দর্শনার্থীদের জন্য খুললো শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান
দর্শনার্থীদের জন্য খুললো শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান
শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা রাজশাহী মহানগরবাসীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। এটি রাজশাহী শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র এবং শিশুপার্ক হেসেবেও ব্যাবহৃত হয়।
ব্রিটিশ আমলে ইংরেজরা আমাদের দেশে ঘোড়দৌড় বা রেস খেলার প্রচলন করে। খেলা দেখা ও বাজি ধরায় প্রচন্ড উত্তেজানা সৃষ্টি হত। শহরাঞ্চলেই ঘোড়দৌড় মাঠ বা রেসকোর্স ছিল।
রেসের নেশায় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতেন। অনেকে এ খেলায় সর্বস্বান্ত হয়েছে। কার্যত আয়োজকরাই লাভবান হয়েছে। রাজশাহী শহরের রেসকোর্স ছিল পদ্মার পাড়ে। এখন এই রেসকোর্স ময়দান রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা।
উন্নয়ন ও সংস্কারের পর দর্শনার্থীদের জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রধান ফটকে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পুনঃনির্বাচিত মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
ফিতা কাটার পর দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় উদ্যানটি ঘুরে দেখেন রাসিক মেয়র মহোদয়।
এরপর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় ২৫ টা প্রবেশমূল্য দিয়ে এখানে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
এ সময় রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে, আরো অনেক কাজ করা হবে। এখানে ওয়াচ টাওয়ার, অ্যাকুয়ারিয়াম, এমপি থিয়েটার নির্মাণ করা হবে। শিশুদের বিনোদনের জন্য থাকবে বিভিন্ন ধরনের রাইডস। পর্যায়ক্রমে এসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
মেয়র আরো বলেন, এতো অল্প জায়গায় আসলে চিড়িয়াখানা হতে পারে না। সুতরাং এখানে কোন পশুপাখি আনা হবে না। ভবিষ্যতে রাজশাহীতে একটি সাফারী পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার বিভিন্ন উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের মধ্যে রয়েছে, অভ্যন্তরীণ ওয়াকওয়ে ও রাস্তা নির্মাণ, ফেরিজহুইল সংস্কার, পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্য্যবর্ধন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, হরি, ঘড়িয়াল ও পাখির খাচা সংস্কার, বাউন্ডারি ওয়াল পুনঃনির্মাণ, নতুন তিনটি গেট নির্মাণ, অরণ্য রির্সোট নির্মাণ, ফুডকোর্ট নির্মাণ।#
কেন্দ্রীয় উদ্যানের সংগ্রহ
মূল্যবান গাছের চারা রোপণ, ফুল গাছের কোয়ারি ও কুঞ্জ তৈরি, লেক ও পুকুর খনন, কৃত্রিম পাহাড় তৈরি অর্থাৎ সামগ্রিক কাজ শুরু হয় ১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬ সালে। তৎকালীন জেলা প্রশাসক শফিউর রহমান ও নজরুল ইসলামের সময়ে কিছু দুষ্প্রাপ্য বৃক্ষরোপণ ও উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালানো হয়। তখন বাগানে ২টি বানর ছিল।
১৯৭৫ সালের শেষ ভাগে আব্দুর রহিম খানের প্রচেষ্টায় পটুয়াখালির জেলা প্রশাসক আব্দুস সাত্তারের নিকট থেকে ১ জোড়া হরিণ এনে রাখা হয়েছিল। তবে তখন চিড়িয়াখানা স্থাপনের চিন্তা-ভাবনা ছিল না।
হরিণ দুটির বংশ বিস্তার হয়ে ১৮টিতে দাঁড়ালে রক্ষণা-বেক্ষণের অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
যার কারণে ১২টি হরিণ ঢাকা চিড়িয়াখানায় দান করা হয়। সে সময় সুষ্ঠু পরিচর্যার অভাবে বাগানের মূল্যবান বৃক্ষের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল।
১৯৮৩ সালে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুস সালাম একটি বড় ড্রামে এক জোড়া ঘড়িয়ালের বাচ্চা ছেড়ে দিয়ে চিড়িয়াখানার পত্তন করেন। ১৯৮৫ সালে জেলা প্রশাসক ও পরে বিভাগীয় কমিশনার ছৈয়দুর রহমান ও জেলা পরিষদের প্রকৌশলী আবদুর রহিম এর প্রচেষ্টায় একটি পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানায় উন্নীত হয়।
১৯৮৬ সালের জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা উন্নয়নে ব্যয় হয় ৩৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৯২ টাকা। ১৯৮৬ সালের ৩ জুন বিএডিসির তৎকালীন চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) আনসার আলী উদ্যান ও চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে ১টি গভীর নলকূপ স্থাপনের ব্যবস্থা করেন।
