, কসোভো, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাক্সেমবার্গ, ম্যাসেডোনিয়া, মাল্টা, মোলদোভা, মোনাকো, মন্টেনেগ্রো, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সান মারিনো, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুর্কি, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, ভ্যাটিকান সিটি।
উত্তর আমেরিকা: 
  • বারমুডা, কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আমেরিকা: 
  • আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি।

মালয়েশিয়া ই ভিসা কি

মালয়েশিয়া ই-ভিসা হলো একটি ইলেকট্রনিক ভিসা যা বাংলাদেশি নাগরিকদের মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য অনুমোদন দেয়। এটি পর্যটন, ব্যবসা, পরিবার বা বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হলো একটি ভিসা যা একজন বিদেশী নাগরিককে অন্য দেশে কাজ করার অনুমতি দেয়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বিভিন্ন ধরণ রয়েছে, এবং প্রতিটি ধরণের নিজস্ব নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

দুবাই ভিসা কি বন্ধ

না, দুবাই ভিসা বন্ধ নয়।
কিছু ধরণের ভিসা বন্ধ থাকলেও, অন্যান্য ধরণের ভিসা এখনও চালু আছে।
বর্তমানে বন্ধ থাকা ভিসাগুলির মধ্যে রয়েছে:
শ্রমিক ভিসা: 
  • ২০১২ সালের আগস্ট থেকে নতুন শ্রমিক ভিসা ইস্যু করা বন্ধ রয়েছে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ অনুমতির মাধ্যমে শ্রমিক ভিসা পাওয়া সম্ভব।
জিটিভি (গ্রাউন্ড ট্রানজিট ভিসা): 
  • ২০২০ সালের মার্চ থেকে জিটিভি বন্ধ রয়েছে।
তবে, 
  • ট্যুরিস্ট ভিসা
  • ব্যবসায়িক ভিসা
  • ভিজিট ভিসা
  • নারী গৃহকর্মী ভিসা
  • আরটিএ (রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) ভিসা
গভর্নমেন্ট অফ দুবাই, গভর্নমেন্ট অফ রাস আল খাইমা, এবং গভর্নমেন্ট অফ ফুজাইরাহ-এর ভিসা
এখনও চালু আছে।

স্পাউস ভিসা কি

স্পাউস ভিসা হলো একটি ভিসা যা একজন বিদেশী নাগরিককে তার স্বামী/স্ত্রীর সাথে পুনরায় মিলিত হতে এবং তারা যে দেশে বসবাস করে সেখানে বসবাস করার অনুমতি দেয়।

বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়া কয়টি দেশে যেতে পারে

২০২৩ সালের ১০ই অক্টোবর পর্যন্ত, বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়া মোট ৪১টি দেশে যেতে পারে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে:

আফ্রিকা: কেপ ভার্দে, কোমোরোস, গিনি বিসাউ, লেসোথো, মালাউই, মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সুদান, তানজানিয়া, টিমোর-লেস্টে, টোগো, উগান্ডা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে

এশিয়া: ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, পূর্ব তিমুর

ওশেনিয়া: কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, কিরিবাতি, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, নিউ ক্যালেডোনিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা, ভানুয়াতু

ক্যারিবীয়: অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা, বার্বাডোস, বাহামা, ডোমিনিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো, ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো, মার্টিনিক, সেন্ট কিটস এবং নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, সেন্ট লুসিয়া

অনেক ক্ষেত্রে, বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা ছাড়া প্রবেশ করার জন্য ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং থাকার সময়ের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক দেশে, বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা ছাড়া সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য থাকতে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কত টাকা লাগে তা বিভিন্ন উপায়ে ভিন্ন হতে পারে এবং সেটি উপভোগকারীর বয়স, পরিবহনের ধরণ, যাত্রার দূরত্ব এবং অন্যান্য পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে ধারণকরে বলা যায় যে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য খরচ প্রায় ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

পরিবহন খরচ:
বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হল বিমান, ট্রেন এবং বাস। বিমানে ভ্রমণ সবচেয়ে ব্যয়বহুল, তবে এটি সবচেয়ে দ্রুত। ট্রেনে ভ্রমণ তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল, তবে এটি বিমানের চেয়ে বেশি সময় নেয়। বাসে ভ্রমণ সবচেয়ে সাশ্রয়ী, তবে এটি সবচেয়ে ধীর।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য পরিবহন খরচের একটি উদাহরণ:
  • ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত বিমানে ভ্রমণের খরচ প্রায় ৭,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা।
  • ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত ট্রেনে ভ্রমণের খরচ প্রায় ১,০০০ থেকে ২,০০০ টাকা।
  • ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত বাসে ভ্রমণের খরচ প্রায় ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা।
হোটেল খরচ:

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় থাকার জন্য হোটেল খরচও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারতে হোটেল খরচের পরিমাণ অবস্থান, হোটেলের মানের এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য হোটেল খরচের একটি উদাহরণ:

কলকাতায় একটি মধ্যম মানের হোটেলে এক রাতের জন্য খরচ প্রায় ১,০০০ থেকে ২,০০০ টাকা।

দিল্লিতে একটি মধ্যম মানের হোটেলে এক রাতের জন্য খরচ প্রায় ১,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা।

খাবার খরচ:
বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় খাবারের খরচও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারতে খাবারের খরচের পরিমাণ অবস্থান এবং খাবারের ধরনের উপর নির্ভর করে।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য খাবারের খরচের একটি উদাহরণ:
  • কলকাতায় একটি মধ্যম মানের রেস্তোরাঁয় একটি খাবারের জন্য খরচ প্রায় ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা।
  • দিল্লিতে একটি মধ্যম মানের রেস্তোরাঁয় একটি খাবারের জন্য খরচ প্রায় ৭০০ থেকে ১,৫০০ টাকা।
অন্যান্য খরচ:
বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় অন্যান্য খরচের মধ্যে রয়েছে ভ্রমণ কর, টিকাদান সনদ, আর্থিক সঙ্গতি প্রমাণ ইত্যাদি।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য অন্যান্য খরচের একটি উদাহরণ:
  • ভ্রমণ কর: ১০০ টাকা
  • টিকাদান সনদ: ১,০০০ টাকা
  • আর্থিক সঙ্গতি প্রমাণ: ৩০০ মার্কিন ডলার
বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য খরচ প্রায় ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই খরচটি পরিবহন, থাকার, খাবারের এবং অন্যান্য খরচের উপর নির্ভর করে।

বাংলাদেশের পাসপোর্টের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বিশ্বের আরও বেশি দেশে ভ্রমণ করা সম্ভব হয়েছে। ২০২২ সালে, বাংলাদেশি পাসপোর্টের শক্তি বিশ্বের ১০৪তম স্থানে ছিল।

ভারত থেকে বাংলাদেশ যেতে কি ভিসা লাগে

না, ভারত থেকে বাংলাদেশ যেতে ভিসা লাগে না। ২০২৩ সালের ১০ই অক্টোবর পর্যন্ত, ভারত ও বাংলাদেশ একটি পারস্পরিক ভিসা-মুক্ত চুক্তিতে আবদ্ধ। এই চুক্তির অধীনে, ভারতীয় এবং বাংলাদেশি নাগরিকরা উভয় দেশের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারেন ভিসা ছাড়াই। তবে, ভারতীয় নাগরিকদের অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।

ভারত থেকে বাংলাদেশ যেতে, ভারতীয় নাগরিকদের নিম্নলিখিত নথিপত্রগুলি প্রদান করতে হবে:
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • বাংলাদেশী ভিসা (যদি প্রযোজ্য হয়)
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং থাকার সময়ের বিবরণ
  • মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা
ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে একাধিকবার প্রবেশের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসাও পেতে পারেন। এই ভিসা সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য বৈধ।

ট্রানজিট ভিসা

ভারত থেকে অন্য দেশে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ হয়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয় নাগরিকরা ট্রানজিট ভিসাও পেতে পারেন। এই ভিসা সর্বোচ্চ ১৫ দিনের জন্য বৈধ।

ভারত- বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে যে সকল কাগজপত্র লাগে জেনে নিন।

ভারত- বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে প্রবেশের জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলি প্রয়োজন:

ভারত থেকে বাংলাদেশ যেতে:
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • বাংলাদেশী ভিসা (যদি প্রযোজ্য হয়)
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং থাকার সময়ের বিবরণ
বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে:
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ভারতীয় ভিসা (যদি প্রযোজ্য হয়)
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং থাকার সময়ের বিবরণ
এছাড়াও:
  • ভ্রমণ কর বা ট্রাভেল ট্যাক্স
  • ইমিগ্রেশন ফর্ম
  • টিকাদান সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)
  • আর্থিক সঙ্গতি প্রমাণ (যদি প্রযোজ্য হয়)
ভারত থেকে বাংলাদেশ যেতে:
ভারত থেকে বাংলাদেশ যেতে, ভারতীয় নাগরিকদের অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। যদি ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে আরও বেশি সময় কাটাতে চান তবে তাদের একটি বাংলাদেশী ভিসাও পাওয়া উচিত। বাংলাদেশী ভিসা অনলাইনে বা ভারতের বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেটে পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে:
বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে, বাংলাদেশি নাগরিকদের অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। যদি বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতে আরও বেশি সময় কাটাতে চান তবে তাদের একটি ভারতীয় ভিসাও পাওয়া উচিত। ভারতীয় ভিসা অনলাইনে বা বাংলাদেশের ভারত দূতাবাস বা কনস্যুলেটে পাওয়া যাবে।

