ঢাকার আগে বাংলাদেশের রাজধানী কোথায় ছিল

ভূমিকা

আমরা অনেকেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা করে নামকরণের ইতিহাস বা ঢাকার আগে বাংলাদেশের রাজধানী কোথায় ছিল জানিনা । আপনি অনেক খোঁজাখুজির পর নিশ্চয়ই ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাস বাঢাকার আগে বাংলাদেশের রাজধানী কোথায় ছিল ঢাকা শহরের নামকরণের ইতিহাস কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
ঢাকার আগে বাংলাদেশের রাজধানী কোথায় ছিল
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাস বা ঢাকা শহরের নামকরণের ইতিহাস ঢাকার আগে বাংলাদেশের রাজধানী কোথায় ছিল নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
                        
ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাস বেশ মজার এবং আকর্ষণীয়। এই শহরের নামকরণের ইতিহাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাসের মধ্যে রয়েছে নানা রকমের চমক এবং বিস্ময়।

বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী কোথায় ছিল

বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী সম্পর্কে আপনার জিজ্ঞাসা করার জন্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম রাজধানী হিসেবে মুজিবনগরকে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর, তিন সপ্তাহ পর বৈদ্যনাথতলা নামে পরিচিত বিশাল আমবাগান এলাকাকে 'মুজিবনগর' নাম দিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
কেন মুজিবনগরকে রাজধানী করা হয়েছিল?
মুক্তিযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু: 
  • মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এখান থেকেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হতো।
প্রতীকি গুরুত্ব: 
  • মুজিবনগর স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো। এটি বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতীক ছিল।
মুজিবনগরের গুরুত্ব:
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: 
  • মুজিবনগর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের স্মারক।
জাতীয়তাবোধ জাগরণ: 
  • মুজিবনগর বাঙালি জাতীয়তাবোধ জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
পর্যটন কেন্দ্র: 
  • আজকাল মুজিবনগর একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স রয়েছে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়।
পরবর্তীতে:
মুক্তিযুদ্ধের পর ঢাকাকে বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে মুজিবনগরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সবসময়ই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ঢাকার আগে বাংলাদেশের রাজধানী কোথায় ছিল

ঢাকার আগে, বাংলাদেশের রাজধানী বেশ কয়েকটি স্থানে ছিল।
গৌড়: 
  • ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দী পর্যন্ত, গৌড় ছিল পাল রাজাদের রাজধানী।
পান্ডুয়া: 
  • ১৩শ থেকে ১৪শ শতাব্দী পর্যন্ত, পান্ডুয়া ছিল সেন রাজাদের রাজধানী।
সোনারগাঁও: 
  • ১৪শ থেকে ১৬শ শতাব্দী পর্যন্ত, সোনারগাঁও ছিল ইলিয়াস শাহী, রত্ন রাজাদের রাজধানী।
রাজমহল: 
  • ১৬শ শতাব্দীতে, মুঘলরা রাজধানী সরিয়ে নিয়ে যায় রাজমহলে।
ঢাকা: 
  • ১৬১০ সালে, মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী ঘোষণা করেন।
তবে, মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, "বাংলাদেশ" নামটি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর তৈরি।

ঢাকা শহরের নামকরণের ইতিহাস

  • ঢাকা শহরের নামকরণের ইতিহাস বেশ পুরনো। কেউ বলেন, ঢাকা শহরের নামকরণ হয়েছে "দোয়াখালি" থেকে। দোয়াখালি শব্দের অর্থ হলো "দোয়া করে জমি আবাদ করা"। 
  • আরেকটি মত অনুসারে, ঢাকা শহরের নামকরণ হয়েছে "ডাকা" শব্দ থেকে। ডাকা শব্দের অর্থ হলো "দস্যুতা করা"। এই মত অনুসারে, ঢাকা শহরটি একসময় দস্যুদের আস্তানা ছিল।

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাস

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের পিছনে রয়েছে বিভিন্ন কারণ। কখনো প্রাকৃতিক কারণ, কখনো ঐতিহাসিক কারণ, কখনো ব্যক্তিগত নাম, কখনো আবার মজার ঘটনার কারণেও এলাকার নামকরণ হয়েছে।