এর আগে এখানে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ছিলনা। ফলে উদ্যান, পশু-পাখি ও মাছ সংরক্ষণ বিঘ্নিত হতো। উন্নয়ন ও সুষ্ঠু রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য রাজশাহী সিটি কপোরেশন জেলা পরিষদের কাছ থেকে প্রকল্পটি কিনে নিয়েছে।
১৯৯৬ সালের ২৬ নভেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী জিল্লুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর কাছে প্রকল্পটি হস্তান্তর করেন।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানের অবস্থান
রাজশাহী শহরের পশ্চিম অংশে পদ্মার তীর ঘেষে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি। শহর থেকে ৩ কি.মি. পশ্চিমে রাজপাড়া এলাকায় পর্যটন মোটেলের পশ্চিমে এবং রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও রাজশাহী পুলিশ লাইন এর পূর্ব দিকে অবস্থিত। প্রধান রাস্তার উত্তর পার্শ্বের রাস্তা থেকে পার্কটি দেখা যায়।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানে পর্যটন
এই চিড়িয়াখনায় বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, মাছ, বানর ও সাপ, ঘড়িয়াল ইত্যাদি রয়েছে। এর প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। এখানে মূল্যবান গাছের চারা রোপণ, ফুল গাছের কোয়ারি ও কুঞ্জ তৈরি, লেক ও পুকুর খনন, কৃত্রিম পাহাড় তৈরি করা হয়েছে। এর প্রধান ফটক অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানে যাতায়াত
আকাশ, নৌ এবং স্থলপথে রাজশাহী আসার পর রিকশা বা অটোরিকশায় এখানে যাওয়া যাবে।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানে রাত্রিযাপন
শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় এর পাশেই ভালো মানের আবাসিক হোটেল, মোটেল ও বাংলো আছে।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানে খাওয়ার ব্যবস্থা
রাজশাহী শহরের ভালো রেস্তোরা গুলো এই পার্কের নিকটবর্তী
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানে থাকা ও রাত্রিযাপনের স্থান
রাজশাহী সদর ব্যতীত অন্যান্য জায়গায় থাকার তেমন কোন সুব্যবস্থা নেই। রাজশাহী শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল বা রেস্ট হাউস রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
রাজশাহী শহরের হোটেল ও মোটেলের মোবাইল ও টেলিফোন নম্বার:
রাজশাহী শহরের হোটেল ও মোটেলের মোবাইল ও টেলিফোন নম্বর:
হোটেল/মোটেল ঠিকানা মোবাইল নম্বর টেলিফোন নম্বর
বাংলাদেশ পর্যটন মোটেল আবদুল মজিদ রোড, রাজশাহী 01778-403225 0721-717322
হোটেল নিউ স্টার রেসিডেন্সিয়াল ১ নং সাহেব বাজার রোড, রাজশাহী 01754-542983 0721-716300
হোটেল মুন ইন্টারন্যাশনাল সাহেব বাজার রোড, রাজশাহী 01701-988260 0721-717333
হোটেল বনলতা লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী 01713-966666 0721-716444
হোটেল রিভার ভিউ নিউ মার্কেট, রাজশাহী 01715-555555 0721-717222
হোটেল গ্র্যান্ড হোপ সাহেব বাজার রোড, রাজশাহী 01716-666666 0721-717111
হোটেল স্টার লাইট সাহেব বাজার রোড, রাজশাহী 01717-777777 0721-717000
হোটেল প্রিন্সেস লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী 01718-888888 0721-717555
হোটেল প্যালেস সাহেব বাজার রোড, রাজশাহী 01719-999999 0721-717444
এই তালিকাটি শুধুমাত্র একটি নমুনা। রাজশাহীতে আরও অনেক হোটেল ও মোটেল রয়েছে। আপনি আপনার বাজেট এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একটি হোটেল বা মোটেল নির্বাচন করতে পারেন।
পর্যটন মোটেল, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, রাজশাহী ☎ ০৭২১৭৭৫২৩৭
হোটেল নাইস ইন্টানন্যাশনাল, গণকপাড়া, সাহেব বাজার, রাজশাহী ☎ ০৭২১৭৭৬১৮৮
হোটেল হক্স ইন, শিরোইল, বোয়ালিয়া রাজশাহী, রাজশাহী ☎ ০৭২১৮১০৪২০
হোটেল ডালাস ইন্টারন্যাশনাল, বিন্দুর মোড়, রাজশাহী ☎ ০৭২১৭৭৩৮৩৯
হোটেল মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল, গণক পাড়া,বাটারমোড়, রাজশাহী ☎ ০৭২১৭৭১১০০
চেজ রাজ্জাক সার্ভিস, পদ্মা আবাসিক এলাকা, রাজশাহী ☎ ০৭২১৭৬২০১১
হোটেল আনাম, সাহেব বাজার, মালোপাড়া, রাজশাহী ☎ ৭৭৩৭৪০
কি কি আছে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান এ