ভ্রমণ কর বা ট্রাভেল ট্যাক্স:
ভারত থেকে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে, যাত্রীদের ভ্রমণ কর বা ট্রাভেল ট্যাক্স দিতে হবে। ভ্রমণ কর বা ট্রাভেল ট্যাক্সের পরিমাণ যাত্রীর বয়স, ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং থাকার সময়ের উপর নির্ভর করে।

ইমিগ্রেশন ফর্ম:
ভারত- বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে প্রবেশের জন্য, যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। ইমিগ্রেশন ফর্মটি ভারতীয় এবং বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে পাওয়া যাবে।

টিকাদান সনদ:
কিছু ক্ষেত্রে, যাত্রীদের নির্দিষ্ট টিকাদান সনদ প্রদান করতে হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ভারত থেকে বাংলাদেশ যেতে যাওয়া যাত্রীদের জলবসন্তের টিকাদান সনদ প্রদান করতে হতে পারে।

আর্থিক সঙ্গতি প্রমাণ:
কিছু ক্ষেত্রে, যাত্রীদের ভারত বা বাংলাদেশে থাকার জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সঙ্গতি প্রমাণ প্রদান করতে হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ভারত থেকে বাংলাদেশ যেতে যাওয়া যাত্রীদের বাংলাদেশি মুদ্রায় কমপক্ষে ৩০০ মার্কিন ডলার প্রদান করতে হতে পারে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
ভারত- বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য, ভারতীয় এবং বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটগুলি পরীক্ষা করুন।

ইন্ডিয়ান ভিসা নিয়ে কমন প্রশ্ন এবং উত্তর (Frequently Asked Questions About Indian Visa)

ইন্ডিয়ান ভিসা নিয়ে কমন প্রশ্ন এবং উত্তর:

প্রশ্ন ১: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য কী কী প্রয়োজন?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় নথিগুলি প্রয়োজন:
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদন ফর্ম
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং থাকার সময়ের বিবরণ
  • আর্থিক সঙ্গতি প্রমাণ
  • টিকাদান সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)
প্রশ্ন ২: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
  • ভারতীয় ভিসা আবেদন ফর্মটি অনলাইনে পূরণ করুন।
  • প্রয়োজনীয় নথিগুলি সংগ্রহ করুন।
  • একটি ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসা আবেদন জমা দিন।
  • ভিসা ফি প্রদান করুন।
আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।

প্রশ্ন ৩: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কী কী বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত:
  • ভিসা আবেদন ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করুন।
  • প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি জমা দিন।
  • ভিসা ফি সঠিকভাবে প্রদান করুন।
ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সময় আপনার পাসপোর্টে কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকা উচিত।
প্রশ্ন ৪: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কোন কোন টিকাদান সনদ প্রয়োজন হতে পারে?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময় নিম্নলিখিত টিকাদান সনদগুলি প্রয়োজন হতে পারে:
  • জলবসন্তের টিকাদান সনদ
  • কলেরা টিকাদান সনদ
  • টাইফয়েড টিকাদান সনদ
প্রশ্ন ৫: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদনের সময়সীমা কত?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদনের সময়সীমা ভিসার ধরন এবং আবেদন জমা দেওয়ার স্থানের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদনের সময়সীমা ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ।

প্রশ্ন ৬: ভারতীয় ভিসার মেয়াদ কত?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার মেয়াদ ভিসার ধরন এবং ভিসা আবেদনকারীর দেশের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ভারতীয় ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে ১ বছর পর্যন্ত।

প্রশ্ন ৭: ভারতীয় ভিসার খরচ কত?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার খরচ ভিসার ধরন এবং আবেদনকারীর দেশের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ভারতীয় ভিসার খরচ ১০০ মার্কিন ডলার থেকে ৩০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত।

প্রশ্ন ৮: ভারতীয় ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া কি অনলাইনে করা যায়?

উত্তর: হ্যাঁ, ভারতীয় ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে করা যায়। ভারতীয় ভিসা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।

প্রশ্ন ৯: ভারতীয় ভিসার আবেদন করার জন্য কোন কোন দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যাওয়া উচিত?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার আবেদন করার জন্য আপনার পাসপোর্টে যে দেশের স্ট্যাম্প রয়েছে সেই দেশের ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যাওয়া উচিত।

প্রশ্ন ১০: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কি কোনও ইন্টারভিউ দিতে হয়?
হ্যাঁ, ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময় নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ দিতে হয়। এই ক্ষেত্রেগুলির মধ্যে রয়েছে:

ভিসার ধরন: কিছু ভিসার ধরণের জন্য, ইন্টারভিউ বাধ্যতামূলক। এই ভিসার মধ্যে রয়েছে:
  • বৈদেশিক কর্মী ভিসা
  • শিক্ষার্থী ভিসা
  • বিবাহ ভিসা
  • ব্যবসা ভিসা
আপনার আবেদনের যথার্থতা: যদি আপনার আবেদনপত্রটিতে কোনও অসঙ্গতি বা সন্দেহজনক তথ্য থাকে তবে আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হতে পারে।

আপনার ভিসার উদ্দেশ্য: যদি আপনি ভারতে বৈধভাবে থাকার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ প্রদান করতে না পারেন তবে আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হতে পারে।

ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হতে পারে বা নাও হতে পারে। যদি আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে বলা হয়, তাহলে আপনাকে সময়সূচী অনুসারে ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটে উপস্থিত হতে হবে। 

 ইন্টারভিউয়ের সময়, ভিসা কর্মকর্তা আপনার ভিসার উদ্দেশ্য, আপনার আর্থিক অবস্থা এবং আপনার ভারতে থাকার পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

আপনার ভারতীয় ভিসা আবেদনটি দ্রুত এবং সহজে প্রক্রিয়া করাতে, আপনি নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
  • আপনার সমস্ত নথিপত্র সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং জমা দিন।
  • আপনার ভিসার উদ্দেশ্য এবং থাকার সময়ের জন্য যথাযথ প্রমাণ প্রদান করুন।
  • আপনার আর্থিক অবস্থার প্রমাণ প্রদান করুন।
  • সৎ এবং নির্ভুলভাবে প্রশ্নের উত্তর দিন।
প্রশ্ন১১ : ভারতীয় ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়?
উত্তর: ভারতীয় ভিসা অনলাইনে বা ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটে পাওয়া যাবে। অনলাইনে ভিসা আবেদন করার জন্য, আপনাকে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন পোর্টালে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য এবং নথিপত্র জমা দিতে হবে। ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসা আবেদন করার জন্য, আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে হবে।

প্রশ্ন ১২: ভারতীয় ভিসার জন্য কী কী প্রয়োজনীয় নথিপত্র?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদন ফর্ম
  • পাসপোর্টের ছবি
  • ভিসার উদ্দেশ্য এবং থাকার সময়ের বিবরণ
  • আর্থিক সঙ্গতি প্রমাণ
  • টিকাদান সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)
  • আমন্ত্রণ পত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)
প্রশ্ন ১৩: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য কি কোনো ফি দিতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য একটি ফি দিতে হয়। ভিসার ধরণের উপর নির্ভর করে ফির পরিমাণ পরিবর্তিত হয়।
প্রশ্ন ১৪: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কি কোনো সময়সীমা রয়েছে?
উত্তর: হ্যাঁ, ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময়সীমা রয়েছে। ভিসার ধরণের উপর নির্ভর করে সময়সীমা পরিবর্তিত হয়।
প্রশ্ন ১৫: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার পরে, আমি কিভাবে জানতে পারব যে আমার ভিসা অনুমোদিত হয়েছে?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার পরে, আপনি আপনার আবেদনপত্রের অবস্থান অনলাইনে বা ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটে পরীক্ষা করতে পারেন।
প্রশ্ন ১৬: ভারতীয় ভিসা কতদিনের জন্য বৈধ?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার বৈধতা ভিসার ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, ভারতীয় ভিসা ৩০ দিনের জন্য বৈধ।
প্রশ্ন ১৭: ভারতীয় ভিসা কতবার ব্যবহার করা যায়?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার ব্যবহারের সংখ্যা ভিসার ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, ভারতীয় ভিসা একবার ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্ন ১৮: ভারতীয় ভিসা নবায়ন করা যায় কি?
উত্তর: হ্যাঁ, ভারতীয় ভিসা নবায়ন করা যায়। তবে, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন ১৯: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আমি কি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে কার সাথে যোগাযোগ করব?
উত্তর: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আপনি যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন তবে আপনি ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেট বা ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন পোর্টালে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রশ্ন ২০: ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আমি কি কোনো সহায়তা পেতে পারি?
উত্তর: হ্যাঁ, ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আপনি বিভিন্ন সংস্থা বা ব্যক্তির কাছ থেকে সহায়তা পেতে পারেন। এই সংস্থা বা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে:
  • ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেট
  • ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন পোর্টাল
  • ভিসা প্রসেসিং এজেন্ট
  • ভিসা পরামর্শদাতা
ভারতীয় ভিসা পেতে হলে আপনাকে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র এবং ফি জমা দিতে।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আজ বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়া কয়টি দেশে যেতে পারে নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের আলোচনা আপনার কাজে লেগেছে যদি কাজে লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url