ধানমণ্ডি: 
  • ধানমণ্ডি এলাকাটির নামকরণ হয়েছে ধানের মণ্ড থেকে। ব্রিটিশ শাসনামলে এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধানের মণ্ড বিক্রি হতো বলে এই নামকরণ করা হয়।
চকবাজার: 
  • চকবাজার এলাকাটির নামকরণ হয়েছে "চৌক বন্দর" থেকে। একসময় এই এলাকায় একটি বড় বন্দর ছিল। সেই বন্দরের চারপাশে গড়ে ওঠে একটি বাজার। সেই বাজারের নাম ছিল "চৌক বন্দর"। পরবর্তীতে এই বাজারের নাম হয় "চকবাজার"।
টঙ্গী: 
  • টঙ্গী এলাকার নামকরণ হয়েছে একটি গাছের নাম থেকে। এই এলাকায় একটি টংগা গাছ ছিল বলে এর নামকরণ করা হয় টঙ্গী।
পিলখানা: 
  • পিলখানা এলাকাটিতে একসময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতি রাখা হতো। এই হাতিগুলোকে পোষ মানানোর জন্য একটি খামার ছিল। সেই খামারের নাম ছিল "পিলখানা"।
গেন্ডারিয়া: 
  • গেন্ডারিয়া এলাকাটির নামকরণ হয়েছে "গ্র্যান্ড এরিয়া" থেকে। ব্রিটিশ শাসনামলে এই এলাকায় জমিদার ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাস ছিল। সেই কারণে এই এলাকার নামকরণ করা হয় "গ্র্যান্ড এরিয়া"।
মিরপুর: 
  • মিরপুর এলাকাটির নামকরণ হয়েছে "মির্জাপুর" থেকে। একসময় এই এলাকায় মির্জা পরিবারের বসবাস ছিল। সেই কারণে এই এলাকার নামকরণ করা হয় "মির্জাপুর"। পরবর্তীতে এই নামটি পরিবর্তিত হয়ে হয় "মিরপুর"।
  • এই ছাড়াও ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের পিছনে রয়েছে আরও অনেক মজার এবং আকর্ষণীয় ইতিহাস। আমরা আরও জানার চেষ্টা করি ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাস কিংবা ঢাকা শহরের নামকরণের ইতিহাস।
পুরানা পল্টন, নয়া পল্টনঃ
  • ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ঢাকাস্থ সেনানিবাসে এক প্ল্যাটুন সেনাবাহিনী ছিল, প্ল্যাটুন থেকে নামকরন হয় পল্টন। পরবর্তীতে আগাখানিরা এই পল্টনকে দুইভাগে ভাগ করেন, নয়া পল্টন ছিল আবাসিক এলাকা আর পুরানো পল্টন ছিল বানিজ্যিক এলাকা।
ভুতের গলিঃ
  • এখানে বৃটিশ একজন লোক থাকতেন নাম ছিল Mr. boot, তার নাম থেকে বুটের গলি, পরবর্তীকালে ভুতের গলি নাম হয়েছে।
ভূতের গলিঃ 
  • পূর্বে ভূতের গলিতে একজন তান্ত্রীক ছিলেন যিনি জীন / ভূতের মাধ্যমে চিকিৎসা করাতেন। ঐ তান্ত্রীকের বাড়ীকে সবাই ভূতের বাড়ী নামে চিনত। ঐ বাড়ীতে যাওয়ার রাস্তারে ভূতের গলি হিসেবে চিন্হিত হয়।
এলিফ্যানট রোডঃ
  • পিলখানা হতে হাতিগুলোকে নিয়ে যাওয়া হতো "হাতির ঝিল" এ গোসল করাতে, তারপর "রমনা পার্ক"এ রোঁদ পোহাতো।
  • সন্ধ্যের আগেই হাতির দল পিলখানায় চলে আসতো। যাতায়াতের রাস্তাটির নামকরণ সেই কারণে এলিফ্যান্ট রোড। পথের মাঝে ছোট্ট একটি কাঠের পুল ছিলো, যার নামকরণ হোলো "হাতির পুল"
ধানমন্ডিঃ
  • এখানে এককালে বড় একটি হাট বোসতো। হাটটি ধান ও অন্যান্য শস্য বিক্রির জন্য বিখ্যাত ছিল।

গেন্ডারিয়া
  • ইংরেজি শব্দ Grand Area থেকে এসেছে, এখানে আগের দিনের অভিজাত ধনী ব্যাক্তিগন থাকত।
মহাখালিঃ
  • মহা কালী নামের এক মন্দীরের নাম থেকে হয়েছে বর্তমানের মহাখালী।
গুলশান:
  • গুলশান এলাকার নামকরণ হয়েছে ফারসি শব্দ "গুল" থেকে, যার অর্থ ফুল। এই এলাকায় একসময় প্রচুর ফুলের বাগান ছিল বলে এর নামকরণ করা হয় গুলশান।
ইন্দিরা রোডঃ
  • এককালে এ এলাকায় "দ্বিজদাস বাবু" নামে এক বিত্তশালী ব্যক্তির বাসাস্থান, অট্টলিকার পাশের সড়কটি নিজেই নির্মাণ করে বড় কন্যা "ইন্দিরা" নামেই নামকরণ।
পিলখানাঃ
  • ইংরেজ শাসনামলে প্রচুর হাতি ব্যবহার করা হোতো। বন্য হাতিকে পোষ মানানো হোতো যেসব জায়গায়, তাকে বলা হোতো পিলখানা। বর্তমান "পিলখানা" ছিলো সর্ববৃহৎ।
কাকরাইলঃ
  • ঊনিশ শতকের শেষ দশকে ঢাকার কমিশনার ছিলেন মিঃ ককরেল। নতুন শহর তৈরী করে নামকরণ হোলো "কাকরাইল"।