প্রকৃত পক্ষে ১৬/২/১৯৮৩ তারিখে চিড়িয়াখানা আরম্ভ হয়। জেলা পরিষদের সীমিত অর্থে ও রাষ্ট্রপতির ১০ লক্ষ টাকার অনুদানে এবং পরবর্তীতে বিভাগ উন্নয়ন বোর্ড হতে প্রাপ্ত ১০ লক্ষ টাকায় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার উন্নয়ন ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সম্ভবত ১৯৮৩ সালে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুস সালাম একটি বড় ড্রামে এক জোড়া ঘড়িয়ালের বাচ্চা ছেড়ে দিয়ে চিড়িয়াখানার পত্তন করেন। ১৯৮৫ সালে জেলা প্রশাসক ও পরে বিভাগীয় কমিশনার ছৈয়দুর রহমান ও জেলা পরিষদের প্রকৌশলী (মরহুম) আবদুর রহিম এর প্রচেষ্টায় একটি পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানায় উন্নীত হয়।
২৬ জুন ২০০৩ এর এক তথ্যানুসারে কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় ২টি সিংহ, ১টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ১৯৪টি চিত্রল হরিণ, ২টি মায়া হরিণ, ২৬টি বানর, ৯টি বেবুন, ৪টি গাধা, ২টি ভাল্লুক, ১টি ঘোড়া, ২টি সাদা ময়ূর, ৩টি দেশী ময়ূর, ৮৫টি তিলা ঘুঘু, ৬৮টি দেশী কবুতর, ৪টি সজারু, ২৮টি বালিহাঁস, ২টি ওয়াকপাখি, ১টি পেলিকেন, ৬টি টিয়া, ৪টি ভুবন চিল, ৪টি বাজপাখি, ১টি হাড়গিল, ৩টি হুতুম পেঁচা, ৯টি শকুন, ২টি উদবিড়াল, ৩টি ঘড়িয়াল, ১টি অজগর আছে।
দশনার্থীদের জন্য লেকে আছে প্যাডেল বোট, নাগর দোলা। প্রধান প্রবেশ পথে জিরাফের ভাস্কর্য ও মৎস্যকুমারী ফোয়ারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। কৃত্রিম পাহাড়ে উঠলে চোখে পড়ে বিস্তৃত পদ্মা। যার দখিনা বাতাসে প্রাণ জুড়ায়।
নানারকম ফুল, ফল ও ঔষধি গাছের ছায়া ঘেরা পার্কের ভিতরে আছে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য ও নান্দ্যনিক ব্রিজ সহ একটি ছোট্ট লেক। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় উল্লেখযোগ্য সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে বাজরিকা, বালিহাস, ঘোড়া, হরিণ, উদবিড়াল, অজগর সাপ, কুমির সহ বিভিন্ন জলজ ও স্থলজ পশুপাখি।
মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের এই উদ্যানের কৃত্রিম পাহাড় থেকে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এছাড়া পার্কে দর্শনার্থীদের চিত্তবিনোদনের জন্য প্যাডেল বোট, নাগর দোলা সহ বেশকিছু আকর্ষণী রাইড রয়েছে।
বর্তমানে এই শিশু পার্কটি রাজশাহী শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। রাজশাহীর স্থানীয় দর্শনার্থী ছাড়াও প্রতিদিন শিক্ষা সফর ও বনভোজনের উদ্দেশ্যে এখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও পর্যটকের সমাগম ঘটে।
উদ্যানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা, ফুল, পুকুর, লেক, কৃত্রিম পাহাড়, শিশুদের খেলার মাঠ, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, ওয়াচ টাওয়ার, অ্যাকুয়ারিয়াম, এমপি থিয়েটার ইত্যাদি। উদ্যানটিতে বিভিন্ন ধরনের পশুপাখিও রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হরিণ, বানর, চিতাবাঘ, সিংহ, জিরাফ, হাতি, গণ্ডার, কুমির, সাপ ইত্যাদি।
উদ্যানটি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রবেশমূল্য ২০ টাকা (বাংলাদেশিদের জন্য) এবং ৫০০ টাকা (বিদেশীদের জন্য)।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানটি রাজশাহী শহরের একটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী উদ্যানটিতে ঘুরতে আসেন।
উদ্যানের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল:
- বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং ফুলের সমাহার
- বিস্তৃত লেক এবং পুকুর
- কৃত্রিম পাহাড়
- শিশুদের খেলার মাঠ
- রেস্তোরাঁ, ক্যাফে
- ওয়াচ টাওয়ার
- অ্যাকুয়ারিয়াম
- এমপি থিয়েটার
- বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি
উদ্যানের কিছু উল্লেখযোগ্য পশুপাখি হল:
- হরিণ
- বানর
- চিতাবাঘ
- সিংহ
- জিরাফ
- হাতি
- গণ্ডার
- কুমির
- সাপ
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানটি রাজশাহী শহরের একটি অন্যতম আকর্ষণ। উদ্যানটিতে ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমে দর্শনার্থীরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন এবং বিভিন্ন ধরনের পশুপাখির সাথে পরিচিত হতে পারেন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url