রমনা পার্কঃ
  • অত্র এলাকায় বিশাল ধনী রম নাথ বাবু মন্দির তৈরী করেছিলো "রমনা কালী মন্দির"। মন্দির সংলগ্ন ছিলো ফুলের বাগান আর খেলাধুলার পার্ক। পরবর্তীতে সৃষ্টি হয় "রমনা পার্ক"।
গোপীবাগঃ
  • গোপীনাগ নামক এক ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। নিজ খরচে "গোপীনাথ জিউর মন্দির" তৈরী করেন। পাশেই ছিলো হাজারো ফুলের বাগান "গোপীবাগ"।
টিকাটুলিঃ
  • হুক্কার প্রচলন ছিলো। হুক্কার টিকার কারখানা ছিলো যেথায় সেটাই "টিকাটুলি"।
তোপখানাঃ
  • ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর গোলন্দাজ বাহিনীর অবস্থান ছিল এখানে।
বায়তুল মোকারম নামঃ
  • ১৯৫০-৬০ দিকে প্রেসিডেন্ট আয়ুবের সরকারের পরিকল্পনা পুরানো ঢাকা-
  • নতুন ঢাকার যোগাযোগ রাস্তার। তাতে আগাখানীদের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক বাড়িঘর চলে যায়।
  • আগাখানীদের নেতা আব্দুল লতিফ বাওয়ানী (বাওয়ানী জুট মিলের মালিক) সরকারকে প্রস্তাব দিলো, তারা নিজ খরচে এশিয়ার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মসজিদ তৈরী করবে।
  • এটা একটা বিরাট পুকুর ছিল "পল্টন পুকুর।",
  • এই পুকুরে এক সময় ব্রিটিশ সৈন্যরা গোসল কোরতো। ১৯৬৮ সনে মসজিদ ও মার্কেট প্রতিষ্ঠিত হয়।

ঢাকার প্রাচীন নাম কি ছিল

ঢাকার প্রাচীন নাম জাহাঙ্গীরনগর। ১৬১০ সালে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী ঘোষণা করেন এবং তার নাম অনুসারে শহরের নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর।
তবে, ঢাকার ইতিহাস আরও অনেক পুরনো। ঐতিহাসিকদের মতে, ঢাকার অঞ্চলে বসবাসের প্রমাণ ৭ম শতাব্দীরও পুরনো।
ঢাকার আরও কিছু প্রাচীন নাম:
ঢাকা: ধারণা করা হয়, 'ঢাক' শব্দটি 'ঢাকা' শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ 'পাহাড়'।
বিক্রমপুর: 
  • ৯ম শতাব্দীতে, বিক্রমপুর ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ কেন্দ্র।
লৌহগ্রাম: 
  • লৌহগ্রাম ছিল একটি প্রাচীন লোহার উৎপাদন কেন্দ্র।
সোনারগাঁও: 
  • ১৪শ থেকে ১৬শ শতাব্দী পর্যন্ত, সোনারগাঁও ছিল ইলিয়াস শাহী, রত্ন রাজাদের রাজধানী।
পরীবাগঃ
পরীবানু নামে নবাব আহসানউল্লাহর এক মেয়ে ছিল। সম্ভবত পরীবানুর নামে এখানে একটি বড় বাগান করেছিলেন আহসানউল্লাহ।

পাগলাপুলঃ 
১৭ শতকে এখানে একটি নদী ছিল, নাম-পাগলা। মীর জুমলা নদীর উপর সুন্দর একটি পুল তৈরি করেছিলেন।

অনেকেই সেই দৃষ্টিনন্দন পুল দেখতে আসত। সেখান থেকেই জায়গার নাম "পাগলাপুল।"

ফার্মগেটঃ
  • কৃষি উন্নয়ন, কৃষি ও পশুপালন গবেষণার জন্য বৃটিশ সরকার এখানে একটি ফার্ম বা খামার তৈরি করেছিল। সেই ফার্মের প্রধান ফটক বা গেট থেকে এলাকার নাম হোলো ফার্মগেট।
শ্যামলীঃ
  • ১৯৫৭ সালে সমাজকর্মী আব্দুল গণি হায়দারসহ বেশ কিছু ব্যক্তি এ এলাকায় বাড়ি করেন। এখানে যেহেতু প্রচুর গাছপালা ছিল তাই সবাই মিলে আলোচনা করে এলাকার নাম রাখেন শ্যামলী।
সূত্রাপুরঃ
  • কাঠের কাজ যারা করতেন তাদের বলা হত সূত্রধর। এ এলাকায় এককালে অনেক শূত্রধর পরিবারের বসবাস ছিলো । সেই থেকেই জায়গার নাম হোলো সূত্রাপুর।

ঢাকার বিভিন্ন স্থানের নাম

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। এই শহরের রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস এবং সংস্কৃতি। ঢাকার বিভিন্ন স্থানের নামকরণের পিছনে রয়েছে বিভিন্ন ইতিহাস।

মুঘল আমলের নাম
  • আজিমপুর: আজিমপুর প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর পুত্র সুবাদার শাহজাদা আজমের শাসনামলে (১৬৭৭-১৬৭৯)।
ধানমণ্ডি: 
  • ধানমণ্ডি এলাকাটিতে একসময় প্রচুর ধানের হাট বসত। সেই থেকে এই এলাকার নাম ধানমণ্ডি।
কারওয়ান বাজার: 
  • কারওয়ান বাজার এলাকাটিতে একসময় বণিকদের জন্য একটি কারওয়ান বা আস্তানা ছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম কারওয়ান বাজার।
লালবাগ: 
  • লালবাগ এলাকাটিতে একসময় লাল ইটের তৈরি একটি দুর্গ ছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম লালবাগ।
মিন্টো রোড: 
  • মিন্টো রোডটি ব্রিটিশ আমলে লর্ড মিন্টোর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছিল।
পল্টন: 
  • পল্টন এলাকাটিতে একসময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একটি শিবির ছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম পল্টন।
রমনা: 
  • রমনা এলাকাটিতে একসময় রমনা জঙ্গল ছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম রমনা।
শাহবাগ: 
  • শাহবাগ এলাকাটিতে একসময় শাসকদের প্রাসাদ ছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম শাহবাগ।
ব্রিটিশ আমলের নাম
  • ইস্কাটন: ইস্কাটন এলাকাটিতে একসময় স্কটিশ বণিকরা বসবাস করত। সেই থেকে এই এলাকার নাম ইস্কাটন।
  • ওয়ারী: ওয়ারী এলাকাটিতে একসময় ব্রিটিশ আমলে একটি অভিজাত এলাকা গড়ে তোলা হয়েছিল।
  • হাতিরপুল: হাতিরপুল এলাকাটিতে একসময় হাতিদের জন্য একটি পুল ছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম হাতিরপুল।
  • মিডলস্ট্রিট: মিডলস্ট্রিট এলাকাটিতে একসময় ব্রিটিশ আমলে একটি প্রধান সড়ক ছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম মিডলস্ট্রিট।

স্বাধীনতা পরবর্তীকালের নাম

আবদুল্লাহপুর: আবদুল্লাহপুর এলাকাটিতে একসময় আবদুল্লাহ নামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বসবাস করতেন। সেই থেকে এই এলাকার নাম আবদুল্লাহপুর।
  • বসুন্ধরা: বসুন্ধরা এলাকাটিতে একসময় বসুন্ধরা নামের একটি বন ছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম বসুন্ধরা।
  • বনানী: বনানী এলাকাটিতে একসময় বন ছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম বনানী।
  • গুলশান: গুলশান এলাকাটিতে একসময় গুল গাছ ছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম গুলশান।
  • মিরপুর: মিরপুর এলাকাটিতে একসময় মির নামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বসবাস করতেন। সেই থেকে এই এলাকার নাম মিরপুর।
  • নিউমার্কেট: নিউমার্কেট এলাকাটিতে একসময় একটি নতুন বাজার গড়ে উঠেছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম নিউমার্কেট।
  • সাভার: সাভার এলাকাটিতে একসময় সাঁওতালরা বসবাস করত। সেই থেকে এই এলাকার নাম সাভার।
  • টঙ্গী: টঙ্গী এলাকাটিতে একসময় টং নামের একটি বন ছিল। সেই থেকে এই এলাকার নাম টঙ্গী।
এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন স্থানের নামের পিছনে রয়েছে বিভিন্ন লোককাহিনী এবং কিংবদন্তি।

সমস্ত তথ্যই সংগ্রহকৃত, তাই যদি কোন তথ্যে গড়মিল পেয়ে থাকেন বা ভুল পেয়ে থাকেন ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাস বা ঢাকা শহরের নামকরণের ইতিহাস নিয়ে সঠিক তথ্য পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টে এগিয়ে জানাবেন।

উপসংহার

আজ আমরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাস বা ঢাকা শহরের নামকরণের ইতিহাস  নিয়ে আলোচনা করলাম ঢাকার আগে বাংলাদেশের রাজধানী কোথায় ছিল। এবার অন্য বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url